আসসালামুয়ালাইকুম পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
অনলাইন ইনকাম এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সবাই নিজের ক্যারিয়ার অনলাইন ইনকামের মাধ্যমে শুরু করার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।
আর অনলাইন ইনকামের সেরা মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আর এই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে অনেকে সাফল্য অর্জন করতে পারে আবার অনেকে পারে না।
কারণ অনলাইনে আয়ের কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারলেই সফলতা আসবে।
তাই আজ আমি আপনাদের এমন কিছু টিপস সম্পর্কে বলবো যা ফলো করলে আপনিও একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।
কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন:
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই নিজের স্কিলগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হলে বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
কিভাবে নিজের কাজকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করবেন তার পাশাপাশি কিভাবে নিজের স্কিলগুলো ডেভেলপমেন্ট করবেন তার সম্পুর্ন গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করবো।
ধাপে ধাপে আমি এ বিষয়টি বর্ণনা করবো।
১.নিজের স্কিল সম্পর্কে জানুন:
আপনি কোন কাজে দক্ষ ও কোন কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করতে চান তা সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।
যেমন ধরুন আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এ পারদর্শী ,তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়ে কন্টেন্ট লিখবেন তা ঠিক করে নিয়ে নিজের প্রোফাইলে তা এড করে দিতে হবে।
আর সবসময় চেষ্টা করবেন যে আপনার স্কিলই থাকুক না কেন সেটা সম্পর্কে যেনো আপনার অনেক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে। তাহলে কাজ করার ক্ষেত্রেও আপনি সফল হতে পারবেন এবং ইনকাম ও আশানুরূপ হবে।
২.সক্রিয়ভাবে কাজ করুন:
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট ক্রিয়েট করে বসে থাকেন তাহলে কিন্তু হবে না। আপনাকে প্রতিনিয়ত ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলতে হবে ও নিজের স্কিল দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রজেক্ট নিতে হবে।
প্রজেক্টগুলোর কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করতে হবে যেনো কাজের মান দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে পরবর্তী আরো কাজের জন্য হায়ার করে।
ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে নিজেই চেষ্টা করে কাজ খুঁজে নিতে হয় ,তাই বসে থাকলে হবে না। সবসময় সক্রিয় হতে হবে।
৩.আপনার কাজের ব্যাপারে প্রচার করুন:
শুধু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেই নয় অন্যান্য প্লাটফর্মেও নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যেনো আপনার কাজের ব্যাপারে আপনি প্রচার করতে পারেন।
এটি হতে পারে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি প্লাটফর্মে। এসবে আপনি আপনার স্কিল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিলে এখান থেকেও ক্লাইন্ট পেয়ে যেতে পারেন।
এভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার পরিচিতি বাড়বে সেই সাথে ইনকামও।
৪.আপনার কাজে পেশাদারিত্ব আনুন:
একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে নিজের কাজে পেশাদারিত্ব আনতে হবে।সকল কাজকে পেশাদার হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
আপনার কাজ , কথাবার্তা, মিটিং, কমিউনিকেশন, প্রজেক্ট ডেলিভারীসহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের ছাপ ফুটিয়ে তুলতে হবে।কখনো কোনো বিষয়ে উদাসীন হলে চলবে না।
৫.নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকতে হবে:
একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এটি করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে অন্য সবার তুলনায় আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
জ্ঞান অর্জনের কোনো শেষ নেই। তাই আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে পারদর্শী সে বিষয়ে আপনার জ্ঞানের পরিধিকে আরো বৃদ্ধি করার চেষ্টা করুন।
প্রতিনিয়ত কাজ করার চেষ্টা করুন ও নতুনভাবে কাজ করার ফর্মুলা শিখুন। এতে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা দুটোই বৃদ্ধি পাবে।
পরিশেষে বলা যায়,
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে নিজের ভুলগুলোকে শুধরে নিয়ে নিজেকে একদম প্রফেশনাল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য দরকার হবে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের।
উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করতে পারবেন।
আজকের লেখা এ পর্যন্তই। আশা করি সবার ভালো লেগেছে।
You must be logged in to post a comment.