আসসালামু আলাইকুম। আবারো চলে আসলাম নতুন একটি বিষয়বস্তু নিয়ে। আজকের যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব সেটি বর্তমান প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়।
যার মাধ্যমে খুব সহজে ঘরে বসে মার্কেটপ্লেস তৈরি করা যায় সেটি হলো গ্রাফিক ডিজাইন। আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক।
ভূমিকা:
গ্রাফিক ডিজাইন বলতে আমরা বুঝি গ্রাফিক ডিজাইন হল এমন একটা ডিজাইন যা কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইন করে রূপদান করা হয়।
একটু সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন টি-শার্ট ডিজাইন প্যাকেজিং বাজারে কোন নতুন পণ্য আসলে নতুন প্রোডাক্ট ডিজাইন আলাদাভাবে সবার কাছে উপস্থাপন করা। কম্পিউটারের মাধ্যমে নিখুঁত সৃজনশীল চিন্তাধারার দিয়ে পণ্যকে নতুন ভাবে ডিজাইন করাকে কম্পিউটার গ্রাফিক্স বলে।
গ্রাফিক ডিজাইন কি শিখতে হয়:
যদি কারো মনে এমন প্রশ্ন জাগে গ্রাফিক ডিজাইন কি শিখতে হবে? তাহলে উত্তর হবে হ্যাঁ। এটা দুই ভাবে শেখা যায় কেউ তীব্র মনের ইচ্ছা দিয়ে সৃজনশীল চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে নিজে নিজে শিখতে পারে। আবার কেউ বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে পারে।
শেখার সময় কত লাগবে:
গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে চাইলে আসলে ধরাবাঁধা কোনো সময় নেই। এটা ডিপেন্ড করে যে শিখতে চায় তার শেখারআগ্রহ এর উপরে।
কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখলে তিনমাসের কোর্স রয়েছে 6 মাসের কোর্স আছে এবং এক বছরের কোর্স আছে যেমনটা শিখতে চায় তেমন করে শিখতে পারবেন।
কোথা থেকে গ্রাফিক ডিজাইন শিখবেন:
এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখিয়ে থাকে। তারা বিভিন্ন সিডস এবং টেকনিক শিখিয়ে দেয় যা দিয়ে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শেখায় না। তারা শেখার পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়। কেউ যদি মনে করে থাকে যে প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে মার্কেটপ্লেস তৈরি করতে পারবে।
তার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল কারণ এই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার পর সে মার্কেটে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে
পারবে না। জন্য তাকে নিজে নিজে প্রচুর করতে হবে এবং নতুন নতুন সৃজনশীল ভাবনার মাধ্যমে তাকে নতুন ডিজাইন তৈরি করতে হবে। তাহলে মার্কেটে সে একটি জোরালো অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার খরচ:
স্বনামধন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য কোর্সের জন্য 10 থেকে 30 হাজার টাকা খরচ হতে পারে। কেউ চাইলে কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে থেকে স্নাতক ডিগ্রি উপরে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়তে হবে।
যার ফলে সে কম্পিউটারের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে এবং সে খুব বড়োসড়ো একটি অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
গ্রাফিক ডিজাইন এর চাহিদা:
বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ সময়ে মানুষ ঘরে বসে আয় করতে চায়। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে আয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। গ্রাফিক ডিজাইন হলো ঘরে বসে আয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম।
গ্রাফিক ডিজাইন এর মাধ্যমে প্রতিমাসে 50 থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। বর্তমান বিশ্বে graphic-designer চাহিদা প্রচুর। এখন প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে তাদের কাজ করে সবাই তাদের কাজের নতুনত্ব যায়। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেই এখনো graphic-designer দেখা যায়। গ্রাফিক ডিজাইন এখন খুবই ডিমান্ড ফুল একটি কাজ। তাই সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা দিয়ে নতুনভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে আপনিও আয় করতে পারেন ঘরে বসে 50 থেকে দেড় লাখ টাকা।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার পরে চাকরির সুযোগ:
আপনি যখন গ্রাফিক ডিজাইন এর উপরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করবেন তখন দেখবেন আপনার চারিপাশে অনেক চাকরি অপেক্ষা করছেন।
ডিজাইনারের গ্রাফিক ডিজাইন এর উপরে যথেষ্ট পরিমাণে সাধারণ জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকতে হবে। এরপরে সেজে চাকরি গুলো পাবে সেগুলোর কিছু উদাহরণ নিচে দেয়া হল।
1.লোগো ডিজাইনার ।
2. অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কোম্পানিতে ।
3. গেম ডেভলপমেন্ট কোম্পানিতে।
4. ম্যাগাজিন.নিউজপেপার কোম্পানিতে।
5. মার্কেটিং এ ।
7. নিউ ব্র্যান্ড ডিজাইন
8. অ্যানিমেশন ডিজাইন।
প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিমান্ড ফুল সেলারি তে কাজ করতে পারবে।
গ্রাফিক ডিজাইনিং ব্যবহার করা হয় এমন কিছু কাজ:
বর্তমান সময়ে এসে প্রায় সকল ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়। সকল জিনিস অন্য পণ্যের থেকে নতুনত্ব আনার জন্য গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়। গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে পণ্য নতুনত্ব লাভ করে।
1. প্রতিষ্ঠান লোগো ডিজাইন বা ব্রান্ড ডিজাইনের ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
2. ম্যাগাজিন নিউজপেপার এবং বই প্রিন্ট এর পরে তার ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
3. ওয়েব পেজ ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
4. গেম ডেভেলপমেন্ট এর জন্য গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
5. ফটো ফ্রেম এর কভার পেজের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
6. বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
7. ভিজিটিং কার্ড কার্ড বানানোর ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
8. বিয়ের কার্ড ছাপানো হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
9. টি-শার্ট ও জামা কাপড়ের ডিজাইন এর ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়
গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে আয় করার জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম:
এখন আমরা আলোচনা করব গ্রাফিক ডিজাইনে জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম যার সাহায্যে খুব সহজে আয় করা যায়।
1. লোগো ডিজাইন:
লোগো একটি কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহন করেএকটা কোম্পানি/ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লোগো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বস্তু। এক কোম্পানির লোগো অন্য কোম্পানির সাথে মিলে না প্রত্যেকটা লোগো আলাদা পরিচয় বহন করে তাই এরা আলাদা আলাদা হয়। এই লোগো বানানোর ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রয়োজন হয়।
লোগো বানানো হয় গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে। অনলাইনের মাধ্যমে দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার দিয়ে বানানো হয়। অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনের সংখ্যা অনেক বলে এখানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আপনি যদি দক্ষ ডিজাইনার হন তবে আপনার কাছে কম্পানি নিজের থেকে কাজটা দিবে।
প্রতিটা কাজের জন্য 50 ডলার থেকে 2000 ডলার পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে। যার ফলে আপনার মাসিক আয় হতে পারে লোগো ডিজাইনের মাধ্যমে এক থেকে দেড় লাখ টাকা।
2. টি-শার্ট ডিজাইন:
টি-শার্ট ডিজাইন করেও প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। নিত্যনতুন ইউনিক টি-শার্ট ডিজাইন এর মাধ্যমে মার্কেট একটি ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন। এখন অনলাইনের মাধ্যমে প্রচুর কেনাবেচা হয় মানুষ এখন অনলাইনের মাধ্যমে অনলাইন শপিং এ কেনা কাটা করে থাকে।
অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইন এর মাধ্যমে আয় করার এমন অনেক মাধ্যম রয়েছে।
পরিশেষে বলা যায় যে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার পরে তা থেকে আয় করা যায় ঘরে বসে। যা দিন দিন খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে এবং এর চাহিদা প্রচুর
Bling Apps Bitcoin থেকে প্রতিদিন হাজার টাকা আয় করুন। ১০০% ট্রাস্টেড এবং ১০০% পেমেন্ট করে। বিস্তরিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন-https://www.juifullbangla.xyz/2021/09/bling-apps-bitcoin.html
[email protected]
You must be logged in to post a comment.