আজকের এই অনলাইন জগতে প্রায় সবাই জানতে চায় যে অনলাইনে মোবাইল ফোন দিয়ে কি টাকা ইনকাম করা সম্ভব? এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার জন্য আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমরা এই পোস্ট এ জানবো মোবাইল দিয়ে কি টাকা 💰💰 ইনকাম করা যায়? এবং করা গেলেও কি কি কাজ করা যায়?
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে সত্যিকারের ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে সঠিক নিয়মে কাজ করতে হবে।এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর স্কিল ডেভেলপ করতে হবে।
তারপর আপনি সেই স্কিল দিয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারবেন।Fiver, Freelancer, Upwork হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাকেটপ্লস।
তারমধ্যে freelancer.com এ আমি ৩০/৪০ কাজ পেয়েছি ১২০০০ কাজের মধ্যে। যেগুলো আপনার মোবাইল দিয়ে অনায়াসে করতে পারবে। তাহলে চলুন এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং বেশি ইনকাম করা যায় এমন কাজ নিয়ে আলোচনা করি।
Article writing and rewriting
মনে রাখবেন আর্টিকেল রাইটিং এবং রিরাইটিং একই জিনিস নয়। দুটোই পুরোপুরি ভিন্ন জিনিস।
রাইটিং হচ্ছে আপনাকে কোনো একটি আর্টিকেল লিখতে হবে। আর রিরাইটিং হচ্ছে আপনাকে বায়ার কোনো একটি আর্টিকেল দিবে, সে আর্টিকেল টিকে আপনি রিরাইটিং করে দিবেন অর্থাৎ সেগুলো আপনি একটু এলোমেলো করে দিয়ে টাইপ করে দিবেন।রং বা ক্লায়েন্ট আপনাকে বলবে যে অমুক একটি ওয়েবসাইটে আমি একটি আর্টিকেল দেখেছি তুমি সেই আর্টিকেলটি কে রিরাইট করে নতুন একটি আর্টিকেল বানিয়ে দাও।
এ ধরনের সহজ কাজগুলো কিন্তু আপনি চাইলেই মোবাইল দিয়ে করতে পারেন। কারণ টাইপিং এর কাজগুলো কিন্তু আমরা মোবাইল দিয়ে খুব ভালোভাবেই করতে পারি। এজন্য আমাদের পিসি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন হবে না।
Transcription
ট্রানস্ক্রিপশন অনেকটা ট্রান্সলেটের রিলেটেড কাজের মতই। এখানে শুধু ক্লায়েন্ট আপনাকে কোনো পেইজ এর পরিবর্তে একটি বড় অডিও ফাইল বা ভিডিও ফাইল দিবে। সেগুলো আপনাকে শুনে শুনে বা দেখে দেখে লিখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম সেমিনার হয়। অনলাইন লাইভ ওয়েবিনার হয়। দেখা যায় এগুলো থেকে একটা ভিডিও দিয়ে দিল। তখন আপনাকে সেই ভিডিও সংলাপ গুলো শুনে শুনে টাইপ করে দিতে হবে। এগুলো মূলত ট্রান্সক্রিপশনের কাজ।
Virtual assistant
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর নির্দিষ্ট কোন কাজ নেই। মনে করুন আমি একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখলাম এখন তাকে দিয়ে আমি যে কাজ গুলো করবো এক্ষেত্রে আপনিও যদি তাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে রাখেন তখন কিন্তু তাকে দিয়ে একই রকম কাজ করাইতে নাও পারেনা। এই কাজের জন্য সবধরনের কাজের উপর হালকা জানাশুনা থাকলেই হয় ।সুতরাং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়ে আলাদা ভাবে কিছু বলার নেই। আর আপনি মোবাইল দিয়ে এই কাজগুলো করতে পারবেন।
YouTube
আপনি মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান এবং আপনার কাছে যদি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকে ।তাও আপনি যদি ইনকাম করতে চান তাহলে বেস্ট অপশন হবে আপনার জন্য ইউটিউবিং।
ইউটিউব এর সাথে আমার সবাই পরিচিত। এখানে যে কেউ চাইলেই তার নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারে আর সেখান থেকে এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকাও আয় করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার শুধু একটি মোবাইল ও একটি গুগল একাউন্ট থাকলেই চলবে।
আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হলেই আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনিটাইজ পাবার পর মিনিমাম ১০০ ডলার হলে আপনার সেই টাকা উঠাতে পারবেন ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে।
Social media marketing
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে সাধারণত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির বিজনেস পেইজ দেখাশোনা করাকে বোঝায়।
বিভিন্ন কোম্পানির পেইজগুলোতে আপনি মোডেরেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাজ হলো সেই পেইজ/ একাউন্ট থেকে নিয়মিত তাদের প্রডাক্ট সম্পর্কে পোস্ট করা। সেই সাথে গ্রাহক দের কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া ও মেসেজের উত্তর দেয়া। আর এই কাজটি আপনি আপনার মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন ও কি কি কাজ করতে পারবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এখানে। আশা করি আর্টিকেল টি আপনাদের উপকারে আসবে।আর এই বিষয়ে আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট করে জানাবেন।
আজ এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ
You must be logged in to post a comment.