অন-লাইনে আয় এর মাধ্যম: আমি কোন ব্যাখ্যা দিব না শুধু মূল থিম আপনাদের ধরিয়ে দিবG তাহলে বুঝে যাবেন আমি কি করতে বলছি। বর্তমানে অত্যন্ত সম্মানজনক ও আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো অন-লাইন ব্যবসা।
পেশায় আমি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীকে আনন্দ দিয়ে পড়া শেখানো আমার নেশা। করোনা কালীন সময় শিক্ষকতা পেশায় প্রলয় নামে। থেমে থাকি না কিছু তো করতে হবে। প্রবাদ আছে, “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।“ কোন কাজতো করতে হবে।
তাই কোরআন শরীফের বাংলা অনুবাদটা পড়া শুরু করি, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমতে পড়া শেষও করি। তারপরও দেখলাম করোনা শেষ হয় না। কম্পিউটারে কাজ জানি বসে থাকবো কেন! মোটামোটি অনেক কিছুই ধারণা আছে তবে বর্তমান সময়ের জন্য তা উপযোগী নয়।
কারণ ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে হাতে কড়ি। ২০০১ সালে কম্পিউটার সাইন্স-এ দ্বিতীয়বার ডিপ্লোমা করি। ২০০২ সাল থেকে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করি। ভালই চলছিল কিন্তু মার্চ ২০২০ করোনা আর করুনা করে নাই।
তাই EEE Complete করা আমার ভাতিজিকে বললাম অনলাইনে কি করা যায়? তার সহযোগীতা নিলাম যেখানে আটকালাম। Fiver, Upwork, Freelence এভাবে একে একে অনেক কিছুতেই সাইনআপ করি। দেখলাম লাখ লাখ Competitor. থেমে থাকি না করতেই থাকি। “যেখানে দেখিবে চাই কুড়িয়ে দেখ তাই পাইলেও পাইতে পারো মানিক রতন।“ বিভিন্ন টপিক পড়ি, ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখি আমাকে জানতে হবে, আমাকে শিখতে হবে মনে এটাই ঘুরে সারাক্ষণ।
মনে রাখবেন, ” বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র।“ অনুরূপ আপনার বেলায়ও তেমন চিন্তা চেতনা থাকতে হবে তাহলে আপনিও পারবেন।
আপনাকে কেমন হতে হবে?
স্বাভাবিক ভাবেই আপনি উপার্জন করতে চাইবেন কিন্তু কোন মাধ্যম পাচ্ছেন না কিভাবে করবেন? আমার লিখাটা ধৈর্য্য ও মনোযোগের সাথে পড়বেন তাহলে আপনার কিছুটা উপকার হতে পারে।
শুরু থেকেই খুব ভালো আয় করবেন তা চিন্তা করবেন না। কথায় আছে, ”যত গর্জে তত বর্ষে না।” আপনার ক্ষেত্রেও অনুরূপ হতে পারে। কেউ একটু সময় নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন আবার কারো সময় বেশী লাগে আবার অনেকের আয়ের হার সময়ের সাথে বাড়তে থাকে, কেউ একটা জায়গায় এসে থমকে যায় – বাড়েও না আবার কমেও না।
আর.জে.কিবরিয়ার দু’টি ভিডিও আপনাদের জন্য লিংক দিচ্ছি (https://www.youtube.com/watch?v=Qem1PpqJh-A) (https://www.youtube.com/watch?v=-3F_IW2iRRE) কপি পেস্ট করে অন লাইনে দেখবেন। উনারা যদি সফল হতে পারে আপনি কেন ব্যর্থ? হিংসে নয় মনের মধ্যে জেদ থাকতে হবে।
মনে রাখবেন, “পরিশ্রমে ধন আনে পূণ্যে আনে সুখ আলস্যতা দারিদ্র আনে পাপে আনে দূঃখ।” যে অভ্যাসগুলো আপনাকে পরিবর্তন করে দিবে এবং আপনার আয়ও বৃদ্ধি পাবে। তা হচ্ছে- সুন্দর মনের অধিকারী হতে হবে (নজরুলে ভাষায় বলতে গেলে বার্ধক্য বয়সের ফ্রেমে বাঁধা নয়), ঝুঁকি নিতে হবে (No Risk No Gain), সময়ের সাথে আপোষ (সময় অপচয় করা যাবে না), কমিন্টমেন্ট ঠিক থাকতে হবে অর্থাৎ কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে।
কোন ব্যবসাটা আপনার জন্য উপযোগী? আপনিই খুঁজে নিবেন।
”বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ” কথাটা আংশিক সত্য সম্পূর্ণ নয় তার প্রমাণ অন্য একদিন দিব। তবে সেই বিজ্ঞান আজ আমাদের ঘরে বসে আয়ের সুবিধা ও আয়ের জন্য নানা উৎস তৈরি করে দিয়েছে তা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। অনলাইনে আয়ের নানা উৎস এর মধ্যে কোন উৎসটি আপনার জন্য সফলতা বয়ে আনবে তা আপনাকে বুঝতে হবে।
মনে রাখবেন অনলাইনে আয় করার নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণারও স্বীকার হতে হয় তার জন্য আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শুধু বলব পরিশ্রম করবেন লোভ করবেন না। অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি হতে পারবেন না তবে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ আছে। অনলাইনের কোন কোন উৎস বা প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে আপনি আয় করতে পারবেন তা সম্পর্কে পড়ে জেনে নিন:
১) ফ্রিল্যান্সিং:- কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি মাধ্যমগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়।
২) অ্যাফিল্যায়েট মার্কেটিং:- ব্লগ সাইট যেখানে নিয়মিত ভিজিটর বা ট্রাফিক আসে, ইউটিউব চ্যানেল, ইমেল মার্কেটিং, ফেসবুক পেইজ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদির যেকোন একটির মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন তবে অবশ্যই ভিজিটর থাকতে হবে।
৩) Bitcoin:- বিটকয়েন এর মাধ্যমে আয় করার তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপস হচ্ছে Bitcoin blast, Bitcion Blocks, Bitcoin sollitare. আপনি মোবাইল দিয়ে অ্যাপসের মাধ্যমে বিটকয়েন এর আয় করতে পারবেন।
৪) গ্রাফিক্স ডিজাইন:- ঘরে বসে আয়ের ভাল একটি ক্ষেত্র হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। Adobe Photoshop, Adobe Illustrator, Adobe CorelDraw ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রাফিক্স এর কাজ করা যায়। আধুনিক প্রযুক্তি আরো অগ্রগামী কাজ না জেনেও আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজগুলো করতে পারবেন।
৫) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম:- ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যমে আয় করা যায়। মনে রাখবেন বিজ্ঞাপনের ভাষায় একটা কথা বলা হয় যত, ”প্রচার তত প্রসার।”
৬) ব্লগ ও কনটেন্ট রাইটিং:- শখের বসে আমরা অনেকেই গল্প কবিতা লিখি আবার অনেকেই প্রেমে ব্যার্থ হয়ে কবি হয়ে যায়। তেমন না হয়ে নিজের জন্য কিছু করেন যাতে আপনার আয়ও হয় নিজের শখেরও পরিপূর্ণতা পায়। কনটেন্ট লিখতে হলে একটু স্ট্যাডি করতে হবে যাতে যে পণ্যের উপর আপনি কনটেন্ট লিখবেন সেই পণ্য সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকলে লিখতে কষ্ট হবে।
৭) ডেটা এন্ট্রি:- যদি আপনার টাইপিং স্পীড ভাল থাকে তাহলে এই কাজে আপনার আয়ও ভাল করতে পারবেন বলে মনে করতে পারেন।
৮) ইউটিউব এর মাধ্যমে আয়:- ইউটিউব সার্চ দিলেই আপনি বুঝে যাবেন এখানে কিভাবে আয় করা যায়।
৯) ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে আয়:- অনলাইনে যত কিছু দেখবেন সব কিন্তু এই ওয়েব এর মাধ্যমে হয়। এই তিন WWW জীবনের জন্য ক্ষতিকর আবার এই তিন WWW-ই আপনার জীবনকে সুন্দর করতে দিতে পারে।
এছাড়াও ড্রপশিপিং, অন-লাইনে পড়িয়ে, ছবি বিক্রয় করে, অন-লাইন সার্ভের মাধ্যমে, অনলাইন রিসেলিং এর মাধ্যমে, পেইড টু ক্লিক (পিটিসি) এর মাধ্যমে আয়, শর্ট লিংক শেয়ার করে, ইমেলই মার্কেটিং এমন অনেক সাইট আছে যেগুলো দিয়ে আপনি আয় করতে পারেন।
পরিশেষে, প্রকৃতি আমাকে আপনাকে সঠিক শিক্ষা দেয়, পথ চলতে ভুলশুদ্ধের কারনে আমার আপনার উত্থান-পতন। বিল গেটস এর কথা ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ডিগ্রী নেই। ছাত্র জীবনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের থিসীস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেভ কাস্টোরি থেকে নিজে মিসিং করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিস্কৃত হওয়া ছাত্র যিনি বলতেই বলেন ক্লাসের পিছনের বেঞ্চের ছাত্র আমি আর আমার মাইক্রোসফট কর্পোরেশনে যারা চাকরি করে তারা সবাই ক্লাসের প্রথম বেঞ্চের ছাত্র।
You must be logged in to post a comment.