ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার উপায়

ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর থেকেই প্রতিনিয়ত  নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়ে চলেছে। এইতো দুই দশক আগের কথা-ই বলি, আমরা কেউ  ফ্রিল্যান্সিং কি জিনিস তা বুঝতাম না, একদমই না। অথচ আজ বাংলাদেশে প্রায়  ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে যাচ্ছে। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

 বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার সবার জন্য উন্মুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে। বিদ্যুৎ গতিতে  ইন্টারনেট ব্যবহারের  পরিধি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। মানুষের সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারেরও প্রবনতা দিন দিন বাড়ছেই। 

এই সুযোগ ব্যবহার করে আমরা চাইলে অনায়াসেই অনলাইন থেকে  ইনকাম করতে পারি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া –

১. ফেসবুকঃ বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।  বর্তমানে মাসিক সক্রিয়  ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৮৯৫ বিলিয়ন যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

২. ইন্সটাগ্রামঃ প্রতি মাসে সক্রিয় ইউজার সংখ্যা পায় ১ বিলিয়ন, যা ক্রমবর্ধমান।

৩. টুইটারঃ দৈনিক ১৮৭ মিলিয়ন সক্রিয় ইউজার।

৪. লিংকড-ইনঃ প্রতি মাসে ৩১০ মিলিয়ন সক্রিয় ইউজার।

৫. পিন্টারেস্টঃ প্রতি মাসে ৪৪৪ মিলিয়ন সক্রিয় ইউজার।

আজ আমরা জানবো কি কি উপায়ে ইন্সটাগ্রাম থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

তার আগে ইন্সটগ্রাম সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাকঃ 

ইন্সটাগ্রাম এর মাসিক অ্যাকটিভ ইউজার সংখ্যা প্রায় ১ বিলিয়ন। 

৫০০ মিলিয়নের অধিক ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী প্রতিদিন অন্তত একটি স্টোরি পোস্ট করে থাকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭১ শতাংশ ব্যবসা ব্র‍্যান্ডিং ও মার্কেটিং এর অংশ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে থাকে। 

মোট অ্যাকটিভ ইউজার সংখ্যার অর্ধেক কমপক্ষে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্টকে ফলো করে।

প্রতি মাসে ২ মিলিয়ন এডভার্টাইজার তাদের বিজ্ঞাপন ইন্সটাগ্রামে দেখিয়ে থাকেন।

প্রতি বছর ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার ৮০% হারে বাড়ছে।

বেশিরভাগ ব্র‍্যান্ড ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রামে ৪ গুণ এনগেজমেন্ট পেয়ে থাকে।

৮০ শতাংশ ব্যবহারকারী ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারের সময় কোনো প্রোডাক্ট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

পরিসংখ্যান থেকে সহজেই বুঝা যায়, ইন্সটাগ্রাম অনলাইন ইনকামের একটি খুব সহজ এবং অন্যতম মাধ্যম।

যেভাব ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করতে পারি-

বিজনেস পেইজ থেকেঃ 

ইন্সটাগ্রামে দুইধরনের একাউন্ট হয়ে থাকে,  একটি ব্যক্তিগত এবং অন্যটি বিজনেস। আমরা বিজনেস পেইজের মাধ্যমে অ্যাফিলেয়ট মার্কেটিং অথবা নিজস্ব ব্র্যান্ডের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারি। শপিং ট্যাব/বাটন সহজেই চালু করে নিতে পারি আমাদের বিজনেস পেইজে। 

ইন্ফ্লুয়েন্সারঃ

যদি আমাদের একাউন্টটিতে খুব পরিচিত, ফেমাস এবং অসংখ্য ফলোয়ার থাকে তবে আমরা বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা বিজ্ঞাপন টাইমলাইনে শেয়ার করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারি।

ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্ট ফোর সোশাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ

এই সেক্টরে অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমনঃ- একাউন্টের ফলোয়ার,  এঙ্গেজমেনট রেট, লাইক, কমেন্ট বাড়ানো, টার্গেটেড ট্রাফিক বাড়ানো। এই ধরনের সার্ভিস আমরা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সেল করে ইনক্ম করতে পারি।

সোসাল মিডিয়ার ম্যানেজমেন্টঃ

একাউন্ট এর যে কোন ধরনের প্রবলেম ফিক্স করা অথবা কোনো নতুন ট্যাব বা বাটন সেটিংস করা, এড ক্যাম্পেইন, হ্যাজট্যাগ রিসার্চ, একাউন্ট পারফরম্যান্স রিপোর্ট ইত্যাদি।

আমরা এই ধরনের সার্ভিস গুলো বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সেল করে অনায়াসে ইনকাম করতে পারি। অথবা আমরা নিজস্ব বিজনেস পেইজ খুলেও সার্ভিস দিতে পারি।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ