আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আসা করি ভালো আছেন, ভালো থাকবেন। আজকের আর্টিকেল-টি অনলাইন আয় কেই কেন্ড করে লেখা । অনলাইন কি বা অনলাইন আয় কি তা কি আপনি জানেন?? আসুন জেনে নিই, আপনারা ইন্টারনেট সম্পর্কে জানেন, আমি,আপনি, সবাই যারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এরা সবাই হলো অনলাইন এর একটি অংশ।
আর এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করে নেওয়াই হলো অনলাইন ইনকাম। আর ব্যবহারিক প্রতেকটি কাজ এর মতো অনলাইন এর সকল কাজ গুলু যতোটা সহজ ঠিক ততোটাই কঠিক। কিন্তু কর্মই তো ফল নিয়ে আসে। চেষ্টা যদি হয় সটিক স্থানে, সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ।
আপনার, অনলাইন আয় বা ইনকাম করতে হলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সব জানতে হবে।কারন অনলাইনে আয় করার সকল কাজ এই হলো ফ্রিল্যান্সিং।
যেহেতু আপনি এই আর্টিকেল টি পড়ছেন তাতে বুজাই যায় আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে যান! কিন্তু বুজতে পারছেন না কিভাবে আয় করবেন। আসলে আয় বা টাকা ইনকাম করা এতোটা সহজ নয় কিন্তু যারা ইনকাম করছে তারা খুব টাকা ইনকাম করছে।
যেমনটা আপনার অফলাইন কাজের মধ্যে দেখতে পাই। এখন আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে যান কিন্তু কোথা থেকে আয় করবেন এবং কি কাজ করে আয় করবেন সেটা কি ডিসাইট করতে পেরেছেন আপনি। না করেন নি, আপনি কি কাজ করবেন তা ডিসাইট করুন তারপর আপনি জানুন শিখুন এবং চেষ্টা করুন।
এখন আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন ক্যাটাগরি বা ফিলান্সিং এর কোন শাখায় কাজ করবেন সেটি নির্ধারণ করুন। তারপর আপনি সেই শাখার বা সেই ক্যাটাগরির সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং শিখুন। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে আপনি অনলাইনে অন্যের কাজগুলো করে দিবেন তার বিনিময় কিছু সম্মানী পাবেন। অনলাইন আয়ের এর অনেকগুলো ক্যাটাগরি বা সেক্টর নিচে দেওয়া হলোঃ
ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরিঃ
- সিপিএ মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব ডেভলপ
- ডাটা এন্ট্রি
- ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন
- প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
- ওয়েব রিসার্চ
- ফটো এডিটিং
- S E O
- YouTube
- micro job
- ভিডিও এডিটিং
- নিউজ রাইটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- প্রমোট
- survey
সোসিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। এছারো আরো অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রায় চারশত ক্যাটাগরির রয়েছে। এখন আপনি কি করবেন।
এখন আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে চান,তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বা অনলাইন আয় এর ক্যাটাগরিগুলো বা যে শাখাগুলো রয়েছে তার মধ্যে থেকে যেকোনো একটি চয়েজ করতে হবে।
আপনি যেকোনো একটি কাজ চয়েজ করলেই হবে না। কারণ এখানে প্রত্যেকটি কাজই হচ্ছে এক একটি আর্ট, আপনার মধ্যে কোন বিষয়ের দক্ষতা বা জ্ঞান আছে,তার সাথে সম্পৃক্ত একটি কাজ কে চয়েজ করতে হবে। তাহলে আপনি ওই কাজটি খুব সুন্দরভাবে করতে পারবেন।
আপনি যদি ভালো লেখালিখি করতে পারেন তাহলে আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন। অথবা আপনি যদি ভালো ডিজাইনের কাজ করতে পারেন তাহলে ডিজাইনের কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ভাল মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে অন্যের প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
এখন হচ্ছে আপনি কি করবেন, আপনি যে কাজটি সম্পর্কে ভালো জানেন এবং আপনার দক্ষতা রয়েছে। সে কাজটি সম্পর্কে আপনি আরও বিস্তারিত জানুন এবং সে কাজটি কোন সাইডে করা যায় সেটা সম্পর্কে ভালো করে জানুন এবং কাজ শুরু করুন।
ধৈর্য ধরে কাজ করতে থাকেন এবং একটি কাজের স্কিল ডেভলপমেন্ট করেন।তারপর আপনি আয় খুঁজে পাবেন। যদি আপনি নিজের স্কিল ডেভলপ না করে, একাধিক কাজ করার চেষ্টা করেন বা কাজ খুঁজেই জান অনলাইনে আয় কিভাবে করা যায় তাই শুধু খুঁজে জান তাহলে আপনি কখনো অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।
আপনি যদি যেকোনো একটি কাজের স্কিল ডেভলপমেন্ট করেন,তাহলেই আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। নিচে অনলাইন থেকে আয় করার পাঁচটি সূত্র দেওয়া হলোঃ
- আপনি কোন বিষয়ের কাজ করবেন সেটি নির্ধারণ করুন।
- সে কাজটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং শিখুন, দক্ষতা অর্জন করুন এবং আপনাকে প্রচুর পরিমানে Practice করতে হবে। কারন, আপনি তো জানেন, “Practice makes man perfect”.
- সেই কাজটি কোন সাইডে করা যায় সেটা সম্পর্কে আরো ভালো করে জানুন।
- সেই সাইডে কাজ শুরু করুন এবং ধৈর্য ধরে কাজ করুন।
- কিছু সময় এর পড় ইনকাম আসবেই।
সুতরাং কাজ এবং ইনকাম ২ টুই আপনার ওপর নির্বর করছে। একটি কাজ কে আপনি আপন করে নিন, কাজ আপনাকে আপন করে নিবে।
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঠিক করে কাজ শুরু করে দিন, মানে শিক্ষতে শুরু করুন। অধিকাংশ টা আপনি YouTube আর আর্টিকেল থেকেই শিক্ষতে পারবেন।
যত বেশি শিখবেন ততই কাজ সহজ হয়ে যাবে। কাজ নিয়ে গবেষণা শুরু করুন এবং কাজ করুন। আজ কের লেখা এখানেই শেষ করছি, দোয়া করবেন আমার জন্য যেন ভালো লিখতে পাড়ি আপনাদের জন্য। আল্লাহ হাফেজ।
nice
Thank you
View done
Thanks
You must be logged in to post a comment.