Peopleperhour.com কিভাবে কাজ করবেন? কিভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?

বর্তমান অনলাইনে ইনকাম করার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এখন সময়ের পরিবর্তনে আমরা এমন একটি যুগে চলে এসছি যে এখানে অনলাইন ছাড়া নিজেকে কল্পনাই করা যায় না। প্রযুক্তি বিশেষ ভাবে এগিয়ে যাওয়াতে এই অনলাইনে পুরো বিশ্ব ব্যবস্থায় এখন এক জায়গা দখল করে আছে। আর এই অনলাইনকে প্রয়োজন মতন কাজে লাগানোর এক বিশেষ যন্ত্র হল কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ও স্মার্ট মোবাইল ফোন। আর এখন এই আধুনিক যুগে আমাদেরকে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এসবের ব্যবহার তো অবশ্যই জানতে হবে। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

প্রযুক্তির এক বিশেষ অবদান হচ্ছে কম্পিউটার যার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব আজ পরিচালিত হচ্ছে। এটির কাজ সম্পর্কে বলে সাধারনত শেষ করা যাবে না। তবে সমস্ত কাজের মধ্যে এখন বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইনে কাজ করে উপার্জন করা। অনলাইনে জগতে সাধারনত অনেক সাইট ও অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি আপার সাধ্য মতন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার অনেক প্রকার কাজ রয়েছে যা আপনি আপনার হাতে থাকা ভালো মানের একটি স্মার্টফোনটির মাধ্যমে করতে পারেন তাতে কোন অসুবিধায় পড়ার কথা নয়। 

এখন এই অনলাইনে সাইটে ইনকাম করাকে আমরা সাধারনত আউটসোসিং বা ফ্রিল্যান্সিং বলে থাকি। এই পেশা গুলোকে বেছে নিয়ে অনেকেরই জীবনে অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে। আমরা অনেকে এই কাজ গুলো করার মাধ্যমে নিজেকে বদলিয়ে ফেলা মানুষদের সংখ্যা এখন বেশি ভাগই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আরার আজ কাল এটাও শুনছি এই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোসিং করে অনেকে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা উপার্জন করে যাচ্ছে।  

তাই আপনি যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকেও ধৈর্য ধরে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। এই সাইটগুলোতে কাজ করা সাধারনত এমন নয় যে আপনি রাতারাতি কাজ করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা উপার্জন করতে পারবেন, যদি আপনি তাই ভাবেন তাহলে পুরোপুরি ভূল করবেন। তাই আপনাকে আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। ভালো মতন কাজ করতে পারলে এবং বায়ারদের মন জয় করতে পারলে অবশ্যই ইনকাম করতে পারবেন। 

আর এই জনপ্রিয় সাইটগুলোতে যদি আপনি কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোসিং সম্পর্কে পরিপুর্ণ ধারণা থাকতে হবে এবং তারপর আপনি এই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করার চিন্তা করার কথা চিন্তা করতে পারেন। এইসব জনপ্রিয় সাইট গুলোর মধ্যে অনত্যম একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে পিপল পার আওয়ার। 

এটি একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস সাইট, এটির মাধ্যমে আপনি অসংখ্যা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন। এটি তে আপনি যতো খুশি তত কাজ করতে আপনি ভালো মতন কাজ করতে পারলে অবশ্যই এটি থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি চান তাহলে এটির নাম গুগলে সার্চ অপশন যেয়ে পিপল পার আওয়ার লিখে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন নয়তো আপনি এই এড্রেসে যেতে পারেন https://www.peopleperhour.com/ । 

আমরা অনেকেই আছি যারা এই সাইটটিকে এখনও চিনি না বা এই সাইট টিতে এক্যাউন্ট খোলার পরও কোন কাজ পাই না এছাড়াও আরও অনেক সমস্যা থাকে। তাই আজকে এই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। নিচে এর বিস্তারিত আলোচনা করা হল: 

পিপল পার আওয়ার কি: 

বর্তমানে যত ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে তার মধ্যে পিপল পার আওয়ার ও একটি জনপ্রিয় ভালো মানসম্মত ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এটি সাধারনত যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনলাইন মার্কেট প্লেস। বিশ্বে প্রায় যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো যেভাবে ভিন্ন কাজ বা আউটসোর্স বা ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে তাদের মতই এটি একটি মার্কেটপ্লেস। 

এখানে সাধারন যিনি কাজ দিয়ে থাকেন, তাকে বায়ার হিসাবে তিনি জব পোস্ট করে থাকেন, আবার যিনি কারিগর অর্থাৎ কাজটি আউটসোর্স ভাবে করে দিবেন তিনি ও পারেন সেলার হিসাবে তার দক্ষতা বিক্রি করতে। একই সাথে একজন কাজ কিনতে পারবেন আবার তা বিক্রির জন্য প্রদর্শন করতে পারবেন। এখানে সাধারনত হাজার হাজার বায়ার বা ক্লায়েন্টস তাদের পছন্দই সই ভাবে কাজ বেছে নিতে পারবেন। 

তবে এর উদ্দেশ্য সামান্য কিছু ব্যাতিক্রম হতে পারে, এখানকার মূল কথা হল, দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং হাইরেট। অর্থৎ দক্ষ মার্কেটপ্লেসটি মূলত দক্ষ প্রফেশনারদের জন্য, তাই এখানে তাদের কাজের রেট অন্যান্য মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে।

এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রায় ক্যাটাগরির কাজই লক্ষ্য করা যায়। এখানে প্রায় প্রতিদিনই পোস্ট হয় হাজার হাজার জব এবং এখানে রয়েছে অফুরন্ত কাজের সুযোগ, যা আপনি বায়ারকে ভালো মতন করে দিতে পারলে আপনি খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

পিপল পার আওয়ারে যেসব কাজ পাওয়া যায়: 

• লেগো ও  ওয়েবপেজ ডিজাইন।

• ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলাপমেন্ট। 

• সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন। 

• রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন। 

• সেলস এন্ড মার্কেটিং। 

• সোস্যাল মিডিয়া। 

• বিজনেস সাপোর্ট। 

• সফটওয়্যার ডেভলাপমেন্ট। 

• ভিডিও এডিটিং। 

• ডেটা এন্ট্রি। 

• কপিরাইটিং। 

• পোগ্রামিং। 

• অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট ইত্যাদি। 

পিপল পার আওয়ারে কাজের ধরন: 

এটি সাধারনত একটি জনপ্রিয় ডুয়াল মার্কেটপ্লেস। এখানি আপনি ভালো মতন সার্ভিস সেল করতে পারবেন এবং জবে বিড করে কাজ নিজেও করা যায়। এই মার্কেটপ্লেস জনপ্রিয় হল নিজের সার্ভিস নিজে সেল করা। নিজে সার্ভিস নিজে করার জন্য যে সেক্টরে কাজ যানা আছে ওই সেক্টরের উপর স্কিল প্রকাশ করে তা পোস্ট করা।

পোস্টের মধ্যে যে বিষয়টা এক্সপার্ট এবং যে সার্ভিসটা দিতে আগ্রহী ওই সার্ভিসটা নিতে হলে বায়ারকে কত ডলার দিতে হবে তা উল্ল্যেখ করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি চান তাহলে আপনি এখানে ঘন্টা হিসাবে কাজ করতে পারবেন। এই আওয়ার্লি হচ্ছে মিনিপ্যাক কাজের অফার যা ১ থেকে ৫ দিনেই বায়ারকে করে দেয়া যায়।

মিনিপ্যাক আওয়ার্লি কাজের সম্পাদনা খুব কম সময়ে তাই বায়ররা এসব আওয়ার্লি কিনতে আগ্রহী থাকে তুলনামূলক ভাবে বেশি। এই আওয়ার্লি কাজের সময় পরিমাপ করার জন্য আলাদা কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয় না ফলে এটি করাতে কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয় না। সরাসরি আপনি কাজ শেষ করে নিজেই কাজের হিসাব উল্ল্যেখ করে দেওয়া যায় ক্লায়েন্টের কাছে এবং আপনি যত ঘন্টা কাজ করলেন তার পেমেন্ট হিসাব করে দিয়ে দিবে। 

পিপল পার আওয়ারের অ্যাকাউন্ট তৈরী: 

আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সার্ভিস সেল করতে চান তাহলেই ভালো মতন কাজ করা যাবে এবং আপনাকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এক্ষেত্রে হোম পেজে কোনো সাইন আপ অপশন না থাকায় মেনুব্যারে যেকোনো একটিতে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনার ক্লিক করার পর সাইনআপ বাটুন সহ আর একটি মেনুব্যার আসবে আর এই সাইন বাটুনে ক্লিক করলে নতুন ইউজারদের জন্য একটি সাইন আপ পেইজ আসবে, যেখানে মৌলিক কিছু ইনফারমেশন প্রদান করে অ্যাকাউন্ট অপেন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিচে কিছু পদ্ধতি উল্ল্যেখ করা হল: 

১. ফেইসবুক প্রোফাইল দিয়ে সাইনআপ: যাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট আছে এবং তারা যদি চেয়ে থাকেন আপনি ফেইসবুক প্রোফাইল দিয়ে এই পিপল পার আওয়ারে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলবেন তারা খুব সহজেউ  এখান থেকে আপনি খুলে নিতে পারবেন। 

২. লিংকড ইন প্রোফাইল দিয়ে সাইন আপ: লিংকড ইন প্রোফাইল ধারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট থাকা কালীন তারা সেই অ্যাকাউন্ট দিয়ে এখানে সাইন আপ করতে পারবেন। তাদের কোন অসুবিধায় পড়তে হবে না। 

৩. ইমেইল ব্যবহার করে সাইন আপ করতে পারবেন: আপনি যদি চান যে আপনি সরাসরি ইমেইলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলবেন তাহলে আপনি সেটি করতে পারবেন খুব সহজেই। তবে আপনাকে অবশ্যই ইমেইলের অ্যাকাউন্ট থাকেতে হবে এবং আপনি যেই ইমেইল আইডি টা সবসময় ব্যবহার করেন আপনাকে সেটি এখানে ব্যবহার করতে হবে। আর সেটি করতে আপনার কিছু করণীয় থাকবে তা আমরা নিচে ধাপে ধাপে উল্ল্যেখ করলাম: 

ক. নাম: এক্ষেত্রে নামের প্রথমাংশ First Name ফিল্ডে এবং শেষাংশে  Last Name ফিল্ডে ইনপুট করতে হবে। কিন্তু আপনি যেই নামটি এখানি ব্যবহার করবেন সেটি কিন্তু অবশ্যই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে ব্যবহার করবেন। যেটি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে দেওয়া আছে সেটি ব্যবহার করবেন নয়ত আর্থিক লেনদেন করতে সমস্যায় পড়তে পারেন। 

খ. ইমেইল এড্রেস: আপনি আপনার সবসময় ব্যবহার করা ইমেইল আইডি টি দিবেন এবং সেটি যেন পুরোপুরি বৈধ হয়ে থাকে। কেননা, আপনাকে আপনার কাজের বিবরণ সহ বেশ কিছু ব্যাপার বায়াররা আপনার সাথে মেইলের মাধ্যমে কথা বলবে। 

গ. পাসওয়ার্ড: একটি শক্ত ভালো মানের পাসওয়ার্ড দিবেন এবার্। এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন যেটি আপনার সবসময়ের জন্য মনে থাকে। 

ঘ. লোকেশন: এই ফিল্ডে আপনি আপনার অবস্থান, কর্মস্থল সহ যাবতীয় কিছুর লোকেশন দিবেন। আপনাকে অবশ্যই সঠিক City এবং Country ব্যবহার করতে হবে। 

ঙ. অ্যাকাউন্ট টাইপ: সবশেষে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট ধরন সিলেক্ট করে দিবেন। এখানি আপনি তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট টাইপ লক্ষ্য করবেন তা হল: 

বায়ার- যারা কোন প্রকার সার্ভিস কিনতে আগ্রহী বা কিনতে চান তারা এই অ্যাকাউন্টে টাইপ নির্বাচন করবেন। 

সেলার- সার্ভিস সেল করার বিষয়ে আপনারা যারা একমত তারা অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সাররা এই অ্যাকাউন্ট টাইপ নির্বাচন করবেন। 

বোথ- এখানে আপনারা সার্ভিস কিনতে ও বিক্রি করতে উভয় করতে আগ্রহী এমন ইউজাররা এই অ্যাকাউন্ট টাইপ নির্বচন করবেন। 

সবশেষে আপনাকে সাইন আপ বাটুন ক্লিক করতে হবে। এর পর লোড হওয়া পেইজটি আপনাকে ইমেইল এড্রেসটি ভেরিফাই করতে বলবে আর এজন্য আমি আবারও বলছি আপনি যেই ইমেইলটি ব্যবহার করে থাকেন আপনি সেটি এখানে ব্যবহার করবেন। আপনার ইমেইলে চলে যাওয়া ভেরিফাইড লিংকটি ক্লিক করে আপনার অ্যাকউন্টটি ভেরিফাইড করতে হবে। 

পিপল পার আওয়ারে কিভাবে প্রোফাইল সাজাবেন: 

এখানে আপনাকে আপনার খোলা অ্যাকাউন্টে প্রোফাইল সাজানোর জন্য কিছু প্রতিক্রিয়া অনুসরন করতে হবে। আপনার অ্যাকাউন্টি ভেরিফাইড করার পর ইউজার আইডির উপরে ক্লিক করলে যে ড্রপ ডাউন মেনু আসবে তাতে Profile Edit অপশন থাকবে। ক্লিক করলে প্রোফাইল কাস্টমাইজেশনের জন্য একটি এডিটেবল পেইজ আসবে সেখানে সেলার হিসাবে আপনাকে নিচে উল্ল্যেখ করা প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ সংরক্ষন করতে হবে। 

১. আপনি সাইন আপের সময় যে নামটি ব্যবহরা করেছেন তা এখান থেকে এডিট করে নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে সেটি পরিবর্তন করার কোন দরকার নেই। 

২. আপনি এখানে কি পেশায় কাজ করবেন তা এখানে উল্ল্যেখ করবেন। আপনার জব টাইটেল হতে পারে যেমন: সফটওয়্যার ডেভলপার, ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, কপিরাইট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি। 

৩. পেশা সংশ্লিষ্ট কোনো কোভার ইমেজ যুক্ত করার জন্য সেটি ড্রাগ করে এই ফিল্ডে রাখলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপলোড হতে থাকবে। অথবা ব্রাউজে ক্লিক করে ম্যানুয়ালি তে আপলোড করা যাবে। 

৪. এখানে আপনাকে আপনার ভালো একটি প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করার জন্য একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। তবে মনে রাখাবেন আপনার প্রোফাইল পিকচারটিকে অবশ্যই জেনুইন হতে হবে। 

৫. আপনি ঘন্টায় কতো ডলার দিয়ে এখানে কাজ করতে আগ্রহী তা এখানে উল্ল্যেখ করতে হবে। 

৬. ফোন ফিল্ডারটিতে ব্যবহার হওয়া একটি নাম্বার যুক্ত করতে হবে। নাম্বারটিতে সাধারনত আপনি বায়ার বা অন্যান্য ইউজারের সাথে শেরায়ড থাকবেন। তবে ইমাজেন্সি কোনো কারন হলে এই নাম্বারটিতে যোগাযোগ করবেন। 

৭. আপনাকে একজন ভালো মানের প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্লায়েন্টের কাছে নিজেকে আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপনের জন্য About You ফিল্ডারটিতে এক্সপারটাইজ এবং অভিঙ্গতার কথা লিখতে হবে। তবে মনে রাখবেন এমন কিছু লিখবেন না যাতে ক্লায়েন্ট তা দেখে আপনার প্রতি আগ্রহ না হয়। তাই খুব ভালোভাবে লেখার চেষ্টা করবেন। 

৮. বায়ারদের কাছে নিজের বিশেষত্ব তুলে ধরতে ২ মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে রাখা যায়। ভিডিওতে নিচের ৪টি প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে হবে। তাহলে বায়রা আপনার প্রতি আগ্রহ প্রর্দশন করতে পারে। নিচে সেগুলো উল্ল্যেখ করা হলো: 

*What did you do in the past that proves in your of the expertise?

* Why have you chosen to our People Per Hour as that the platform in to do work on?

 যদিও প্রোফাইলের এই করণীয়গুলো সাধারনত বায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারে। 

৯. আপনার আগের করা কাজ গুলো Portfolio আকারে সাজিয়ে রেখে তা ব্রাউজ করে আপলোড করে দিবেন। 

১০. আপনাকে তো এখানে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করতে হবে আর ফ্রিল্যান্সাররা যেহুতু ঘরে বসে অর্থাৎ নিজেস্ব ওয়ার্ক প্লেসে থেকেই কাজ করে থাকেন তাই এখানে থাকা Notify Me About সেকশনে Remote Work Only রেডিও বাটন সিলেক্ট করতে হবে। ফলে এই সাইটের পেশার ধরন এবং স্কিল অনুযায়ী এ্যাভেইলাবল বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে অবহিত করবে। তাতে আবেদন করার জন্য আপনি রিমেন্ড করবেন। 

১১. আপনার সবশেষে যেই কাজ টি করতে হবে সেটি হল যাবতীয় তথ্যসমূহ ডাবল চেক দিয়ে Done বাটুনে ক্লিক করবেন। 

আওয়ার্লি করবেন কিভাবে: 

আওয়ার্লি করতে সাধারনত মিনিপ্যাক কাজের অফার যা ১ থেকে ৫ দিনেই বায়ারকে করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কাজই হোক যেমন: ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বিজনেস প্রোপোজাল, সবই আওয়ার্লি আওতায় আপনি অফার করতে পারবেন।

মিনিপ্যাকে এই আওয়ার্লি কাজ সম্পাদন হয় খুব কম সময়ে তাই বায়াররা এসব আওয়ার্লি কিনতে আগ্রহী থাকে তুলনামূলক ভাবে বেশি ৪০% এর উপরে আওয়ার্লি জবের পারমানেন্টে বায়ার খুজে পেতে সাহায্য করে। আওয়ার্লি একটি কাজ সম্পাদনের মানে হচ্ছে পিপল পার আওয়ারের প্রোফাইলের র‌্যান্কিং এ উপরে উঠা। আপনি কিভাবে একটি আওয়ার্লি পোস্ট করবেন তা নিচে উল্ল্যেখ করা হল: 

কিভাবে একটি আওয়ার্লি পোস্ট করবেন: 

পিপল পার আওয়ারে এ মেনুবারে Post Horly মেনুতে ক্লিক করলেই একটি ফরম আসবে যাতে নিমক্ত ফিল্ড গুলো ফিলআপ করলেই আওয়ারলি পোস্ট করা যাবে। 

১. নির্দিষ্ট কাজটি কতো ডলারে করা হবে তা এই ফিল্ডে উল্ল্যেখ করতে হবে। 

২.এই অপশনে কতদিনের মধ্যে আপনি কাজটি ডেলিভারি দিতে পারবেন তা উল্ল্যেখ করবেন ভালো ভাবে। সাধারনত আওয়ার্লির কাজগুলো ১ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিতে হয়। ৫ দিনের বেশি সময়ের যে সব  ডেলিভারিযোগ্য কাজগুলো আওরার্লি বলে বিবেচিত হবে না। 

৩. এখানে আপনি যেটা করতে পারেন সেটি হল এই কাজটি কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে তা এখাানে নির্বাচন করতে পারেন। 

৪. আওয়ারলি পোস্টিং এর অপশনটি আপনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এখানে কোন রকম কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে ক্লায়েন্ট পোস্টটি পেতে পারেন এখানে সেগুলো ট্যাগ আকারে আপনাকে জমা দিয়ে তা পৃথক ভাবে বা আলাদা রাখতে হয়। ট্যাগগুলো টাইপ করার সময় পিপল পার আওয়ারে যেগুলো সাজেস্ট করবে সেগুলো আপনার এখানে বেশ কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়। 

৫. এই ফিল্ডে আপনি আওয়ারলি কাজের সাথে কোন প্রাসঙ্গিক কোনো ইমেজ অথবা কোন ভিডিও এসবই মিল রেখে আপলোড করতে পারবেন অথবা পোর্টফোলিও সাইট থেকে এমবেড করে দেওয়া যাবে।

৬) পোস্টিং এর এই ফিল্ডটিতে আওয়ারলি সম্পর্কে আরেকটু ডিটেইলস বর্ণনা করে দিতে পারেন এতে আপনার সুবিধা হবে। এখানে যাই লেখা হবে তাহা আওয়ারলির সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে তাহলে তা বায়ারের জন্য আকর্ষণীয় হবে।

৭) আওয়ারলি পোস্টিং এর এই ফিল্ডটিও খুবই ইফেক্টিভ, যেখানে বায়ারকে কি কি এডিশনাল সার্ভিস প্রদান করা যাবে এবং যার মাধ্যমে এক্সট্রা আর্ন করা যাবে তা যোগ করা যায় এখানে।

৮) এই অপশনটিতে আপনি আওয়ারলির জন্য ডিসকাউন্ট অফার করতে পারবেন তা ২৪ ঘন্টা অর্ডারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে হবে। 

৯) পরে দৃশ্যমান দুটি রেডিও বাটনের একটি সিলেক্ট করতে হবে। ফ্রিল্যান্সারেরা সাধারণত পারসনাল ওয়ার্কপ্লেস থেকে কাজ করেন বলে রিমোটলি সিলেক্ট করতে হবে।

১০) সবশেষে চেকবক্সটিকে আপনার অবশ্যই সিলেক্ট করে (পিপিএইচ মার্কেটপ্লেস এর টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস মেনে পোস্ট টাকে নিশ্চিত করতে হবে) তারপর আপনি Post Hourly বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পিপল পার আওয়ারে পেমেন্ট মেথুড: 

আপনি যখন একটি কাজ বায়ারকে ভালো মতন করে দিবেন  এবং তা কমপ্লিট হলে তা সাবমিট হয়ে গেলে তারপর পিপল পার আওয়ার থেকে টাকা পে করা হয়। এক্ষেত্রে আপনার কোনো রকম সন্দেহ না রাখলেই চলবে কেননা কাজ সঠিক ভাবে করে দিতে পারলে আপানাকে অবশ্যই আপনের কাজের সমপরিমান আপনাকে প্রদান করা হবে। আমাদের বাংলাদেশ থেকে সাধারনত তিনটি বৈধ উপায়ে টাকা উঠানো যায়। আপনার যদি ব্যাংক অ্যকাউন্ট থাকে তাহলে অনেক ভালো, আপনার টাকাটি উঠাতে সহজ হয়ে যাবে। আপনার যেই অ্যাকাউন্টি থাকবে লোকাল ফ্রান্ড ট্রান্সেফারের মাধ্যমে অথরা পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পিপল পার আওয়ার থেকে আয় করা অর্থ সরাসরি এটিএম বুথের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিন্তে উঠাতে পারবেন। পিপল পার আওয়ার দিয়ে স্কিল কার্ডের মাধ্যমে টাকা উঠাতে পারবেন। 

পিপল পার আওয়ারের ক্ষেত্রে সতর্কতা:

১) কাজের অর্ডার পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দিতে না পারলে এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে। 

২) আপনি যখন মেসেজে বায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তখন আপনি কোনো ধরনের লিঙ্ক, ছবি বা ভিডিও দিবেন না এতে আপনি অসুবিধায় পড়তে পারেন। 

৩) আপনার যেই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো পেমেন্ট মেথুডটি যুক্ত করা। 

৪) আপনি অন্যয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে একেবারে কোনো প্রকার কপি পেস্ট করবেন না করলে আপনার প্রতি বায়ারের সন্দেহ প্রবণতা বাড়তে পারে। 

৫) আপনি কোনভাবেই একের অধিক অ্যাকাউন্ট খুলবেন না এক্ষেত্রে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। 

৬) আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার কিছুদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করে দিবেন। যেমন- ভোটার আইডি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট। আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট না করলে আইডি সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭) আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার সময় সবকিছু সঠিক তথ্য দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ভোটার আইডিতে যে রকম আছে ঠিক সেই রকম নাম ব্যবহার করতে হবে, কোনরকম ভুল বা ভুয়া কোন কিছু প্রদান করবেন না এক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। 

এটি নিয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হল, আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিয়োজিত তারা ইচ্ছে করলেই এই সাইটিতে কাজ করতে পারেন। আপনার কাজ করলে বুঝবেন এই সাইটটি সত্যি অনেক ভালো। আমার আর্টিকেলে উল্ল্যেখ করা এই সাইট সম্পর্কে কোনো কিছুই ভুল নয়। আপনি চাইলে আমার আর্টিকেলটি ফলো করে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। 

আর আপনাদের কাছে শেষ কথা এটাই যদি আপনাদের আমার লিখা আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আপনাদের ইচ্ছ মতন যেকোনো একটি সাইটে দয় করে একটি শেয়ার করবেন। আপনাদের করা একটি শেয়ার আমাদের পরবর্তীতে নুতন আর্টিকেল লিখার প্রতি উৎসাহ প্রদান করবে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।