আদিম যুগ থেকে এ পর্যন্ত নানা আবর্তন বিবর্তনের ফলে আজ আমরা সভ্য দুনিয়ার মানুষ। কিন্তু এত কর্মব্যস্ততার চাপে আমরা এমন ব্যস্ত যে নিজেদের স্বাস্থ্য সমন্ধে খেয়াল রাখি না।
আজ যে আলোচনা করবো শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমরা নিজেদেরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পারি। তাই আজ এখন এই আলোচনা আপনাদের মনযোগ সহকারে পাঠ করতে হবে।
প্রথমেই বলি আমরা বেশির ভাগ মানুষ কর্ম কিংবা অফিস জব করি, তাই সময় পাই না নিজেদের দিকে ফিরে তাকাতে। সে কারনে নানা অসুখে আক্রান্ত হই আমরা। ফলে যেমন ডাক্তার দেখাতে টাকা লাগে তেমন শারীরিক কষ্ট পাই। কিন্তু একটু যদি নিজেদের Care করি বা যত্ন নিই তাহলে আমরা অনেকটা ফ্রেস হতে পারি বা স্বাভাবিক থাকতে পারি।
অতএব আমাদের এখন ঐ বিষয়টি আলোচনা করে জেনে নিতে হবে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কি করে নিজেদের সুস্থ ও সবল রাখা যায়।
প্রথমত: সকাল বেলা ঘুম ভাঙলেই বিছানায় চিত হয়ে টান টান করে শুয়ে শুয়ে ডান পা-টাকে যতটা সম্ভব উপরে তোলার চেষ্টা করুন। এক দুই তিন এভাবে কুড়ি পর্যন্ত গুনে ধীরে ধীরে পা-টাকে বিছানায় নামাতে হবে। একই ভাবে বাম পা-টাকে ঐভাবে একই রকম উপরে উঠিয়ে নামাবো। এরকম পাঁচ বার করে করতে হবে।
দ্বিতীয়ত: এবার দুটো পা একসাথে একইভাবে তুলবো এবং কুড়ি পর্যন্ত মনে মনে গননা করে আবার নামাবো। এভাবে পাঁচ বার একই রকমভাবে করতে হবে।
তৃতীয়ত: দুটো হাতের আঙ্গুল গুলোকে পরস্পর খাঁজে খাঁজে লাগিয়ে ঘাড়ের নীচে ধরে যতটা সম্ভব মাথটা উপর দিকে টেনে তুলতে হবে,কুড়ি পর্যন্ত গুনে আবার নামাতে হবে,এভাবে পাঁচবার করতে হবে।
চতুর্থত: দুটো হাত দিয়ে দুটো পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ধরে দুদিক থেকে ok সিস্টেমে রাউন্ড হতে হবে,এভাবে পাঁচবার করতে হবে।
পঞ্চমত:- বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ুন পাঁচ মিনিট শবাসনে থাকার পর। এবার এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দৌড়ানোর মত করে লাফিয়ে লাফিয়ে রাউন্ট করে ঘুরতে হবে।এরকম দু মিনিট করবেন। তারপর বিছানায় বসে চার মিনিট বিশ্রাম নিন।
ষষ্ট:- এবার কুসুম গরম জলে একটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে বড় একগ্লাস জল পান করুন। এবার দাঁতে ব্রাশ করতে থাকুন।
সপ্তমত:- এবার বাথরুমে যান। শৌচকর্ম করার সময় মন স্থির রাখুন। বাহ্যিক চিন্তা দূরে রাখুন। ভালভাবে শৌচকর্ম সুসম্পন্ন করুন। শৌচকর্মের সময় অন্য কোন চিন্তা না করে ভাল করে সুসম্পন্ন করবেন।
অষ্ট:- এবার আপনি খোলা পরিবেশে দশ মিনিট হাটুন সামান্য দ্রুততার সঙ্গে।ফিরে আসুন । ফিরে এসে পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে বিশুদ্ধ জলে স্নান সমাপন করুন। এবার কাজে বা অফিসে যাওয়ার প্রস্তুত হন। একটি ডিম সিদ্ধ সহ সামান্য টিফিন করে আপনার কাজে বেরিয়ে যান। সারাদিন ঝরঝরে থাকুন।
সর্বশেষে বলি আপনারা প্রতিনিয়ত উপরে উল্লেখিত বিষয়টি নিয়মানুযায়ী করতে থাকুন। দেখবেন এক সুন্দর সুস্বাস্থ্যের অধিকারী আপনি হয়ে গেছেন পরবর্তীকালে আরোও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা রাখবো। আশা করি আপনারা সেই অপেক্ষায় থাকবেন। কেমন লাগলো আপনাদের কমেন্ট করে জানাবেন।
You must be logged in to post a comment.