ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে তাদের টাকা হাত পর্যন্ত আনে

ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে তাদের টাকা হাত পর্যন্ত আনে? উত্তরটি খুবই চমকপ্রদ। আপনারা যারা ইন্টারনেট থেকে আয় করার চেষ্টা করছেন অথবা আয় করা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন তারা নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানেন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন আসে কিভাবে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের টাকা হাত পর্যন্ত নিয়ে আসে? এই প্রশ্নের উত্তরটি এখানে খুঁজে পাবেন। তাই দয়া করে পড়তে থাকুন।

ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে হাত পর্যন্ত টাকা আনে?

আচ্ছা যখন আপনার কোন আত্মীয় আপনাকে টাকা পাঠাতে চায় তখন আপনি কিভাবে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসেন? নিশ্চয়ই আপনি এ টাকা কিভাবে পেতে পারেন প্রথমত হাত দিয়ে আপনি টাকা নিয়ে নিতে পারেন অথবা সেই টাকা আপনার আত্মীয় আপনার ব্যাংক একাউন্টে অথবা বিকাশে পাঠিয়ে দেয়।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে থাকে এবং যারা ছোটখাটো কাজ করে তারা সাধারণত তাদের টাকা বিকাশ বা নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে নিয়ে থাকে। তা ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে ফ্রিল্যান্সাররা তারের টাকা নিয়ে থাকে সেগুলো হলোঃ

  • Payeer 
  • Webmoney
  • Perfect money 
  • Qiwi
  • PayPal 
  • AirTm
  • Bitcoin 
  • Litcoin
  • Dogecoin

তবে বিটকয়েন বা এধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশের বৈধ নয় বলে তারা সাধারণত এগুলোর মাধ্যমে লেনদেন করে না। তাছাড়া পেপাল বাংলাদেশে নেই তাই ফ্রিল্যান্সারদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই ব্যাপারের জন্য।

যদি পেপাল বাংলাদেশে চলে আসে তাহলে নিশ্চয়ই অনেক উপকার হবে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা পেপালের মাধ্যমে নেওয়ার সুবিধা থাকে। অবশ্য পেপার এর চার্জ একটু বেশি।

কিভাবে ব্যাংকে টাকা আনা যায়?

ফ্রিল্যান্সাররা বেশিরভাগ সময় তাদের টাকা নিয়ে থাকে ব্যাংকে এর কারণ হলো পেপাল বা এরকম জাতীয় কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বাংলাদেশ নেই। তাই পেলেন যারা তাদের টাকা সাধারণত তাদের ব্যাংক একাউন্টে এনে থাকে।

তাছাড়া ব্যাংক একাউন্টে কেউ যদি ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা নেয় তাহলে তাকে সরকারিভাবে কিছু টাকা এক্সট্রা দেয়া হয় এমন জানা গেছে। তাই ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক শুভ দিন আসতে চলেছে।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়?

সাধারণত অন্য দেশের কাজ বা নিজের দেশের কাজ ঘরে বসে করার নামই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এটি অন্যান্য কাজের মতই একটি কাজ। তাই ফ্রিল্যান্সিং বলতে একটি কাজ কেই বোঝায়। অনেকের ধারণা রয়েছে যে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

এই ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয় আবার সম্পূর্ণ ভুল নয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ হয়ে ওঠেন তাহলে আপনি অনায়াসে 1000 থেকে 2000 ডলার মাসে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে নিশ্চয়ই দক্ষ হতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কখন ইলিগ্যাল হয়?

যখন আপনি অবৈধভাবে কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিবেন তখনই ফ্রীলান্সের টাকা অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। তাছাড়া আপনি যদি বিটকয়েন বা অন্যান্য কৃতকার্যের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন তাহলেও তালিকা হিসেবে গণ্য হয়।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদার কেন বেড়ে উঠছে?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর নাম জায়গায় জায়গায় শোনা যাচ্ছে। তাছাড়া শোনা যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো টাকার প্রয়োজনীয়তা।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংকে পার্ট টাইম জব হিসেবে গণ্য করেছে অনেক মানুষ। তাছাড়া অযথা ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করে মানুষ তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো নষ্ট করছে। যেহেতু ফিনান্সিং করতে হলে আপনাকে দক্ষ হতে হবে তাই কোন দক্ষতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়।

তাই প্রথমত যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চায় তাদের একটি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তার পরবর্তীতে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করার চেষ্টা করতে হবে।

কিভাবে আপনি দক্ষতা শিখবেন?

বর্তমানে অনলাইনে অনেক কোর্স রয়েছে যেগুলো আপনাকে দক্ষ হয়ে উঠতে অনেক সাহায্য করবে। তাছাড়া একটু ঘাটাঘাটি করলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অনেক খোঁজ পেয়ে যাবেন।

তাছাড়া আপনি অফলাইনে অফলাইনে  শিখতে পারেন। আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন তা আপনার নিজস্ব বিষয়। ধন্যবাদ

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

I am a student and love science. My website: https://www.edublog.tech/