কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি যিনি প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘ স্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করে । এবং একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজের ধরন নির্ধারণের স্বাধীনতা আছে।
ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো ধরনের কাজ সম্পাদন করে থাকে। এবং একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকে সে যেকোন স্থানে থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজে সম্পাদন করতে পারবে। তাকে ফ্লিলান্সিং বলে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজ শুরু করা যায়
আজ আমি আপনাদের দেখাবো ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসের কাজ।
কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি যিনি প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘ স্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করে। এবং একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজের ধরন নির্ধারণের স্বাধীনতা আছে।ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো ধরনের কাজ সম্পাদন করে থাকে।
এবং একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকে সে যেকোন স্থানে থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পাদন করতে পারবে:-
যেমন: ওয়েবসাইট তৈরি,ছবি সম্পাদনা,ডাটা এন্ট্রি,আটিকেল রাইটার সহ বিভিন্ন কাজে অনলাইনে সংযুক্ত থাকা ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বর্ণনা
ইন্টারনেটে অনেক গুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে রয়েছে যারা অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় এ সকল সাইট বলা হয় ফ্রিল্যান্সিংমার্কেটপ্লেস।যেমন:-(Freverr,microworker, Freelancer)
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট মার্কেটপ্লেসে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে । এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদের কে বায়ার (Buyer) বলা হয় এবং যারা কাজ সম্পাদন করে ফ্রিল্যান্সার(Freelancer) বা সার্ভিস প্রোভাইডার(service provider) বলা হয়।
একটি কাজ পাবার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সার আবেদন করে এবং কে কত টাকায় কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী উল্লেখ করে এদের মধ্যে বায়ার যাকে ইচ্ছা নির্বাচন করে কাজ দিয়ে থাকে।
কাজের অভিজ্ঞতা এবং ফ্রিলান্সারের মন্তব্য ও টাকার পরিমাণ ইত্যাদি বিবেচনা করে ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করে থাকে। এবং ফ্রিলান্সারের নিকট কাজ সম্পাদন করে।
ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর বায়ার প্রজেক্টের সব টাকা ওই সাইটগুলো এস্ক্রো (Escrow) নামক একাউন্টে জমা করে যা কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে, কাজ জমা দেওয়ার সাথে সাথে এস্ক্রো একাউন্ট থেকে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে পাওনা পরিশোধ করে দেয়।
এবং ও বিনিময় সেবা প্রদান এর মাধ্যমে সার্ভিসের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের কাজের নির্দিষ্ট কিছু অংশ(১০%অথবা ১৫%) ফ্রিল্যান্সিং সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত বিষয়
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনাকে রাংকিং,ডেডলাইন,এস্ক্রো ইত্যাদি বিষয়ে জানতে হবে।
রাংকিং:-একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের রেজিস্ট্রেশনকৃত সকল প্রোভাইডারদের মধ্যে নির্দিষ্ট একজন প্রোভিইডারের অবস্থান কততম তা রাংকিং এর মাধ্যমে জানা যায়।
সাধারণত রেটিং এর মাধ্যমে একজন প্রোভাইডাররের কাজের সম্পর্কে জানা যায়।
ডেডলাইন:- প্রত্যেক প্রজেক্ট শেষ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ডেড লাইন থাকে এ সময়ের মধ্যে অবশ্যই কাজ শেষ করতে হবে।
এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে বায়ার ইচ্ছা করলে কোন মূল্য পরিশোধ না করে তার কাজ ফেরত নিয়ে যেতে পারে। এবং বায়ার প্রোভাইডারকে নিম্নমানের রেটিং দিয়ে দিতে পারে।
Talk to Bayer and share project details.
তাই প্রজেক্ট শুরুর আগে বায়ারের সঙ্গে কথা বলে সময় বাড়িয়ে নেওয়া উচিত।
এস্ক্রো (Escrow):- কাজ শুরু করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পন্ন টাকা ওই ফ্রিল্যান্সিং সাইডে জমা রাখাকে এস্ক্রো বলে ।
যা কাজ শেষ হবার পর প্রোভাইডারের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে। বায়ার এস্ক্রোতে টাকা জমা রাখার আগে কাজ শুরু করা উচিত নয়।
একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করার ধাপ নিচে তুলে ধরা হলো:
রেন্ট এ কোডার সাইটের আলোকে একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপসমূহ ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো
1.প্রজেক্ট সার্চ করা: একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইডে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কাজ এসে থাকে।
Search your project
এর মধ্যে থেকে যে বিষয় দক্ষ তা খুঁজে বের করে প্রতিটি কাজ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ওই ধরনের কাজে বায়ারদের চাহিদা এবং কাজের মূল্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা হবে।
এক বা একাধিক কাজ খোঁজার জন্য সাইটের প্রজেক্ট ফিল্টার সেটিং এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
2.বিট করা: একটি কাজ পর্যবেক্ষণ করার পর যদি মনে হয় কাজটি আপনি সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে পারবেন তবে ওই কাজের জন্য বিড করতে হবে। বিড করার জন্য অবশ্যই ওই সাইটে লগইন করতে হবে।
বিট করার জন্য ওই কাজটি করতে ডলারে আপনি সম্পন্ন করতে পারবেন তা উল্লেখ করে বায়ারের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে একটি কাজের জন্য সর্বোচ্চ কত ডলার বিট করা যাবে তা প্রজেক্টের বিবরণের সাথে উল্লেখ করে দেয়া হয় ।
তবে আপনি যদি ওই সাইডে এর আগে কোন কাজ না করে থাকেন তাহলে যতটুকু সম্ভব কম মূল্য উল্লেখ করতে হবে। এবং নিজের রাংকিং বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিডের মূল্য বাড়ি য়ে দিতে হবে
3.কাজ শুরু করা: সকল কোডারের মধ্য থেকে বায়ার যদি আপনাকে নির্বাচন করে থাকে তাহলে দেরি না করে কাজ শুরু করতে হবে।
সাধারণত বায়ার কাজ শুরুর সাথে সাথে সকল টাকা এস্ক্রোতে জমা রেখে দেয়। তবে কোন কারণে যদি জমা দিতে দেরি হয় তাহলে বায়ারকে অনুরোধ করতে হবে।
এরপর বায়ারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল তাদের সার্ভার ও ডাটাবেসের তথ্য জেনে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে সম্ভাব হলে প্রতিদিন বা একদিন পরপর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করতে হবে।
বায়ারের চাহিদা বুঝতে না পারলে যত দ্রুত সম্ভব তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বায়ারকে সরাসরি ইমেইল না করে মাার্কেটপ্লেসের সাইট থেকে মেসেজ সিস্টেমের সাহায্যে যোগাযোগ করতে হবে।
এতে করে কোনো সমস্যা সমাধানে বা পরবর্তীতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার মোকাবেলা করা সহজ হবে।
4. প্রতি সপ্তাহের স্ট্যাটাস রিপোর্ট: কাজ শুরু করার পর ওই সাইটের প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে কাজের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে হবে। এজন্য ওয়েবসাইটে প্রজেক্ট এর পাতায় দিয়ে (FILE WEEKLY STATUS REPORT) বাটনে ক্লিক করতে হবে।
কোন কারনে যদি স্ট্যাটাস রিপোর্ট না দেওয়া হয় বে আপনার র্যাংকিং এর মোট স্কোর থেকে ১০০০স্কোর বাদ দেওয়া হবে ফলে রাংকিংএ অন্যদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হবে।
5.কাজ জমা: কাজ শেষ হবার সাথে সাথে দেরি না করে সাইটে গিয়ে সমস্ত কাজ (Zip) করে আপলোড দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ডেডলাইনে উল্লেখিত সময়ের পূর্বেই কাজ জমা দেয়া যায়।
6. বায়ারের কাজ গ্রহণ করা: এরপর ক্লায়েন্ট এর মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রজেক্টে কোন পরিবর্তন থাকলে বায়ার জানাবে।
আরবার যদি কাজে সন্তুষ্ট হয় তাহলে সে সাইটে একটি বাটন ক্লিক করার মাধ্যমে কাজটি গ্রহণ করবে যা ইমেইলের মাধ্যমে সাথে সাথে জানিয়ে দিবে এবং একই সাথে এস্ক্রো থেকে টাকার একটি অংশ সাইটের একাউন্টে জমা হবে।
এবং আরেকটা অংশ সাইটেরফি হিসেবে রেখে দিবে।
পাওনা টাকা উত্তোলনের উপায়: প্রজেক্ট শেষ করার পর টাকা আপনার একাউন্টে জমা হয়ে গেলে ইন্টারনেট ব্যাংক বা পেপাল এর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে হবে।
যেমন: পেপাল হল ইন্টারনেটের অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট আউটসোর্সিং এর অনলাইন সাইটের ক্ষেত্রে পেপাল সাপোর্ট করে।
অচিরেই বাংলাদেশে পেপালের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন শুরু করার প্রস্তাব বিবেচনাধীন রয়েছে বর্তমানে কেউ যদি ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড হোল্ডার হন তাহলে তিনি সেটির মাধ্যমে পেপালে অর্থ লেনদেন করতে পারে।
পেপাল অ্যাকাউন্ট সাধারণত তিন প্রকার। যথা:
-
Parsonal
-
Premier
-
Business
অর্থাৎ আপনার যদি পেপাল একাউন্ট না থাকে তাহলে ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার এ পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন টাকা উত্তোলনের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য নিরাপদ উপায় হচ্ছে ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার।
এ পদ্ধতিতে মাস শেষ তিন থেকে পাঁচ দিনে সম্পূর্ণ টাকা ব্যাংক একাউন্টে এসে জমা হয়ে যায়। তবে পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি।
প্রতিবার টাকা উত্তোলনে 45$ থেকে 55$ ডলার খরচ পড়বে এ পদ্ধতির টাকা উত্তোলনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইডে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।
অর্থাৎ, এভাবে একজন freelancer freelancing সাইটে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে ।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশা সকল স্তরের মানুষের জন্য আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কারণ একজন ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
You must be logged in to post a comment.