আজ আমি একজন রাইটার হিসাবে না আপনার সৎ পরামর্শকারী বন্ধু বা ভাই হিসাবে কথা বলবো।
আপনি এখন এই পোষ্ট টা পড়ছেন,কারণ আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন থেকে ইনভেস্ট ছাড়াই ইনকাম করতে চান।
ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অনেক ধর্য্যশীল হতে হবে। তা না হলে এখন থেকে আপনি এক টাকা ও ইনকাম করতে পারবেন না।
১৯৯৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৮'শত মিলিয়ন লোক ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন থেকে ইনকাম করছে।আমার জানা অনেক লোক আছে যারা কোম্পানি বা নিম্ন সরকারি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে এই ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ইনকামের দিকে আসছে।
তবে আপনাকে প্রথমেই বলে রাখি যেহেতু এটা একটি অনলাইন ভিত্তিক কাজ। প্রথম দিকে বেশি ইনকাম আশা করবেন না। ধর্য্য ধরে কাজ করতে থাকেন সাফল্য আসবেই একদিন" ইনশা আল্লাহ"।
ফ্রিল্যান্সিং জগৎ এ বাংলাদেশে অবস্থান ২য় স্থানে আছে। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রেমিটেন্স নিয়ে আসছে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। আপনার যখন ইচ্ছা তখন করতে পারবেন।
যে সময়টা আপনি ফেসবুক,ইউটিব এর সময় নষ্ট করছেন সেই সময় টাতে আপনি কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।তো চলেন শুরু করা যাক কিভাবে আপনি ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইনে ইনকাম করার মাধ্যমগুলোর নাম:
১. ডাটা এন্ট্রির কাজ
২. ইমেইল মার্কেটিং
৩.ফেসবুক মার্কেটিং
৪.গ্রাফিক্স ডিজাইন
৫. ইউটিবিং
৬.ট্রান্সক্রিপশনিস্টের কাজ
৭.পিটিসি সাইড
৮.ব্লাগ করে ইনকাম
৯.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
১০.Translate এর কাজ
ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম:
অনলাইনে কাজ করার মধ্যে সবচেয়ে সহজ আর জনপ্রিয় কাজ হলে ডাটা এন্ট্রির কাজ।ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে আপনার ল্যাপটপ,
কম্পিউটার বা ভালোমানের একটা অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকতে হবে।সেই সাথে এক্সেলের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বহির বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পারবেন যে তাদের কোম্পানির অনেক ধরনের তথ্য লিপি বদ্ধ করতে হয়।
তাদের কোম্পানিতে যে কর্মচারি থাকে তাদের পক্ষ সব সময় সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করে কাজ শেষ করতে পারে না।
তাই ঐ কোম্পানির ঐ সকল কাজ বাহিরের লোক দিয়ে করিয়ে থাকে। আর এই সকল কাজকে ডাটা এন্ট্রির কাজ বলে।
আপনি ভাবছেন এই সকল কাজ কোথায় পাবো?অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এই সকল হাজার হাজার কাজ পাওয়া যাই।
মার্কেটপ্লেসের মধ্যে অন্যতম হলে:
১. আপওর্য়াক
২. ফাইভার
৩. ফ্রিল্যান্সার এর মত বড় বড় সাইড
এখানে আপনি একটি একাউন্ট করে হাজার হাজার কাজ পাবেন ডাটা এন্ট্রির।একাউন্ট করার আগে মনে রাখবেন একটি NID Card দিয়ে মাত্র একটি একাউন্ট করা যাবে একটি মার্কেটপ্লেসে।
ইমেইল আর ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম:
যতগুলো মার্কেটপ্লেস এর কাজ আছে তাদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং অন্যতম আরো দুটি কাজ ইমেইল এবং ফেসবুক মার্কেটিং।
আপনি চাইলে শুধু ইমেইল মার্কেটিং অথবা ফেসবুক মার্কেটিং করেই আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।
এখানে কাজ করতে হলে আপনার কোন ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই। তবে একটা কথা আবারও বলবো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্য আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে ধৈর্য্য ফল সব সময় মিষ্টি হয়।
আপনি যে কোন চাকরির পাশাপাশি বা আপনি যদি ঘরের বধু হন আপনার সংসারেক কাজের পাশাপাশিও এখান থেকে আর্ন করতে পারেন।
ইমেইল আর ফেসবুক মার্কেটিং দুইটাই একই জিনিস। যেকোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ইমেইল আর ফেসবুককে আর এই মার্কেটিং কেই বলে ইমেইল আর ফেসবুক মার্কেটিং।
মনে করেন কোন কোম্পানির তাদের যেকোনো একটি পণ্য নতুন মার্কেটে এসেছে। যেটা ক্রেতাদের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য যারা ফেসবুক বা ইমেইল মার্কেটিং করে এমন কোন একজন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করল ।
তাকে বলা হলো এই প্রোডাক্টটি আমার পাঁচ মিলিয়ন বা ১০ মিলিয়ন প্রমোশন করাতে হবে। তখন আপনি ইমেইল বা ফেসবুক যখন যেটা বলবে তখনই সে মাধ্যমটি ব্যবহার করে পাঁচ মিলিয়ন অথবা ১০ মিলিয়ন লোকের কাছে পৌঁছে দেয়া হলো ইমেইল বা ফেসবুক মার্কেটিং।
ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ব্যক্তির ইমেইল আইডি থাকা লাগবে অথবা এক ক্লিকে এক মিলিয়ন ২ মিলিয়ন বা ৫ মিলিয়ন লোককে ইমেইল করার জন্য ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে।
দেখবেন অনেক ধরনের সফটওয়্যার বা এপ্স পাওয়া যায়। সফটওয়্যার থেকে বাংলাদেশের টাকা দিয়ে ইমেইল কিনে নিতে হয় ৩০ দিন ৬ মাস এক বছর মেয়াদী। ঠিক ফেসবুক মার্কেটিং একই রূপ।
কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের বাই এন্ড সেল যে গ্রুপ গুলো আছে এই গ্রুপগুলোতে জয়েন হতে হয়।
সব সময়ের জন্য চেষ্টা করবেন বাই এন্ড সেল গুরুপ ইউএসএ অর্থাৎ আমেরিকা ইউরোপ এই উপমহাদেশে যে গ্রুপগুলো আছে সেখানে জয়েন হওয়ার জন্য এবং অবশ্যই সে গ্রুপগুলো পাবলিক গ্রুপ হতে হবে কোন প্রাইভেট গ্রুপে এড হবেন না।
যখন আপনাকে একটি পণ্যের ফটো দেবে তখনই সেই ফটোটি টাইটেল ডেসক্রিপশন লিখে আপনি যেভাবে আপনার ফেসবুকে কিছু আপলোড করেন ঠিক এখনো ওই পণ্যর ফটো ডেসক্রিপশনটি আপলোড দেবেন।
যদি বলে ৫ মিলিয়ন প্রমোট করতে হবে তো আপনাকে ওই পোস্ট টা ৫ মিলিয়ন লোকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
আর এই কাজগুলো আপনি কোথায় পাবেন ভাবছেন তো? ডাটা এন্টিক কাজগুলোর মত এ কাজগুলো আপনি অফ ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার,ফাইবার এ ধরনের বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে পেয়ে যাবেন ।
এখানে হাজার হাজার কাজ থাকে যেগুলো আপনি দিনে রাতে আপনার ফ্রি সময় টুকু আছে সেই সময় টুকুতে কাজ করে প্রতি মাসে ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।
তো দেরি না করে আজই একটি আপ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার বা ফাইবারের মতো বড় মার্কেট প্লেসে একাউন্ট করে কাজ করা শুরু করে দিন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম:
অনলাইন ভিত্তিক যত কাজ আছে এর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন টা হল সবচেয়ে অ্যাডভান্স লেভেল এর কাজ।
আপনি আপনার চারিদিকে লক্ষ্য করলে যে সকল কিছু দেখতে পারবেন সবকিছুই একটা গ্রাফিক্স।
আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় যে সকল জিনিসপত্র প্রতিদিন ব্যবহার করে আসছেন সে সকল জিনিসই একটা গ্রাফিক্স। অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচে না ঠিক তেমনি গ্রাফিক্স বাদ দিলে মানুষের জীবন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
এখন হয়তো আপনি ভাবতে পারছেন কি এই গ্রাফিক্স যেটা বাদ দিয়ে জীবন পরিচালনা করা সম্ভব নয়? একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন গ্রাফিক্স কি? মনে করেন আপনি বাজারে গেলেন আপনার জন্য একটি টি-শার্ট কেনার জন্য এবং একটি টি শার্ট কিনলেন।
যেটা অনেক ইউনিক একটি ডিজাইন এবং বাজারে নতুন এসেছে এখানে টি-শার্টটি যে ইউনিক,দেখতে অনেক সুন্দর এই যে কাজটা সেটাই গ্রাফিক্স।
গ্রাফিক্স এর কাজ আবার অনেক ধরনের আছে। যেমন:
১.লোগো ডিজাইন
২.ব্যানার ডিজাইন
৩.বিজনেস কার্ড ডিজাইন
৪.টি শার্ট ডিজাইন
৫. ফ্লার ডিজাইন
৬.ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি
১.লোগো ডিজাইন
লোগো হচ্ছে কোন একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় এর জন্য ওই প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কোন নাম বা সাংকেতিক চিহ্ন কে লোগো বলে।
যেমন: Amazon, Google ইত্যাদি। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই লোগো ডিজাইন করে মাস শেষে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশিও ইনকাম করছে। অনেক মানুষ আছে যারা অনলাইনে অন্য কোন প্লাটফর্মে নয় শুধু এর লোগো ডিজাইন করে এবং ভালো টাকায় ইনকাম করছে।
২.ব্যানার ডিজাইন:
আপনার বাসার চারপাশে গাছে রাস্তার মোড়ে অথবা দোকানের যে সাইনবোর্ড দেখতে পান ওটা হচ্ছে ব্যানার ডিজাইন বলে।
মূলত ব্যানার ডিজাইন টা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করা হয়। লোগো ডিজাইন এর মত ব্যানার ডিজাইন করে মাস শেষে অনেক টাকা ইনকাম করা যায় তবে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।
৩.বিজনেস কার্ড ডিজাইন:
যেকোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অথবা ব্যক্তির পরিচয় বহন করে এই বিজনেস কার্ড। আপনি যদি মনে করেন অনলাইন প্লাটফর্মে অন্য কোন কাজ করবো না ।
লোগো ডিজাইন করবেন না,ব্যানার ডিজাইন করবেন না,তাহলে শুধুমাত্র এই একটি কাজ বিজনেস কার্ড ডিজাইন করেই আপনি মাস শেষে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪.টি শার্ট ডিজাইন:
আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখুন তো আপনি যে টি-শার্টটি গায়ে দিছেন । সেই টি-শার্টটি কোন প্রকার ডিজাইন করা আছে কিনা ।
কোন নাম কোন চিত্র বা কোন দাগ যেটাই দেয়া থাক না কেন ওইটাই ডিজাইন আর এটাকে বলে টি-শার্ট ডিজাইন।
ফ্রিল্যান্সার প্ল্যাটফর্মে টি-শার্ট ডিজাইন এর উপর লক্ষ লক্ষ কাজ আছে যেগুলো হাজার হাজার মানুষ কাজ করছে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এবং তারা এখান থেকে ভালো টাকা ইনকাম করছে।
৫. ফ্লার ডিজাইন :
ব্যানার ডিজাইন এর মতই আরেকটি কাজ ফ্লার ডিজাইন। এটাও বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৬.ওয়েব ডিজাইন:
বর্তমানে আমরা অনলাইনে যে সকল কাজ করি,কোন না কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই করে থাকি বা apps এর মাধ্যমে করে থাকি।
এই সকল অ্যাপস বা ওয়েবসাইট কে মানুষের সামনে উপস্থাপন করার জন্য সুন্দর ভাবে সাজানো হয়। আর এই সাজানোর জন্য যে থিম থাকে সেই থিমটাকে কম্প্রোমাইজ করাকে ই ওয়েব ডিজাইন বলে।
একটি ওয়েবসাইটকে সুন্দরভাবে ডিজাইন করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয় যে তার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
এ সকল কাজ ছাড়াও আরো অনেক কাজ আছে যেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়।এ সকল কাজ করতে গেলে আপনাকে ধৈর্য সহকারে করতে হবে, এবং সময় দিতে হবে।
ধৈর্য ধরে করতে না পারলে সময় দিতে না পারলে এই সাইডগুলোতে কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই। এই সাইটগুলোতে আপনি যেমন সময় ব্যয় করবেন ঠিক তেমনি ফলাফল পাবেন।
ইউটিবিং করে ইনকাম:
বর্তমান পৃথিবীতে ভিডিও শেয়ারিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। মুভি, নাটক,গান, কমেডি,নিউজ,স্পোর্টস যে কোন কিছুই আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে দেখতে পারেন।
লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এই ইউটিউব ব্যবহার করে চিত্র বিনোদনের জন্য। আপনি চাইলে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে আপনি আপনার পছন্দমত ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী সে বিষয়টা নিয়ে আপনি ভিডিও করতে পারেন এবং ধৈর্য সহকারে কাজ করতে পারলেই সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।
ট্রান্সক্রিপশনিস্টের কাজ করে ইনকাম:
ট্রান্সক্রিপশন শব্দটি হয়তো অনেকেই জানে না বা কখনও শুনেনি। আসলে ট্রান্সক্রিপশন মানে হচ্ছে আপনি যা শুনছেন হুবহু তাই লেখা।
অর্থাৎ একটি অডিও শুনে তার কথাগুলো হুবহু লিখতে হবে। শুনতে হয়তো বা অবাক লাখছে, অবাক লাগলেও সত্যই কাজটা এমনই।
ট্রান্সক্রিপশন এর কাজটির জন্য আপনার যা দরকার হবে তা হলো বাংলা বা ইংরেজিতে লেখা আর পড়ার দক্ষতা থাকতে হবে।
এ ধরনের কাজ আপনি বিভিন্ন ফ্রি-ল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে খুঁজে পেতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন রেভ ও আরো অনেকগুলো রয়েছে যেখানে প্রতি নিয়তই এমন কাজ পোস্ট করা হয়। এ সকল কাজের চাহিদা ও অনেক।
পিটিসি সাইড থেকে ইনকাম:
বর্তমানে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট আছে যারা ছোট ছোট কাজ করার জন্য টাকা দেয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে ওই কাজ করানোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে তাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটরকে আনা।
যখন কোন ইউজার ওই ওয়েবসাইটে কাজ করার সময় বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তখন ওই সাই ড এর টাকা পাই। আর এই কাজকেই পিটিসি সাইড ইনকাম বলে। প্রশ্ন করতে পারেন তারা কেন আপনাকে টাকা দিবে, তাই না?
আসলে ওয়েবসাইটের মালিক যে বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে তার জন্য তো আপনি একটি অ্যামাউন্ট পাচ্ছেনই পাশাপাশি আপনি যদি ওই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তবে সিপিসি এর জন্য সে আরো কিছু টাকা বোনাস পাবে।
আর তারই মধ্যে থেকে আপনাকে একটা নগণ্য অ্যামাউন্ট দেয়া হবে। তবে পিটিসি সাইটের সাথে কাজ করার আগে আপনাকে সব কনফার্ম হয়ে নিতে হবে কারণ বেশিরভাগ সময়ই এসব সাইট ভুয়া হয়ে থাকে।
সেক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
এমনও দেখা যায় এই পি টি সি সাইডে একটা অল্প পরিমাণ ইনকাম আপনি করেছেন এবং সেই টাকাটা আপনার বিকাশ নগদ বা রকেটের মাধ্যমে তুলতে গেলে বলা হয় ২০০ টাকা ১০০ টাকা ৫০০ টাকা ডিপোজিট না করলে আপনি ওই টাকাটা তুলতে পারবেন না ।এই সকল কথা থেকে এবং প্রতারণা থেকে সাবধান ।
আপনি যখনই ওই টাকাটা ওখানে ডিপোজিট করবেন ।আপনার এই টাকাটা ওরা নিয়ে নেবে এবং আপনাকে কোন এমাউন্টে তারা ব্যাক দিবে না সুতরাং এখানে কাজ করার আগে অবশ্যই সচেতন থাকবেন।
ব্লাগ করে ইনকাম:
বর্তমান পৃথিবীতে অন্যান্য সাইডগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ব্লাগ সাইটগুলো অনেক দূর এগিয়ে আছে।
এ ব্লাগ সাইডগুলোতে কাজ করতে গেলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ল্যাপটপ,কম্পিউটার এবং এর পাশাপাশি বাংলা ভাষা অথবা ইংরেজি ভাষার পারদর্শিতা হতে হবে ।
আপনি যে ভাষার উপর ব্লগে লিখতে চান সেই ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করা এবং যে বিষয়ে ব্লাগ করতে চান সেই বিষয়ে জ্ঞান থাকা দরকার।
আপনার gmail দিয়ে আপনার পছন্দমত একটি ব্লগ অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার পছন্দ অনুসারে যে কোন ব্লাগ পোস্ট করতে পারেন। আপনি ভাবছেন ব্লাগ পোষ্টের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করব?
আসলে আপনাকে এখানে কন্টেন্ট লেখার জন্য কোন টাকা দেওয়া হবে না কন্টেন্ট লিখের ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে এবং এই ভিজিট করার মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
যখন আপনার ব্লাগ একাউন্টে গুগল অ্যাডস এর বিজ্ঞাপনে শো করবে তখন আপনি প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা অনায়াসেই ইনকাম করতে পারবেন । তার জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত এখানে কনটেন্ট লিখে পোস্ট করতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:
অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর তুলনায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে সহজ। অ্যাফিলিয়েট marketing টা হচ্ছে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যকে বিক্রয় করে সে বিক্রয়ের টাকা থেকে একটি কমিশন পাওয়া।
ধরেন আপনি দারাজ অথবা amazon অথবা আলিবাবার মত বড় বড় মার্কেটপ্লেস এর কোন একটি পণ্য সেল করলেন ।
এই সেল করার যে একটি কমিশন আপনি বোনাস হিসেবে পাবেন। এখন ভাবছেন আপনি এদের পণ্যগুলো কিভাবে সেল করবেন?
সেল করা একদম সহজ। সেল করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই মার্কেট প্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে। তারপর এদের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আপনি যে পণ্যটি সেল করতে চান ওই পণ্যটির কপি লিংক টা আপনি আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম টিউটার বা সামাজিক যোগাযোগের যেকোন মাধ্যমে পোস্ট করে বিজ্ঞাপন দিবেন।
যখন কোন ক্রেতা আপনার ওই লিংকে ক্লিক করে ওই পণ্যটি অথবা ওই মার্কেটপ্লেস থেকে কোন পণ্য অর্ডার দিবে অর্ডার দেওয়ার যে টাকায় আছে তার একটি পার্সেন্টেজ আপনি কমিশন হিসেবে পাবেন।
তাহলে বুঝতে পারছেন তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কতটা সহজ। অনেক লোক আছে যারা শুধু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাস শেষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করছে।
Translate এর কাজ করে ইনকাম:
ট্রান্সলেটর শব্দের অর্থ অনুবাদ। আপনি ভাবছেন কি অনুবাদ করব? আর এর কাজ কোথায় পাবো?
ফ্রিল্যান্সার,ফাইবার,আপ ওয়ার্ক এর মত বড় বড় মার্কেট প্লেসে ট্রান্সলেটরের হাজার হাজার কাজ পাওয়া যায়। যখন কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিবে তখন সেই কাজটাকে ক্লান্তের মাতৃভাষায় অনুবাদ করে দিতে হবে।
মনে করেন ইউএসএ আপনার কিলাইনটের বাসা সে আপনাকে একটা কাজ দিল সে কাজটা দিয়ে বলল এটা তার ইউএসএ ভাষায় অর্থাৎ যে কাজটা দিল সেটা চাইনিজ ভাষায় লেখা আছে এটা কে আপনি ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সলেট করে দিতে হবে।
ক্ল্যান্ড আপনাকে যখন যে ভাষায় ট্রান্সলেট করে দিতে বলবে তখন সেই ভাষাকে ট্রান্সলেট করে দিতে হবে।
এ কাজটা হতে পারে বাংলা থেকে ইংরেজি ইংরেজি থেকে বাংলা চাইনিজ থেকে ইংরেজি চাইনিজ থেকে জাপানিজ যখন যে রকম যে ভাষায় বলবে তখন আপনাকে সেই রকম সেই ভাষায় লিখে দিতে হবে।
প্রিয় পাঠক বন্ধু, ধৈর্য্য সহকারে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ইনভেস্ট ছাড়াই ১০ টি সাইট থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
You must be logged in to post a comment.