আজকে আমরা যে পার্সোনাল কম্পিউটার ( ডেক্সটপ, লেপ্টপ, মোবাইল ইত্যাদি ) ব্যবহার করছি সেটা শুধু সম্ভব হয়েছে একজন ব্যক্তির প্রচেস্টায়, আর তিনি হলেন প্রযুক্তির বরপুত্র স্টিভ জবস। তিনি না হলে হয়তো কম্পিউটার নামক যন্ত্রটা সবার হাতে হাতে না থেকে শুধু গবেষনাগার আর সরকারী কাজে দেখা যেত।
আমরা হয়ত জানি, কম্পিউটারের অর্থ - গননার যন্ত্র। তাহলে আপনি কি একটিবারও চিন্তা করেছেন আমরা এখন কম্পিউটারে গান শোনা, সিনেমা দেখা, আরও কতকি যে করি এগুলো আসলো কিভাবে? আসলে কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছিল গানিতিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে। প্রথম দিকের কম্পিউটারগুলো ছিল বিশাল আকারের, প্রায় ৩ বা ৪ টা রুম জুড়ে এগুলো বৃস্তিত থাকত।
এগুলো দেখাশোনা করা ও ব্যবহার করা সাধারণ মানুষের বাইরে ছিল। তাই সেই কম্পিউটারগুলো শুধুমাত্র গবেষনাগার আর সরকারী কাজে ব্যবহৃত হত। কিন্তু এই আবস্থা বেশিদিন চলেনি। সবার কাছে কম্পিউটার পৌছে দিতে একজন মহা মানব এগিয়ে আসেন, আর তিনি হলেন স্টিভ জবস। তিনি আবশ্য এটা করেছিলেন নিজের ব্যবসার জন্য।
তখন যেহেতু তেমন কোনো কম্পিউটার নির্মাতা কোম্পানি ছিল না, তাই তিনি এটাকে সুযোগ হিসাবে কাজে লাগাতে চাইলেন। তিনি জন্মে ছিলেন আমেরিকায় ১৯৫৫ সালে, বাবা মায়ের বিয়ের আগের সন্তান তিনি। জন্মের পর তার মা তাকে একটা পরিবারের কাছে দত্তক দিয়ে দেন। এই পরিবারেই তিনি বড় হোন। তিনি ছোটকালেই শিখেছিলেন কিভাবে সর্কিট চিপ বানাতে হয়।
তিনি শুরুতে একটা কোম্পানিতে কাজ করেন, সেই সাথে বিভিন্ন সেমিনারে গিয়ে শিখতে থাকেন কিভাবে নতুন ও জটিল সর্কিট চিপ বানাতে হয়। কোম্পানিটে তিনি কাজ করেছিলেন মূলত ভারত ভ্রমনের টাকা জোগার করার জন্য, অবশ্য এখানে তিনি আর একটা জিনিস পেয়েছিলেন তা হল স্টিভ ওজনিয়াক নামে এক বন্ধুর যে ছিল খুব ভালো মানের সর্কিট নকশাকার।
ভারত ভ্রমন শেষে তিনি ওজনিয়াকের সাথে নিয়ে একটি কোম্পানি গড়ে তোলেন, যার নাম রাখেন “এপল ইনকরপোরেশন”। স্টিভ ওজনিয়াকের একক প্রচেস্টায় “এপল-১” প্রথমে বাজারে আসে। যেটি ছিল প্রথম পার্সোনাল কম্পিঊটার। যা ছিল তখনকার কম্পিউতারগুলোর তুলনায় আনেক ছোট। স্টিভ জবস ছিলেন ব্যবসায়ে সিদ্ধহস্ত, তিনি “এপল-১” এর ব্যাপক প্রচারণা চালান।
ফলে এটি বাজারে বেশ সফল হয়। এরপর থেকে এপল একের পর এক বাজারে সফল হতে থাকে। কিন্তু জবস ছিলেন রাগি এবং খুতখুতে স্বভাবের, তিনি চাইতেন কোম্পানি যেন আরো ভাল কিছু করে। তাই তিনি কোম্পানির কর্মকর্তাদের উপর চাপ বাড়ালে তাদের সাথে জবসের মনোমালিন্য হয়। এরজন্য তাকে তার নিজের কোম্পানি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
তবে তিনি দমে যাননি, আবার শুরু করেন নতুন “নেক্স ইনকর্পোরেশন” নামে আর একাটি কোম্পানি। এই নতুন কোম্পানিটি শুরুতে ভাল কররেও কিছু দিন পরে অর্থ সংকটে পড়ে, ফলে তিনি এটি তার পুরোনো কোম্পানি “এপল” কিয়ে নেয়। এর মাধ্যমে তিনি আবার “এপল” এ আসার সুযোগ পান। এই সময় “এপল” ও সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছিল, তারা ব্যবসার বাজারে পিছিয়ে পড়ছিল।
এই কঠিন সময়ে জবস এপলকে নতুন জগৎ এ নিয়ে যান, তিনি তৈরি করেন “এপল আইফোন” যা বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সেই সাথে তিনি এপলের কম্পিউটারগুলোতে পরিবর্তন আনেন যার কারণে এগুলোও বাজার ধরতে শুরু করে। এভাবে এপল জাবসের হাত ধরে আবার ঘুরে দাড়ায়।
তিনি ছোট আকারের কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা না করলে হয়ত আমাদের হাতে কম্পিউটার আসতে দেরি হত। তাই ধন্যবাদ যানায় জবসকে। এই মহান ব্যক্তি ২০১১ সালে মরা যান। ওপরে ভাল থাকুক তিনি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
You must be logged in to post a comment.