মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার স্কিলসমূহ?

আসসালামুয়ালাইকুম পাঠকবৃন্দ।আশা করি সবাই ভাল আছেন। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আমরা সবাই অনলাইনে ইনকাম করতে চাই। অনেকে অনেক চেষ্টাও করেছি কিন্তু কিছু অসাধু লোকদের পাল্লায় পড়ে অনেকে হতাশার শিকারও হয়েছেন। 

কিন্তু বলে রাখা ভালো , অনলাইন ইনকাম কিন্তু এতটাও সহজ না। এজন্য আপনাকে প্রচুর রিসার্চ করতে হবে যে, কোন মাধ্যমে সত্যিই ইনকাম হয়। 

আবার অনলাইন ইনকাম করার পূর্বশর্ত হলো আপনাকে যেকোনো একটি বা একাধিক স্কিল জানতে হবে।

কোনো বিষয়ে বা কাজে দক্ষ না হয়ে কাজ করার জন্য নেমে পড়লে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। 

এজন্য আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করতে আগ্রহী হন তবে আপনার কোনো স্কিল শিখে নিতে হবে। 

বর্তমানে মোবাইলে অনলাইন ইনকাম করার প্রতি বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। কারন অনেকেরই ল্যাপটপ বা পিসি কেনার মতো সামর্থ্য থাকে না। 

মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ যদি করতে চান তবে অবশ্যই আগে কাজ শিখতে হবে। 

বর্তমানে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু স্কিল সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সহজেই সেগুলো শিখে নিয়ে কাজ করা শুরু করতে পারেন। 

চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি স্কিল জানা থাকলে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। 

কন্টেন্ট রাইটিং: 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে কন্টেন্ট রাইটিং একটি জনপ্রিয় কাজ। এমনকি আপনি যে এই লিখাটি পড়ছেন সেটি ও একটি কন্টেন্ট। 

বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ব্যবহার করে থাকে। 

এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে দেয়া থাকে‌। 

এসব আর্টিকেল পড়ে সকলে সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারে‌। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এই কন্টেন্ট রাইটারদের অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইট মালিকগণ তাদের ওয়েবসাইটের জন্য মানসম্মত কন্টেন্ট লিখিয়ে নেন। 

কন্টেন্ট রাইটিংকে ইন্টারনেটের ভাষায় ব্লগিংও বলা হয়। 

বাংলাদেশে এমন কয়েকটি আর্টিকেল রাইটিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। 

এমন জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হলো ওয়েবশরিফুল, গ্রাথর,জেআইটি, ইনকামটিউনস, টেকটিউনস ইত্যাদি। 

এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্মে চাইলে আপনি কাজ করতে পারেন। 

ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি:

নিজের তোলা ছবি বা ভিডিও অনলাইনে বিক্রি করার মাধ্যমেও ইনকাম করা যায়।যা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। 

বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। এই যুগে 

অনেক কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের এড দেয়ার জন্য স্টক ইমেজ খুঁজে থাকেন। 

এ ধরনের স্টক ইমেজ ব্যবহার করে তারা তাদের কাজকে আরো সহজ করতে পারেন কারণ এতে তাদের ফটোগ্রাফার ভাড়া করে ছবি তুলতে হয় না। এতে তাদের খরচও কম হয়।

আপনি যদি ফোন বা ক্যামেরা দিয়ে ভালো ছবি তুলতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনি ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে আয় করতে পারেন। 

এই কাজ করার জন্য বিশেষ কোনো অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে না। তবে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি সম্পর্কে বেসিক ধারণা ও দক্ষতা থাকলেই আপনি এ কাজ করতে পারবেন। 

আপনার তোলা ছবি আপনি বিভিন্ন স্টক ইমেজ ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন। এর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি হলো - Adobe Stock , Shutterstock, Alamy ইত্যাদি। 

এসব ওয়েবসাইটে আপনি একাউন্ট তৈরি করে আপনার তোলা ছবিগুলো আপলোড করতে পারেন। আপনার এই ছবি কেউ ক্রয় করলে আপনি ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

তাই ছবি তোলায় বা ভিডিও ধারণ করায় আপনি যদি দক্ষ হন তবে শুরু করে দিন এই কাজটি‌। 

ফটো এডিটিং 

বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রোমোশনাল ছবি তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে থাকে। তাদের এই ছবিগুলো তারা এমনি এমনি দিয়ে দেয় না।এখানে কিছুটা এডিট করে সেটাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হয়। 

এ ধরনের কাজ তারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যারা এ বিষয়ে দক্ষ তারা এই কাজ করে থাকেন। 

আগে এসব কাজ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া করা যেতো না। কিন্তু এখন মোবাইলে বিভিন্ন এপস এর মাধ্যমে এসব কাজ অনায়াসেই করে ফেলছেন ফ্রিল্যান্সাররা। 

এক্ষেত্রে জনপ্রিয় কিছু এপস হলো Adobe Photoshop, Adobe Lightroom, PicsArt, Snapseed ইত্যাদি ‌। 

তাই ছবি এডিটিংয়ে যদি আপনি দক্ষ হন তবে শুরু করে দিন এই কাজটি। 

ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ করা: 

একেক দেশের ভাষা একেক রকম । তাই এক দেশের ভাষা বুঝতে হলে অবশ্যই সেটাকে অনুবাদ বা ট্রান্সলেশন করে বুঝতে হবে। আর ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন কাজে অনুবাদ করা টা খুবই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। 

এজন্য এ কাজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি অন্যতম কাজ হলো ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ। 

এক্ষেত্রে এক ভাষাকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করতে হয়। এই কাজ মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব। 

তাই আপনি যদি কয়েকটি ভাষায় দক্ষ হন বা শুধু ইংরেজি ও বাংলা ভাষা জানেন তবে আপনি এ কাজ খুব সহজেই আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর আরো বহু কাজ রয়েছে যা মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজেই করা যাবে। 

তাদেরি না করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী সঠিক কাজটি করা শুরু করে দিন, সফলতা আসবেই।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ