কিভাবে সহজেই ই-কমার্স বিজনেস শুরু করবেন । বিস্তারিত কৌশল

ই-কমার্স  অর্থ হলো ইলেক্ট্রনিক কমার্স। যার মাধ‍্যমে আমরা অনলাইন ব‍্যবস‍া করে থাকি।এটি একটি অনলাইন বিজনেস যা ফেইসবুক এর মাধ‍্যমে বাংলাদেশে অনেকটা ছড়িয়ে আসলে। অনলাইন জগতে ই- কমার্স বিজনেস  স্থান করে নিয়েছে। ই-কমার্স বিজনেস টা আসলে  আমাদের দেশে প্রায় ১৫ বছর  আগে থেকেই শুরু হয়েছিল তবে সেভাবে এটা প্রচার হয়নি।

বর্তমানে  তরুন প্রজন্মের ইন্টারনেট ও ফেইসবুক ব‍্যবহারের  মাধ‍্যমে এর প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যখন ফেইসবুক ব্রাউজিং করে থাকি ওই সময় আমাদের সামনে যখন কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন চলে আসে তখন সেটা দেখতে দেখতেই তার প্রতি আকৃষ্ট  হয়ে যাই।

ই-কমার্স বিজনেস এর উদ্দোক্তা হতে হলে আপনার যে বিষয় গুলা লাগবে-

  • *টেকনিক‍্যাল নলেজ
  • *ব‍্যবসায়িক জ্ঞান
  • *কিভাবে মার্কেটিং করবেন সেই সম্পর্কে জানতে হবে
  • *এবং এই মার্কেটিং ব‍্যবস‍া সব গুলোকে এক সাথে কমপেয়ার কর আপনার বিজনেসটাকে আপনি দ্বার করাবেন সেই সম্পর্কে।

ই-কমার্স ব‍্যবসা আপনি নিজে যদি করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো। আর যদি না পারেন তাহলে অন‍্যের  সাহায‍্য নিয়ে করতে পারেন। এই ব‍্যবসাটা আসলে একা করা সম্ভব না। তাই জন বলের সাহায‍্যে করতে হবে।

নতুন উদ্দোক্তাদের ক্ষেত্রে প্রথমে বড় করে বিজনেস করা হয়ে ওঠে না। কারণ তাদের টাকা- পয়সার/ মূরধন অনেক সমস‍্যা থাকে। বিজনেস সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা থাকে না তাই অনেক সমস‍্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

যারা  নতুন ব‍্যবসা করতে চায় তাদেরকে অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে ভালো মত জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে পড়াশুনা করে এর সম্পর্কে জানতে হবে।

অনলাইন বিজনেসটা প্রথমত বাহিরের কোনো রাষ্ট্রে চালু হয়েছে। সেই সব রাষ্ট্র থেকে ধীরে ধীরে আমাদের দেশে চালু হয়েছে। তাই এই অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান কম। এই বিজনেস সম্পর্কে ভালো মত জেনে বিজনেস টি শুরু করতে হবে।

আপনি যদি ই-কমার্স ব‍্যবসায়ি হতে চান তাহলে প্রথমে একটা সুন্দর বিজনেস প্ল‍্যান থাকতে হবে। একটা বিজনেস কিভাবে শুরু  করবেন?কত টাকা খরচ করবেন? কত দিনে বিজনেস দাঁড় করাবেন এসব প্ল‍্যান থাকতে হবে।

অনলাইন বিজনেস এর সুবিধা:

১. অফিস দরকার নেই।

২. একাউন্টিং দরকার নেই।

৩. সিকিউরিটি গার্ড দরকার নেই।

৪. ইলেক্টিসিটি বিল দেয়ার দরকার নেই।

৫. পানির বিল দেয়ার দরকার নেই ইত‍্যাদি।

এছাড়া ও অনেক সুবিধা আছে অনলাইন বিজনেস এর ক্ষেত্রে।

একটা অনলাইন বিজনেস করতে যা যা দরকার:

১. একটা এনড্রয়েট ফোন।

২. ল‍্যাপটপ দরকার।

৩. একটা ফেসবুক পেইজ দরকার।

৪. একটা ওয়েবসাইট দরকার। (ওয়েবসাইট থাকলে কাস্টমারের আপনার প্রতি বিশ্বাস জন্মাবে ফলে বিজনেসটা ভালো হবে)।

৫. ই-মেইল বা ফোন নাম্বার। 

এ গুলোর মাধ‍্যমে আপনি অতি সহজে ব‍্যবসা শুরু করতে পারেন। 

আপনি যে ই-কমার্স ব‍্যবসা শুরু করবেন সেখানে প্রথমে একটা সুন্দর ডোমেইন নাম সিলেক্ট করতে হবে। যাতে কাস্টমারের কাছে শুনতে ভালো লাগে।দ্বিতীয়ত লগো ডিজাইন টা আপনার ফেইসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে থাকবে।এটা আপনার বিজনেস কে ব‍্যান্ডিং করবে।

ই- কমার্স বিজনেস মাধ‍্যমে  যে সকল ডেলিভারি সিস্টেম আছে তার  মধ‍্যে -

১. কুরিয়ার সার্ভিস

২. পাঠাও

৩. পেপার ফ্লাই ইত‍্যাদি

এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করতে পারবেন।যা খুব দ্রুত আপনার পণ‍্যটি কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিবে। পোডাক্ট যখন ওয়েবসাইটে দিবেন একটু সুন্দর করে গুছাইয়া দিবেন যাতে কাস্টমার পোডাক্ট সম্পর্কে খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারে। 

অনলাইন ব‍্যবসায়িক যখন কোনো পণ‍্য আপলোড  দিবে তখন অবশ‍্যই খেয়াল রাখতে হবে যেনো পণ‍্যের ছবি টা ভালো মত বোঝা যায়। কারণ পণ‍্যের ছবি টা ভালো না হলে কাস্টমার পণ‍্যের প্রতি আকর্ষিত হবে না ফলে সেল কম হবে। তাই পণ‍্যের ছবির  প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।তবে এটা ও খেয়াল রাখতে হবে যেনো পণ‍্যের চেয়ে ছবি খুব বেশি ভালো না হয়।এতে বিপরীত হতে পারে।পণ‍্যের দিকে খেয়াল রেখে ছবি দিতে হবে।

আমরা অনেকে ই-কমার্স ব‍্যব‍স‍া এর সফলতার দিকটা দেখি,এর যে বিফলতার দিক আছে সেটা দেখি না। আমরা অনেকে দেখেছি যারা IQ তে খুব দক্ষ তারা এই বিজনেস টা করতে চায় অথচ ওনাদের পোডাক্ট সোর্সিং বা মার্কেটিং জ্ঞান নেই। অনেকের মার্কেটিং জ্ঞান আছে,IQ তে দক্ষ না।আবার IQ তে দক্ষ হলেও সোর্সিং নেই।তাই ই-কমার্সে একটা পয়েন্ট কেন্দ্র করলে হবে না। প্রত‍্যেকটা পয়েন্টকে কেন্দ্র করতে হবে।

ই- কমার্স বিজনেস  এর পেমেন্ট সিস্টেম টা আপনি যেভাবে করবেন-

  • *বিকাশ
  • *রকেট
  • *নগদ

যে কোন একটা একাউন্ট থাকলেই  আপনার লেনদেন এর সুবিধা হবে।

ই-কমার্স বিজনেস এর ক্ষেত্রে আর একটা কথা হল কাস্টমারকেয়ার। কাস্টমার কেয়ারটা সুন্দর ভাবে চালাতে হবে।কাস্টমার কেয়ারে নতুন কাস্টমার নেয়াটা ভালো দিক হলেও পুরনো কাস্টমারকে বাদ দিয়ে নেয়া  যাবে না। আপনার প্রতিষ্ঠানে পুরনো কাস্টমার  সুবিধা পেলো কি না সেটা জানতে হবে।পুরনো কাস্টমারকে ততটাই গুরুত্ব দিবেন যতটা নতুন গুলাকে দিবেন।পুরনো গুলোর কাজের দক্ষতা বেশি থাকে তাই তাদের বাদ দেয়া যাবে না।

আশা করি উপরের নিয়ম গুলো মেনে ই-কমার্স বিজনেস খুব ভালোভাবে করতে পারবেন।  

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles