ডিজিটাল মার্কেটিং করার উপায়
যুবক বয়স থেকে বৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মার্কেটিং সেক্টর গ্রুপ অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। কারণ একজন ব্যক্তির দিনের কমপক্ষে তিন ঘন্টা সময় অনলাইনে দিচ্ছেন। যার ফলে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো তাদের মার্কেটিং সেক্টর অনলাইন ভিত্তিক করে ফেলছে। এটা অত্যন্ত সহজ এবং কম খরচ হওয়ায় প্রত্যেকে ঝুঁকে পড়েছে এদিকে।
শুধু বড় বড় কোম্পানি এবং প্ল্যাটফর্ম গুলো অনলাইন মার্কেটিং করে না। নিজের দৈনিন্দ জীবনের জীবনযাত্রা এবং নিজস্ব সেক্টরগুলো মার্কেটিং করা যায়। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা সম্ভব হয় যদি একটুকু পরিশ্রম এবং সময় দেওয়া হয়। তবে টাকা দিয়ে মার্কেটিং করলে সেটা আরেকটু উন্নত মানের এবং ভালো হয়। দ্রুত বিস্তার ঘটে। এর জন্য কোন বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না ঘরে বসেই শুধু একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন বা কম্পিউটার এর সাহায্য নিয়ে কাজ শুরু করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
সহজ কথায় বলতে গেলে, কোন প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাস্টমারের নিকট প্রচার প্রচারণা করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। একে অনেকে অনলাইন মারকেটিং বলে থাকে। এ মার্কেটিং করার জন্য অনেক কলা-কৌশল হয়েছে। সেগুলোর প্রকারের ওপর এর কার্যকারিতা ও ভিন্ন হয়ে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইলে অ্যাপস, সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন, ব্লগ, ইউটিউব ইত্যাদি।
বিনামূল্যে যেভাবে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করবেন
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া গুলো হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি। প্রথমে এসব সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর যতটা সম্ভব এর কানেকশন গুলো বাড়াতে হবে। অর্থাৎ আপনি উক্ত অ্যাকাউন্ট গুলো তে প্রচুর পরিমাণে ফলোয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। যত বেশি ফলোয়ার বাড়বে তত আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটিং এর জন্য ভালো হবে।
এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার সার্ভিস রিলেটেড রিলেটেড এর নাম এবং যাবত এই ইনফরমেশন দিয়ে এখন গুলো খুলতে হবে। তাহলে ভিজিটরদের কাছে এটি অনেক ভালো দেখায়। পাশাপাশি ছবিগুলো সার্ভিস সিলেট হতে হবে। এত করে অ্যাকাউন্ট প্রফেশনাল লুক প্রদান করে। ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য আপনি পেইড প্রমোশন ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে বুস্ট করে নিতে হবে। এর বড় সুবিধা হচ্ছে টার্গেটেড ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানো যায়।
সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্লগের মাধ্যমে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থাকা অত্যন্ত জরুরী। এতে ভালো মানের কনটেন্ট দিয়ে এসইও করার পর সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে যুক্ত করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। যদি আপনার সার্ভিস রিলেটেড কোন কিওয়ার্ড গুগলে রেংক করে তাহলে খুব কম সময়ে সফলতা পাওয়া যায়। তবে এজন্য প্রথম দিকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হয়। কারন মানুষ কোন ভালো প্রডাক্ট বা সার্ভিস পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করে থাকে। নিজস্ব একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকলে ক্রেতারা তা দেখে আকৃষ্ট হয় এবং ভালো দৃষ্টিতে দেখে। তবে প্রফেশনাল লুক প্রদান করতে হবে।
এই দুই মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে আরও পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো নিয়ে পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করা হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন যেখান থেকে-
সবচেয়ে ভালো হয় ইউটিউব থেকে শিখলে। কারণ এখানে প্রফেশনাল অনেক ডিজিটাল মার্কেট ররা তাদের স্কিল শেয়ার করে থাকেন। আর ইউটিউবে হাজার হাজার এরকম ভিডিও পাওয়া যায়। যার ফলে আপনি একাধিক ভিডিও থেকে শিখতে পারবেন। আর সবচেয়ে সুবিধা বিষয় হচ্ছে যে ইউটিউব সম্পূর্ণ ফ্রি।
বিভিন্ন ব্লগ থেকে শিখতে পারবেন। বাংলাদেশে এমন অনেক ওয়েব সাইট আছে যেখানে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নিয়মিত পোস্ট করা হয়।
আর চাইলে যেকোন আইটি সেন্টার থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। এটি সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ হাতে-কলমে শেখানো হয় এবং নিজের প্রশ্নগুলোর উত্তর তাদের থেকে সরাসরি জানা যায়। আর তারা বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট প্রমোশন নিয়েও শিখিয়ে দিয়ে থাকে।
You must be logged in to post a comment.