মহিলাদের জন্য আয়ের সহজ পথ
আমাদের মধ্যে এমন কোন মহিলা নেই যে তার মধ্যে প্রতিভা নাই। কিন্তু আমাদের সমাজের মহিলাদের প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম বা সঠিক পথ নির্দেশনা নেই ।
তাই হাজার প্রতিভা থাকা সত্বেও আমাদের দেশের মহিলারা নিজেকে আত্ননিয়োগ করতে পারেনা। আমরা অনেকেই প্রতিভা বলতে কি বুঝায় তা বুঝিনা ।
আমরা প্রতিভা বলতে শুধু লেখা পড়ার সক্ষমতাকে বুঝে থাকি। আমাদের মধ্যে এমন কিছু বিশেষ গুনাবলী রয়েছে যা আমরা প্রকাশ করতে চাইনা বা আমদের এই গুনাবলীকে কেউ মূল্যায়ন করেনা।
আয়ের পথ কি?
যেকেউ আয় করতে চাইলে প্রথমে জানতে হবে আয়ের পথ কি? আমরা শুধুমাত্র শরীরের পরিশ্রমে ইনকাম করার পথকেই আয়ের পথ মনে করে থাকি।
যেমন অফিস আদালতে কাজ করে বা নিজের শরীরের পরিশ্রমকে বিক্রি করে যে অর্থ রোজগার করি তাই আয়ের পথ।
কিন্তু আমাদের সমাজের জ্ঞানীদের কথায় আয়ের পথ হলো এমন একটি পথ যেখানে নিজের শ্রমের অর্থ নিজের সংসারে খরচ হবে আর অতিরিক্ত যে টাকা থাকবে তাই হলো আয়।
বর্তমান বাজার দরের উপর আলোচনা করলে দেখা যায় নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চালিয়ে আয় করার আর কোন সুযোগ থাকেনা।
তাই মানুষ নিজের সংসারের খরচ মিটিয়ে পরবর্তী সময়ের জন্য যে অর্থ জমিয়ে রাখবে তার কোন সুযোগ থাকেনা।
বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে তাকালে আয়ের আর কোন পথ থাকেনা। তাই মানুষ বাধ্য হয়ে নিজিকে অপাধের সাথে জড়িয়ে ফেলে।
এই অপরাধ থেকে বেচেঁ থাকার জন্য দুজনের রোজগার করা প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রী দুজনে রোজগার করলে একজনের অর্থে সংসার চলবে আর একজনের অর্থ জমা থাকবে ।
জমাকৃত টাকা হলো আয়। আর এই আয়ের পথ হলো শ্রম বা মেধা বিক্রি করা। মেধা বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন হলো আয়ের পথ।
মেধা কি?
আমরা মেধা বলতে শুধুমাত্র নিজের লেখা পড়ার জ্ঞানকে মনে করি । বিষয়টি আসলে তা নয়। আপনাদের আশেপাশে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যার কোন লেখা পড়া নাই অথচ সে বড় ব্যবসায়ী।
আপনার কাছে যে কাজটি করতে ভালো লাগে বা সবচেয়ে ভালো করতে পারেন তাই হলো মেধা।
আপনার মধ্যে কি কোন মেধা অছে? খুজেঁ নিন।
এমন কোন মানুষ নেই যে যার মধ্যে কোন মেধা নেই। আপনি ভাবছেন আমিতো বেশি লেখা পড়া করিনাই তাছাড়া আমি লেখা পড়ায় ভাল ছিলাম না তাহলে আমার মধ্যে কোন মেধা কি করে থাকতে পারে? হ্যা যেকোন কাজে অপনার মেধা রয়েছে।
আপনি ভালো রান্না করতে পারেন, ভালো ছবি আঁকতে পারেন, ভালো গাইতে পারেন, নৃত্য করতে পারেন, গল্প বা কবিতা লেখার অভ্যাস ছিলো কিন্তু জং পড়ে গেছে, ভালো মাছ কাটতে পারেন,
মহিলা হলেও ধান রোপন করতে পারেন, শিশুদের জন্য ছড়া লিখতে পারেন, কথায় কথায় ছন্দ মিল করতে পারেন, ভালো সাতাঁর জানেন, পুতুলকে সাজাতে পাড়ন, নিজে সাজতে পছন্দ করেন,
মেহেদী দিতে পছন্দ করেন ,হাত পাখা বানানো, চুলের যত্ন নিতে পছন্দ করেন, হাতে আল্পনা আকঁতে পছন্দ করেন, ঘর সাজাতে পারেন, পশু বা পাখি লালন-পালন করতে পারেন,
বিড়াল বা কুকুর ছানাকে আদর করেত ভালো লাগে, রাতের চাঁদ ভালো লাগে, ঘুমাতে ভালো লাগে, ভালো হাসতে পারেন বা কাঁদতে পারেন,নকশী কাথার কাজ করতে পারেন, কাপড়ের বা সুতার কোন কাজ করতে পারেন,
পুতি বা স্টোন দিয়ে কোন কিছু বানাতে পারেন, এক কথায় আপনার মধ্যে এমন অনেকগুন আছে যা আপনি অন লাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
এখন ভেবে দেখুন আপনার মধ্যে কি এমন গুন আছে যা আমি উল্লেখ করেছি বা করি নাই। আমরা বিনোদন বা অনেক প্রয়োজনে উপরের চরিত্রগুলো দেখি বা পড়ি।
আমরা অনলাইনে যে বিনোদন করি বা প্রয়োজন মেটাই সব কোন না কোন মানুষের প্রতিভা । আর এ থেকে আয় করছে মানুষ হাজার হাজার টাকা।
আপনিও আপনার পরিবারের আয় করতে সহযোগহীতা করুন। শুধুমাত্র আপনার লজ্যাটা ভেংগে পরিবারে সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে পারেন।
আপনি কোথায় কিভাবে এসব কাজ করবেন?
কোন সমস্যা নাই আমি গাইড লাইন হিসেবে আমি আপনাকে কিছু পরামর্শ দিব । আমি আপনাকে পথ দেখিয়ে দিব । আপনি শুধুমাত্র সঠিক জিনিসটি বেচেঁ নিবেন। আপনার জন্য কোনটা প্রজোয্য তা আপনি বেচেঁ নিন। আপনার জন্য বিভিন্ন সাইট তুলে ধরলাম।
# ইউটিউব: আমরা শুধুমাত্র ইউটিউব দেখে বিনোদন করে থাকি । বিনোদন ছাড়া অন্য কাজ আমরা খুবই কম করে থাকি । আমরা যে বিনোদন পাই তা কেউ না কেউ আপলোড করেছে। আর আমরা দেখছি বলে তার লাভ হচ্ছে। ইটিউব থেকে কিভাবে লাভ হয় তা জানা আমাদের দরকার ।
আমরা তখনি আগ্রহী হবো যখন কোন বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানবো। ইউটিউব কিভাবে আমাদের অর্থ দিয়ে থাকে ।
আমরা যে ভিডিও দেখি তার থেকে বেনিফিট আসা একটা অংশ আপলোডারদের দিয়ে থাকে। আমরা ভিডিও দেখতে দেখতে মাঝে অনেক এ্যাড আসে সেখান থেকে আপলোডাররা অর্থ ইনকাম করতে পারে।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য বিশেষ কোন ক্যামেরার প্রয়োজন হয়না । আপনার হাতে থাকা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে আপলোড করতে পারবেন। ,আপনি যেহেতু আমর লেখাটি পড়তে পারছেন তাই আমি মনে করি আপনার কাছে একটি মোবাইল ফোন রয়েছে।
তাহলে আর দেরী নয় আজ এখন থেকে আপনার পছন্দের যে কোন কিছু করে ফেলুন ভিডিও করুন আর আপলোড করে ফেলুন । আপনি যা বুঝাতে চেয়েছেন তা আপনার আপলোড করা ডিস্ক্রপশনে লিখে দিন। বেশিদিন লাগবেনা আপনার পরিচিতি লাভ করতে। আর এর ইনকাম একদিনের জন্য নয়। যতদিন মানুষ এ ভিডিও দেখবে ততদিন আপনার লাভ আসতে থাকবে।
প্রথমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে থাকুন । মিনিমিাম ৫০ টা ভিডিওি আপলোড করুন আর আপনার বন্ধুমহলে শেয়ার করুন। দেখবেন এক সময় আপনার চ্যানেল থেকে ইনকাম আসবে।
আমরা যদি ইউটিউব চ্যানেল দেখি তাহলে দেখবো অনেক রান্নার চ্যানেল। যা আমরা নিয়মিত দেখে থাকি। আমি উপরে যা বলেছি তার যেকোন একটি আপনি করতে পারলে আপনি সাকসেস হবেন। তবে কখনো কারো ভিডিও আপলোড করবেন না ।
তাহলে আপনার চ্যানেল নস্ট হয়ে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আপনার কাছে ই্উটিউব পারবেননা বলে মনে হচ্ছে । সমস্যা নাই আপনি করতে পারেন এমন অনেক কাজ রয়েছে অনলাইন জগতে। আমরা সব আলোচনা করবো । যা ভালো লাগবে আপনি তাই করবেন। তবে ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকুন আর শিখতে থাকুন। আপনি অবশ্যই পারবেন। আমার দীর্ঘ বিশ্বাস আপনি পারবেন।
ব্লগ লিখে ইনকাম: আমরা সবাই মোবাইল দিয়ে মেসেজ লিখে থাকি তাহলে অবশ্যই সবাই লিখতে পারবো । উপরে আলোচিত যেকোন বিষয় নির্বাচন করে লিখা শুরু করে দিন ।
আমরা ছোট সময় রচনা লিখেছি বা বড় হওয়ার পরেও রচনা লিখে থাকি । আপনার নির্বাচিত বিষয় নিয়ে রচনা লিখা শুরু করুন। আর আপলোড করে দিন ।
এজন্য আপনাকে একটি ব্লগার ডট কমে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। আপনার লেখাটি যত মানুষ দেখবে তত আপনার লাভ আসতে থাকবে । ব্লগও আপনার ইউটিউবের মতো আয় দিয়ে থাকে।
কিভাবে লিখবেন?
তার একটা নমুনা তুলে ধরলাম। মনে করেন আপনি কান্না সম্পর্কে লিখবেন। কান্না কি? কেন মানুষ কান্না করে? কান্না কেন ? কান্না কত প্রকার? কান্না করলে মানুষের লাভ বা ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরুন। বিয়ে বাড়িতে বউ এর কান্না কেমন হয়?
সন্তান মাকে কষ্টদিলে কান্নার ধরণ কেমন হয়? প্রেমিক প্রেমিকার বন্ধন ভেংগে গেলে তাদের কান্না কেমন হয়? কান্নার ইতিহাস কি? গভীর রাতে কান্না করলে কি হয়? কান্না মানুষের সকল চাওয়া পূরণ করে ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।
ফেইজবুকের মাধ্যমে আয়:
সবছেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেইজবুক। আমরা আমাদের বেশির ভাগ সময় ফেইজবুকে ব্যয় করে থাকি। কিন্তু এই ফেইজবুক থেকে আমরা ইনকাম করতে পারি খুব সহজে কোন পুজি ছাড়া । আমরা ফেইজবুকে অনেক এ্যাড দেখে থাকি । অনেক জামা কাপড় বা নতুন নতুন খেলনা ।
যা কোম্পানী বিক্রি করে থাকে কিন্তু যার মাধ্যমে এই দ্রব্যটি বিক্রি হয় তাকে কোম্পানী কিছু লাভ দিয়ে থাকে। আবার কোম্পানীর দেয়া নির্দিষ্ঠ মূল্যের চেয়ে বেশী বিক্রি করে তাও এ্যাড দাতার লাভ। এজন্য যে এ্যাড দেয় তার কোন খরচ হয়না বা ক্রয়কারীর সাথে তার কোন যোগাযোগ ও হয়না।
শুধুমাত্র মধ্যস্থতা করে বিক্রি করে লাভ করা । আবার কারো কোন পেইজের এ্যাড দিলে বা শেয়ার করার মাধ্যমেও ইনকাম করা সম্ভব।
আপনি কোন কিছু বানাতে পারেন সেল দেয়ার জন্য কোন দোকান প্রয়োজন নেই। আপনি ফেইজবুকের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগ এখন বিগ বাজার হিসেবে পরিচিত।
আপনারা দেখে থাকবেন অনেক মেয়েরা বা ছেলেরা কোন দ্রব্য কিনে সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারে।
আপনি একটু চেষ্টা করেন আপনিও পারবেন। এজন্য অনেক কাজ করতে হয় তবে একটু চেষ্টা করলেই আপনি পারবেন ।
বিভিন্ন এ্যাপ থেকে ইনকাম: আমরা বিভিন্ন সময় এ্যাড দেখি যে এই এ্যাপ থেকে ইনকাম করা যায় ঐ এ্যাপ থেকে ইনকাম করা যায়। আমরা বিভিন্ন এ্যাপ থেকে ইনকাম করেছি ।
যেমন: টিকটক এ্যাপ, বিকাশ এ্যাপ আপনি আপনার কোন বান্ধবীকে এই এ্যাপ সমূহ শেয়ার করলে আর তারা যদি আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে একাউন্ট করে তাহলে ভালো একটা এ্র্যামাউন্ট পাওয়া যায়। যা আপনি সহযেই উইথড্র করতে পারবেন । এমন অনেক এ্যাপ রয়েছে যা থেকে আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন ।
টিকটক করে ও আপনি ইনিকাম করতে পারবেন। এজন্য বিভিন্ন চরিত্র যা হাস্যকর এমদন রুপ ধারণ করতে হবে। মানুষ হাসির জিনিসটাকে সহজেই ভাইরাল করে।
তবে ইমপরটেন্ট ইউনিক কিছু থাকলে কোননা কোন সময় ভাইরাল হয়। আপনি যত্ন নিয়ে লিখবেন বা ভিডিও বানাবেন তাহলে ইকাম আসবেই। ইনশাল্লাহ্
অনলাইন আর্নিং খুব সহয তবে অনেক ধৈর্য্য থাকা আবশ্যিক । কারণ আমরা সহজে এর্ং খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম করতে চাই। আপনার কনটেন্ট ভালো হলে তাড়াতাড়ি ইনকাম হবে ।
আর আপনি একটি কাজ করতে করতে পাকা হবেন । তখন আপনার এই বিষয়ে স্কীল ভালো হবে। আর আপনি সহজেই ইনকাম করার কৌশল আয়ত্ব করতে পারবেন।
মনে করেন আপনি টাইপিং শিখবেন তাহলে কি আপনি প্রথমেই সব জানতে পারবেন না আপনি জানতে হলে কিছু সময় ব্যায় করতে হবে ।
আপনার কী বোর্ড সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে । কিভাবে ফাইল খুলতে হয় তা জানতে হবে। কোন ফন্টে লিখতে হবে তা জানা জরুরী ।
মূলত আমি বলতে চাচ্ছি যে আপনি যে বিষয় সম্পর্কে কোন কিছু লিখবেন বা করবেন তা প্রথমে একটু কঠিন হলেও এক সমদয় সহজ হয়ে যাবে।
আপনি এখনি ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন এমন একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করবো।
পিঠার ব্যাবসা: আপনি বা আপনার পাশের বাসার ভাবীরা নিশ্চয় পিঠা বানাতে পছন্দ করেন। আপনি আজ থেকে পিঠা বানাতে শুরু করতে পারবেন।
আর আপনার পেইজবুকে আপনি শেয়ার করে তা বিক্রি করতে পারেন। চেষ্টা তো করেন। হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ্।
এটা একটা উদাহারণ দিলাম আপনি যেকোন কাজ আরম্ভ করতে পারবেন।
এখনি শুরু করুন।
জে-আইটি:
আমরা অনেকেই বাংলা লিখতে পারি। কিন্তু এমন কোন সাইট পাইনা যেখানে বিশ্বস্থতার সাথে আমার ইনকাম পেতে পারি।
ইউটিউব থেকে ইকাম করতে বা ব্লগ থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে। এ্যাডসেন্স একাউন্ট পেতে হলে আপনাকে বহু কষ্ট করতে হবে।
৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাব্সক্রাইবার হলে চ্যানেলটি মনিটাইজেশন হয়।ব্লগ লিখলেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
কিন্তু শুধুমাত্র বাংলা লিখে আপনি আপনি আয় করতে পারেন । আর সে সাইটটি হলো জে-আইটি সাইটে বাংলায় লিখে সহজেই আয় করতে পারেন।
আপনার আয় সহজেই আপনার বিকাশে বা অন্য মাধ্যমে খুব সহজেই পেতে পারেন । আপনার ইনকাম সাথে সাথে আপনার ডেসবোর্ডে দেখানো হবে।
আপনি যে আমার লেখাটি পড়ছেন তাও জে- আইটি তে লেখা এবং আমি একটি কনটেন্ট লিখে আয় করতে পেরেছি এটি আমার দ্বিতীয় কনটেন্ট।
আপনারা উৎসাহ দিলে আরো লিখবো। সবাই রোগমুক্ত থাকুন এই কামনায় শেষ করলাম ।
very Nice
You must be logged in to post a comment.