আসসালামু আলাইকুম, আমাদের সবারই মোটামুটি স্মার্টফোন আছে। আমরা ভিডিও দেখে,গেম খেলে,বিভিন্ন উপায়ে আমাদের মূল্যবান সময়গুলা এই স্মার্টফোনের পিছনে অযথা ব্যয় করি। যদি এই সময়টা আমরা কোন ইনকামের পথে ব্যয় করি তাহলে কেমন হয়।
হ্যালো আমি বাইরে গিয়ে ইনকামের কথা বলছি না, এই স্মার্টফোন দিয়েই ইনকামের কথা বলছি। অনেকেই অনলাইন ইনকাম নিয়ে অনেক পোস্ট করেন। অনেক সহজ উপায় ও বলেন।কিন্তু আদোউ এটা ওতটা সহজ না। আপনি টাকা ইনকাম করবেন আর এই টাকা ইনকামের জন্য মানুষ যতটা কষ্ট করে সেই কষ্টটা এখানেও করতে হয়। তবে কষ্টের ধরণটা আলাদা।
স্মার্টফোনে ইনকামের সুবিধা এটাই, এবং দুটি সুবিধা আপনি পাচ্ছেন। দেখুন বিস্তারিত।
১. ইনকামের জন্য যে কষ্ট করতে হয় এখানে তার ধরন আলাদা।
২. অপচয়কৃত সময়কে কাজে লাগানো।
তাহলে আসুন আজকে জেনে নেই কোন কোন সাইট থেকে অনলাইন ইনকাম করা যায়।
বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ নতুন করে অনলাইন ইনকামে যোগ দেন তাহলে তাদেরকে আমি বলবো আপনারা আগে একটি নিজস্ব ব্লগ খুলে নেন।একটা ব্লগে যখন ফলোয়ার বা ভিজিটারের ট্রাফিক বেশি হয় তখন এই ব্লগ থেকে ইনকাম করাটা অনেকটাই সহজ হয় তবে কঠিন কাজটি হলো ফলোয়ার বা ভিজিটার বাড়ানো। যা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো।
আসুন এক নজরে দেখে নেই নতুন ফ্রিলান্সারদের ইনকামের জন্য ক্রমানুসারে ধারাবাহিক সাইট কোনগুলো।
১. jit.com.bd থেকে প্রতিদিন আনলিমিটেড আয়
নতুনদের জন্য এই সাইটটি অর্থাৎ আমি যে সাইটে এই আর্টিকেল লিখছি ১ম পছন্দ হতে পারে। সাইটে সাইনআপের মাধ্যমে একটা একাউন্ট খুলে নির্ধারিত টপিক অনুসারে আর্টিকেল লিখলে আর্টিকেল ভিজিটর অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে নিতে পারেন। আমি প্রথমে এই সাইটটির কথা বলছি কারণ আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিদেশি সাইটে কাজ করছি তাই আমি জানি, নতুনরা প্রথমে এসব সাইটে কাজ করলে কতটা ঝামেলায় আর বিরক্তিতে পড়তে হয়। জে আইটি আনিংপ্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করতে চান বিস্তারিত এখানে দেখুন।
২. গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়
যাদের নিজস্ব ব্লগ আছে তাদের জন্য অনলাইন ইনকামের সেরা পছন্দ গুগল এডস।গুগল এডসেন্স মূলত এমন এক সাইট যেখানে আপনি আপনার ব্লগের দ্বারা রেজিষ্ট্রেশন করে তাদের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার ব্লগে যদি ভিজিটর বেশি হয় ও কন্টেন্ট গুলা ভালো হয় তাহলে গুগল এডসেন্স এ এপ্লাই করতে পারবেন। এপলাই করার পর তারা আপনার ভিজিটর বা অন্যান্য কিছু যাচাই বাছাই করে আপনাকে ইনকামের সুযোগ দিতে পারে।
তাদের কাজের ধরনটা এইরমম--যদি আপনার ওয়েবসাইট দেখে তারা আপনাকের ওয়েবসাইট এডসেন্স এর জন্য অনুমোদন করে তাহলে তারা আপনার ব্লগে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বা গেইমের বিজ্ঞাপন দিবে। যে কেউ এই সব বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে প্রোডাক্ট বা গেইম কোম্পানির সাইটে ঢুকলেই গুগল এডসেন্স আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেবে।
তবে আমার সর্বপ্রথম অনুরোধ থাকবে সবার প্রতি আপনারা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ব্লগ খুলে ফেলুন। এবং ভিজিটর বাড়ান। কারণ এই ব্লগ দিয়ে শুধু গুগল এডসেন্স এ নয় আরো বিভিন্ন সাওটেও ইনকাম করা যায়।
৩. ২ ক্যাপচা এর মাধ্যমে আয়
যাদের ধৈর্য্য আছে ও যারা অপেক্ষা করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই 2captcha.com সাইটে ইনকাম করাটাই বেস্ট। তবে এ টাইপের কোন ভাই নাই মনে হয়। 2captcha য় সহজেই একাউন্ট খুলে সহজেই ক্যাপচা সলভ করে সহজেই ডলার ইনকাম করে সহজেই বাংলাদেশে আনা যায়।
তবে এখানে তেমন ইনকাম করা যায় না। আপনি যদি ১ ডলার আয় করতে চান তাহলে নিম্নে ১০০০-১৫০০ ক্যাপচা সলভ করতে হবে। আর একটা ক্যাপচা সলভের পর আরেকটি ক্যাপচা লোড নিতে এতো সময় নেয় যে ধৈর্য্যশীল মানুষের ও বিরক্ত লাগবে। আমি মাত্র ০.১৫ ডলার ইনকাম করে আর এই সাইটে ঢুকিই নাই।
তবে কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া একটু সাজেশনের মাধ্যমে যারা ২ ক্যাপচায় ইনকাম করতে চান তারা ধৈর্যের সাথে এই সাইটে জয়েন করতে পারেন।
৪. পিন্টারেস্ট থেকে আয়
অনলাইন মার্কেটিং এ যাদের আগ্রহ তারা পিন্টারেস্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। সমস্যা একটাই আপনাকে এই সাইটে একাউন্ট খুলে আপনার ফলোয়ার বাড়াতে হবে। আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমান ফলোয়ার থাকে তবে আপনি রাজা।আপনার একাউন্টে কোন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিতে কোম্পানিরা আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমান টাকা দেবে।
অথবা আপনি কোন প্রোডাক্ট এর কোম্পানির ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি বলতে পারেন আমার এখানে এখন এত জন ফলোয়ার আপনি চাইলে এত ডলার বা ইউরোর বা অন্য কোন মুদ্রার বিনিময়ে আমার এখানে আপনার প্রোডাক্টএর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
এই সাইটে সাফল্যের প্রথম ধাপ হলো ফলোয়ার বাড়ানো।তাই দেরি না করে এখনি একাউন্ট খুলে ফেলতে পারেন আর আস্তে আস্তে ফলোয়ার বাড়াতে পারেন।
৫. upwork, freelancer, fiverf
১,২,৩,৪ এ যেসব সাইটের কথা বললাম এগুলোতে কাজ পেতে বা একাউন্ট খুলতে কোন টাকা ব্যয় করা লাগে না কিন্তু এই ৫ নাম্বারের সাইটে একাউন্ট খুলতে কোন টাকা বা ডলার ব্যয় করতে হয় না। কিন্তু কাজ পেতে নির্দিষ্ট পরিমান ডলার ব্যয় করতে হয়। তাই নতুনদের জন্য এই সাইটগুলো উপযোগী নয়। এই সাইটে একাউন্ট খোলার পর ৭ দিন ফ্রিতে কোন প্রজেক্ট করতে পারবেন কিন্তু এর পরে প্রজেক্টের জন্য এপ্লাই করতে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার ব্যয় করতে হয়।
এই সাইটগুলাতে আপনি একাউন্ট করার পর ডাটা এন্ট্রি, কপিরাইটিং,কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কাজ পাবেন যা বিভিন্ন কোম্পানি প্রমোট করে। তারা এসব কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে।
আপনি যদি এইসব কাজ করতে পারেন তবে বিড বা এপ্লাই করতে পারেন। তবে এটা একাউন্ট খোলার ও ফ্রি বিড এক্টিভেট করার প্রথম ৭দিন আপনাকে কোন ডলার ব্যয় করে বিড করতে হয় না। কিন্তু এর পরে আপনাকে বিড করতে ডলার ব্যয় করতে হবে। আপনার অভিজ্ঞতা বা একাউন্ট প্রোফাইল সেটিংস যদি সুন্দর না হয় তাহলে আপনি বিড করার পর কোম্পানি আপনাকে নাও নিতে পারে আবার নিতেও পারে। তাই বলছি যারা অভিজ্ঞ তাদের জন্যই এই সাইটটি।
তবে একবার একটি প্রজেক্ট কেউ পেয়ে গেলে সেটাকে সবাই সুন্দর করে শেষ করার চিন্তা থাকে।প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে তারা নির্ধারিত ডলারটা দিয়ে দিবে।তবে এইসব সাইট থেকে প্রচুর ইনকাম করা যায়।সমস্যা শুধু নতুনদের জন্য।
আজকে এ পর্যন্তই।আগামী পোস্টে এইসব কোন সাইটে কীভাবে একাউন্ট খুলতে হয় ও কীভাবে ইনকাম করতে হয় তা ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.