আউটসোর্সিং কি: অনলাইন মার্কেটপ্লেসের হাজার হাজার কাজ থেকে নিজের যােগ্যতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনাে কাজ খুঁজে নেওয়া ও সেটি সম্পাদন করার পর বায়ারের কাছ থেকে তার পেমেন্ট গ্রহণ করার মাধ্যমে যে উন্মুক্ত পেশা বা ফ্রিল্যান্সিংকাজের সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে আউটসাের্সিং বলে ।
অফশাের আউটসাের্সিং কি, আউটসাের্সিং এর ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিগত, বায়ার তার নিজস্ব, কাজের জন্য অনলাইনে ভিন্ন দেশ থেকে এমপ্লয়িকে হায়ার করে থাকে। সাধারণত এক্ষেত্রে কোন কোম্পানির সম্পৃক্ততা থাকে না।
কিন্তু অফশাের আউটসাের্সিং হলাে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি সুনির্দিষ্ট কোম্পানি তার কোন প্রজেক্টের জন্য বাইরের দেশের কোন কোম্পানি বা একাধিক বিদেশি এমপ্লয়িদের অনলাইনে হায়ার করে থাকে।
যেমন ধরা যাক, আমেরিকার কোন কোম্পানি কম্পিউটার তৈরি এবং বিক্রির জন্য বাজারজাত করল। এখন এর কাস্টমার সার্ভিস এবং টেকনিক্যাল সাপাের্টের জন্য কোম্পানিটি বিদেশি কোন কোম্পানি বা বিদেশি বিভিন্ন
এমপ্লয়িকে হায়ার করতে পারে যারা ওভার টেলিফোনে নিজ দেশে বসে থেকে এই কাজগুলাে সম্পন্ন করবে ।
সাধারণত ডেটা এন্ট্রি এবং কল সেন্টারের আউটসাের্সিং এর কাজগুলাে অফশাের আউটসাের্সিং এর প্রকৃষ্ট
উদাহরণ। অফশাের আউটসাের্সিং এর বেশ কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন ITO ক্যাটাগরিতে কোন কোম্পানি
বিদেশি কোন কোম্পানি বা এমপ্লয়িকে হায়ার করে তাদের ইনফরমেশন ট্রেনােলজি সংক্রান্ত কাজের আউটসাের্সিং
করিয়ে থাকে । BPO ক্যাটাগরি হলাে বিজনেস প্রসেসিং আউটসাের্সিং যেমন কল সেন্টার ম্যানেজমেন্টের কাজ এর
অন্তর্গত। এছাড়াও অফশাের আউটসাের্সিং এর মাধ্যমে সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের কাজ করা হলে সেটি
Software R & D (Research and Development) ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং ও ফ্রিল্যান্সার
ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে এমন একজন কর্মী যিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সার যে
কাজগুলাে সুনির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সম্পন্ন করে থাকে তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। একজন ফ্রিল্যান্সার স্বাধীনভাবে তার কাজ নির্ধারণ করতে পারে। গতানুগতিক সময়ভিত্তিক কাজের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার কখনাে সীমাবদ্ধ নন।
সারাবিশ্বে এখন ইন্টারনেট যথেষ্ট সহজলভ্য হয়ে ওঠায় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ একটি নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলােতে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ ক্রমেই ব্যাপক
জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । একটি কম্পিউটার এবং মােটামুটি গতির একটি ইন্টারনেট সংযােগ থাকলে বিশ্বের যে কোন স্থানে বসে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে যে কাজগুলাে করার সুযােগ রয়েছে সেগুলাে হলাে
ডেটা এন্ট্রি, লেখালেখি করা, ছবি সম্পাদনা, টুডি বা থ্রিডি এনিমেশন তৈরি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও তৈরি প্রভৃতি ।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে বিবেচ্য বিষয়সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলাে বিবেচনায় রাখতে হবে ।
১. যে কাজগুলােতে যথেষ্ঠ দক্ষতা আছে সেই কাজগুলাের জন্য বিড করতে হবে ।
২. বায়ারের পােস্টকৃত কাজে কী চাওয়া হচ্ছে সেটি ভালােভাবে পর্যালােচনা করতে হবে এবং উল্লিখিত সময়ের
মধ্যে কাজটি করা সম্ভব হবে কীনা সেটি বিবেচনা করে অতঃপর কাজের জন্য বিড করতে হবে ।
৩. কাজের জন্য অতিরিক্ত বেশি মূল্য বা কম মূল্য দিয়ে বিড করা যাবে না। একটি যৌক্তিক মূল্য উল্লেখ করে বিড
প্রদান করতে হবে।
৪. পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে ।
৫, কাজটি সময়মতাে জমা দিতে হবে ।
আউটসাের্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা।
আউটসাের্সিং এর যেমন কিছু সুবিধা আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও রয়েছে । নিচে এ সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে ।
আউটসাের্সিং এর সুবিধা
১. এর মাধ্যমে বায়ারগণ অত্যন্ত প্রতিযােগিতামূলক দামে এমনকি কখনও কখনও স্বল্প পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে
নিতে পারেন যা হয়তাে নিয়মিত কর্মীদের মাধ্যমে করালে অনেক বেশি খরচ পড়তাে।
২. তীব্র প্রতিযােগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করিয়ে আনা হয় বলে কাজের মান উন্নত হয় । ফ্রিল্যান্সারগণ পরবর্তী কাজ পাবার আশায় প্রতিটি কাজে নিজস্ব দক্ষতার ছাপ রাখার চেষ্টার করেন ।
৩. বিশ্বের যেকোনাে প্রান্ত থেকে কাজ করিয়ে আনা যায় বলে প্রচলিত কর্মীর কোনাে প্রয়ােজন পড়ে না।
৪. বায়ারগণ খণ্ডকালীন রূপে কাউকে কাজের জন্য নিয়ােগ দিতে পারেন।
৫.ফ্রিল্যান্সারগণ ঘরে বসেই কাজ করতে পারেন। ফলে অনেকে পূর্ণকালীন চাকরির পাশাপাশি অবসরে, খণ্ডকালীন চাকরি হিসেবে আউটসাের্সিং এ যুক্ত হতে পারেন।
৬.আউটসাের্সিং এর ক্ষেত্রে কর্মদাতাকে কোনাে অফিস নেবার প্রয়ােজন পড়ে না। ফলে অবকাঠামােগত বিভিন্ন
সুবিধা যেমন- কমীর বসার সংস্থান, উন্নত মানের কম্পিউটার ও প্রয়ােজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কোনাে প্রয়ােজন পড়ে না। এতে খরচ বেচে যায়।
৭.বায়ারগণ টাইম জোন এর সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারেন। বিশ্বের একপ্রান্তে যখন রাত অন্য প্রান্তে তখন।
দিন। ফলে আউটসাের্সিং এর মাধ্যমে কাজ করালে বায়রগণ যখন ঘুমে বিভাের তখন অন্য প্রান্তে তার কাজটি। উঠে দেখেন তার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে ।
৮.আউটসাের্সিং এর মাধ্যম ফ্রিল্যান্সারগণ নিজের আর্থিক উন্নতি ঘটাতে পারেন। এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে উপার্জনের সুযােগ রয়েছে।
৯. আউটসাের্সিং এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকার জনগােষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান করা সম্ভব। ফলে দেশের সার্বিক উন্নতি ঘটানাে যায় ।
১০. আউটসাের্সিং কে শিল্পে পরিণত করা গেলে তা দেশের দারিদ্র্য বিমােচনের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করে।
আউটসাের্সিং এখন অনেকেরই পেশায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর আউটসাের্সিং হতে কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করে। শিক্ষিত বেকার জনগােষ্ঠী এই শিল্পকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে
উঠেছে। উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনেকে এই খাতে বিনিয়ােগ করছে। ফলে বহু লােক সম্পৃক্ত হচ্ছে বিভিন্ন কাজে, সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান ।
আউটসাের্সিং এর অসুবিধা
১. আউটসাের্সিং এর মাধ্যমে কাজ করালে অনেক সময় কোনাে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গােপনীয়তা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা ভঙ্গ হতে পারে। বিশেষ করে যখন কোনাে প্রতিষ্ঠান এইচআর, পেরােল ও নিয়ােগ সেবাকে আউটসাের্স করে দেয় তখন প্রতিষ্ঠানের। গােপনীয়তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
২. অনেক সময় বায়ারগণ সঠিক আউট সাের্স কর্মী খুঁজে পেতে ব্যর্থ হলে যথা সময়ে তার কাজটি সম্পন্ন নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন। পাশাপাশি নিজস্ব পরিমণ্ডলে বিরাট আর্থিক ক্ষতিও ঘটে যেতে পারে ।
৩. যদিও সার্বিক বিবেচনায় 'আউটসাের্সিং এর মাধ্যমে কাজ করানাে অর্থসাশ্রয়ী তারপরও এতে কিছু হিডেন কস্ট IT developers & jobs. Designers & writers থাকতে পারে যা পরবর্তীতে বায়ারের খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষ করে বায়ার যখন কোনাে বাইরের কোম্পানির সাথে আউটসাের্সিংয়েরচুক্তি করেন তখন চুক্তির শর্ত মােতাবেক তার বিভিন্ন ধরনের খরচ বেড়ে যেতে পারে।
৪. আউটসাের্সিং কোম্পানিগুলােকে ভালােভাবে চলতে হলে মুনাফা সৃষ্টি করতে হয়। বায়ার কর্তৃক কাজের মূল্য
নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকলেন এবং সব সময়। এই হার একই থাকলে তখন মুনাফা সৃষ্টির জন্য উক্ত কোম্পানির
কাছে যে পথটি খােলা থাকে তা হলাে খরচ কমানাে। আর এটি করতে গিয়ে কাজের মান নেমে যেতে পারে ।
৫. আউটসাের্সিং এর মাধ্যমে আয়কৃত অর্থ নিজ দেশে উত্তোলন করতে গিয়ে ফ্রিল্যান্সারগণ অনেক সময় নানা ধরনের ঝামেলায় পড়তে পারেন। যেমন- ফ্রিল্যান্সারগণকে বিভিন্ন পেমেন্ট মেথডের মধ্য থেকে তাদের
উপযােগী মেথডটি গ্রহণ করতে হয়। অনেক সময় নিজ দেশে ঐ সেবা চালু নাও থাকতে পারে। ফলে অর্থ
সংগ্রহের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তবে আশার কথা, পেওনিয়ার এর মতাে ক্রেডিট
কার্ড থাকলে বিশ্বের যেকোনাে এটিএম থেকেই উপার্জিত অর্থ উত্তোলন করা যায়
আউটসাের্সিং এ কাজ করার যােগ্যতা ও নিয়মাবলি
আউটসাের্সিং এ কাজ করার যােগ্যতা, আউটসাের্সিং এর কাজ করার জন্য প্রতিটি ব্যক্তিকেই তথা ফ্রিল্যান্সারকে কিছু যােণ গ্যতার অধিকারী হতে হয় । এগুলাের মধ্যে অন্যতম হলাে ।
১. ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহ ব্যক্তি যে ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক তাকে সে ধরনের কাজে পারদর্শী হতে হবে নতুবা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। একটি কাজের বিপরীতে শত শত ফ্রিল্যান্সার কাজের আগ্রহ প্রকাশ করে বিডে অংশগ্রহণ করেন।
এদের মধ্য থেকে একজন বায়ার তার কাজের জন্য যােগ্য ব্যক্তিটিকে খুঁজে পেতে ইন্টারভিউও নেন। এতে উৎরে যেতে না পারলে কাজ পাওয়াটা দুরূহ হয়ে পড়ে ।
২. কাজের ক্ষেত্রে যােগাযােগের মাধ্যম যেহেতু ইংরেজি সেহেতু ফ্রিল্যান্সারগণকে মােটামুটি মানের ইংরেজি জানা থাকতে হয়। যারা ভালাে ইংরেজি জানেন তারা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের চাইতে অনেক বেশি এগিয়ে
৩. যে মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করা হবে সেখানে ফ্রিল্যান্সের প্রােফাইল যেন সমৃদ্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রােফাইলটিকে ভালাে ভাবে সাজানাের চেষ্টা করতে হবে ।
৪. নিজেকে বায়ারের সামনে ভালােভাবে তুলে ধরতে একজন ফ্রিল্যান্সারকে উন্নত কম্যুনিকেশন স্কিল দেখাতে হয় ।
৫. কোনাে বিডে জয়ী হয়ে কাজ পেলেই হলাে না; সেই কাজটি ভালােভাবে সম্পন্ন করে যথাসময়ে বায়ারের হতে তুলে দেবার মানসিকতা ও চেষ্টা থাকতে হবে ।
৬. বায়ারকে ঠকানাের মানসিকতা পরিহার করতে হবে।
আউটসাের্সিং প্রজেক্ট সম্পন্ন করার নিয়মাবলি/ধাপসমূহ
রেন্ট এ কোডার সাইটের আলােকে একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপসমূহ ধারাবাহিকভাবে আলােচনা করা হলাে :
১. প্রজেক্ট সার্চ করা : সাইটে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কাজ পােস্ট হয় । দক্ষতার ভিত্তিতে সিলেক্ট করা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির প্রতিটি কাজ পর্যবেক্ষণ করতে হবে । ফলে এই ধরনের কাজে বায়ারদের চাহিদা এবং
কাজের মূল্য সম্পর্কে ফ্রিল্যান্সারের সুস্পষ্ট একটি ধারণা তৈরি হবে। । নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ধরনের কাজ খোঁজার জন্য সাইটের প্রজেক্ট ফিল্টার সেটিং–এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
২. বিড করা ; কোন কাজ পর্যবেক্ষণ করার পর যদি মনে হয় কাজটি নিশ্চিত সফলতার সাথে সম্পন্ন করা যাবে তবে ওই কাজের জন্য বিড করতে হবে । বিড করার জন্য প্রথমে অবশ্যই সাইটে লগইন করতে হবে । বিডে ওই কাজটি
কত ডলারে সম্পন্ন করা যাবে তা উল্লেখ করতে হবে তবে অবশ্যই তা বিডের উল্লিখিত মূল্যের মধ্যে হতে হবে । বিড করার পাশাপাশি কাজটি সম্পর্কে নিজস্ব মতামত জানিয়ে বায়ার কে ম্যাসেজ দিতে হবে। যদি ওই সাইটে এর
আগে কোন কাজ করা না থাকে তাহলে যতটুকু সম্ভব কম মূল্য উত্বে নখ করতে হবে। নিজের র্যাংকিং বাড়ার সাথে
সাথে বিডের মূল্য বাড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়াও প্রয়ােজনে বিডের চেয়ে নিচের মূন্যে কাজ করতে চাইলে বায়ারকে
পৃথক ম্যাসেজে তা উল্লেখ করে দেওয়া যেতে পারে। তবে কাজে র মূল্য এতটা কম ধরাও উচিত হবে না যাতে বায়ারের মনে কাজের কোয়ালিটি সম্পর্কে সংশয় দেখা দিতে পারে ।
৩. কাজ শুরু করা : বিড করা কোডারদের মধ্য থেকে বায়ার কা র্তৃক নির্বাচিত হলে দেরি না করে কাজটি শুরু করতে হবে। বায়ার সাধারণত কাজ শুরুর সাথে সাথে সকল টাকা এসক্রোতে জমা রেখে দেয়। তবে কোন কারণে জমা দিতে দেরি হলে তাকে অনুরােধ করতে হবে।
এরপর বায়ারের কাছ থেকে প্রয়ােজনীয় কাজের জন্য ফাইল, তাদের সার্ভার ও ডাটাবেজের তথ্য জেনে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিন বা ।একদিন পর পর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বায়ারকে অবহিত করতে হবে।
বায়ারের কোন চাহিদা না বুঝতেপারলে যত দ্রুত সম্ভব তার সাথে যােগাযােগ করতে হবে। বায়ারকে এক্ষেত্রে সরাসরি ই-মেইল না করে। মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করেতে। পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা মােকাবেলা করা সহজ হবে ।
৪.প্রতি সপ্তাহের স্ট্যাটাস রিপাের্ট : রেন্ট-এ-কোডারে বড় কাজগুলাের জন্য প্রতি শুক্রবারে কাজের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে হয়। এজন্য ওয়েবসাইটে প্রজেক্টের পাতায় গিয়ে File weekly status Report বাটনে ক্লিক করতে হবে।
কোন কারণে যদি স্ট্যাটাস রিপাের্ট না দেওয়া হয় তবে র্যাংকিং-এর মােট স্কোর থেকে ১০০০ স্কোর বাদ দেওয়া হবে। ফলে র্যাংকিং-এ অন্যদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হবে।
৫. কাজ জমা : কাজ শেষ হবার পর দেরি না করে সাইটে গিয়ে সমস্ত কাজ Zip করে আপলােড করে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ডেডলাইনে উল্লিখিত সময়ের পূর্বেই সমস্ত কাজ জমা দেওয়া যায় ।
৬. বায়রের কাজ গ্রহণ করা : এরপর বায়ারের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে । কাজে কোন পরিবর্তন থাকলে বায়ার তা ফ্রিল্যান্সারকে অবহিত করবে। আর বায়ার যদি কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে সে সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে কাজটি গ্রহণ করবে যা ই-মেইলের মাধ্যমে সাথে সাথে জানিয়ে দিবে । একইসাথে এসক্রো থেকে টাকার একটি অংশ সাইটের অ্যাকাউন্টে জমা হবে । আরেকটি অংশ (১০% বা ১৫%) সাইটটির ফি হিসেবে রেখে দেবে।
আউটসাের্সিং বা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস কি
আউটসাের্সিং বা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস হলাে এমন একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটি অসংখ্য অনলাইন ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে গঠিত । এই ওয়েবসাইটগুলাে আসলে এক একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যেখানেদুই ধরনের ব্যক্তি সদস্য হতে পারে।
এরা হলাে বায়ার তথা যারা তাদের বিভিন্ন কাজ এই সাইটে আপলােড করে। অপরটি হলাে ফ্রিল্যান্সার এমপ্লয়ি যারা বিড করার মাধ্যমে বায়ারের পছন্দ অনুযায়ী কাজ পেয়ে থাকে। এদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটি করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন
ওয়েবসাইটগুলাে কেননা এই ওয়েবসাইটে বায়ার যখন অ্যাকাউন্ট ওপেন করে তখন তার যেমন একটি প্রােফাইল এখানে যুক্ত হয় তেমনি ফ্রিল্যান্সার ওয়ার্কার যখন কোন অ্যাকাউন্ট ওপেন করে তারও একটি প্রােফাইল যুক্ত হয় ।
উভয়পক্ষের কাজ দেওয়া এবং পাবার ব্যাপারটি অনেকাংশে উভয়েরই প্রােফাইলের উপর নির্ভর করে। এখানে ওয়েবসাইটগুলাে যেমন বায়ারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে থাকে তেমনি ফ্রিল্যান্সার এমপ্লয়িগণের কাছ
থেকেও কাজ পাবার পর একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন কেটে নেয়। এককথায় এটি হলাে এমন একটি ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস যেখানে বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় কর্মসংস্থান আউটসাের্সিং জবগুলাে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের কিছু বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলাে
১. আপওয়ার্ক (https://www.upwork.com/)
freelancer
২. ইল্যান্স ডট কম (https://www.elance.com/)
৩. ফ্রিল্যান্সার ডট কম (https://www.freelancer.com/)
৪. এনভাটো স্টুডিও (https://studio.envato.com/)
৫, রেন্ট এ কোডার (http://www.rent-acoder.com/)
নাইনটি নাইট ডিজাইনস (http://99designs.com/)
৭, পিপল পার আওয়ার (http://www.peopleperhour.com/)
৮.সইও ক্লার্ক (https://www.seoclerks.com/)
৯. গুরু ডট কম(http://www.guru.com)
১০.টপটাল(http://www.toptal.com/)
১১.টপকোডার (http://www.topcoder.com/)
১২.টাস্কর্যাবিট(https://www.taskrabbit.com/)
১৩.ক্লিকওয়াকার (http://www.clickworker.com/en)
১৪.ওয়াকমাকেট (https://www.workmarket.com/)
১৫.গেট এ কোডার (http://www.getacoder.com/)
১৬.ক্লউড পিপস(https://www.cloudpeeps.com/) ইত্যাদি।
পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.