ছাত্রছাত্রীদের জন্য সেরা কয়েকটি অনলাইন জব।

আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন, তাহলে অনলাইন থেকে পার্ট টাইম জব করে ইনকাম করতে পারবেন। ছাত্র ছাত্রীরা অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবে খুব সহজেই। বর্তমানে অনেক অনলাইন কাজ রয়েছে যা ছোট বড় সবাই করছে।আপনি ও করতে পারবেন।অনলাইন কাজগুলো আপনি পার্ট টাইম হিসেবে করতে পারবেন।ছাত্র হিসেবে আপনার ভালো পরিমাণে ইনকাম হওয়ার সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে এবং আপনি আপনার নিজের খরচগুলো নিজেই জোগাড় করতে পারবেন। যে উপায়গুলো ব্যাবহার করে লক্ষ্য লক্ষ্য ছাত্র ছাত্রীরা ইন্টারনেট থেকে আয় করছে সেই উপায়গুলো নীচে দেওয়া হলো_

ব্লগিং করে আয় করুন। 

হাজার হাজার স্টুডেন্ট, হাউজওয়াইফ, রিটায়ার্ড ব্যাক্তি পার্ট টাইম কাজে আগ্রহী থাকা লোকেরা ব্লগিং এর কাজ করছে।তারা ১০,০০০ -৫০,০০০ টাকার ভিতরে খুব সহজেই আয় করছে ঘরে বসে।আবার কিছু সংখ্যক লোক ১ লক্ষ্য টাকার বেশি ও আয় করছে। ব্লগিংয়টা আপনি চাইলে পার্ট টাইমও করতে পারবেন ,আর যদি চান ফুল টাইম ও করতে পারবেন।

আপনি যদি লিখতে পছন্দ করেন বা মানুষকে শেখানোর জন্য আপনার কাছে কোন বিষয় রয়েছে ,তাহলে অবশ্যই আপনি ব্লগিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এর জন্য আপনাকে একটি ব্লগ সাইট খুলতে হবে।ব্লগের মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞান,অভিজ্ঞ্যতা বিভিন্ন বিষয়ের টিপস এবং টিউটোরিয়াল ইত্যাদি মানুষের সাথে শেয়ার করতে হবে।বর্তমান সময়ে প্রচুর লোক ঘরে বসে ব্লগিং করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করছেন।আপনার ব্লগে অনেক পোস্ট থাকতে হবে।

এভাবে আপনার নিজের ব্লগে আর্টিকেল পোস্ট করার ফলে ইন্টারনেট ও গুগল সার্চ থেকে গুগলে ট্রাফিক ও ভিজিটর পাবেন।ব্লগে ট্রাফিক ও ভিজিটর আসার পর ,আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।ব্লগ থেকে টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে।যেমন:অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,ডিরেক্ট প্রোডাক্ট সেলিং ইত্যাদি।সেরা অনলাইন জব এর মধ্য ব্লগিং সব চাইতে সেরা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।এখন অনেক মানুষ অনলাইন এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা আয় করছে।যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে একটু কষ্ট করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করে নিজেকে ধনী বানাতে চান,তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দ্বারা অনকে কম সময়ের মধ্যে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যদি আপনি কাজ করেন,আপনাকে বিভিন্ন কমার্স কোম্পানি গুলোর প্রোডাক্টগুলোকে প্রচার করে বিক্রি করতে হবে।আর প্রত্যেক বিক্রির বিপরীতে আপনাকে কমিশন দেওয়ায় হবে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ ভালো করে শিখে নিতে পারলে,ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করার দারুন সুযোগ পাবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং 

ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক তাড়াতাড়ি এগিয়ে আসা ইন্ডাস্ট্রি।একটি ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ৩ মাসের মধ্য আপনি শিখতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করা মানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ,ওয়েবসাইট,ভিডীও,সার্ভিস ইত্যাদি অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মার্কেটিং ও প্রচার করা।ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশলগুলো শিখতে পারলে ঘরে বসে পার্ট টাইম ইনাকাম করতে পারবেন।

বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাথে জড়িত কাজ খুজে পার্ট টাইম জব করতে পারবেন।

ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম।

বর্তমানে ইউটিউব থেকে অনলাইনে আয় করার সেরা মাধ্যম। আপনি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন। ইউটিউবে প্রত্যেক দিন হাজার কাজের ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা হয়।ইউটিউবে যখন  আপনি ভিডিও দেখেন তখন আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন যে,ভিডিও শুরু হওয়ার আগে এবং ভিডিওর মাঝে কিছু বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।

এই বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমেই ইউটিউব এবং আপলোড করা ভিডিওর মালিক দুজনেই টাকা পেয়ে থাকে।এভাবেই তারা আয় করে।ইউটিউবে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।তারপর নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে।আপনার চ্যানেলে যখন ভালো পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাব এতক্ষন আপনি ইউটিউব মানিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এমন হাজার হাজর ইউটিউবার রয়েছে যার নিজের ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে ইনকাম করছেন।আজ স্কুলে পড়াশোনা করে বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকেরা নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনেক টাকা ইনকাম করছে।এভাবেই আপনি একটি চ্যানেল খুলে অনেক টাকা ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে আয় করুন।

একটি অনলাইন অ্যাপ তৈরি করে পার্ট টাইম জব করার মাধ্যমটি কিন্তু অনেক লাভজনক।অনেকেই একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে সেখান থেকে গুগল অ্যাডমোব এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে গুগল প্লে স্টোরে ছেড়ে দেয়।

এতে যখন আপনার অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে মোবাইলে ওপেন করবে ,তখন তাদের কিছু বিজ্ঞাপন দেখানো হয়ে থাক ।এই বিজ্ঞাপনের বিরতিতে আপনি আয় করতে পারবেন।তাই একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে আয় করার সুযোগ আছে । 

একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি অ্যাপ তৈরি করতে হবে।

আপনি একজন ডেভেলপারকে দিয়ে একটি অ্যাপ তৈরি করিয়ে নিতে পারবেন।একবার অ্যাপ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর ,আপনি নিজের অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর এ আপলোড করতে পারবেন।আপনার অ্যাপটি যদি কিছু সংখ্যক লোক ডাউনলোড করে ব্যাবহার করে ,তাহলে অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম করা চালু হবে।

গেম খেলে ইনকাম 

গেম খেলেও আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।বিভিন্ন গেমিং কোম্পানি রয়েছে ,যারা গেমগুলো টেস্টিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন লোকদের গেমগুলো খেলে টেস্ট করার জন্য টাকা দেয়।এভাবে কিছু গেম খেলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।।

কনটেন্ট রাইটিং ওয়ার্ক 

প্রচুর ছাত্রছাত্রী আছে যারা অনলাইনে একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করছে। আপনি যদি আর্টিকেল লিখতে ভালোবাসেন,তাহলে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ আপনার জন্য সেরা অনলাইন পার্ট টাইম জব ।আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন:ফ্রিল্যান্সার.কম,আপওয়ার্ক ইত্যাদি গুলোতে গিয়ে কনটেন্ট লেখার কাজ করতে পারবেন।আপনি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় নিয়ে এই কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারেন।এছাড়া অনেক ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে আপনি নিয়মিত রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।।

ফাইভার এ কাজ করুন।

ফাইবার একটি জনপ্রিয় পপিউলার ওয়েবসাইট।অনেক বেশি সংখ্যক লোক এই সাইটে অনলাইনে কাজ করে আয় করছেন ।এখানে আপনি যেকোন ধরনের কাজ করে আয় করতে পারবেন।এখানে যারা লোগো তৈরি করার জন্য ভালো ফ্রিল্যান্সার খুঁজছেন ,আপনি তাদের জন্য একটি লোগো তৈরি করে দিতে পারেন ।আর লোগো তৈরি করার জন্য আপনি সে ব্যাক্তি বা কোম্পানি যে আপনাকে খাজটি দিয়েছে তার থেকে আয় করতে পারবেন।এভাবে যেকোন ধরনের কাজ যদি আপনি জানেন যেমন: আর্টিকেল রাইটিং ,কোডিং, অ্যানিমেশন,ডিজিটাল মার্কেটিং,ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি যেকোন কাজ করে আয় করতে পারবেন।

এই সব গুলো সাইট থেকে ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজে তাদের পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করে আয় করতে পারবে।।