জি মেইলের সুরক্ষায় আমাদের বিষয়গুলো জানা জরুরী

আধুনিক যুগে জি মেইল একাউন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফোনের ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ থাকে জি মেইল একাউন্টের কাছে।ইন্টারনেট বিশ্ব জি মেইল ছাড়া চলে না।প্রত্যেহ জীবনে ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করার জন্য কোনো না কোনো ভাবে আমরা জি মেইল ব্যবহার করি।কিন্তু আমরা কয়জন এর নিরাপত্তার কথা ভাবি????

যেহেতু জি মেইল একাউন্ট  আমাদের ফোনের ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করে।সুতরাং এর নিরাপত্তা আমাদের ভাবতে হবে।

জি মেইল একাউন্ট  হ্যাক হলে আমাদের ফোনের সব তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে এবং হ্যাকাররা আমাদের ফোনের মুল্যবান জিনিসগুলো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে।

তাই জি মেইল একাউন্ট  হ্যাকিং থেকে রক্ষার জন্য  নিম্নের কাজগুলো করবঃ

(১)শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ফোন নাম্বার কিংবা জম্ম তারিখ ব্যবহার করবেন না।পাসওয়ার্ড যত শক্তিশালী ব্যবহার করবেন একাউন্ট তত সুরক্ষিত থাকবে।পাসওয়ার্ডে ১০ বা তার অধিক অক্ষর ব্যবহার করবেন।সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করবেন,কোনো বাক্য কিংবা নাম ব্যবহার করবেন না।আপারকেস ও লোয়ারকেস এর সংমিশ্রণে ব্যবহার করবেন।

(২) সিকিউরিটি  চেক আপ এর উপর লক্ষ রাখবেন।জি মেইল একাউন্টের (Privacy &security) অপশনে এটা পেয়ে যাবেন।জি মেইল কতৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে লক্ষ রাখে আপনার একাউন্ট নিরাপদ কিনা।সুতরাং কোনো সমস্যা হলে আপনি আগে জানতে পেয়ে যাবেন।

(৩)ডিভাইস রিভিউ একাউন্ট সুরক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এটা চেক করে দেখতে পাবেন আপনার একাউন্টটি কোথায় লগইন করা আছে।কোনো সন্দেহজনক স্থানে থাকলে আপনি তা রিমুভ করতে পারবেন।

(৪)জি মেইল একাউন্ট সুরক্ষায় Two step verification এর বিকল্প নেই।একাউন্ট নিরাপদ রাখতে এটা অন করে রাখুন।এই ফিচারটি মুলত একাউন্টে লগইন করার সময় ফোন নাম্বারে পিন পাঠায়। যা দিয়ে লগইন করতে হয়।সুতরাং কেউ পাসওয়ার্ড জানলেও হ্যাক করতে পারবে না।

(৫)জি মেইল একাউন্টে কোনো সন্দেহজনক মেসেজ আসলে তা খুলে পড়বেন না।কারণ হ্যাকাররা নানারকম  ফাঁদ পেতে থাকে।

(৬)থার্ড পার্টি এ্যাপ অ্যাকসেস একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক  অ্যাপ আপনার জি মেইল একাউন্টের অ্যাকসেস নেয়।যার ফলে আপনার অনেক তথ্য তাদের কাছে চলে যায়।সুতরাং প্রয়োজনীয় অ্যাপ বাদে অন্যসব অ্যাপের ক্ষেত্রে থার্ড অ্যাপ অ্যাকসেস বন্ধ করে রাখুন।যেকোনো ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে এসব মাথায় রেখে চলুন।

এসব দিকগুলো মেনে চললে আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।আপনি যত জানবেন আপনি তত সচেতন হবেন।আপনার ইন্টারনেট সুরক্ষা আপনার দায়িত্ব। যেহেতু আমাদের কর্মের অধিকাংশ জিনিস আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে করি।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.