ফ্রীল্যান্সিং ও তার প্রয়োজনীয়তা

ফ্রীল্যান্সিং মানে হল স্বাধীন পেশা।যে কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে ইন্টারনেট দ্বরা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন আপওয়ার্ক,ফাইভার, ফ্রীল্যান্সিং ইত্যাদি থেকে আয় করা যায়।

বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে যেমন - ডাটা এন্ট্রি,ডিজিটাল মার্কেটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন,এসইও  কনেটেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং,মোবাইল এপ ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স   ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে আয় করছে।

অনলাইনে কাজ করে অর্থউপার্জন করার সঠিক জ্ঞান না থাকলে নানা কারনে প্রতারিত হতে হয়।অর্থ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।

ইন্টানেটের কিন্তু কোন নিরাপদ কোনো যায়গা নয়।তাই ।তাই সঠিক পদ্ধতি না জানলে খুব সহজে আপনি প্রতারনার  শিকার হয়ে যেতে পারেন

পেওনিয়ারে একটা জনপ্রিয় লেনদেনের মাধ্যম।বাংলাদেশে পেপাল না থাকার কারনে ফ্রিল্যান্সারদের অনলাইন থেকে টাকা উত্তোলন করা অনেক বেশি কষ্টকর ছিল।পেওনিয়ার অনেকটাই সে সমস্যা দূর করে দিয়েছে।

মানুষের ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারনা রয়েছে ।যেমন অনেকেই মনে করে অনলাইনে টিপ দিলেই টাকা আয় হয়,আর সেটাই ফ্রিল্যান্সীং। কিন্তু বাস্তবে এ ধারনাটা সম্পুর্ণ ভূল।কারন ফ্রিল্যান্সীং কাজ করতে ফ্রিল্যান্সদের নির্দিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট এক্সপার্ট ও দক্ষ হতে হয়।

যারা নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ সম্পন্ন করে থাকে তারাই কেবল অনেক আর্ন করতে পারে।তাছাড়া এই ডিজিটাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে কোনো বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা ছাড়া অনলাইন আয় করা সম্ভব নয়।

ফ্রীল্যান্সিং এর সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করে শেষ করা যাবেনা । তারপরও সব থেকে গুরুত্বপুর্ন সুবিধাগুলো ‍নিচে দেয়া হল

সময়ের স্বাধীনতা: এ কাজ আপনার সুবিধা অনুযায়ী সময়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। এর পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার উপরে।

আপনি যদি চান আপনি এখন কাজ করবেন না আপনাকে কেউ জোর করবেনা এখন কাজ করতে।

কাজের স্বাধীনতা: আপনি নিজেই নিজের কাজ বেছে নিতে পারবেন।আপনার যে কাজটি  সব থেকে ভাল লাগে সেটিকে বেছে নিতে পারবেন ও চাইলে ওই কাজ করতে পারেবেন।

নিজের বেতন নিজে ঠিক করা:আপনার নিজের পেমেন্ট রেট আপনি নিজে বেছে নিতে পারেবেন। প্রায় প্রত্যেকটা মার্কেটপ্লেসে নেজের পেমেন্ট রেট উল্লেখ করার সুযোগ রয়েছে।

আপনি যত বেতনে কাজ করতে চান সেটি অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন এখানে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ:ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একটি নির্দিস্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টর সাথে কাজ করতে পারবেন ।

এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পুরোটাই নির্ভর করে আপনার নিজের উপরে।

দলগত কজের সুযোগ:একক ভাবে কাজের পাশাপাশি এখানে আপনারা দলগত কাজের সুযোগ পেয়ে যাবেন।

পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ:এই পেশাটি চাইলে আপনি ফুল টাইম নিতে পারেন আবার পার্ট টাইম হিসেবেও কাজ করতে পারেন।তাই ছাত্র থাকা অবস্থায় ও এই কাজ আপনি করতে পারেন বিনা ঝামেলায়।

ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে অনেকে পারেনা । সে জন্য অসুবিধা হতে পারে।কাজের কোন নিরাপত্ত বা গ্যারান্টি নাও হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সীং এর বড় একটি সমস্যা হচ্ছে,এখান থেকে আপনি প্রতি মাসে সমান উপার্জন করতে পারবেন না।

দেখা গেল ,আপনি এক মাসে ২৫ অর্ডান পেয়ে ৪০০০ হাজার ডলার উপার্জন করলেন । আবার দেখা গেল পরের মাসেই মাত্র ১০ অর্ডার পেলেন যার মূল্য হয়ত ২৫০ ডলার।

আমাদের দেশের মানুয়ের প্রযুক্তীগত দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে আর সেই কারনে অনেকেই ফ্রিল্যান্সারদেরকে মূল্যায়ন করেনা ।

যার জন্যে ফ্রিল্যান্সারদেরকে সামাজিকভাবে কিছুটা অবহেলিত হতে হয়।

দেখা যায় অনেকেই আছেন যারা ঘুমের থেকে উঠে কম্পিউটার বসেন আর ঘুমানোর ঠিক আগ মুহুর্তে কম্পিউটার থেকে উঠেন।

এই সব মানুষের বিভিন্ন ধরনের শারিরিক জটিলতা দেখা দেয়।ধীরে ধীরে ব্যাক পেইন,চোখের সমস্যা মাইগ্রেন ইত্যাদি দেখা দেয়।

তাই সব সুবিধা অসুবিধা কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন কী করবেন। আপনার যদি একটি কম্পিউটার থাকে তাহলে আপনি হতে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles