ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়: আমেরিকান সোস্যাল জায়ান্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে টাকা আয়ের অন্যতম মাধ্যম হল ফেসবুক। আপনি কি জানতে চান কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায় সেই ক্ষেত্র সমূহ সম্পর্কে সবই বলবো আজ ।নিত্য-নতুন ধারায় মানুষ নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছে।
কম্পিউটার / মোবাইল ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ, সরল, করে তুলেছে সাজিয়ে নিচ্ছেন । প্রযুক্তির সৎ ব্যবহারের ফলে মানুষের যেমন কাজের গতি বেড়েছে, ঠিক তেমনিভাবে কর্ম ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারার পদচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বর্তমানে মানুষের কাজের ক্ষেত্রে কম্পিউটার/মোবাইলের ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে, শুয়ে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক ।
এশিয়ায় বেশিভাগ মানুষ দিনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত করে থাকে ফেসবুকের মাধ্যমে । ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, আলোর বেগে যেকোনো দেশের মানুষের সাথে সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার গতিতে তথ্য বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সাথে কথা বলে তথ্য আদান প্রদান করা যায় ।
বাকি সকল সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে ব্যবহারের দিক থেকে ফেসবুক যোজন যোজন এগিয়ে আছে।নির্ভরযোগ্য একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে, মানুষ প্রতি আধ ঘন্টায় প্রায় ২/৩ বার একটি ফেইসবুক একাউন্টে লগইন করে থাকে।এই গবেষণার তথ্যসূত্র আমাদের জানান দেয় যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তার কথা আমরা সহজে বুঝতে পারি।
সেজন্য জনপ্রিয়তার বিবেচনায় শুধু ফেসবুক আয়ের ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্ম মাধ্যমগুলো থেকে। একজন মানুষ নানা উপায়ে আয় করতে পারেন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে। A to Zজেনে নেই ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় উপায়গুলো সম্পর্কে
আজকে আমরা আলোচনা করবো ফেসবুক দিয়ে কি কি উপায়ে ইনকাম করা যাই নিচে উল্লেখ বিষয় গুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত বলবো
১) ফেসবুক মনিটাইজেশন
2) ফেসবুক মার্কেটিং কি ,কিভাবে ইনকাম করবো
৩) ডাচ বাংলা ব্যাংক কিভাবে খুলবো, কেন খুলবো
৪) ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম
1) ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করে ইনকাম:
মনিটাইজ করার অর্থ হচ্ছে, আপনার পেজটি ফেসবুক নিয়মিত দেখাশোনা করবে বিচার বিবেচনা করবে । সেই সঙ্গে আপনাকে ফেসবুকের শর্ত, নীতিমালা মেনে পেজ চালাতে হবে না হলে মনিটাইজ চলে যাবে । পেজের পোস্ট থেকে শুরু করে আর্টিকেল কনটেন্ট, ভিডিও কন্টেন্ট, ফটো আপলোড সব কিছু ফেসবুকের নীতিমালা মেনে করতে হবে। আজকে মনিটাইজ সম্পর্কে ও সবকিছু জানানো হবে ।
কিভাবে করবেন মনিটাইজেশন:
সারা পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক । এটা শুধু যোগাযোগের জন্যই ব্যবহৃত হয় না। ফেসবুক থেকে ভালো ভাবে এবং নির্ভরযোগ্য সরকারি চাকরির চেয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়। বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে সেটি আপলোড দিলে ভিউস এর ওপর এবং কন্টেন্ট কলিটির উপর ভিত্তি করে ফেসবুক টাকা দেয়।
এজন্য অবশ্যই নীতিমালা শর্ত ফেসবুকের পেজ মনিটাইজ হতে হবে ।
*পেজ মনিটাইজ করতে কি কি প্রয়োজন
*পেজ টি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করবেন প্রথমে শর্ত সাপেক্ষ সেই পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার বা লাইক সংগ্রহ করতে হবে। অর্গানিক লাইক/ ফলোয়ার লাগবে বিভিন্ন কৌশলে যারা লিংক শেয়ার করে এই শর্ত পুরন করে তারা কিন্তু মনিটাইজ পাবেন না ১০০% নিশ্চিত থাকেন। দশ হাজার ফলোয়ার হয়ে গেলেই আপনি ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের জন্য আবেদনের জন্য উপযুক্ত হবেন ।
*প্রতিদিন ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করবেন তাহলে ফেসবুক আলগোরিদম আপনার পেজ কে বেশি দর্শকদের কাছে প্রচারিত করবেন । ফেসবুক পেজটি মনিটাইজ করতে চাইলে আপনাকে ৩ মিনিট বা ৩ মিনিটের থেকে বড় ভিডিও upload করতে হবে।
৩ মিনিটের চেয়ে ছোট ভিডিও গুলোর ভিউস কাউন্ট বলে গন্য হবে না। সেজন্য ভিডিও (video) ভিউস বাড়াতে ও (বিজ্ঞাপন ad) দেখানোর জন্য প্রতিটি ভিডিও কমপক্ষে ৩ মিনিটের বেশি হতে হবে।
* ২ মাসের মধ্যে ৬ লাখ মিনিট ভিডিও ওয়াচ টাইম পুরন করতে হবে । ১ মিনিটের কম সময় দেখা ভিডিওর ওয়াচ টাইম গণনা করা হবে না। যে ( views ) কোনো ( video) ১ মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখবে শুধু তার (ওয়াচ time) গণনা করা হবে । এভাবে আপনাকে ২ মাসের মধ্যে ৬। লাখ মিনিট ওয়াচ টাইম করতে হবে।
** সর্বপ্রথম ফেসবুক home পেজে গিয়ে সেখানে মনিটাইজ অপশন দেখতে পাবেন। মনিটাইজ অপশনটি ক্লিক করে পেজটি মনিটাইজ করার যোগ্যতা অর্জন করছে কিনা তা দেখে নিন সব স্পষ্ট করে লেখা থাকবে ।
*পেজ যদি মনিটাইজ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তাহলে পাশের সবুজ বৃত্তটি বড় করে দেখাবে এবং স্পষ্ট করে লেখা থাকবে Congratulations .Your Page is read to earn money এটা থাকলে আপনি সোনার হরিন পেয়ে গেলেন
* তারপর আমাদের আরও কিছু কিছু ধাপ পার করতে হবে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। নাম: (ঠিকানা address) ( ই-মেইলের email ) ঠিকানা সহ আরও কিছু তথ্য। সম্পুর্ন প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনার পেজ মনিটাইজ করবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ।
মনিটাইজ সম্পর্কে যতেষ্ট জ্ঞান অর্জন করছেন , এবার আমাদের পরবর্তী ধাপগুলি এভাবে এগুতে থাকবে মনযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন
* ফেসবুক মনিটাইজ পেমেন্ট সিস্টেম কিভাবে :
ফেসবুক মনিটাইজেশন টাকা কিন্তু ইউটিউবের মতই দিয়ে থাকে একেবারে তাই যেটা শুনলেন। আপনার ইনকাম যদি ১০০ ডলারের মত হয় তবে প্রতি মাসের ২০-২৮ তারিখের মধ্যে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন যদি কোন ফেসবুকের নীতিমালা বা শর্তে সমস্যা না করেন ।
আপনি ইউটিউবের মতই ফেসবুক এড ব্রেক বা ফেসবুক মনিটাইজ ইনকাম বাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে আনতে পারবেন কোন সমস্যা না, আপনার যেটা ইচ্ছে সেটা দিয়ে আনতে পারবেন । ফেসবুকের ইনকামের জন্য উল্লেখ দুটি ফেসবুক এড ব্রেক এবং ফেসবুক মনিটাইজেশন এই দুটি বিষয় পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ।
ফেসবুক মনিটাইজেশন বা ফেসবুক ইনকাম হাতে পাবার জন্য সবচেয়ে কোন ব্যাংক ভালো আমার সাজেস্ট ডাচবাংলা ব্যাংক। অবশ্যই আপনার যেটা ইচ্ছে করতে পারেন । তবে বাংলাদেশের অন্যান্য। যে সকল ব্যাংক আছে তার চেয়ে ডাচবাংলা পেমেন্ট পেতে ৫-৬ দিন দেরি হয় ।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সহজ মনে করি তাই এই টাইমলসটা আমার কাছে সমস্যা মনে হয় না । আপনি বাংলাদেশে স্বকৃত যেকোন ব্যাংকেই ফেসবুক ইনকামের পেমেন্ট আনতে পারবেন । কোন রুপ সমস্যা না। ডাচ বাংলা ব্যাংক কিভাবে খুলবেন সে সম্পর্কে কিছুক্ষণ পর বলবো সংগে থাকুন। এবং আর্টিকেলের দিকে মনোযোগ স্থীর করুন।
অনেকের পেমেন্ট হোল্ড হয়ে যাই তখন করনি কি। সর্বপ্রথম দেখতে হবে আপনার আইডি নাম এবং ব্যাংক একাউন্ট নাম ঠিক আছে কিনা । কারন আপনার আইডি নাম এবং ব্যাংক একাউন্টের নাম একই থাকা লাগবে । এটা ফেসবুকে রুলসের মধ্যে আছে।আমরা আমাদের এসব ভুল গুলো ফেসবুকেকে দিতে পারিনা।
দ্বিতীয়ত আপনি সর্বশেষ ৯০ দিনের মধ্যে পেইজটির নাম পরিবর্তন করে থাকলে সেক্ষেত্রে পেমেন্ট হোল্ড বা বেধে যেতে পারে। অনেকে ব্যাংক একাউন্টের তথ্য ভুল করে ফেলে। কিন্তু এটা ঠিকও করা যাই। তারপর ও আমরা যখন ব্যাংক একাউন্ট এড করি ,তখন আমাদের একটু সচেতনতা অবলম্বন করা উচিৎ।
সংশোধন আর ঠিক দুটো তো আলাদা বিষয় না, কি। ফেসবুক অফিশিয়াল এপস বা গুগলের ক্রোম ব্রাউজারে ফেসবুক লগিন করে পরিবর্তন করতে পারবেন ব্যাংক একাউন্ট । অনেকে নিজের ইচ্ছে মত ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিওতে গিয়ে এটি পরিবর্তনের চেস্টা করে এবং ব্যার্থ হন ।সত্যি বলতে ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও থেকে এটি পরিবর্তন করা যায়না । এই হাজার, হাজার। চেষ্টা কারিদের জন্য ফেসবুক হয়তো সুদুর ভবিৎতে ক্রিয়েটর স্টুডিও তে সংশোধন ফিচার এড করতে পারে । এবার বলবো ডাচ বাংলা ব্যাংকে কিভাবে একাউন্ট করবে না।
**ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম:---
বাংলাদেশের যত গুলো ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক টি অন্যতম সেরা । এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের গতিশীল অর্থনীতি সংঙ্গে ব্যাংকিং খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে উর্বর গতিতে । এই আধুনিক কম্পিউটার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে , এই ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে । অলস রা বেচে গেছে ।
এই ব্যাংকটিতে আইটি ডিপার্টমেন্টে সুদক্ষ কারিগর আছে, সেজন্য যেকোনো ধরনের লেনদেন খুব নিরাপত্তার সাথে করা যাচ্ছে।২০২২ সালে যারা ডাচ--বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক হতে চান তাদেরকে অবশ্যই ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে ।এটা খুলতে আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না, সামান্য জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ ও এটা করতে পারবেন ।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমত আপনাদের একটি ফরমফ্লাপ করতে হবে। আপনাকে ধরন বুঝে একাউন্ট করতে হবে । কারন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কোন ধরনের একাউন্ট খুলতে চান সেটি আগে সিলেক্ট করে নিতে হবে।
তারপরে প্রয়োজনীয় যে সকল ধরনের ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে এ গুলো সব আপনার তথ্য , অন্য কারো তথ্য এখানে কাজে লাগবে না, তাই সংগ্রহ করতে কোন সমস্যা হবে না ।সকল ডকুমেন্ট/ তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গেলে এবার আপনাকে ফরমটি পূরণ করে নিতে হবে দেখে, দেখে ভুল করা যাবে না ।
আপনি যে ব্যক্তির সাথে একাউন্ট খুলতে চান অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে নিয়ে যাবেন তাহলে আপনার কাজটি খুবই দ্রুততার সাথে হবে । গিয়ে ঠান্ডা হয়ে করেন, দুরত্ব করতে হবে এ অজুহাতে যেন ভুল না করেন ।
একাউন্ট খুলতে কি, কি কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন এবং বলার পরেও নিয়ে যেতে মনে থাকে না, তাই খাতা, কলম হাতে নিয়ে এগুলো লিখে নিন । সাধারণত আপনারা ডাচ বাংলা একাউন্ট দুইভাবে খুলতে পারবেন , এটাই অফিসিয়াল নিয়ম।দুই উপায়ে খুব ভালো ভাবেই ডাচ বাংলা একাউন্ট খোলা যাই এবং সম্ভব।ডাচ বাংলা তে যে দুই ধরনের একাউন্ট খোলা যায় তার নিচে দেওয়া হলো:-
* ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট
* ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট
"ডাচ বাংলা ব্যাংক ছাত্রছাত্রী রা যে একাউন্ট খুলতে চান ,ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে সেটিকে ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট বলা হয়ে থাকে । এই অ্যাকাউন্টটি শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। যদিও অন্যারা বিভিন্ন কৌশলে পারবে খুলতে কিন্তু সেটা উচিৎ না । ছাত্র-ছাত্রীরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন ।
"ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চাইলে যেকোনো ধরনের লোক খুলতে পারবেন ১৮ থেকে আনলিমিটেড বয়স। আপনাকে যে ডকুমেন্ট গুলো আজ আমরা দিব সেটি নিয়ে যান। বাকি গুলো ডাচ বাংলা কতৃপক্ষ করে দিবে। চিন্তার অবকাশ নাই ।
এই একাউন্টের মাধ্যমে আপনারা যে কোন ধরনের লেনদেন করতে পারবেন নিচিন্তে । নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট/ তথ্য কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এই নির্ভরযোগ্য অ্যাকাউন্টটি খুব সহজেই করা সম্ভব।এই দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য/ ডকুমেন্ট তাদেরকে দিতে হবে ।
না দিলে নিরাপত্তা থাকবে কিভাবে । তারপরে আপনারা চাইলে একাউন্ট খোলার কাজটি সঠিক ভাবে নির্ভুলভাবে করতে পারবেন।
*ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে:---
ডাচ বাংলা স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে যে সমস্ত ডকুমেন্ট দরকার হয় তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো এগুলো মাস্ট লাগবে কিন্তু :
১)স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তার স্মার্টকার্ড বা এনআইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি লাগবে ।
২)স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে তার সদ্য তোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে মোবাইল দিয়েও তুলে নিতে পারেন ।
৩)স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি অর্থাৎ আপনি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন তার আইডি কার্ডের ফটোকপি কলেজ থেকে নিতে পারবেন না থাকলে ।
৪) নোমানি এর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং নতুন তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি মোবাইল দিয়ে তুলে নিতে পারেন ।
*সেভিংস একাউন্ট খুলতে যা যা লাগে:
সকল ব্যাংকের মতো কিছু কমন ডুকুমেন্ট আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে যা ডাচ ব্যাংলার সেভিংস একাউন্ট খুলতে আপনার দরকার পড়বে এটা অতিরিক্ত ভাবার দরকার নাই, কারন সব ব্যাংক একাউন্ট করতে আপনার কিন্তু এগুলো প্রয়োজন হয়। আসুন দেখি কি কি ডকুমেন্টস আপনার দরকার হবে এই একাউন্ট খুলার জন্য।
১)দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে যিনি একাউন্ট করতে আগ্রহি তার। মোবাইল দিয়ে তুলে রাখুন
২)ইন্ট্রুডিউছারের এক কপি ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের এর কপি (যার মাধ্যমে আপনি একাউন্ট করতে এসেছেন) এটা কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় জিনিস
৩)নমিনির এক কপি ছবি ও এনআইডি কার্ড, যদি স্মার্টকার্ড থাকে তবে সেটার ফটো কপি।
৪) ট্রেড লাইসেন্স (যদি ব্যবসায়ি হয়ে থাকেন)।এতটুকু যতেষ্ট ডাচ বাংলা একাউন্ট তৈরি করার জন্য ।
*এবার সেভিংস একাউন্ট সম্পর্কে কিছু তথ্য দেয় ।
*ডাচ বাংলা সেভিংস একাউন্ট চার্জ
১)২৫,০০০ এর উপর সর্বোচ্চ ২০০,০০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৬ মাসে ২০০ টাকা চার্জ কাটা হবে।
২)১০,০০০ টাকার ওপর সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ মাসে ১০০ টাকা চার্জ কাটা হবে ।
৩) এই ১০,০০,০০০ টাকা উপর যাই রাখুন না কেন, এর জন্য চার্জ কাটা হবে ৩০০ টাকা করে।
৪) ডাচ বাংলা ব্যাংকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক কোনো চার্জ দিতে হয় না।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে আপনারা যতেষ্ট ডেপেলপার হয়ে গেলেন। আশা করি আর বিস্তারিত বলা লাগবে না। আমরা ফেসবুক থেকে ইনকামের পরের ধাপে আলোচনা করবো, ফেসবুক মার্কেটিং নিয়া , চলুন শুরু করা যাক
ফেসবুক মার্কেটিং
2) ফেসবুক মার্কেটিং কি , কিভাবে ইনকাম করবো:
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে যাই , 1971 আর এখন ইতিহাস আর এখনকার অবস্থান দেখলে স্পষ্ট আকারের পার্থক্য তৈরি করা যাবে । , লিফলেট, পোস্টার, কার্ড, এফএম রেডিও টিভিতে বিজ্ঞাপন থেকে আজকের বাইনারি বিশ্ব (ডিজিটাল মার্কেটিং) এর দিকে অগ্রসর হয়েছে। তারাই পৃথিবীতে এগিয়ে থাকে যারা পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখে।
তেমনি বর্তমান বাইনারী বা কম্পিউটারের পৃথিবীতে ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়ে ধারণা থাকা খুবই প্রয়োজনীয় একটি স্কীল, দক্ষতা।সব ধরণের ছোট--বড়। দেশি বিদেশী ব্যবসার উন্নতির জন্য বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সোস্যাল মার্কেটিং। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৭/৮কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।
তার মধ্যে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখ। তাই এই সময়ের মার্কেটিং তথা ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শক্তিশালী মাধ্যম হলো ফেসবুকের সোস্যাল মার্কেটিং। এশিয়ায় ফেসবুক একটা সোস্যাল জায়ান্ট এর বিপক্ষে অন্য কোন প্লাটফর্ম আদৌ তৈরি হবে না এটি নিশ্চিত থাকুন সেজন্য এই ফেসবুক মার্কেটিং টা শিখে রাখলে ভবিশ্যৎ গঠনে নির্ভরযোগ্য নিশ্চয়তা থেকে যাবে ।
আমাদের আর্টিকেল টি মনযোগ স্থীর করে পড়লে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি। যা হোক গালগল্প অনেক দিয়েছি এবার আশা যাক মুল কথায়।
ফেইসবুক মার্কেটিং কত প্রকার:
ফেইসবুক মার্কেটিং করার জন্য কিন্তু আপনাকে রকেট সাইন্স জানা লাগবে না। দরকার একটা ফেসবুক ফ্যান পেজ । আর এটা করতে ৩ ক্লিকই যতেষ্ঠ, সামান্য তম জ্ঞান থাকলে যতেষ্ট । আর যদি আপনি এতটুকু ও না পারেন তা ও সমস্যা না ইউটিউবে ১ মিনিট দেখে আসলে এনাফ। চাইলে আপনি নিজের ব্যক্তিগত আইডি থেকেও কাজ করতে পারেন,
তবে business পেজ এর সুবিধাগুলো আপনি পাবেন না ।ফেসবুক কিন্তু অফিশিয়ালি দুই ধরনের মার্কেটিংর সুবিধা দেয় ফ্রি ও পেইড আপনি আপনার ব্যবসার ধরন, পরিসর অনুযায়ী যেকোনো একটা মার্কেটিং প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন ।
* ফ্রি ফেইসবুক মার্কেটিং:
ফ্রি ফেইসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ad ফরমেটে ব্যবহার করে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। এখানে কিন্তু নিজের মধ্যে সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল ডিজাইন তৈরি করতে হবে, কারন আপনি এমন ভাবে পেজ সাজিয়ে তুলবেন যেন বুষ্ট করা এলগরিদম ও আপনাকে স্যালুট করে ।
একদম বিনামূল্যে এই মার্কেটিং করার কাজ কিন্তু খুবই সহজ। প্রথমেই আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিষয় অনুযায়ী একটি ফেইসবুক পেইজ খুলে নিবেন। এরপর আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, profile পিকচার কভার ফটো নামের সাথে মিল রেখে দিবেন।
যেমন পেইজের নাম টি -শার্ট আপনি সেখানে মার্কেটিং করছে এয়ারফোন। তখন হিতে বিপরীত হবে, আপনার পেজের প্রতিটি সেটিং সুন্দর ভাবে সাজাবেন এবং আপনার একটি পোস্ট করে রাখবে যেখানে আপনার পেজের যাবতীয় তথ্য থাকবে।
কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করা যাবে, আপনি প্রোডাক্ট কিভাবে সেল দিবেন, কতক্ষণে মধ্যে সেল এক্টিভ হবে প্রোডাক্ট হাতে পেতে কত সময় লাগবে ,ইত্যাদি । আরো কিছু ফ্রি মার্কেটিং আইডিয়া
* ইন্ডাস্ট্রি বা নেটওয়ার্কিং events যাওয়া।
* কাস্টমার রেফারেল প্রোগ্রাম চালু করা
* লাইভ ভিডিও এবং ইভেন্ট তৈরি করা
* বিভিন্ন বড় গ্রুপে পেজ থেকে কমেন্ট করা
* পেজ থেকে পেজে কমেন্ট করা
* প্রতিদিন পেজে দেশে আলোচিত বিষয় গুলো তুলে ধরা
* বছরে একদিন পোস্ট বা ভিডিও বুষ্ট করা অল্প কিছু টাকা খরচ করে তাহলে পেজ দুরত্ব হিট করবে
* দিনে সময় করে কয়েক বার পোষ্ট করা
* যখন মানুষ বেশি সময় ইন্টারনেটে থাকে তখন পোষ্ট করা
* পোস্টের সাথে ছবি এড করা
*পেইড ফেইসবুক মার্কেটিং:
টাকার বিনিময়ে পেইজ বুস্ট করে নিজের টার্গেটের অডিয়েন্সের কাছে খুব দ্রুত পণ্যের (বিজ্ঞাপন ad) পৌঁছে দেওয়ার যাই । আর এটা এতটা নির্ভরযোগ্য, যে কল্পনা ও করতে ও পারবেন না। আপনি যদি বয়স তার্গেট করে পেইড বুস্ট করেন তবে, আপনার প্রোডাক্ট সেই বয়সের ভিত্তিতে সিলেক্ট করা বয়সের অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছবেন।
কোন প্রকার ভুল হবে না। আবার আপনি লোকেশন সিলেক্ট করে ও পেইড বুস্ট করতে পারবেন। এই বুস্ট কিভাবে কাজ করবে ধরুন আপনি ঢাকা জেলা লোকেশন তার্গেট করে দিলেন , তখন কি হবে ঢাকা জেলার, যে ফেসবুক আইডি আছে ঠিক আপনার বুষ্ট করা সেই প্রোডাক্ট ঢাকা জেলার অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছবে ।
আবার আপনি প্রোডাক্টের ধরন অনুযায়ী ও বুষ্ট করতে পারবেন। ধরুন টি - শার্টের প্রাডাক্ট বুষ্ট করবেন, তখন আপনি যদি ফেসবুককে জানিয়ে দেন যে আপনি টি- সার্ট অডিয়েন্সের কাছে আমার এই প্রোডাক্ট টি রিচ করান , তখন ফেসবুকের আলগোরিদম ঠিকই তড়িৎ বেগে ,যারা এই ধরনের প্রোডাক্ট খুঁজছে ঠিকই তাদের সামনে হাজির হবে।
কিন্তু এখানে আবার কিছু সমস্যা আছে আমাদের দেশে সাধারণ আসল ঠিকানা ফরম ফ্লাপ করে না। তাই সবার কাছে ১০০% বুষ্ট করতে পারে না ফেসবুকের আলগোরিদম। যদি ও ইউরোপ , আমেরিকায় এই ধরনের জটিলতার ভার ফেসবুকে নেওয়া লাগে না। তাই যারা আমরা বাংলাদেশ বুষ্ট করার চিন্তা করছি, তাদের আগে আপনাকে বুষ্ট সম্পর্কে যতেষ্ট ধারনা নিয়ে তারপর করতে হবে ।
*কিছু পেইড ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা দিচ্ছি নিচে বুষ্ট সহ:
* আপনার পেজকে কোন গ্রপ ভাড়া করে ভিজিটর আনতে পারেন ।তাহলে কি হবে, যখন একটা তার্গেটেট গ্রপ থেকে ভিজিটর আনবেন তখন আপনার প্রোডাক্ট সেল হবে ভালো । বুষ্টের চেয়ে উপযুক্ত না হলে কি এটা ও প্রায় বুষ্টের মতো ফল দিবে
* জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ভাড়া, কিছু টাকার বিনিময়ে আপনার পেজকে প্রোমোট করতে পারেন। কিন্তু খেয়াল করবেন আপনার পেজটি সাথে সেই ইউটিউবের সম্পর্কে যাই কি,না ।যেমন আপনার পেজটি নাম টি শার্ট সেল, এখন আপনি একটা জনপ্রিয় ফানের। ইউটিউব চ্যানেলে প্রমোট করলেন তখন কি হবে, টাকা তো জলে যাবে এবং পেজের অডিয়েন্সের বিশ্বাস ও হারাবেন। তাই ইউটিউবে পেইজ প্রোমোট করার আগে যতেষ্ট বুঝে শুনে করতে হবে ।
* বড় পেজ ভাড়া করুন, বড় বলতে শুধুমাত্র ফলোয়ার সংখ্যা না কিন্ত। জনপ্রিয় অনেক পেইজ আছে, পেইজ এডমিন যেটা বলে ফলোয়ার রা সেটা শুনে এমন ধরনের পেজ ভাড়া করে লিংক দিয়ে শেয়ার নিন। তাহলে পেজটি অনেক ভালো পজিশনে নিয়ে যাওয়া যাবে।
কিন্তু এখানে সমস্যা আছে, যারা মনিটাইজে জন্য পেজ খোলেন তারা কিন্তু এই পরিকল্পনা ত্যাগ করতে হবে । কারন ফেসবুক মনিটাজের ক্ষেত্রে লিংক প্রোমোটের ব্যাপার টি সামর্থ্য করে না। তাই যা করবেন শর্তাবলী মেনে করবেন ।
(এইবার বলবো ওয়েবসাই ট্রাফিক বৃদ্ধি নিয়ে)
*ওয়েবসাইট ট্রাফিক বৃদ্ধি:
এই সিস্টেমের সাহায্যে আপনি অডিয়েন্সদের একদম সহজে সরাসরি আপনার পেজ বা ওয়েব সাইট ভিজিট করাতে পারবেন । যারা এফবি মার্কেটিং- -এর ফলে আপনার (ওয়েবসাইট) ভিজিট করবে, তারা অর্গানিক ইউজারদের থেকে বেশি জেনেই, বুঝে , রিচার্জ করে এখানে আসবেন কারণ তারা আপনার বিজ্ঞাপনের সম্পুর্ন ডিটেলসের মাধ্যমেই পণ্য সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন।
এজন্য তাদের মনে, প্রানে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তাই আপনার পণ্য সম্পর্কে আরও বেশি, বেশি জানতে আপনার ফলোয়ারদের লাইকার দের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য উৎসাহিত করুন আমি আগে ও বলছি সত্যি নিষ্ঠা ব্যাবসা করতে কোন প্রতারণার মাধ্যেম যেন খুজে নিবেন না ৷
এছাড়া ও, যে সব ওয়েবসাইট টি লিঙ্ক করাবেন সেখানে যদি কোনো ছবি (image) দেওয়া থাকে, তাহলে ফেসবুক তা দিয়েই একটা বড় কভার ফটো তৈরি করে নেয় প্রয়োজনে ফটোসফ সফটওয়্যার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন ইডিট করে নিন । তাই আপনার ওয়েবচসাইটের হোম (home) পেজ অথবা যেই পেজটা লিংক করাবেন সেটাকে একটা আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন ছবি ব্যবহার করুন , ফেক নয় কিন্তু ।
ছবিটা অনেক ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করাবে এবং ওয়েবসাইট ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করবে।
*এতক্ষণ তো ফেসবুক পেজ নিয়ে আলোচনা হল এবার ফেসবুকের আরেক সেক্টর ফেসবুক গ্রুপ, এই গ্রপ থেকে কিভাবে আয় করা যাই সেটা নিয়ে কথা বলবো , চলুন শুরু করা যাক:--
3) ফেসবুক গ্রপ মার্কেটিং কি :
অনলাইনে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে যেই মার্কেটিং করা হয়ে থাকে তাকেই মূলত (Facebook Group Marketing) বা ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং বলে।এই গ্রুপে অনেক বেশি মানুষ যদি না চেনে তাহলে আপনার পোস্টটি রিচ হবে না বেশি। তাই একটিভ থেকে অবশ্যই আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন বা বর্ণনা দিয়ে বিক্রি বাড়াতে পারেন।তবে গ্রুপের কিছু নিয়ম আছে যা আপনাকে মানতে হবে গ্রুপ এডমিন যদি আপনার পোষ্ট বা মার্কেটিং করার অনুমতি না দেয় , তবে সং জাকারবার্গ ও আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবে না।
ভাবুন তো গ্রুপ এডমিন কতোটা শক্তিশালী ।Facebook Group Marketing করার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে গ্রুপে যুক্ত হয়ে বেশি একটিভ থাকতে হবে , সবসময় খাওয়া দাওয়া বাদ মনে করুন । আর একটিভ থাকার অন্যতম উপায় হলো পোস্টগুলো পড়ে আপনাকে প্রয়োজন অনুযায়ী কমেন্ট করতে হবে।
কোন পোস্ট এ যদি আপনি কমেন্ট না করেন তবে আপনার একটিভি বোঝা যাবে না এবং আপনার পরিচিতি ও আসবে না । তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ টি পোস্ট এ গঠনমূলক পোস্ট করার , এতে আপনার একটা যোগ্যতা এবং পরিচিতির স্কীল বাড়বে ।আপনি আরো যদি আপনার কাস্টোমারদের এড করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের অফার এবং নতুন পণ্য বাহারি বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমারদের একটিভ রাখতে পারেন। তাহলে আরো ভালো হবে ।
বিজ্ঞাপন দিতে আপনি প্রোডাক্ট গ্রাফিক্স ডিজাইন ধারা বেষ্টিত রাখবেন । কারন একটা ছবি কিন্তু বিশাল একটা ভাব তৈরি করে অডিয়েন্সের কাছে। সে জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার যদি অর্থ দিয়ে মেনেজ করা অসম্ভব হয়, তবে আপনি নিজে থেকে কিছু সফটওয়্যার দিয়ে করতে পারেন।
আমরা এখন স্কুল, কলেজে দেয়াল বৈশষ্ট পৃথিবীতে বাস করিনা। আমরা ৫ জির যুগে বসাবস করি । সুতরাং আমাকে একটা শিক্ষা নিতে সুদুর ঢাকা, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যারের কাছে ১৬ ঘন্টা বাস / ট্রেনে করে যাওয়া লাগবে না।
সার্চ দিব আলোর বেগে তথ্য চলে আসবে উন্নত এলসিডি ডিসপ্লেতে আর প্রয়োজনীয় স্কীল বাড়িয়ে নিব। তাই ছবি ইডিট। এখন হাতের মোহা । আপনি যখন ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং করবেন । তখন আগে থেকে কিছু প্রোডাক্টের ছবি সুন্দর, সুদর্শন করে মোবাইল বা কম্পিউটার সফটওয়্যার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করে তুলুন।
তার পর সেই ছবি দিয়ে পোষ্ট করুন বিভিন্ন জনপ্রিয় গ্রুপে দেখুন ,কেল্লা খতম । বিক্রির পরিমাণ কোথায় গিয়ে দাড়ায়। আর কিছু রুলস আছে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যখন আপনি প্রতিদিন গ্রপে কমেন্ট ,পোষ্ট করবেন ।
তখন আপনার একটা ব্যাক্তিত্ব পরিচিত মুখ পাবে গ্রুপে তখন আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করেন না কেন সেল অনিবার্য হবেই। গর্ব করে বলা যাই । গ্রুপ কি পেজের সাথে তুলনা মুলক প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। তাই আমরা গ্রুপকে হেউ করে এড়িয়ে গিলে হবে না গ্রপ কিন্তু ফেসবুক মার্কেটিংর যোগ্যতা সম্পুর্ন একটা মাধ্যম ।
আপনার যদি একটা ২ লাখ অডিয়েন্সের ফেসবুক গ্রুপ থাকে আপনি তাহলে , আপনি অল্প পরিশ্রম করে ভালো টাকা আয় করতে পারবে। সেজন্য নিজেকে প্রথম পরিশ্রম এবং মেধা খাটিয়ে একটা বড় মাপের গ্রুপ তৈরি করতে হবে। যে কোন একটা বিষয় যেটা সম্পর্কে আপনি ভালো বুঝেন সেই বিষয় নিয়ে।
কোন সম্পর্কে না জেনে কেউ দয়া করে উল্টা পাল্টা বিষয় নিয়ে গ্রপ খুলে ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং করতে যাবেন না। তা হলে হতাশ হয়ে সব কিছু বাদ দিয়ে ফেলবেন
শেষ কথা : উল্লেখ বিষয় গুলো আপনি সফল হবেন তবে আপনাকে ধর্য এবং পরিশ্রম করতে। পৃথিবীতে টাকা ইনকাম কঠিন তম একটা অধ্যায় । এখানে আসলেন কেউ টাকার ঝুড়ি নিয়ে বসে থাকলো এমনটা ভাবা বোকামি?
Nics
Thanks
You must be logged in to post a comment.