অনলাইন আয়ের কিছু সহজ উপায় ২০২২

অনলাইন আয় করার নানা রকম উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে অনেকেই অনলাইন থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছে। আপনিও চাইলে অনলাইন থেকে এই মাধ্যম গুলো কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারেন। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় সমূহ 2022 

বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার নানা রকম উপায় রয়েছে। আপনি চাইলে যে কোন মাধ্যম সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

এমন কিছু অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করব। যদি আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। আশা 

করি অনলাইন থেকে ইনকাম করার কিছু উপায় সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন বিস্তারিত। 

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম? 

ইউটিউব থেকে ইনকাম: ইউটিউব হল সারা বিশ্বের বড় প্ল্যাটফর্মের একটি। ইউটিউবে নানা রকম ভিডিও আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন? ইউটিউব এর এই ভিডিও গুলো কোথা থেকে আসে? ইউটিউব এর এতরকম সব ভিডিও আপনার আমার মত লোকেরাই ইউটিউবে আপলোড করে। 

আপলোড করে তাদের লাভ কি হয় সেটা জানেন কি? ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা যায়? হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই ধরেছেন! ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা যায়। এমনকি যে সমস্ত ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে সেই ভিডিওগুলো থেকেও অনেক লোকেরা টাকা ইনকাম করে। 

তাই আপনিও চাইলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন ইউটিউব থেকে। ইউটিউবে কাজ করার জন্য আপনার ভিতর থাকতে হবে, পরিশ্রম, ধৈর্য, সহ্য, নিত্যনতুন, ডেডিকেশন ইত্যাদি। এই গুণগুলো আপনার ভিতরে থাকলে অবশ্যই আপনি ইউটিউব থেকে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম শুরু করবেন: ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য,আপনাকে সর্বপ্রথম ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। তারপর ওই চ্যানেলে মানুষের উপকারী বা শেখানো বা প্রয়োজনীয় বা দরকারি এই ধরনের ভিডিও আপলোড করতে হবে। যেন আপনার তৈরীকৃত ভিডিও মানুষ দেখে। 

যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গত 12 মাসের ভিতরে 1000 সাবস্ক্রাইব এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম কমপ্লিট হবে। তখন আপনি আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। মনিটাইজেশন হল অনুমোদন নেওয়া। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হওয়া। আপনার ইউটিউব চ্যানেল আবেদন পাঠালে তারা রিভিউ করে দেখবে। তারপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অনুমোদন দিয়ে দিবে। 

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর অনুমোদন পেয়ে গেলে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। তবে ইউটিউবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন নিয়ম নীতি এবং গাইডলাইন রয়েছে। এই গাইডলাইন গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার ইনকাম করার জন্য ইউটিউব থেকে। তাদের নিয়মকানুন না মেনে কাজ করলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে। 

সর্বোপরি অবশ্যই ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে তাদের নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন মেনে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে আয়? 

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়: আপনারা হয়তো ফ্রিল্যান্সার এই নামটি শুনে থাকবেন। এক সময় বাংলাদেশকে কেউ চিনত না। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে ফ্রিল্যান্সাররা। এমনকি ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশকে এখন প্রায় সকল দেশের লোকেরা চেনে। বাংলাদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সাররা প্রতি মাসে প্রায় লক্ষ টাকা এর উপরে টাকা ইনকাম করছে। আপনিও চাইলে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে। 

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার যে দক্ষ গুলো অর্জন করতে হবে: গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Illustrations Plan), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photograph Altering), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Website architecture), ওয়েব সাইট মেকিং (Site Making), কপি রাইটিং (Copywriting), কন্টেন্ট রাইটিং (Content Composition), লোগো ডিজাইন (Logo Plan), ইত্যাদি। এগুলোর যেকোনো একটি দক্ষতা অর্জন করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। 

গুগোল এ প্রায় অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। তারমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো হল freelancer.com, upwork.com, fiverr.com এই ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। যদিও প্রথম দিকে আপনাকে অনেকটা কষ্ট করতে হবে। 

আপনি যদি না পারেন তাহলে বারবার চেষ্টা করতে থাকবেন। দেখবেন যে এক সময় আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং করে। আপনারা চাইলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম? 

আফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনারা হয়তো জানেন যে অনলাইন থেকে প্রায় সব রকমই পণ্য অর্ডার দেওয়া হয়।অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার কোন বিকল্প নেই।আপনারা যদি চান তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল: তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলি বিক্রি করে দেওয়া অন্যদের কাছে। আপনি ফেসবুকে অথবা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে বড় একটি গ্রুপ খুলে সেখানে এই কাজটি করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার প্রায় হাজার প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। 

সেখানে যুক্ত হয়ে আপনারা চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন আজ থেকেই। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। তারা যে প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে চাই তার জন্য আপনাকে শর্টকাট দিবে এই লিঙ্কে ক্লিক করে শত লোক পণ্য অর্ডার করবে ততো আপনার কমিশন আসবে। 

এক রকম পণ্যের জন্য এক একরকম কমিশন আপনার একাউন্টে যোগ হবে।নির্দিষ্ট পরিমাণে এমাউন্ট হলে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার টাকা উত্তোলন করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এই মাধ্যমটা বেছে নিতে পারেন। 

অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হয়ে ইনকাম? 

অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার: প্লে স্টোরে হাজার ধরনের অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। আপনি যদি গেম খেলতে পছন্দ করেন তাহলে হয়তো প্লে স্টোর থেকে গেম ডাউনলোড করেন। অথবা আপনার প্রয়োজনীয় একটি অ্যাপ্লিকেশন সেটাও কিন্তু প্লে স্টোর থেকে আপনি ডাউনলোড করেন কি তাইনা?হ্যাঁ ভাই আমি নিজেও প্লে স্টোর থেকে নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করি আমার প্রয়োজনে। 

প্লে স্টোরে আপনি যেকোন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন প্রায় সব পেয়ে যাবেন। আপনি কি জানেন এই অ্যাপ্লিকেশন কোথা থেকে আসে? আপনার আমার মত লোকেরাই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করে প্লে স্টোরে পাবলিশ করে। প্রশ্ন আশায় স্বাভাবিক প্লে স্টোরে পাবলিশ করে কি লাভ? প্লে স্টোরে পাবলিশ করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন? 

হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক শুনেছেন প্লে স্টোরে অ্যাপ্লিকেশন পাবলিশ করে ইনকাম করা যায়।তার জন্য আপনাকে ডেভলপার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি একবার ডেভলপার হয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার আর দেখে কে। মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী এবং দরকারি অ্যাপ্লিকেশন আপনি প্লে স্টোরে পাবলিশ করে খুব সহজেই প্লে স্টোর থেকে ইনকাম করতে পারেন। 

প্লে স্টোরে আপনি পেড মেম্বারশিপ নিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলো পেইড আকারে প্লে স্টোরে দিয়ে আপনি হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনারাতো জানেনই প্লে স্টোরে কত রকম অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যেগুলো আপনার আমার প্রয়োজন নেই প্লে স্টোরে রয়েছে। তাহলে ভাবুন তো কত লোক প্লে স্টোরে কাজ করে অনলাইনে ইনকামের জন্য। তাই আপনিও চাইলে প্লে স্টোরে অ্যাপ্লিকেশন ছেড়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন খুব সহজেই। 

ফেসবুক থেকে অনলাইনে ইনকাম? 

ফেসবুক থেকে আয: আপনার-আমার অনলাইনের সময় হয়তো ফেসবুকে বেশি হয়ে থাকে। ফেসবুক হল সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ মাধ্যম। আমরা চাইলে ফেসবুকে সারাবিশ্বের খোঁজখবর সহ তাদের সাথে কথা বলতে পারি ইচ্ছামত। ফেসবুকে হয়তো আপনি নানারকম গ্রুপ অথবা নানারকম পেজ দেখেছেন। 

এককথায় ফেসবুকে আপনি ইউটিউব এর মত হাজার রকমের ভিডিও হয়তো বা দেখেছেন। আরে ভাই আমি নিজেও দেখেছি। আপনি কি জানেন এই ভিডিও আপলোড করে হাজার টাকা ইনকাম সম্ভব। এবং বর্তমানে খুব সহজে আপনি ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করার পর ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। 

পেজ থেকে ইনকাম শুরু কখন: ফেসবুক থেকে পেজের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য দুইটা পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। এক হল ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল লিখে আয় করা। দ্বিতীয় হল ফেসবুকের পেজে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করা। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ হিসেবে ভিডিও আপলোড করে আয় করা খুবই জনপ্রিয়। 

আর চাইলে আপনিও ফেসবুকে ভালোভাবে একটা পেজ তৈরি করার পর সেখানে নিজের ভিডিও মানুষের উপকারী দরকারি আপলোড করে আয় করতে পারবেন। ফেসবুকে পেজ তৈরি করার পর যখন আপনার ফেসবুক পেজে 10 হাজার ফলোয়ার হবে বা আপনার ভিডিও দেখতে চাইবে তখন আপনি ইনকাম করতে পারবেন। 

আজ এই পর্যন্ত কেমন লাগলো কমেন্ট এ জানিয়ে দিবেন  ধন্যবাদ।। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ