মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকামের উপায়

মোবাইল দিয়ে আয় করতে, কী দামী মোবাইল লাগে, উওরে আসবে, না, কম দামি ফোন হলে ও চলবে। কিন্তু অনলাইন থেকে আর্ন করার জন্য প্রচুর ধৈর্য এবং সুন্দর মানসিকতার প্রয়োজন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

সব সময় মনে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ পরিচালনা করতে হবে। তাহলে অনলাইন থেকে আর্ন করা সম্ভব। 

মোবাইল দিয়ে আয় করার উপায় 

মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম মোবাইল দিয়ে ইনকামের সহজ পদ্ধতি 

আমরা তো সারাদিন ফেসবুক ব্যবহার করি তবে সেটা সারাদিন আড্ডা দেওয়ার জন্য। অযথা অনেকটা সময় আমরা ফেসবুকে নষ্ট করে ফেলি। অথচ এ সময় টা আমি যদি একটু অন্যভাবে ব্যাবহার করি তবে আমরা  সেখান থেকে ভালো একটা টাকা আর্নিং করতে পারি। যা প্রতিটা মানুষের  জন্য অনেক উপকার। 

বিশেষ করে যারা স্টুডেন্ট আছে তাদের জন্য অনেক উপকার হবে। নিজের  হাত খরচ নিজেরাই চালাতে পারবে। নিজের পড়াশোনা নিজেরাই চালাতে পারবে। পরিবারের উপর ডিপেন্ড থাকতে হবে না। নিজের উপর প্রচুর আত্মবিশ্বাস আসবে। 

মোবাইল দিয়ে অনেক উপায়ে আয় করা যায়,আয় করাটা খুব বেশি কঠিন না, কিন্তু সময় গুলোকে খুব সুন্দর করে কাজে লাগাতে হবে।সময়গুলোকে যথোপযোগী ব্যবহার করতে হবে।অবসর সময়ে  আমরা ফেসবুক দিয়ে আয় করতে পারি, ইউটিউব ব্যাবহার করে আয় করতে পারি।টুইটার, ইনস্টাগ্রাম,টেলিগ্রাম,  স্নাপচ্যাট ইত্যাদি দিয়ে আয় করতে পারি।

এছাড়া মোবাইল থেকে আর্ন করার জন্য আরও বেশ কিছু সাইট আছে। যে সাইটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার মধ্যে একটি সবথেকে জনপ্রিয় সাইট হল ওয়ার্ক আউট জব। নিচে ধাপে ধাপে বিভিন্ন অ্যাপস এবং সাইটের আলোচনা করা হলো। 

১। ফেসবুক থেকে কী ভাবে আয় করা যায়?

ফেসবুক থেকে আমরা  তিন ভাবে আয় করতে পারি  ফেসবুক মার্কেটিং,পেইজ মনিটাইজ,,এডড স্পনসর। 

ফেসবুক থেকে আয়  কবার প্রথম মাধ্যম হলো ফেসবুক মার্কেটিং। ফেসবুক মার্কেটিং হলো ফেসবুক এ বিভিন্ন পন্যের  ছবি বা ভিডিও আপলোড করে এড দেওয়া। এবং এসব পন্য সামগ্রিই বিক্রি করার নামই হলো ফেসবুক মার্কেটিং। আর এই পণ্য গুলো যে কোনো জিনিস হতে পরে। 

ফেসবুক মার্কেটিং  থেকে আয় করতে গেলে একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হবে,ফেসবুক একাউন্টেসবসময় অরিজিনাল নাম দিয়ে খোলার চেষ্টা করবেন।

আর একাউন্টে একটা পেজ খুলেতে হবে এবং ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী খুলতে হবে।  সেই পেজটা এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যেন, প্রথমে একটা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে, হতে পারে সেটা পোশাক,ডিজাইন, কসমেটিক্স,ফেসওয়াস, বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি।

 যে ক্যাটাগরির পণ্য বিক্রি করব, সেই রিলেটেড নাম দিতে হবে যেটা ইউনিক হতে হবে , সেই রিলেটেডে পেজটাকে সাজাতে হবে,সবসময় ইউনিক আকারে সাজাতে পারলে বেশি ভালো হয়।

যেমন, পোশাক সেল করার পেজ ক্রিয়েট করলে, তার নাম দিতে পারি ইউনিক ক্লথ সপ।এমন ভাবে নাম দিতে হবে। এবং এই পেজে বিভিন্ন রকমের পোশাকের এডড দিতে হবে, সব সময় ইউনিক পোশাকের কালেক্ট করার চেষ্টা করতে হবে।

 পোশাকের মারকেটিং টা ফেসবুক অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই ফেসবুক মার্কেটিং টা করলে অনেক ইনকাম করা যায় কারণ প্রতিনিয়ত মানুষ পোশাক ক্রয় বিক্রয় করে থাকে ফেসবুকে। 

কিন্তুু এখন কথা হলো পোশাকের এড দিবো কিন্তু পোশাক পাব কোথায়? 

হ্যা পোশাক পাওয়ার অনেক জায়গা আছে, দারাজ কম্পানির সাথে এডড থাকতে পারি।বর্তমানে দারাজ কোম্পানি একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় সাইট। এখানে অনেক উন্নত মানের পোশাক সামগ্রী পাওয়া যায়।

যেগুলোর এড দিয়ে খুব দ্রুতই সেল করা যায়।  তাছাড়া বিভিন্ন সেলার গ্রুপ আছে ফেসবুকে যাদের সাথে এড হয়ে থাকতে পারি।এদের সাথে এড হয়ে বিভিন্ন রকমের পোশাক কালেকশন করতে পারি। ইউনিক হওয়ার চেষ্টা করবেন কালেকশনগুলো। 

এই পোশাক গুলোর এডড দিয়ে একটা দাম লিখে দিতে হবে যা দিয়ে আপনি নিচ্ছেন তার থেকে একশ অতবা দুইশ টাকা বেশি লিখে রাখবেন, অনেক ক্রেতা দামাদামি করবে তারপার আপনার লাভরেখে বিক্রি করে দিবেন। ক্রেতাদের সাথে সবসময় সুন্দর ভাবে কথা বলতে হবে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। এতে ক্রেতারা আপনার উপর আকর্ষিত হবে। 

এছাড়া আরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার পেজের এডড অথবা প্রোড্যাক্ট গুলোর এড ছড়িয়ে দিবেন, সব সময় সততার সাথে কাজ করবেন, তাহলে ইনকাম ভালো হবে। আপনি ও কোনো সময় ঠকবেন না। 

ফেসবুক থেকে আয় কবার দ্বিতীয় মাধ্যম হলো ফেসবুজ মনিটাইজ।ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে ইউনিক শর্ত পূরণ করার মাধ্যমে মনিটাইজেশন পাওয়া যায়। ফেসবুক মনিটাইজ হলে সেখান থেকে আয় কবার যায় বিপুল পরিমান একটা টাকা। ফেসবুকে মনিটাইজ পাওয়ার অনেক গুলো শর্ত আছে।শর্তগুলো মেইনটেইন করলে খুব সহজে মনিটাইজেশন পাওয়া যায়।  নিচে শর্ত গুলো - 

১। প্রতিটা ভিডিও ইউনিক হতে হবে। ভিডিও গুলো কপি হলে কপিরাইট আইনে ক্লেইম আসতে পারে। তাই কোনো ভিডিও কপি করা যাবে না।

২। প্রতিটা ভিডিওর ওয়াচ টাইম সর্বনিম্ন তিন মিনিট হতে হবে। তিন মিনিটের কম হলে ভিডিও গুলোর ভিউ হিসেবে গন্য হবে না।সুতারং ভিডিও গুলোর ভিউ বাড়াতে ও বিজ্ঞাপন দেখানোর উপযুক্ত হওয়ার জন্য ভিডিও টি  তিন মিনিটের বেশি হতে হবে। তিন মিনিটের কম ভিডিও করলে এতে আপনারই লস। 

৩। ফেসবুক পেজে ১০০০০ফলোয়ার থাকতে হবে বাধ্যতা মূলক। কম হলে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করা যায় না। 

৪। ফেসবুক পেজে ৬০দিনের ভিতরে এক লক্ষ আশি হাজার মিনিট  ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। 

৫। পেইজে ৬০ দিনের ভিতরে ১৫ হাজার ইঙ্গেটস মেন্টস থাকতে হবে। 

৬। কন্টেট অবশ্যই ফেসবুক স্টান্ডার্ট হতে হবে। ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী কনটেন্টগুলো তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে। 

৭। ফেসবুকের প্রতিটি সীমা আছে যেগুলো মেইন টেইন করে ফেসবুকের ভিডিও আপলোড দিলে ভিডিও টি ভাইরাল হবে এবং তাড়াতাড়ি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করা যাবে।

ফেসবুক থেকে আয় কবার তৃতীয় মাধ্যম হলো বিজ্ঞাপন স্পনসর। বিজ্ঞাপন স্পন্সর এটি বছর খানেক আগে এসেছে ফেসবুকে। কনটেন্ট এর মধ্য  বিজ্ঞাপন বিরতি দিয়ে প্রকাশকদের অর্থ উপার্জনের একটি পথ খুলে দিয়েছে ফেসবুক।

কনটেন্টটি স্টান্ডার্ড আর ফেসবুক মনিটাইজ এলজিবিলিটি স্ট্যান্ডার্ড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে যে কেউ ভিডিও এর মধ্য বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে।

এতে দুইভাবে বিজ্ঞাপন এড করা হবে। একটা হল নিজের বিজ্ঞাপণ অন্যটা হল ফেসবুক কোম্পানির বিজ্ঞাপন। ফেসবুক কোম্পানির বিজ্ঞাপনে ফেসবুক কোম্পানির আই ভিডিওর ভিতর এড করে থাকে। নিজেরটা নিজে করে টাকা ইনকাম করতে হয়। 

এছাড়া ফেসবুক থেকে আরো অনেক উপায় আর্ন করা যায়। যেগুলো থেকে ইনকাম করা  তুলনামূলক একটু কষ্টকর। 

২। ইউটিউব দিয়ে কী ভাবে আয় করা যায়?

ইউটিউব দিয়ে দুই ভাবে ইনকাম করা যায়, প্রথম হলো চ্যানেল মনিটাইজেশন পেয়ে, দ্বিতীয় হলো ভিডিও স্পনসর। 

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম

চ্যালেন মনিটাইজ ফেসবুকের মতোই করে কিন্তু শর্ত গুলো ভিন্ন ভিন্ন। ইউটিউব মনিটাইজ হওয়ার প্রথম শর্ত চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব সংখ্যা ১ হাজার হতে হবে। এর কম হলে হবে না।

দ্বিতীয় শর্ত ভিডিওর ভিউস টাইম ৪০০০ ঘণ্টা হতে হবে, সেটা হতে পারে একটা ভিডিও থেকে অথবা অথবা সমস্ত ভিডিওগুলোর থেকে। 

প্রথমে আপনাকে একটা জিমেইল একাউন্ট খুলতে হবে, এবং সেই জিমেইল দিয়ে একটা ইউটিউব একাউন্ট খুলতে হবে, ইউটিউব একাউন্ট এর নাম সব সময় ইউনিক হতে হবে এবং যে ক্যাটাগরির ভিডিও করবে সেই রিলেটেডে নাম দিতে হবে, আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবেন, সেটা হতে পারে ফানি ভিডিও, রোস্ট ভিডিও, ইসলামিক ভিডিও,  ব্লগ ভিডিও, এছাড়া আপনি যদি ভালো ছাত্র ছাত্রী হয়ে থাকেন। 

তাহলে আপনি যে বিযয়ে ভালো পারেন, যেমন ম্যাথ বা ইংরেজি, যে সাবজেক্ট ভালো পারেন তার উপর একটা ভিডিও করে আপলোড করবেন এতে আপনার   দক্ষতা ও বাড়বে এবং  টাকা ও ইনকাম হবে। 

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের পথ অনেক আপনি যেকোনো একটা বিষয়ে উপর একটু ভালো করে ভিডিও করলে ভালো একটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউবে সব সময় ইউনিক ভিডিও আপলোড দিবেন, কারো কন্টেট কপি করে সেই ভিডিও আপলোড দিলে কপিরাইট ক্লেম আসতে পারে এতে আপনার চেনেল নষ্ট হতে পারে। 

আর নিজের ভিডিও তে নিজে ফেস থাকলে আপনি তাড়াতাড়ি মনিটাইজেশন পাবেন। তাই ভিডিও তে নিজে থাকার চেষ্টা করবেন। 

ইউটিউব যে সময় যে নতুন নতুন আপডেট গুলো দেয় সেগুলো মেনে চলতে হবে এতে ইউটিউব অ্যালগরিদম আপনার ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে এতে করে ভিউস বাড়বে। ইউটিউব এ ভিউস এর উপরেই টাকা দিয়ে থাকে।

এবার প্রশ্ন হলো কত ভিউস এ কত টাকা, 

আসলে কত ভিউস এ কত টাকা বলা যায় না সঠিক ভাবে, কারণ ভিডিও টার ওয়াচ টাইম কত বেশি না কম এর উপর ও ডিপেন্ড করে ইউটিউব এর ইনকাম।

তবে সাধারণত দেখা যায় ৪০০০ ভিউস এ ১ ডলার মানে ৮৫ টাকা দিয়ে থাকে। তবে এটা আনুমানিক ভাবে, এর থেকে বেশি ও হতে পারে, কম ও হতে পারে। 

অনেকেই বলে থাকে নাকি সাবস্ক্রাইবের উপর টাকা দিয়ে থাকে। কিন্তু এটা একদম ভুল। ইউটিউব সাবস্ক্রাইব এর উপর কোনো টাকা দিয়ে থাকে না। তবে সাবস্ক্রাইব দরকার আছে।

কারণ সাবস্ক্রাইব এর উপর ভিত্তি করে ইউটিউব আপনার জনপ্রিয় তা দেখেন। যার সাবস্ক্রাইব যত বেশি তার জন প্রিয়তা তত বেশি। সাবস্ক্রাইব এর ভিত্তি তে প্লে বাটন দিয়ে থাকে। ১০০ কে সাবস্ক্রাইব হলে সিলভার প্লে বাটন দিয়ে থাকে।   ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইব হলে গোল্ডেন প্লে বাটন দিয়ে থাকে। এভাবে আরো তিনটি বাটন আছে, মোট পাচটি প্লে বাটন আছ।

এই প্লে বাটন গুলো বিক্রি করা যায় না। 

আর দ্বিতীয় মাধ্যম হলো ভিডিও স্পনসর। যেটা ফেসবুকের মতো। নিজের ভিডিও মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা যায়। 

বিভিন্ন কম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের ভিডিও গুলো বিজ্ঞাপন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে একটা বিনিময় টাকা নেওয়া যায়। যেটা ইনকামের একটা উৎস। এছাড়া ইউটিউব নিজের একটা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে সেগুলো বিনিময়ে কোনো টাকা পাওয়া যায় না। কিন্তু এই এডড এর বিনিময়ে ইউটিউব টাকা দিয়ে তাকে।।

৩। টেলিগ্রাম থেকে কিভাবে আয় করবেন? 

প্রথমে একটা টেলিগ্রামে একাউন্ট করতে হবে।এবং আাপনার ফ্রেন্ডদের নিয়ে একটা গ্রুপ খুলবেন। এরপর আরো ইনভাইট করে গ্রুপে লোকজন বাড়াবেন।  গ্রুপে লোক যত বেশি হবে আপনার ইনকাম ও তত বেশি হবে। 

আপনি দেখবেন বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে আর্নিং অ্যাপ দিয়ে থাকে যেগুলোতে রেফার করে ইনকাম করা যায়। এই চ্যানেল গুলো সাবসক্রাইব করে রাখবেন, এবং এই এপ গুলো টেলিগ্রামে সেয়ার করবেন এতে আপনার অনেক রেফার হবে এবং ইনকাম ও অনেক ভালো হবে। 

 

৪। ইমো দিয়ে কিভাবে ইনকাম করবেন? 

ইমো দিয়ে ইনকাম করতে চাইলে আগে ইমোর একটা একাউন্ট লাগবে, এবং ইমো তে একটা লাইভ সেশন হয়, আপনি নিজে ও লাইভ করবেন এবং কিছু কয়েন থাকে যা ভিউয়ার রা দিয়ে থাকে। ওই কয়েন গুলো যদি আপনাকে দেয় তাহলে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৫। ওয়ার্কআউট জব সাইট এ কাজ করে কিভাবে ইনকাম করেন?

ওয়ার্ক আপ জবে ইনকাম করা একদম সহজ। তবে ওয়ার্ক আপ জবে ইনকাম করতে গেলে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্যের প্রয়োজন। যার ধৈর্য্য নেই সে এই কাজটা করতে পারবেনা।

এখানে কাজ করতে গেলে প্রথমে একটা একাউন্ট খুলতে হবে।অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজন তেমন কিছু না তবে আইডি ভেরিফাই করতে ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম সনদের প্রয়োজন হবে, ভেরিফাই ছাড়া এখানে কাজ করা যায়।তবে কাজ করতে পারলে ও টাকা তুলা যায় না।

এখানে বিভিন্ন রকমের কাজ আছে তবে, সবচেয়ে বেশি কাজ হলো ইউটিউব এর কাজ।ইউটিউব এর সাবস্ক্রাইব এর কাজ করা। এটা করতে অবশ্যই একটা জিমেইল এর প্রয়োজন হবে। জিমেইল ছাড়া তো ইউটিউব খুলা যায় না তা হলে আপনি সাবস্ক্রাইব করবেন কি করে।

এরপর ইউটিউব এব ওয়াস টাইম দেখার কাজ মানে ভিডিও দেখার কাজ। এরপর ফেসবুকে ফলো করা, ইন্সাগ্রামে ফলো করা, টুইটারে ফলো করা, ডিসকয়ার্ড এ ফলো কাজ এমন অনেক ফলো কাজ করা যায়। 

এছাড়া বিভিন্ন এ্যাপের রেফারের কাজ, বিভিন্ন রকমের অ্যাপের রিভিউ এর কাজ। বিভিন্ন সাইটের রেফারের কাজ, করা যায় এখানে বেশির ভাগ কাজ করলে ০.০১৬ সেন্ট ডলার করে দিয়ে থাকে।

যা অতি নগন্য টাকা তবে টাকা মার যাওয়ার কোনো ভয় নাই। এখানে ৩.৫২৯ ডলার বাংলাদেশের ৩০০ টাকা হলে উইথড্র করা যায়। এখনে কাজ করতে প্রচুর ধর্য্যের প্রয়োজন। এখনের কাজ গুলো যে কেউ করতে পারে তাই যারা একদম নতুন তার এখন থেকে কাজ শুুরু করতে পারেন। 

বাংলাদেশের একটা বড় সাইট ওয়ার্ক আপ জব। আমি নিজে ও কাজ করি। এখানে নিজেদের ইউটিউব এ সাবস্ক্রাইব বাড়তে চাইলে বাড়াতে পারেন। একূম সহজে এবং কোনো সমস্যা ছাড়াই। এই সাইটা ইনকামের জন্য অনেক ভালো এখানে কাজ করে দিনে ৩০০ টাকার কাজ করা সম্ভব। কিন্তুু কাজ করতে ধর্য্য প্রয়োজন। তাই যাদের ধর্য্য আছে তারাই কাজ টা করবেন নয়তো অর্ধেক করে হাপিয়ে যাবেন।

এছাড়া বাংলা দেশে আরো অনেক সাইট আছে।

৬। এডমোভ অ্যাপ দিয়ে আয় করবেন কিভাবে?

এডমোভ অ্যাপ এর কাজ গুলো খুবই সহজ। এখান থেকে দিনে ৫০০ - ৬০০ টাকা ইনকাম করা যায় খুব সহজে।  এডমোভ এ্যাপের কাজ গুলো হলো এড দেখা। এর থেকে সহজ কাজ আর নাই। 

এডমোভ অ্যাপ এর কাজ গুলো ছোট বাচ্চারা ও করতে পারে। এতোতাই সহজ কাজ। কাজের নিয়ম গুলো হলো, 

সাধারণত এডমোভ এ্যাপ গুলোতে পাচটা এ্যাড দেখতে হয়। তরে ব্যাতিক্রম ও আছে, কম বেশি হতে পারে এই এড গুলো দেখতে হয় ৫ বা১০ সে,  পরে শেষ যে একটা এডড  আসে ওই এড এ ক্লিক করতে হয়।এবং এই এডড টা দেখতে হয় একটু বেশি সময় ধরে। এই এডড এর ক্লেিম করলে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।

এখানে অনেক কম সময়ে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। তবে এই অ্যাপ গুলে সব সময় আসে না, এই অ্যাপ গুলো মাসের শেষের দিকে মানে ২৬  - ১ তারিখ এর মধ্য এসে থাকে মাত্র ৫-৬ দিন থাকে। এই ৫-৬ দিনে ৩-৪ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। যা অন্য জায়গা থেকে ইনকাম করা অনেক কঠিন। 

এই অ্যাপ গুলো তে রেফার করে আরো বেশি টাকা ইনকাম  করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন একটা গ্রুপ তবে এই কাজ গুলোর লিংক সাধারণত টেলিগ্রাম এ দিয়ে থাকে। যা ম্যাসেন্জারে নেওয়া যায় না।তাই গ্রুপটা টেলিগ্রামে খুললে ভালো হবে এতে কোনো ঝামেলা হবে। 

আর এই অ্যাপ গুলো তে কাজ করতে ভিপিএন প্রয়োজন হয়। ভি পি এন ছাড়া কাজ করা যায় না। কারণ কাজ গুলো বাইরের দেশের কাজ। তাই ভিপি এন ছাড়া কাজ করা পসিবল না।এই কাজ গুলো করতে, টারবো ভিপি এন এবল সুপার ভি পি এন অনেক ভালো কাজ করে।কাজ করে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

এখন কথা হলো এডমোভ অ্যাপ গুলো কোথায় পাব। 

এই অ্যাপ গুলো পাব টেলিগ্রামে, টেলিগ্রামে সার্চ বাটনে এডমোভ এপ দিয়ে সার্চ দিলে অনেক অ্যাপের নাম চলে আসবে এর ভিতর জেটাতে বেশি লোক সাবস্ক্রাইব করেছে ওই এ্যাপ এ কাজ করবেন তাহলে সঠিক অ্যাপ পাবেন। 

এক ক্লিক এ ১২ টাকা ১৫ টাকা দেখে সেই অ্যাপ গুলোতে যাবেন না এতে তো কোনো টাকা দিবে না বরং কাজ টাই ব্রিতা যাবে এতে আপনার লস হবে।আম ও যাবে সালা ও যাবে। কোনো লাভ হবে না। তখন হবে অতি লোভে তাতি নষ্ট।

৭। বিকাশ দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে?

বিকাশ দিয়ে কি আসলেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব এমন প্রশ্ন অনেক মাথায় ঘুরতেছে।  অনেকে তো পোস্ট দাতাকে গালি দেওয়া শুরু করেছে। কি ঠিক বলছি তো আমি নাকি ভুল বলছি। একটুকু ও ভুল হওয়ার কথা না। কারণ এটা বলার কথা। তবে নতুন একটা আপডেট দিছে বিকাশ যেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। 

বিকাশ থেকে রেফার করে বিরাট একটা টাকা ইনকাম করা যায়। এখন বিকাশ এ রেফার করে মানুষ লাক টাকা ইনকাম করছে।আপনার রেফার লিংক দিয়ে যদি কোনো নতুন গ্রাহক বিকাশে একাউন্ট খুলে তবে আপনি পাবেন ১৫০ টাকা আর সে পাবে ১৫০ টাকা। কী বিশ্বাস হচ্ছে না। বিস্বাস না হওয়ার কথা।কিন্তু একবার বিশ্বাস করে রেফার করে দেখেন টাকা পান নাকি না পে তার পর বলে। আপনার তো কোনো টাকা খরচ হচ্ছ না তবে কর দেকলে সমস্যা কোথায়। একরার করেই দেকেন না। 

এছাড়া বিকাশ অ্যাপ এ আরও নতুন একটা আপডেট এসেছে । সেই নতুন আপডেট টা হল বর্তমানে বেশি বেশি লেনদেনের কারণে নতুন ভাবে পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে। পয়েন্ট এর মাধ্যমে এ পুস্কার গুলোতে ভুষিত করা হচ্ছে। এই পয়েন্ট গুলোর বিভিন্ন নামে ভাগ করা হয়েছে, যে নাম গুলো হল ,ব্রঞ্জ সিলভার, টাইটেনিয়াম,গোল্ড, প্লাটিনাম, হীরা।এটা মান আনুযায়ী সাজানো হয়েছে। সব থেকে কম ব্রঞ্জ এবং বেশি হীরা। 

প্রতিটি স্তরে আপনি আপনার পুরস্কার গুলো পয়েন্ট এ ব্যাবহার করতে পারেন, যা টাকা ইনকমের একটা সুযোগ। খুব ভালো লাগে এই আপডেট টা। বেশ দারুন তাই না।

আপনি যে পয়েন্ট গুলো পাবেন ওই পয়েন্ট গুলো খরচ করে ক্যাশ ব্যাক পাবেন, যা আপনি সকল কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন। এছাড়া আরো অনেক সুযোগ দিয়েছে বিকাশ। বিভিন্ন রকম বট আনছেন বিকাশ যেগুলো থেকে ও টাকা ইনকাম করা যাইতেছ।

খুব সহজে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায় এই বট গুলো কাজ শুধু বিকাশ অ্যাপের বেফার করা। দিনে ২০ -৩০ রেফার করা যায় যেখান থেকে ওনেক টাকা ইনকাম করা যায় খুব সহজে।তাই আর দেরি না করে আসুন আমরা সবাই অনলাইনে কাজ করি এবং নিরাপত্তার সাথে টাকা ইনকাম করি কোনো কষ্ট  ছাড়া।

এছাড়া ইনকামের আরো অনেক সাইট এবং এ্যাপ আছে যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। তবে বেশি টাকা দেখে কোনো সাইট না অ্যাপের কাজ করতে যাবেন না। তাহলে ধোকা খেতে পারেন। তাই সব সময় দেখে শুনে কাজ করবেন। কম টাকা দিলেও যে কাজ গুলো মনে হবে রিয়েল কাজ গুলো করবেন। রিশেল কাজ গুলাতে এড ফি নেয় না। এটা সব সময় বুঝবেন। তাই  সবাই সঠিক ভাবে কাজ টাকা করেন।

টেলিগ্রাম এ্যাপ এ অনেক কাজ আছে তাই সবাই টেলিগ্রাম অ্যাপ টা নামাবেন। এবং বিভিন্ন সাইট দিয়ে সার্চ করে বিভিন্ন অ্যাপ পাবেন। এই এ্যাপ গুলাতে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এডমোভ এ্যাপ এর কাজ গুলো সাধারণত ফেক হয় না তাই এডমোভ এ্যাপ এর কাজ গুলো করতে পারেন।এই এ্যাপ গুলো মধ্য সবচেয়ে ভালো এ্যাপ গিলো হলো, গ্রোথ আর্ন অ্যাপ,ডেইলি পে, ওয়েব পে,ক্যাস পে, ইত্যাদি।এই এ্যাপ গুলো এডমোভ এ্যাপ এর মধ্য বেস্ট এ্যাপ।

সবাইকে অনলাইনে কাজ করার জন্যে উৎসাহ রইল।সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন। পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

গল্পের লেখক।