ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আলোচনা দেখে নিন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এবং পরিসর অনেক বড় তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াকরণ সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ।সাধারণ থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক স্মার্টফোন সাধারণ কম্পিউটার থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক কম্পিউটার রেডিও এবং টেলিভিশন সহ সকল ধরনের একমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা ইন্টারনেট world-wide-web ইত্যাদি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আওতাভুক্ত।

প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে আরো উন্নত এবং সহজতর। শিক্ষাক্ষেত্রে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অফিস-আদালতে বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গবেষণা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

তেমনি বেকারদের জন্য সৃষ্টি করেছে কর্মসংস্থান তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নত দেশ তাদের অনলাইন নির্ভর কাজ অন্য দেশের সাধারণ জনগণ দ্বারা করিয়ে থাকে এতে করে বৃদ্ধি পায় কর্মসংস্থান বিদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আই হয়ে যায় কয়েক কোটি কোটি টাকা।

বর্তমান যুগে ইন্টারনেটের যুগ। এখনকার সময়ে কোন মানুষ নেই নিজেকে দুর্বল মনে করে কারণ এখন প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এবং তথ্য প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলেছে ইন্টারনেটের কল্যাণে মানুষের জীবন এতটা উন্নত হয়ে যাচ্ছে মানুষ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি এবং এগুলো ব্যবহার করছে যা আগামী দিনে মানুষের পরিশ্রমকে কমিয়ে দেবে বিভিন্ন ধরনের রোবট মেশিন তৈরির মাধ্যমে মানুষের জীবন হয়ে উঠছে সহজ

বিশ্বব্যাংকের কর্মসংস্থানের বাজার উন্মুক্ত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির সাহায্যে নিম্নলিখিত উপায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যেতে পারে । যথা- 

১. আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং

২. চাকরির সুযোগ ও

৩. উদ্যোক্তা উন্নয়ন

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং : ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক দেশে বসেই অন্য দেশের কোন কাজ করা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশ তাদের অনলাইননির্ভর কাজগুলি অন্য দেশের লোকজন দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে এ ধরনের কাজকে বলা হয় আউটসোর্সিং।

অন্যভাবে বলা যায় যে, আউটসোর্সিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেওয়া।

আউটসোর্সিং এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষিত বিরাট জনগোষ্ঠী এখন অর্থ উপার্জন করতে পারছে আউটসোর্সিং এখন অনেকেরই পেশা হিসেবে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশে প্রতিবছর আউটসোর্সিং হতে কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করে শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর এই শিল্পকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ইন্টারনেট প্রযুক্তি কে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনেকে এই খাতে বিনিয়োগ করছেন হচ্ছে বিভিন্ন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। 

ফ্রিল্যান্সার এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী যুক্তি ছাড়া কাজ করেন একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করা স্বাধীনতা গতানুগতিক 9 টা থেকে 5 টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রীলান্সের সীমাবদ্ধ নয় ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় কারোর কাছে যদি ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটি কম্পিউটার থাকে তাহলে সে যে কোন জায়গাতে বসে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো করতে পারেন।

ওয়েবসাইট তৈরি থ্রিডি এনিমেশন গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ছবিসম্পাদনা ডাটা এন্ট্রি লেখালেখি করা কোন পণ্যের বাজার খুঁজে দেওয়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করা ডেট অফ বিশ্লেষণ করা ইত্যাদি সহ আরো অসংখ্য কাজেই পদ্ধতিতে করা সম্ভব। 

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির তথা ব্যক্তি অবস্থান মান উন্নয়ন করা সম্ভব শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য আউটসোর্সিং একটি আশীর্বাদ এই শিল্পে ট্রেনিং এর মাধ্যমে একজন প্রতিবন্ধী ও স্বাবলম্বী হতে পারে উন্নত বিশ্বে আউটসোর্সিং এ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে।

বাংলাদেশেও অনলাইন শ নির্ভর শিল্প পিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে আউটসোর্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সহ অনেক প্রতিষ্ঠানের কাজ করছি হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাংলাদেশের কয়েক এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত হবে এতে করে বেকারত্ব ঘুচিয়ে দেশ আই করবে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা তৈরি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছেন তাদের গার্মেন্টশিল্প ছাড়িয়ে যেতে পারে তখন হয়তো দেশের শিক্ষিত বেকার খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য হবে

বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান গলোর মধ্যে payoneer.com, odesk.com , freelancer.com , upwork.com, peopleperhour.com ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় । 

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে অনেক উন্নত এবং প্রগতিশীল করে তুলেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশাল চমৎকার দেখাচ্ছে এবং প্রতিটি মানুষই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনের অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে বেকার জনগোষ্ঠীর তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা আওতায় আসছে দূর হচ্ছে বেকারত্ব । বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থান। 

বাংলাদেশে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা রয়েছে যারা কাজের অভাবে ঘরে বসে থাকে এবং বিভিন্ন সময়ে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এসব শিক্ষিত বেকারদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বর্ধমানের জন্য মুক্ত পথ খুলে দিয়েছে যার ফলে তারা ঘরে বসেই বাইরে না গিয়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজ করতে পারছে বিভিন্ন দেশ ও তাদের এই কাজগুলো দিয়ে মানুষকে কাজ করার নতুন পথ তৈরি করে দিচ্ছে। এতে করে দেশের বেকারত্ব যেমন কমছে তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে দক্ষ জনগোষ্ঠী। বেকাররা যেমন আয় করছে তেমনি দেশের বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার হার এতে করে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তাই আমাদের সকলের উচিত তথ্যপ্রযুক্তির এই কল্যাণকে নিজের জীবনে এনে নিজেকে উন্নত করা এবং দেশের উন্নতি করা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করা দেশকে উন্নয়নশীল করে তোলা।

কারণ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এই দেশের ভবিষ্যৎ। এই দেশ সামনে এগিয়ে যাবে এবং উন্নতির উচ্চশিখরে উঠবে। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে । অন্যান্য দেশের মত সাথে তাল মিলিয়ে চলবে ‌।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Md Mahamudul - Mar 1, 2022, 8:37 PM - Add Reply

Thanks vai

You must be logged in to post a comment.
Alim - Mar 17, 2022, 7:44 AM - Add Reply

Thanks

You must be logged in to post a comment.
Md Mahamudul - Mar 1, 2022, 9:15 PM - Add Reply

Hello vai

You must be logged in to post a comment.
Alim - Mar 17, 2022, 7:44 AM - Add Reply

Hi

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles