অনলাইনে টাকা আয়ের জন্য তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই জীবন মানে যুদ্ধ, জীবন মানে ত্যাগ, জীবন মানে আত্ম উৎসর্গের অভিপ্রায়। বিজ্ঞ মনিষীদের মতে “জীবনে যদি তোমাকে কেও সাহায্য না করে।
সেজন্য তুমি কেঁদোনা, তোমার ভেতর যে প্রতিভা আছে তাকে তুমি জাগিয়ে তোল। আধুনিক যুগ ডিজিটাল কম্পিউটার নির্ভরশীল যুগ।
তাই নতুন যুগে নতুন বিশ্বকে জয় করার জন্য প্রত্যেকের কম্পিউটার শিক্ষার জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
এমনকি পরবর্তী জেনারেশন গাইড করতে হলেও আপনাকে কম্পিটারের ধারণা থাকতে হবে। তাই নতুন পৃথিবীর সকল নব চ্যালেঞ্জের মোকাবেলার জন্য কারিগরী শিক্ষার মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
কম্পিউটার শিক্ষা জানা থাকলে দেশে বা বিদেশে একটি ভাল আয়ের চাকুরী পাওয়ার আত্মবিশ্বাস নিজের মাঝে জন্ম নেবে। বেকারত্ব জাতির জন্য বড় অভিশাপ।
আমি নিজের জন্য কি করছি তা বড় কথা নয়, জাতিকে কি উপহার দিতে পেরেছি তা সবচেয়ে মূল্যবান কথা।
কম্পিউটার শিক্ষা এমন একটি শিক্ষা, যা আপনার জন্ম লগ্ন থেকে শুরু করে মৃত্যুর পূর্বকালীন সময় পর্যন্ত শিখলেও শেষ করা যাবেনা।
অনেক অভিভাবক মহলের ধারণা শিশু শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার আগে কম্পিউটার শিক্ষায় পা বাড়ালে তার পড়ালেখায় দারুণ ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।
পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিনোদন শিশুর মেধা বিকাশে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে। কম্পিউটার শিক্ষার শিশুর জন্য এক ধরণের বিনোদনমূলক শিক্ষা, যা শিক্ষার সাথে শিশুকে পড়ালেখার আগ্রহ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
নিম্নে কম্পিউটার নির্ভরশীল কিছু পেশার কথা তুলে ধরা হলো:
কম্পিউটার অপারেটর: যার কাছ হচ্ছে অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজ তৈরী করা। আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার লক্ষ্য করা যায়।
যেখানে কম্পিউটার রয়েছে সেখানে কম করে হলেও একজন অপারেটর প্রয়োজন।
তাই কম্পিউটার অপারেটর হতে হলে এম.এস ওয়ার্ড, এম.এস এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, এম.এস.এক্সিস, অপারেটিং সিস্টেম : উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিসতা ইত্যাদির জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
প্রোগ্রামার বা সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার : যার কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম তৈরী করা।
প্রোগ্রামার হতে হলে প্রথম অ্যানালিটিক্যাল ও ক্রিয়েটিভ হতে হবে। তাছাড়া দ্রæত বোঝার ক্ষমতা, আধুনিকতা এবং ধৈর্য এ পেশার অতি প্রয়োজনীয় বিষয়।
হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার : যার কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার যন্ত্রাংশ তৈরী, কম্পিউটার সমস্যা নিরূপন ও সমাধান, আপগ্রেড যন্ত্রাংশ তৈরীতে গবেষণা করা। এর জন্য ক্রিয়েটিভ ও সূ² জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।
কাস্টমার সাপোর্ট এক্সিকিউটিভ : যার কাজ হচ্ছে সফ্টওয়্যার ইন্সটল এবং বিক্রয় পরবর্তী সেবা প্রদান।
কাস্টমার সাপোর্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে হার্ডওয়্যার উপর ডিপ্লোমাধারী হলে খুব ভাল হয়।
তাছাড়া অপারেটিং সিস্টেম, সফ্টওয়্যার ইন্সটল, ট্রাবল সুটিং ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে।
নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার : যার কাজ হচ্ছে নেওয়ার্কিং এর পরিকল্পনা, ডিজাইন, নেওয়ার্ক সপ্রসারণ। তিনি নেটওয়াডর্ক সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখেন।
তাছাড়া তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা, আধুনিক অ্যানালিটিক্যাল, সঠিক সমাধান, কেবলিং, ইন্সটলেশন ইত্যাদি একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর : যার কাজ হচ্ছে সার্ভার ও ওয়ার্কস্টেশনের সংযোগ ও নেটওয়ার্কের যে কোন সমস্যার সমাধান করা।
একজন নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে অবশ্যই অ্যানালিটিক্যাল, আধুনিক ও নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত পূর্ণ ধারণাসম্পন্ন হতে হয়। তথ্য আইটি ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে সঠিক ধারণা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে।
ওয়েব ডিজাইনার : কাজ হচ্ছে ওয়েভ সাইটের ডিজাইন তৈরী করা। ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা থাকা বাধ্যতামূলক।
এক্ষেত্রে ডিজাইন, কালার কম্পিনেশন, আধুনিকতা, সৃজনশীলতা, গ্রাফিক্স ইত্যাদি জ্ঞানসম্পন্ন হতে হয়।
এ পেশার জন্য ফটোশপ, ফ্যাশ, ড্রিমওয়েভার, কোরেল ড্র, ফায়ারওয়াডর্ক, এইচটিএমএল, জাভা ইত্যাদি শিখতে হবে।
ওয়েব মাস্টার : যার কাজ হচ্ছে ওয়েবের রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি করা। ওয়েব মাস্টার একটি গুুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বসম্পন্ন পেশা।
এ পেশায় আত্মনিয়োগ করতে চাইলে ধৈর্যশীল হতে হবে। সেক্ষেত্রে আধুনিকতা ও সৃজনশীলতার প্রয়োজন রয়েছে।
এ পেশার জন্য ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জ্ঞানসহ উইন্ডোজ এনটি লিনাক্স, ইউনিক্স, জাভা, স্ক্রিপ্ট, ওলাকল ইত্যাদি খুব ভালোভাবে শিখতে হবে।
ই-কমার্স মাস্টার : যার কাজ হচ্ছে ইন্টারনেটকে সর্বদা ঝামেলামুক্ত রাখা। ইলেক্ট্রনিক্স লেনদেন ও ক্রেতাকে সহজ উপায়ে পণ্য লাভে সহায়তা প্রদান।
ই-কমার্স বা ইলেক্ট্রনিক্স কমার্স হচ্ছে ইন্টারনেট নির্ভর ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া, যেখানে অনলাইনে পণ্য বেচাকেনা হয়ে থাকে।
ই-কমার্স মাস্টার হচ্ছেন এসব অনলাইনের প্রধান যার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে সাইটকে সর্বদা ঝামেলামুক্ত রাখা যাতে করে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বেচাকেনায় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
এ পেশায় যারা মনোনিবেশ করতে চান তাদের ওয়েব ডিজাইনিংসহ নেটওয়ার্কিং ও সার্ভার জাতীয় বিষয় নিখুঁতভাবে শিখতে হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার : গ্রাফিক্স ডিজাইনার কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইনকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাজীবিদের সৃজনশীল হতে হবে।
নিজ সৃষ্টিকে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে। আধুনিক মনের অধিকারী ও কালার কম্বিনেশন জ্ঞান যথার্থ প্রয়োজন।
এ জন্য এডবি ফটোশপ, এডবি ইলাস্ট্রেটর, থ্রি-ডি স্টুডিও ম্যাক্স ইত্যাদি শিখতে হবে।
অ্যানিমেটর : অত্যাধুনিক গ্রাফিক্স তৈরী করা। অ্যানিমেটরকে সর্বদা সৃজনশীল হতে হয়। নতুন কিছু তৈরী করা একজন অ্যানিমেটরের উদ্দেশ্য।
অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও আধুনিক মনের হতে হবে। থ্রি ডি স্টুডিও ম্যাক্স একজন অ্যানিমেটরকে খুব সুন্দর ও নিখুঁতভাবে জানতে হবে।
সাউন্ড ও ভিডিও মিক্সারম্যান ও এডিটর : যার কাজ হচ্ছে শব্দ এবং ভিডিওকে সুন্দররূপে উপস্থাপন করা।
যারা গান-বাজনা ও ফটোগ্রাফিক্স ভালবাসেন তাদের জন্য এ পেশাটি আদর্শ। এ জন্য ওয়েভস্টুডিও এবং অ্যাডোব প্রিমিয়ার শিখতে হবে।
ডেটাবেজ ক্রিয়েটর : প্রধান কাজ তথ্যকে সাজিয়ে রাখা এবং তথ্যকে সিকিউরিটি প্রদান পূর্বক তা প্রোগ্রামের সঙ্গে সংযোগ করা।
এ পেশাজীবীদের অ্যানালিটিক্যাল, ধৈর্যশীল, মুক্ত চিন্তার অধিকারী ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হতে হয়। এ জন্য ওরাকল সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বোৎকৃষ্ট। বিশ্বব্যাপী ওরাকলের কোনো বিকল্প নেই।
পরিশেষে বলা যায়,
এদেশের বেশীরভাগ জনগণ এখনো ইন্ফরমেশন টেকনোলজি এর মজার জগতে ঢুকতে পারেনি।
যদি সরকার পরিকল্পিতভাবে সমাজের প্রতিটি সেক্টরে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা ও অনলাইনে টাকা আয়ের প্রশিক্ষণ চালু করে।
এবং প্রতিটি সরকারি প্রচার মাধ্যমে ইন্ফরমেশন টেকনোলজি’র গুরুত্ব তুলে ধরে, তাহলে দেশ ও জাতি বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্ত হবে।
মাথাপিছু আয় বাড়বে। এদেশের জনগণ দেশে বা প্রবাসে একটি ভাল আয়ের চাকুরী নিশ্চিত হবে। বৈদেশিক আয় বাড়লে দেশ ও জাতি স্বনির্ভর হবে।
জনগণ আইটিতে ঢুকে গেলে আইটি]র মজায় মগ্ন হবে। দারিদ্র মুক্ত জাতি গঠিত হলে, সোনার মানুষে ভরপুর হয়ে সোনার বাংলা গঠিত হবে।
অনলাইন এ হাজার টাকা আয় করতে দেখে আসুন https://blog.jit.com.bd/revenue-from-the-site-5227
আপনার আর্টিকেলে ইনকাম বারাতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে গ্রুপে জয়েন হন।
https://www.facebook.com/groups/4923657331062352/?ref=share
আপনার আর্টিকেলে ইনকাম বারাতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে গ্রুপে জয়েন হন।
https://www.facebook.com/groups/4923657331062352/?ref=share
আপনার আর্টিকেলে ইনকাম বারাতে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে গ্রুপে জয়েন হন।
https://www.facebook.com/groups/4923657331062352/?ref=share
কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয় জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://blog.jit.com.bd/development-account-5119
You must be logged in to post a comment.