2021 সালে অনলাইন ইনকাম এর জনপ্রিয় উপায় সমূহ

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। সম্মানিত দর্শক শ্রোতা গ্রহণ আজকে আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম কিভাবে করা যায় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আর্টিকেল শুরুতেই বলবো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।

সূচনা: বর্তমান যুগ হল ইন্টারনেটের যুগ। কেউই আর নেট ছাড়া বা অনলাইন ছাড়া চলতে পারে না। যদিও চলে খুব কমই লোক রয়েছে তবে বেশির ভাগই ইন্টারনেট অথবা অনলাইন মুখি। যে কোন কাজে আমরা এখন খুব সহজেই অনলাইন থেকে করতে পারি।

  • আমরা চাইলে অনলাইন থেকে ইনকাম এখন করতে পারি। যদিও অনলাইন থেকে ইনকাম এখন আর নতুন নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন দশ বছর আগে অনলাইন থেকে ইনকাম কেমন ছিল? আর এখন বর্তমানে অনলাইন থেকে কেমন ইনকাম করা যায়? 10 বছর আগে অনলাইন থেকে ইনকাম করাটা অনেক পরিশ্রমের হত।
  • কিন্তু বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করাটা খুবই সহজ। এমনকি যে কেউ এ অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে। তাই আজ আমরা এ আর্টিকেল থেকে শিখব অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে। অনলাইন থেকে ইনকাম করার নানা রকম ও অনেক মাধ্যম রয়েছে।
  • তবে তার মধ্যে আমরা জনপ্রিয় ও সহজ উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে, আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ব্লগিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম?

ব্লগিং করে আয়: আপনারা চাইলে অনলাইন থেকে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং অনেক পুরাতন হলেও অনেকটা পপুলার একটা মাধ্যম। বর্তমানে আপনি চাইলে ফ্রিতে একটা ব্লগ সাইট খুলতে পারবেন।

ব্লগস্পর্ট থেকে আপনারা খুব সহজেই একটা ফ্রিতে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। তারপর আপনি সুন্দরভাবে ওয়েবসাইটটি সাজিয়ে নিজের মন মত আর্টিকেল লিখতে পারেন। যে আর্টিকেল গুলোতে এমন কিছু তথ্য থাকবে সে তথ্যগুলো জানতে চায় অনেকে।

  • অনেক মানুষ আছে যারা ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে নানারকম তথ্য জানতে চাই। আপনি যে আমার লেখাটা পড়ছেন এটা কিন্তু একটি ব্লগ। আপনি চাইলে আপনার নিজের মত একটা ফ্রিতে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
  • বিশ্বের প্রায় হাজার হাজার ব্লগিং ওয়েবসাইট রয়েছে। এবং এই ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে তারা হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারে। এমনকি বাংলাদেশেও অনেক পপুলার ব্লগিং ওয়েবসাইট রয়েছে যাদের ইনকাম প্রতি মাসে সর্বনিম্ন চল্লিশ পঞ্চাশ লক্ষ।
  • যদি আপনার ব্লগিং শুরু করতে একটু পরিশ্রম করতে হবে। এবং ধৈর্য ধরে মন দিয়ে কাজ করতে হবে। তবে পরবর্তীতে আপনি কিন্তু খুব সহজেই কম সময়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার সবসময় লক্ষ্য থাকতে হবে যে, আমি এই ব্লগ থেকে অন্যদের হেল্প করছি।
  • ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে শুধু ইনকামের কথা ভাবলেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। ইনকাম করার জন্য আপনার মধ্যে থাকতে হবে ধৈর্য, ডেডিকেশন, সহ্য, অন্যদের ভালোবাসা, নিজের ইচ্ছেশক্তি থাকলেই আপনি খুব সহজেই ব্লগিং শুরু করে আয় করতে পারেন।
  • সকল কাজেই নিজের ধৈর্য, নিজের ইচ্ছাশক্তি, সহ্য এগুলো প্রয়োজন হয়। মনে রাখবেন কোন কাজই পরিশ্রম ছাড়া নিজের ডেডিকেশন ছাড়া নিজের ইচ্ছা শক্তি ছাড়া সম্ভব নয়। সৎ ভাবে কাজ করতে সবাই পছন্দ করে। তাই পরিশেষে আপনারা চাইলে ব্লগিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সার অনলাইন থেকে ইনকাম?


ফ্রিল্যান্সিং করে আয়: অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে ইনকাম করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম। আজ ফ্রিল্যান্সিং-এর জন্য বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। আপনারা হয়তো জেনে খুশি হবেন যে, বিশ্বের ভিতরে বাংলাদেশকে কেউ চিনত না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশকে চিনে না এমন কোন দেশ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

  • শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিংয়ের কারণেই আজ বাংলাদেশকে অনেক দেশ খুব সহজেই চেনে। এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর ভূমিকা অন্যতম। তাই আপনারা চাইলে অনলাইন থেকে, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা যায় অনলাইন থেকে।
  • বাংলাদেশের শত শত লোক বললে ভুল হবে,হাজার হাজার লোক ফ্রিল্যান্সিং নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং করে তারা এত পরিমাণে ইনকাম করতে পারে। যে তাদের অন্য জব করা লাগে না। তাহলে তো বুঝতেই পারছেন ফ্রিল্যান্সিং করে কতটা পরিমাণে আয় করা যায় অনলাইন থেকে।
  • গুগলে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আয় করার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। তারমধ্যে freelancer.com, upwork.com, fiber.com ওয়েবসাইট গুলো অন্যতম ও অনেক জনপ্রিয়। আপনারা যদি চান তাহলে এই ওয়েবসাইটগুলোতে নিঃসন্দেহে কাজ করতে পারেন।

তবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার ভিতর কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ।

যেমন:

  1. গ্রাফিক্স ডিজাইন
  2.  ফটো এডিটিং।
  3. ওয়েব ডিজাইনিং।
  4. ওয়েব সাইট মেকিং।
  5. কপি রাইটিং ।
  6. কন্টেন্ট রাইটিং।
  7. লোগো ডিজাইন ।

উপরের যে কোন ক্যাটাগরির অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই 18 বছর হতে হবে। আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট সেই বিষয়গুলো ওয়েবসাইটে তুলে ধরবেন।

এবং আপনার একটি অভিজ্ঞতা ওয়েবসাইটে শেয়ার করে রাখলেই দেখবেন যে, অনেক ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আসবে। এবং আপনার কাছ থেকে নানারকম কাজ তারা করিয়ে নেবে। এবং কমিশন হিসেবে আপনার একাউন্টে ডলার যোগ হবে।

আপনি যদি ফিল্যান্সিং ধৈর্য এবং সহ্য ও নিজের ইচ্ছা শক্তি দিয়ে শুরু করতে পারেন। তাহলে দেখবেন একদিন আপনার পরিশ্রম এর ফলাফল প্রকাশ পাবে। সকল কাজেই যেহেতু পরিশ্রম এবং ধৈর্যের প্রয়োজন সেহেতু আপনার ভেতরে ও পরিশ্রম ও ধৈর্যের প্রয়োজন। পরিশ্রম এবং ধৈর্য যদি আপনার ভিতরে থাকে তাহলে আপনি যেকোন ভাবেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

  • বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সিং এর সংখ্যা বেড়েই চলছে। আপনিও যদি তাদের মধ্যে স্থান রাখতে চান তাহলে এখনি শুরু করে দিন ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে থাকুন, যদি না পারেন তাহলে আবার চেষ্টা করুন। দেখবেন যে চেষ্টা করতে করতে আপনি তেরে যাবেন।
  • এমনও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা  রয়েছে যাদের মাসিক ইনকাম লাখ টাকার উপরে। তারা ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেদের ক্যারিয়ার চালায়। এমনকি তাদের ফ্রিল্যান্সিং করে অন্য কোনো এক্সট্রা জব করতে হয়না। এমনকি ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের সংসার অথবা ক্যারিয়ার চালাতে কোন সমস্যা হয় না।
  • আপনারাও চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার সামলাতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার ভিতরে শুরুটা ধৈর্যের হতে হবে এবং পরিশ্রমের হতে হবে। এমনকি শেষ পর্যন্ত আপনাকে পরিশ্রমই ও ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে অনলাইনে ইনকাম?

ইউটিউব থেকে ইনকাম: আমাদের যেকোনো প্রয়োজনীয় ভিডিও আমরা ইউটিউবে পেয়ে থাকি। ইউটিউবে হাজারো রকমের ভিডিও রয়েছে। আপনি কি জানেন এই ভিডিও কোথা থেকে আসে? আপনার আমার মত মানুষই এই ধরনের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে।

  • এমনকি তাদের আপলোড করার কারণের অন্যতম কারণ হলো ইউটিউব থেকে তারা ইনকাম করতে পারে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা যায়। যদিও এই বিষয়টা বর্তমান সময়ে জানে না অনেক কম লোকই রয়েছে।
  • ইউটিউব থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করছে হাজারো হাজারো মানুষ বাংলাদেশি। হাজার এর কথা বললে কম হয়ে যাবে প্রায় লক্ষ লক্ষ এর বেশি মানুষ শুধু বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবে ইনকাম করছে। এমনও বাংলাদেশী ইউটিউবার রয়েছে যাদের মাসিক ইনকাম সর্বনিম্ন 20 হাজার ডলার থেকে 50 হাজার ডলার।
  • বিষয়টা সত্যি। ইউটিউব থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা এরও বেশি ইনকাম করা যায়। তাই আপনি যদি চান তাহলে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন অনলাইনে। অনলাইনে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার ভিতর থাকতে হবে ডেডিকেশন, নিজের ইচ্ছেশক্তি, নতুনত্ব, পরিশ্রমই, সহ্য, ধৈর্য ইত্যাদি।
  • এগুলো যদি আপনার ভিতরে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। আপনি সরাসরি ইউটিউব এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জিমেইল এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন।
  •  তারপর ইউটিউব থেকে একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করে সেখানে ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম অনেক পরিশ্রম করতে হবে।

ইউটিউবে ইনকাম শুরু যেভাবে: আপনি যদি ইউটিউবিং করে ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে 12 মাসের ভিতরে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইব প্রয়োজন। 12 মাসের ভিতরে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইব হলে আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে পারবেন।

1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অনুমোদন দেওয়ার অপশন চালু হয়ে যাবে। আপনি চাইলে আপনার চ্যানেল টি রিভিউ করার মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন। তবে অবশ্যই ইউটিউব এ কাজ করতে হলে তাদের নিয়ম মানতে হবে।

হ্যাঁ ইউটিউব এর নানা রকম নিয়ম নীতি ও গাইড লাইন রয়েছে।ইউটিউব এর নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন না মেনে কাজ করলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।তাই অবশ্যই কাজ শুরু করার আগে তাদের নিয়ম-নীতিগুলো মেনে কাজ শুরু করবেন।

  • আপনি হয়তো ভাবতে পারেন ভিডিও কপি বা ডাউনলোড করে আপনার চ্যানেলে আপলোড করলেই হবে।এ ধারণা যদি আপনার মনে থাকে তাহলে এ ধরনের এখনই ডিলিট করে দিন। আমি আগেই বলেছি তাদের নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করতে হবে ইউটিউব এ। তাদের নিয়মের মধ্যে ভিডিও কপি করে অথবা অন্যের ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করা যাবেনা এটা অন্যতম একটা নিয়ম।
  • আপনার সম্পূর্ণ ভিডিওটি সম্পূর্ন নিজে তৈরি করবেন। যদিও প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে। তবে পরবর্তীতে এর ফলাফল অবশ্যই ভাল পাবেন আশা করি। যদি আপনি তাদের নিয়ম কানুন মেনে সম্পূর্ণ কাজগুলো করেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন ইউটিউব থেকে।
  • আর আপনি কখনোই অন্যের ভিডিও বা অন্যের কন্টেন নিজে ব্যবহার করার চিন্তা করবেন না। বর্তমান সময়ে এর কঠোরতা অনেক বেশি ইউটিউবে। আর আপনারা তো জানেনই প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান তাদের পরিবর্তন নিয়ে আসে। এমনকি ইউটিউব নিজেও নানারকম কঠোরতা বর্তমানে আপডেট করেছে।
  • সর্বোপরি আপনারা যদি ইউটিউব থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের নিয়মকানুন মেনে কাজ শুরু করুন। কখনোই অন্যের কন্টেন নিয়ে ভাববেন না। সম্পূর্ণ কাজগুলো নিজে করার চেষ্টা করুন। না পারলে আবার চেষ্টা করতে থাকুন দেখবেন ফলাফল অবশ্যই ভাল পাবেন। তাই আপনি করতে চাইলে ইউটিউবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইনে ফেসবুক থেকে আয়?

ফেসবুক থেকে ইনকাম: ফেসবুক হল সারা বিশ্বের অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম যোগাযোগের জন্য। আপনিও হয়তো ফেসবুক ব্যবহার করছেন? কি তাইনা! ফেসবুক এমন একটা প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রাখা সম্ভব। এমনকি ফেসবুক থেকে সারাবিশ্বের খোঁজখবর নিয়ে রাখাও অসম্ভবের কিছু নয়।

  • কিন্তু আপনি কি জানেন? ফেসবুক থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় রয়েছে নানা রকম। যেমন আপনি একটি ফেসবুকে পেজ তৈরী করলেন। এবং আপনি যদি চান তাহলে এই পেজের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন। হ্যাঁ এটা সম্পূর্ণ সত্যি।
  • ফেসবুক পেজ তৈরি করার পর আপনাকে এই পেজে নানারকম ভিডিও ছাড়তে হবে। যে ভিডিও গুলো অন্যের প্রয়োজন দেখতে চাই।আপনি চাইলে ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আমরা আগেই জেনেছি যে ইউটিউব থেকেও ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। তবে ফেসবুক এবং ইউটিউব এর ভিডিও আপলোডের মাধ্যম সহ প্রায় সবকিছুই অন্যরকম।
  • তবে সবকিছু নয় কিছু কিছু মিল রয়েছে এবং খুব কম অমিল রয়েছে। ফেসবুক পেজ তৈরি করে ভিডিও আপলোড শুরু করে দিন। যখন আপনার ভিডিও মানুষ বেশি দেখতে চাইবে। এবং আপনার পেজে ফলো করবে তখন আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
  • ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম শুরু করবেন: আপনার ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করার পর যখন গত দুই মাসের ভিতরে 10 হাজার ফলোয়ার এবং 30 হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে তখন। মনে রাখবেন 10 হাজার ফলোয়ার এবং 30 হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম অবশ্যই দুই মাসের ভিতর হতে হবে।
  • এই শর্তগুলো পূরণ করে আপনি তাদের কাছ থেকে অনুমোদন এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। তবে ইউটিউব এর মত ফেসবুকেও ইনকাম করার জন্য নানারকম গাইডলাইন রয়েছে।আপনি যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের নিয়মিত গাইডলাইন মেনে কাজ করবেন।
  • সর্বোপরি যেহেতু আপনি বুঝতে পেরেছেন ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম সম্ভব। যেহেতু আপনি ফেসবুকে ইনকাম করতে পারেন। তবে আপনি একটি মাধ্যমে নয় চাইলে ফেসবুক থেকে আরো অন্যান্য মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। যাই হোক ফেসবুক থেকে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব অবশ্যই।

অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম?

ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম: আমরা নানা প্রয়োজনে গুগোল সার্চ করি। যে কোন কিছু সার্চ করলে গুগোল আমাদের সামনে নানা রকম ওয়েবসাইট দেখায়। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী গুগোল নানা ধরনের ওয়েবসাইট আপনার সামনে দেয়। এবং আপনি যে ওয়েবসাইটে যাবেন সেই সাইটে দেখবেন অনেক ধরনের কিছু রয়েছে।

  • হয়তো ওয়েবসাইটে ইংলিশে নানা ধরনের সেন্টেন্স লেখা রয়েছে। বা ভিডিও অথবা কোন কিছু শেখানো কোনকিছু জানান এ ধরনের কিছু ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। আপনি কি জানেন?এই ওয়েবসাইট থেকে তারা এই কাজগুলো আপনার সামনে উপস্থাপন করে ইনকাম করছে।
  • অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম অন্যতম। যে কেউই এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে চান তাহলে পারবেন। তাছাড়া বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ন ফ্রীতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
  • আপনি চাইলে সর্বপ্রথম ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারবেন। তারপর যদি আপনার মনে হয় আমি এখান থেকে সত্যি ইনকাম করতে পারব। তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে ডোমেইন এবং হোস্টিং এগুলো কিনে বা ওয়েবসাইটে কিছু ইনভেস্ট করে। ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।
  • বাংলাদেশের অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায় প্রতিমাসে। এমনও ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে প্রতিমাসে আপনি 10 লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। একবার যদি ইনকাম শুরু হয়ে যায় তাহলে কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
  • ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে অনেক বেশি। তারপর আস্তে আস্তে দেখবেন কোন কষ্ট ছাড়াই আপনার ইনকাম হচ্ছে অনলাইন থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। যদি আপনি প্রথমবার না পারেন তাহলে আবার চেষ্টা করুন এবং লেগে থাকুন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনি ওয়েবসাইটে ইনকাম করতে চাইবেন।
  • যদি আপনি অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্য যেখান থেকে ইনকাম করবেন তাদেরও নিয়মগুলো মেনে কাজ করবেন। সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কতটা তাদের নিয়ম মেনে কাজ করছেন এবং আপনার পরিশ্রম ইনকাম করার জন্য। সর্বোপরি আমি বোঝাতে পেরেছি যে ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন আশা করি!

শেষ কথা

সর্বোপরি বন্ধুরা আশাকরি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। সম্পূর্ণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আর্টিকেলটি। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা একটু হলেও উপকৃত হতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আর আজকের আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আশা করি! আজকের মত আর্টিকেল এখানে শেষ করছি । সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু!

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

অনলাইনে লেখালেখি করতে ভালোবাসি। অনলাইনে কিছু শিখতে ও জানতে ও জানাতে আরো বেশি ভালোবাসি।