২০২১ সালে দাঁড়িয়ে কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় সামাজিক যোগাযোগসম্পর্কে তাহলে যে কেউ চোখ বন্ধ করে এক নিমেষে বলে দিবে ফেসবুকের কথা। ডিজিটাল যুগে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। ছোট-বড়, যুবক-যুবতী,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই প্রায় ফেসবুক ব্যবহার করছে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে।যার কাছে একটি স্মার্টফোন আছে তার একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও আছে ।
দেশ-বিদেশের নানা খোঁজখবর বন্ধু বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ,ভিডিও দেখাও নিজের স্ট্যাটাস পোস্ট করা এসব কিছুর জন্য ফেসবুকে ব্যবহৃত হয়। মোটকথা সোশ্যাল মিডিয়ার হিসেবে ফেসবুক সবার পরিচিত।
কিন্তু আমরা কি জানি এই ফেসবুক ব্যবহার করেও আমরা টাকা ইনকাম করতে পারি?হয়তো মোটামুটি সবাই জানে তবুও এ সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারণা আজকে দিব। অনলাইন এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে নিজের বুদ্ধি, মেধা, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ইন ঘরে বসে ইনকাম করা যায়।
ছাত্র-ছাত্রী বা গৃহিণী কেউ যদি চায় সে স্বাবলম্বী হবে তাহলে সে ঘরে বসে স্বাবলম্বী হতে পারে অনলাইনে কাজ করে।এজন্য তার দরকার সঠিক পদ্ধতি জেনে রাখা কারণ শুধুমাত্র সঠিক পথে এগোলেই সফলতা আসে।
চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক ফেসবুক ব্যবহার করে কিভাবে ইনকাম করা যায়।
বর্তমানে পৃথিবীর ম্যাক্সিমাম মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে। সুতরাং বলা যায় ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মটা বিশাল। এত মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন তাই ফেসবুক কমিউনিটি ফেসবুক ইউজারদের জন্য ইনকামের পথ খুলে দিয়েছে। আগে কিন্তু এ সিস্টেম টা চালু ছিল না। আমরা তো অনেকেই অনেক সময় ফেসবুকে কাটাই নিউজফিড স্কল করে করে কিংবা ভিডিও দেখে অন্যের পোস্টে লাইক কমেন্ট করে।
কিন্তু এই সময়টা যদি নিজেরা ব্যবহার করে কিছু টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে মন্দ কি! ফেসবুক থেকে ইনকাম করাটা ও ইউটিউব এর মতই অনেক সহজ শুধু এর সিস্টেমটা ফলো করতে হবে সঠিকভাবে।
ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে হলে কি কি প্রয়োজন?
ফেসবুকে ইনকাম করার জন্য আপনার খুব বেশী কিছুর প্রয়োজন হবেনা সর্ব প্রথমে যেটা প্রয়োজন হবে সেটা হচ্ছে জাস্ট একটা স্মার্ট ফোন। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কোন প্রয়োজন হবে না।
সোজা কথায় যা যা লাগবে তা হল ঃ
১. স্মার্ট ফোন
২. একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
৩. একটি ফেসবুক পেজ
৪. ইন্টারনেট সংযোগ
৫. ব্যাংক একাউন্ট
মোটামুটি এই জিনিসগুলো থাকলেই আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করব?
এখন এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব। আসলে ফেসবুক থেকে বিভিন্ন ভাবে আয় করা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় যে মাধ্যম গুলো সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
প্রথমেই ফেসবুকে ভিডিও থেকে আয় করার পদ্ধতি ঃ
ধরুন আপনার একটি পেজ আছে। আপনার পেজের ফলোয়ার যদি 30 হাজারের উপরে হয় তাহলে আপনার ভিডিওগুলো এবং পেজ মনিটাইজেশন চালু করে দিলে ইউটিউবের মত ফেসবুক থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। দুই মাসের মধ্যে যদি আপনার ভিডিওগুলো 30000 ভিউ হয় এবং 10,000 লাইক হয় তাহলে আপনি টাকা পাবেন।
এক্ষেত্রে Facebook Adience Network ভূমিকা পালন করে। আপনার সব কন্ডিশন ঠিকভাবে পূরণ হলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ভিডিওতে এড শো করাবে।
এবার আসি ফেসবুক পেজ থেকে কিভাবে আয় করবেন ঃ
পেজ থেকে আপনি দুই ভাবে আয় করতে পারবেন।
১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
২. পেজ বিক্রি করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি আমরা হয়তো অনেকেই জানি তাও এখানে হালকা একটু আলোচনা করছি এ বিষয়ে।
আপনার পেজটি যদি অনেক পপুলার হয়ে থাকে তাহলে তাহলে আপনি আপনার পেজের বিভিন্ন কোম্পানির প্রমোট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ইত্যাদি বিভিন্ন বড় বড় এফিলিয়েট কোম্পানি রয়েছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য আলাদা সিস্টেম রেখেছে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ হল নির্দিষ্ট কোন কম্পানির প্রোডাক্ট নিজের পেজ প্রমোট করা । সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে একটি টোটাল ধারণা দেওয়া। এর কোয়ালিটি কেমন ,দাম কেমন ইত্যাদি সব বিষয় যাতে সবাই পেয়ে যায় এরকম এবং সেই প্রোডাক্টটি কোথায় পাওয়া যাবে ,সে কোথা থেকে নিয়েছে সেই কোম্পানির একটা লিংক যুক্ত করে দিতে হয়।
তারপর কেউ যদি সে প্রডাক্ট দেখে পছন্দ করে এবং সেই লিংকে প্রবেশ করে সে কোম্পানির কাছ থেকে নির্দিষ্ট প্রোডাক্টটি কেনে তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একটা নির্দিষ্ট কমিশন পায় ।
এটিই আফিলিয়েট মারকেটিং। অর্থাৎ সহজ ভাষায় উদাহরণ দিয়ে বুঝাই ধরুন, আপনি একটি আইফোন কিনলেন । তারপর আপনার পেজে কোথা থেকে কিনলেন কোম্পানির লিংকটা যুক্ত করে দিলেন এবং সেই কোম্পানীর নির্ধারিত মূল্য থেকে আপনি কিছু টাকা বাড়িয়ে মূল্য নির্ধারণ করে দিলেন।
কাস্টমার যখন আপনার লিংক থেকে সেই প্রোডাক্টটি কিনতে চাইবে তখন আপনি সেই কোম্পানিকে আপনার নির্ধারিত মূল্য টি জানিয়ে দিবেন। তাহলে কোম্পানিটি আপনাকে বাড়তি সেই কমিশন টা দিয়ে দেবে। এভাবে আপনি আপনার পেজ ব্যবহার করে কোন প্রোডাক্ট প্রমোট করে ইনকাম করতে পারেন।
আবার আপনার যদি একাধিক পেজ থেকে থাকে আর সেই পেজে ফলোয়ার অনেক থাকে ,তাহলে সেই পেজটি বিক্রি করার মাধ্যমে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা ইনকাম করতে পারেন। পেজে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কিছু টাকা দিয়ে পেজ বুস্ট করে নিতে পারেন সুবিধা হচ্ছে খুব কম সময় আপনি আপনার পেজের ফলোয়ার অনেক বেশি বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন।
এরকম যদি কয়েকটা পেজ থাকে তাহলে আপনি বেশ ভালো ইনকাম করতে পারবেন বিক্রি করে। কারণ বেশি ফলোয়ার এর পেজ গুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। আর অনেকেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বড় পেজ কিনতে চায় ।আর এখানে কাস্টমার এর কোন অভাব আপনি পাবেন না।ভিডিওতে এড শো করে ইনকাম :আপনার পেজটি যদি মোটামুটি দাঁড়িয়ে যায় এবং আপনার ভিডিওতে যদি মোটামুটি ভালো ভিডিও হয় ,তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে তাদের কাছ থেকে অ্যাড শো করাতে পারেন।
আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট, আমাজান ইত্যাদি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনুমোদন পেলে আপনার ভিডিওতে এদের অ্যাড শো করবে। তখন কেউ যদি আপনার ভিডিও দেখে কোন পণ্য কেনে তাহলে কোম্পানিগুলো আপনাকে নির্দিষ্ট একটা টাকা দিবে।
এভাবে অসংখ্য টাকা ইনকাম করতে পারবেন মাধ্যমে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে লাভজনক হলো আপনার ভিডিওগুলো যদি টেক রিলেটেড হয় তাহলে তো আর কথাই নাই। আপনি শুধু নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করে যাবেন আর অটোমেটিক আপনার ইনকাম বাড়তে থাকবে
ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি:
যদি আপনার একটি গ্রুপ থেকে থাকে তাহলে সেক গ্রুপ থেকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে ইনকাম করবেন সেটা আপনি নিজেই বুঝে যাবেন। কারণ আপনার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন আপনার গ্রুপের মেম্বারদের কাছ থেকে
অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন খুবই সহজে বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপ অনেক সময় ফলোয়ার ও মেম্বার কিনে থাকে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের যদি অনেক বেশি সংখ্যক ফ্রেন্ড থাকে তাহলে আপনি সেই ফ্রেন্ডদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে বা পেজ এ ইনভাইট করে ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন বিজনেস করে ইনকাম বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজনেস হচ্ছে অনলাইন বিজনেস কারণ এখানে বাঁধাধরা কোনো নিয়ম নেই আপনারযা ইচ্ছা তাই নিয়েই ফ্রীতে বিজনেস করতে পারবেন। জামা-কাপড়,কসমেটিকস,জুয়েলারি ইত্যাদি নিজের পেজে বা গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন।প্রোডাক্টের ছবি ও মূল্য দেখে কারো যদি পছন্দ হয় তাহলে সে সেই প্রোডাক্টটি দেওয়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং কিনে নিবে।
এক্ষেত্রে কাস্টমার যদি আপনার প্রোডাক্টে স্যাটিসফাইড হয় তাহলে সে আপনার গ্রুপে রিভিউ দিবে।এই রিভিউ দেখে মানুষ বুঝবে আপনার প্রোডাক্ট অথেনটিক কিনা কিংবা এর কোয়ালিটি কেমন। তখন আরও বেশি ক্রেতা কিনতে আসবে। এজন্য আপনি আপনার ফেসবুক গ্রুপের ফলোয়ার এবং মেম্বার সংখ্যা বাড়ানোর দিকে বেশি নজর দিবেন। কারণ যত বেশি মেম্বার থাকবে আপনার সেল হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি বাড়বে।
আপনি খুব অল্প পুজিতে বিভিন্ন অনলাইন দোকান থেকে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট কিনে আনতে পারেন। অর্ডার নিতে পারেন। তারপরে সে প্রোডাক্টগুলো ডেলিভারি দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। পেজে কাস্টমার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রথমে আপনি আপনার পরিবারের লোকজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের কাছে আপনার বিজনেসের পেজ শেয়ার করবেন।
তাহলে আস্তে আস্তে আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াবেন সাথে ক্রেতাও পরিচিত কারো যখন কোন কিছুর প্রয়োজন হবে তখন আপনার কাছে যদি সেই জিনিসটি থাকে তাহলে প্রথমেই তার আপনার কথা মনে পড়বে এবং সে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্টটি কিনতে চাইবে।
করোনা পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষই ঘরে বসে না থেকে অনলাইন বিজনেস শুরু করেছে। যে যেভাবে পারছে তার দক্ষতাকে কাজে লাগাচ্ছে। অনেক ছাত্রছাত্রীরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে বিভিন্ন ট্রেন্ডিং জামা কাপড় নিয়ে বিজনেস শুরু করেছেন আবার কেউ কেউ তাদের রান্নাবান্নাকে কেন্দ্র করে শুরু করেছে।
অনেক গৃহিণীরা অবসর সময়ে কেক বিভিন্ন রান্না, সেলাই হ্যান্ড পেইন্ট, আর্ট ক্রাফটের কাজ শুরু করেছে এতে তাদের অবসর ভালো কাটছে সাথে ইনকাম হচ্ছে। অনেকে শুরু করেছে পিঠার ব্যবসা। মানে আপনি অনলাইনে ব্যবসার কোন অভাব দেখবেন না। আপনার যা চাই সবকিছু পাবেন এখানে। ইভেন রেডি টু কুক খাবার পেয়ে যাবেন।
মনে রাখতে হবে আপনার পরিচিতি বানাতে হবে। পরিচিতি যত বাড়বে মানুষের মাঝে আপনি যত বেশি পরিচিত হবেন তত বেশি বিশ্বস্ত হয়ে উঠবেন। আর সবাই বিশ্বস্ত মানুষের কাছ থেকে কিনতে বেশি পছন্দ করবে। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রোডাক্টের কোয়ালিটি নিয়ে আপস না করা।
আসুন এবার কতগুলো বাস্তব উদাহরণ আপনাদের সামনে তুলে ধরে ফেসবুক থেকেও যে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
হামিদা বেগম একজন গৃহিণী। করোনা মহামারীতে তার স্বামীর চাকরি চলে যায়। সংসারের দুই বাচ্চা রয়েছে অনেক খুজেও স্বামী কোন চাকরি পায় না। ঘরে সংসার চালানোর মতো টাকা পয়সাও নেই। উপায় না পেয়ে হামিদা বেগম পিঠা বানানোর ব্যবসা শুরু করল খুব ভালো পিঠা বানাতে পারত। আর এই স্কীলটাকে সে কাজে লাগালো।
সে প্রথমে খুব সুন্দর করে পিঠা বানিয়ে আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে তার পিঠার ছবি ফেসবুকে আপলোড করল। এরপর সেখানে পরিমাণ দাম যুক্ত করে দিল।মানুষ তার পিঠা পছন্দ করলো ছবি দেখে এবং পিঠার অর্ডার করল। যে তার পিঠা খায় সে আবারও নয় এবং রিভিউ দেয় এভাবে তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। আর আপনি অবশ্যই অবাক হবেন যে মাত্র দুই মাসে 86 হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করে। হলে তার সংসারের অভাব দূর হয়ে যায়।তিনি জানান,অনলাইন প্লাটফর্ম আমার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। খুব অল্প সময়ে এখান থেকে স্বাবলম্বী হতে পেরেছি। কারণ আমি দিনরাত পরিশ্রম করেছি এবং কখনোই আমার প্রোডাক্টের কোয়ালিটিতে আপোষ করে নি।
সব সময় চেষ্টা করেছি কোয়ালিটি ঠিক রাখতে এবং সেরা উপাদান দিয়ে প্রোডাক্ট তৈরি করতে।যার ফলে কাস্টমার আমার খুশি এবং সন্তুষ্ট থাকে। যে একবার নেয় সে আবারো তার নিজের জন্য বা আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অর্ডার করে। এখন তো আমার অনেক পরিচিত হয়েছে।
আমার একটা পরিচয় তৈরি হয়েছে। মানুষ আমাকে পিঠা আপা নামে ডাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমার পিঠা কুরিয়ার মাধ্যমে যাচ্ছে। এছাড়াও পার্টি জন্মদিন বিয়ে যে কোন অনুষ্ঠানে আমাকে বড় বড় অর্ডার দিয়েছে এবং আমি সততার সাথে সেই কাজটি করেছি। ভালো লাগে যখন কেউ আমার পিঠা খেয়ে প্রশংসা করে। আমি আমার এই ব্যবসার পরিধি আরো বিস্তার করতে চাই। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য।
ফারিয়া জাহান একাদশ শ্রেণীর একজন ছাত্রী। সে জানায়, আমি ছোটবেলা থেকেই চাইতাম পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে কিছু একটা করতে। এজন্য নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন সময়ে আমি আমার মায়ের কাছ থেকে হারবাল তেল বানানো শিখে নেই। প্রথমে আমি আমার বান্ধবীকে একটি তেল ব্যবহার করতে দেই। মাত্র এক মাস ব্যবহার করে আমার বান্ধবীর অনেক উপকার পায়।
তারপর সে বলল তাকে আরো একটি তেল বানিয়ে দিতে। সাথে পরামর্শ দিলো তুমি একটি গ্রুপ খোলো সেখানে তুমি তোমার তেল বিক্রি করার পোস্ট করো। আমি তাই করলাম। ভাবি নি এত বিপুল পরিমাণে সাড়া পাবো।
কয়েকদিনের ভিতরেআমার কাছে অনেকগুলো তেলের অর্ডার আসলো। এবং প্রত্যেকেই জানালো যে তারা উপকার পেয়েছে। এরপর তারা নিজেদের জন্য এবং আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অর্ডার করা শুরু করলো। দিনে দিনে সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠলাম। এখনতো দেশের প্রত্যেক জেলায় আমার কাস্টমার রয়েছে। আমি এখন স্বাবলম্বী। নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারি। অন্যের উপর ভরসা করে থাকতে হয় না। এটা খুবই সম্মানের।
দু বছরে আমি সফলতা অর্জন করেছি কারন আমি আমার কাজের সাথে কখনো কম্প্রোমাইজ করে নি। সব সময় চেষ্টা করেছি সর্বোৎকৃষ্ট উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে। আর প্রত্যেকটা জিনিস তৈরি করে সর্বপ্রথম আমি নিজে ব্যবহার করেছি। যখন দেখেছি এতে উপকার পাচ্ছি তখন আমি এই জিনিসটা অন্যদেরকেও দিয়েছি।
আমি ধৈর্য ধরেছি। অপেক্ষা করেছি এবং নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করছি অনলাইন প্লাটফর্মে। আশা করছি আমার ব্যবসা আরো বাড়বে এবং ভবিষ্যতে আমি আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট বানাবো। কারণ ন্যাচারাল জিনিসের উপরে সবারই একটা আকর্ষণ রয়েছে। কেমিক্যাল এর মত ন্যাচারাল প্রোডাক্ট ক্ষতি করে না। তাই সবাই চায় ন্যাচারাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে।
সাহিদা জামান একজন অনলাইন বিজনেস উদ্যোক্তা। তিনি জানান তার স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ার পরে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাদের। কোন উপায় না পেয়ে সে অনলাইন বিজনেস শুরু করে দেয়। প্রথমে সে কিছু জামাকাপড় এবং শাড়ি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। প্রথম দিকে কেউ তার কাছ থেকে কিছু কিনতনা।
কিন্তু সে হাল ছাড়েননি কোন বড় দুধ তার প্রোডাক্টের পোস্ট করে গেছে ফেসবুকে। আস্তে আস্তে তার পেজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ল। তারপরে মানুষ তারপরও কেনা শুরু করলো। যখন দেখলো তার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি খুব ভালো তারা বেশি বেশি করে অর্ডার দিল। এখন পাঁচ বছরে সে একজন সফল উদ্যোক্তা। পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে পেরেছে সে।
নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে পেরেছে এজন্য সে অনলাইন প্লাটফর্ম এর প্রতি কৃতজ্ঞ।সর্বোপরি অনলাইন প্লাটফর্ম আমাদের সবার জন্য স্বাবলম্বী হওয়ার উন্মুক্ত একটা প্লাটফর্ম। ইচ্ছা এবং দক্ষতা থাকলে আমরা এখান থেকেই স্বাবলম্বী হতে পারি।
hi everyone. I'm a Bangladeshi Content Creator. I'm Making Youtube Video About Freelancing Outsourcing and Web Design Development. My youtube Channel Name : Adnan Habib
My Channel Link: https://www.youtube.com/adnanhabib
You must be logged in to post a comment.