আপনি কি ছাত্র? টাকার অভাবে পরাশোনা করতে পারছেন না? পরালেখার পাশাপাশি কিছু ইনকাম করতে চান? নিজের পরালেখার খরচ নিজে চালাতে চান? পকেট মানির খরচ নিজে উপার্জন করতে চান? অযথা সময় না কাটিয়ে এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চান। তাহলে, এই লেখাটি আপনার জন্য৷
আজকাল প্রায় দেখা যায় যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়ে তাদের পরালেখার ক্ষেত্রে অর্থের অভাব দেখা যায়। নিম্নবিত্তদের কথা নাহয় বাদই দিলাম। কেউ নিজের পরালেখর খরচ নিজে চালানের জন্য অনলাইনে ইনকাম করতে চায়। যে যেই কারনেই অনলাইনে ইনকাম করতে চায় না কেন মূল কাজটা তো হচ্ছে অনলাইনে ইনকাম।
আমরা আপনাদের জন্য অনলাইনে ইনকামের কিছু উপায় নিয়ে এসেছি। এই উপায়গুলোর মাধ্যমে আপনি একটু কাজ করেই অনলাইনে ইনকম করতে পারেবন। এখানে এমন কিছু কজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যে কাজগুলো শিখতে খুব বেশি সময় লাগবে না আর আপনার উপার্জন ও খুব কম যে হবে তা কিন্তু নয়৷
অনলাইনে উপার্জন করার অনেক উপায় আছে সে উপায় গুলোকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথম ভাগ হচ্ছে আপনি নেট চালাতে জানলেই এই কাজগুলো করতে পারবেন। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে সেই কাজগুলো যে কাজগুলো আপনাকে কয়েকদিন শিখতে লাগবে। আর উপার্জন ও মোটামুটি ভালো মানের হবে।
তৃতীয় ভাগে রয়েছে সে কাজ গুলো যে কাজ গুলো করতে হলে আপনাকে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত দক্ষতা অর্জন করতে লাগে। এই কাজে যতবেশি দক্ষতা অর্জন করবেন আপনার ইনকাম ও তত বেশি হবে।
আপনি যেহেতু ছাত্র সেহেতু আপনার জন্য দ্বিতীয় মাধ্যম টিই আমার মতে বেষ্ট হবে। কারন, প্রথম ভাগের কাজগুলো করতে গেলে আপনার মোবাইল এর ডাটা খরচই উঠাতে পারবেন না। তৃতীয় ভাগের কাজগুলো করতে হলে আপনাকে অনেকদিন চেষ্টা করতে হবে যেই সময়টা আপনার কাছ নাও থাকতে পারে৷
কম সময়ে শিখে টাকা উপার্জন করা যায় তার মধ্য পাঁচটি ভালো মানের কাজ নিয়ে আমরা এই লেখাটি লিখবো।
যে সকল কাজ ছাত্রদের জন্য উপযোগী
ছাত্রদের জন্য কিছু কাজ উপযোগী হলেও আমরা পাঁচটি কাজ নিয়ে আলোচনা করবো৷ এই পাঁচটি কাজের মধ্যে যে কোন একটা কাজ শুরু করে দিন। কাজ পাঁচটি হচ্ছে-
১.মাইক্রোজব
২.আর্টিকেল রাইটিং
মাইক্রোজব করে ইনকাম
মাইক্রোজব কথাটা শুনলেই মনে হয় কাজটা খুবই সহজ। আসলেই কি কাজটা সহজ? হ্যা, বন্ধুরা নামের মতই কাজটি খুবই সহজ। আপনারা যারা অনলাইনে নতুন ইনকাম করতে এসেছেন তারা অনেকেই জানেন না মাইক্রোজব কাকে বলে। যারা অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে জানে তাদের মধ্যে ও বেশির ভাগই জানে না মাইক্রোজব কাকে বলে। চলুন আগে জেনে নেয়া যাক মাইক্রোজব কাকে বলে?
মাইক্রোজব কাকে বলে
মাইক্রোজব শব্দটিকে ব্যখা করলেই মাইক্রোজব শব্দের অর্থ খুজে পাওয়া যায়। মাইক্রোজব শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট কাজ। অর্থাৎ, মাইক্রোজব মানে হচ্ছ ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করা।
মাইক্রোজব মানে হচ্ছে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করা। কিন্তু, এই ছোট ছোট কাজগুলো কি কি? সেটা তো জানানে হলো না চলুন জেনে নেয়া যাক।
মাইক্রোজবে কি কি কাজ পাওয়া যায়
মাইক্রোজবে যেসব কাজ পাওয়া যায় সেগুলো আসলেই ছোট। এত ছোট কাজ অন্য কোথাও পাবেন না। কাজগুলোর মধ্যে কিছু কাজ নিয়ে বললে আপনি বুঝতে পারবেন। কিছু উদাহরণ দেয়া হলো-
১.এই ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আস
২.এই লিংকে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্টে কর
৩.এই লিংকে গিলে অ্যাপটি ডাউনলোত কর
৪.এই রেফার কোড দিয়ে এই লিংকে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি কর
এসব কাজ গুলো হচ্ছে মাইক্রোজব এর কাজ৷ এই কাজগুলো কি খুব কঠিন। এর চেয়ে সহজ কজ আপনি অন্য কোথাও পাবেন না। উপরের মত কিছু কাজ আপনাকে করতে হবে সেই কাজগুলো করে আপনাকে সেই কাজের প্রমান চাইবে। প্রমান হিসেবে চাইতে পারে স্কিন শর্ট অথবা আপনি যে মেইল দিয়ে একাউন্ট করেছেন সেই মেইলটি। এই কাজটি করতে কত সময় লাগে বলুন।
মাইক্রোজব কাজ কোথায় পাবেন
মাইক্রোজব এর কাজ আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। তার মধ্যে কিছু সাইট আছে বাংলাদেশি আবার কিছু সাইট আছে বিদেশি। দেশি সাইটের চেয়ে বিদেশি সাইটই বেশি। দেশি সাইট ও বিদেশি সাইট গুলোর মধ্যে যে পার্থক্য গুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে আপনাদের জানানো হলো-
দেশি ও বিদেশি সাইট গুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। চলুন প্রথমে দেশি সাইটগুলো নিয়ে আগে আলোচনা করা যাক-
দেশি সাইটগুলোতে কাজের পরিমান কম। এটি হচ্ছে প্রধান সমস্যা। আরও কিছু সমস্যা আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে এখানে এক-একটি কাজের জন্য আপনি যে পরিমান টাকা পাবেন সে পরিমান কাজ আপনি বিদেশি সাইট গুলোতে করলে বেশি পাবেন তাই বেশিরভাগ মানুষই বিদেশি সাইট গুলোতে কাজ করে। এখানে কাজ করলে কাজ কম, টাকা কম পাবেন।
সবই কি নেগেটিভ দিক একটা ও পজেটিভ দিক নেই?
থাকবে না কেন। এখানকার সবচেয়ে যে দিকটি পজেটিভ সেটি হচ্ছে এখানে আপনি টাকা বিকাশে পেয়ে যাবেন। অনেকে বলবে এটি আবার কি পজেটিভ দিক। যারা অনলাইনে কাজ করে তারাই জানে এটি কত বড় সুবিধা। আপনারা ও জেনে যাবেন।
বিদেশি সাইট গুলোতে কাজ করলে আপনি যে পরিমান অর্থ পাবেন সেই অর্থের পরিমান দেশি সাইট এর চেয়ে বেশি। এখানে কাজ এর ও অভাব নেই। এখানে একটি সমস্যা হচ্ছে টাকা তুলতে গিয়ে। বিদেশ থেকে টাকা আনতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পরে যান। কেননা টাকা তো আপনি বিকাশে পাচ্ছেন না। তারা টাকা দিবে পেপাল ও পেওনিয়ার এর মাধ্যমে। যেটা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না৷ এর জন্য পরে অসুবিধায় পরতে হয়।
আপনি যে সাইটে কাজ করবেন সে সাইট সম্পর্কে আগে জানুন। তারা কি কি উপায়ে টাকা দেয়। সেটি সম্পর্কে যদি জেনে থাকেন তাহলে কাজে নেমে পড়ুন আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে সেটি সম্পর্কে জেনে কাজে লেগে পরুন নয়তো কাজে নামবেন না। নামলে টাকা উঠাতে গিয়ে সমস্যায় পরবেন।
মাইক্রোজব কাজ করে মাসে কত ইনকাম করা যায়
মাইক্রোজব কাজ করে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এখানে এক -একটি কাজের জন্য ০.২$-০.৭$ পেয়ে যাবেন। একটা কাজ করতে সর্বোচ্চ ২-৩ মিনিট লাগতে পারে। এত কম সময়ে এই পরিমান টাকা ইনকম করা খুবই কম কাজে করা যায়।
মাইক্রোজব করে কি ক্যারিয়ার গঠন করা যায়
না বন্ধুরা, মাইক্রোজব করে ভালে কোন ক্যারিয়ার আশা করা যায় না। কারন, এই কাজের কোন উন্নতি নেই। এখন যে কাজটা করবেন তার ঠিক ১০ বছর পরে ও আপনাকে এই কাজটিই করতে হবে। তাই এই কাজ করে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব না।
আর্টিকেল রাইটিং
আর্টিকেল রাইটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয় তা জানার আগে জানতে হবে আর্টিকেল রাইটিং কাকে বলে। আর্টিকেল কাকে বলে সেটা যদি আমি না জানি তাহলে আর্টিকেল লিখবো কি করে।
আর্টিকেল কাকে বলে
আর্টিকেল কাকে বলে সেটা বলার চেয়ে দেখিয়ে দেয়া ভালো কাজ নয়কি। আপনাদের দেখিয়ে দিলে বরং আপনারা ভালো বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখা যাক-
এখন আপনারা যে লেখাটি পরছেন সেটি হচ্ছে একটি আর্টিকেল। আপনাকে এমন কিছু লেখা লিখতে হবে। আরও কিছু আর্টিকেল দেখতে চাইলে আপনি এই সাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। আপনারা যতগুলো লেখা পাবেন সব লেখা গুলো এক-একটি আর্টিকেল এর অংশ। সম্পুর্ন লেখাটি হচ্ছে একটি আর্টিকেল।
আমিতো লিখতে জানি না কিভাবে লিখবো
অনলাইনে যারা লিখালিখার কাজ করে তারা সবাই একদিন কিছুই জানতো না চেষ্টা করতে করতেই এই লিখা গুলো লিখতে পারছি। আমি যখন নতুন ছিলাম তখন আমি ও কিছু লিখতে পারতাম না। অনেক খারাপ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি।
তেমনি, এখন আপনি হচ্ছেন নতুন। এখন তোমাকে আগে লিখতে শিখতে হবে। লিখতে শিখার আগে আপনি একটা কাজ করুন এতে আপনার অনেক উপকার হবে।
কাজটা হচ্ছে- আপনি যে বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক সে বিষয় সম্পর্কে কিছুদিন পরাশোনা শুরু করুন। তার জন্য অনলাইনে যেসব আর্টিকেল আছে সেগুলো পরুন৷ তার পাশাপাশি কোন বই থাকলে সেটি ও পরতে পারেন৷
তারপর, আর্টিকেল লিখার নিয়ম টা জেনে নিন। কিভাবে হেডিং দিতে হয়, কিভাবে লিংক দিতে হয় কিভাবে পিকচার দিতে হয় আরো যেসব কাজ আছে সেগুলো সম্পকে জেনে নিন।
জেনে নেওয়ার পরে, কাজ করতে শুরু করে দিন। এসব জানতে আপনার ১ সপ্তাহ এর মত সময় লাগতে পারে।
আর্টিকেল লিখাতে কেমন ইনকাম হয়?
আর্টিকেল দুইভাবে লিখতে পারেন। দেশি সাইটে অথবা বিদেশি সাইটে। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন সাইকে কি রকম টাকা দেয়া হয়-
দেশি সাইটে আর্টকেল লিখুন
দেশি সাইটে আর্টিকেল লিখতে গেলে আপনি কম পরিমান যে টাকা পাবেন তা কিন্তু নয় এই টাকার পরিমান মোটামুটি ভালো। প্রথম অবস্থায় দিনে ২-৩ ঘন্টা সময় দিন। এতে ১০০-১৫০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ধীরে ধীরে আপনার হাত পাকা হলে ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। তখন মাসে ২০ হাজার এর মতো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বিদেশি সাইটে আর্টিকেল লিখুন
বিদেশি সাইট গুলোতে কাজ করতে গেলে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে। তার পাশাপাশি আপনাকে আর্টিকেল লিখাতেও দক্ষতা থাকতে হবে। নয়তো আপনি এখান থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। আরও একটি সমস্যা আছে সেটি হচ্ছে পেমেন্ট মেথড। সেটা নিয় কিছুক্ষণ আগে আলোচনা করলাম তাই সেটা নিয়ে লিখার চেয়ে না লিখাই ভালো।
আর্টিকেল লিখার কাজ করে ক্যারিয়ার গঠন সম্ভব কি
আর্টিকেল লিখাতে আপনার হাত যত পাকা হবে অর্থাৎ আপনি আর্টিকেল লিখাতে যতবেশি দক্ষতা অর্জন করবেন আপনি তত বেশি উপার্জন করবেন৷ অনেকে শেষে আর্টিকেল লিখাতে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। এই কাজ করে আপনি যদি কোন দিন চাকরি না পান তাহলেও কন সমস্যা নেই। আপনি এই কাজ করে চলে যেতে পারবেন। পরে আপনি চাইলে নিজের ব্লগ সাইট খুলে ফেলতে পারেন। এটি করলে আপনাকে কোনদিন চাকরির আশা করতে হবে না।
শেষ কথা
আপনারা যে কাজই শুরু করুন না কেন। প্রথমে টাকা পাবেন না পেলেও খুব কম পরিমানে পাবেন। চেষ্টা করতে থাকুন। সফল হবেনই।
Good
You must be logged in to post a comment.