আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি এক নতুন ধরণের আলোচনা নিয়ে। এই বিষয়ে জানাবো কি করে খুব সহজে 50000 চটাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্নটা উঁকি মারছে যে কি করে তা সম্ভব? না সংশয়ের কিছু নাই। বিষয়টা সম্পূর্ণ পড়লে সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।
হ্যাঁ আজ আপনাদের সেই বিষয়টি জানাবো। আপনি যদি বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে আশে পাশে থেকে বাড়তি রোজগার করার চিন্তা ভাবনা করছেন।
তবে ঠিক ধরেছেন আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। আজকের আপনাদের যে বিজনেস আইডিয়া দিয়ে দেব এর মধ্যে আপনি মিনিমাম 50000 হাজার টাকা অবশ্যই মাসিক ইনকাম করতে পারবেন দুর্দান্ত এই সুযোগ নিয়ে এসেছে ভারতের সর্ব বৃহৎ রাস্ট্রায়ত্ব STATB BSNK OF INDIA. এই ব্যঙ্কের ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এত টাকা আপনি অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন।
SBI ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য শর্ত :-
এইটা নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে । নীচে সেগুলো বলা হলো। 1. আপনার নিজস্ব বা ভাড়ায় নেওয়া জায়গা থাকতে হবে।
2. এটিএম পরিসেবা যেখানে দেওয়া হবে তার থেকে মিনিমাম 100 মিটার বিস্তৃত জায়গা থাকতে হবে।
3. এই স্পেস গ্রাউন্ড ফ্লোরে এবং ভাল ভিজিবিলিটি জায়গা হলে বেটার হবে।
4. 24 ঘন্টা ইলেকট্রিক পাওয়ার সাপ্লাই থাকতে হবে এবং 100 KW বিদ্যুতের কানেকশন লাগবে।
5. এই ATM থেকে আপাততঃ 200 বেশি ট্রানজাকশন থাকতে হবে।
6.ATM যেখানে বসানো হবে সেখানে কংক্রিটের ছাদ অবশ্যই থাকতে হবে।
7. ভি স্যাট ইনস্টল করার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি সব ঠিকঠাক থাকলে আপনি শুরু করতে পারেন এই স্বপ্নের ব্যবসা।
ATM ফ্র্যাঞ্চাইজির অনলাইন আবেদন কিভাবে করবেন!
সাধারনত: ATMলাগানোর দায়িত্ব ব্যাঙ্কের তরফে অন্য সংস্থাকে দেওয়া হয়ে থাকে।বেশ কিছু সংস্থাকে ATM লাগানোর কনট্রাক্ট দিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক।
এখন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে গিয়ে অনলাইন আবেদন করতে হবে। দেশের বেশিরভাগ ATM লাগানোর কনট্রাক্ট দেওয়া হয় গুটিকতক সংস্থাকে যেমন:---
1. Indicash.
2. Indian one atm.
3. Muthoot.
4. Hitachi.
এই সব স্র্সথাকে এটিএম বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এইসব ওয়েবসাইট ক্লীক করে অনলাইন আবেদনের মধ্যে আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজি পেতে পারেন।
SBI ATM ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন:-
বন্ধুরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানলেন কোথায় কিভাবে আবেদন করবেন। এখন আপনাদের জানাবো এই আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে।
ডকুমেন্ট কি কি:-
1. আইডি প্রুফ:- আধার কাডা,প্যান কার্ড ও ভৌটার কার্ড।
2. এড্রেস প্রুফ:- রেশনকার্ড ও ইলেকট্রিসিটি বিল।
3. ব্যাংক অ্যাউন্ট ও পাশবুক।
4. ফটোগ্রাফ,ইমেল আইডি,আর একটি ফোন নম্বর।
5.জি এসটি নম্বর।
6. ফাইন্যানসিয়াল ডকুমেন্টস।
এইসব ডকুমেন্টস সাবমিট করে আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেধন সুসম্পন্ন করতে পারেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়ার জন্য কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে:-
আমরা জানি SBI দেশের একটি বিশ্বস্থ ব্যাংক পরিসেবক। এক্ষণে উপরে উল্লেখিত সংস্থা গুলির সাইটে গিঋএ ক্লীক করে আবেদন করতে হবে এবং ফোন কলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সব কিছূ ঠিকঠাক থাকলে আবেদন মঞ্জুর হয়ে যাবে। তখন আপনার সঙ্গে ওরা যোগাযগ করবে।
তারপর 20000 দুই লক্ষ দিয়ে আপনাকে ওখানে জমা করে দেবে। এছাড়াও আরোও তিনলক্ষ টাকা আপনাকে মজুত রাখতে হবে মূলধন ।হিসাবে এই নিয়ে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে।
ATM ফ্রাঞ্চাইজি থেকে কত পরিমিন টাকা ইনকাম করা যায়:-
এটিএম ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রত্যেকটি নগদ লেনদেনের জন্য ক্ষেত্রে 8 (আট)টাকা কমিশন হিসাবে দেয়।আর নন ক্যাশ ট্রানজেকশনের জন্য দেবে 2 (দুই)টাকা কমিশন।
প্রতিদিন যদি 150 টি নগদ ট্রানজেকশন ও 50 নন ক্যাশ ট্রানজেকশন হয় তবে প্রতিদিন ইনকাম হবে 1700 টাকা। তবে মাসিক ইনকাম হবে 51000/-টাকা। অর্থাৎ প্রতিমাসে 50000 টাকার বেশি ইনকাম হবে।
শেষকথা :-
তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন কিভাবে SBI ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি অনলাইনে আবেদন করে পাওয়ার পর তা ব্যবহার করে মাসিক 50000/- এর বেশি টাকা সহজে ইনকাম করা যায়।
যাদের আপাততঃ একটু সামর্থ রয়েছে তারা এটা ব্যবহার করে প্রচূর ইনকাম করতে পারবেন। বন্ধুরা আবার আসবো আপনাদের সামনে এমনি সব নতুন নতুন ইনকামের বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.