অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

সাধারণত অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যেমন সহজ কাজ, ঠিক তেমনই আবার এটি একটি কঠিন ব্যাপার বটেও।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

তবে অনেকের কাছে অনলাইনে টাকা ইনকাম করাটা একদম বা হাতের ব্যাপার হয়ে থাকে। আবার অনেকের কাছে এটা একেবারে পাথরের মতো শক্ত বিষয় লাগে।

কারণ আর কিছুই নয়, অনলাইন তার কাছ থেকে কি চাইছে?সেটা সে ভালো করে জানেই না।

মূলত অনলাইনে আয় রোজগার করতে হলে সবার আগে আপনার যে কোনও অন্তত একটি বিষয়ে গভীর ধারনা রাখতে হবে।

অর্থাৎ ওই বিষয়টি সম্পর্কে আপনি যা জানেন, বেশির ভাগ লোক সেই ব্যাপারে ভালোভাবে সেটা জানে না।

আর সেটাই অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি সবাইকে জানিয়ে একটা ভালো পরিমান আয় রোজগার করতে পারেন।

এমনকি অনলাইনে টাকা ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেছে।

তবে বিশেষ করে কয়েকটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে।

আর সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেরদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য তাদের কাছে আবেদন করতে হয়।

তারপর কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেসব ফ্রিল্যান্সদের সাথে যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ প্রদান করে থাকে।

আবার অনলাইন জগতে বিশেষ কয়েকটি ওয়েবাসাইট রয়েছে,যেখানে মূলত নিজেদের কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়।আর এতে করে ক্রেতা সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

তবে এসব ওয়েবসাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ সূমহ খুঁজে পাওয়া যায়।

সাধারণত এসব সাইট থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত টাকা আয় করা যায়।
তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে,

এখানে কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলে,তবেই তিনি তাদের জন্য অর্থ প্রদান করে দিবেন।

আর এই ক্ষেত্রে আপনাদের কাজের মানের ওপর কাজদাতা তার নিজস্ব রেটিং দিতে পারেন।

আসলে এসব জায়গায় একজন ফ্রিল্যান্সারকে তার গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয়।

আর এখান থেকে বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি টাকা উইথড্র করে নিতে পারবেন।

বর্তমান সমাজে এমন অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্য নানা উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো সঠিক পথটা সঠিকভাবে বেছে নিতে পারছেন না।

আবার  অনেকেই হয়তো এই ব্যাপারে সঠিক বুঝতে পারছেন না যে,আসলে এই ক্ষেত্রে কোনটা দিয়ে তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করবেন?

তাই এবার চলুন, তাহলে একনজরে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

১. ব্লগসাইট বা ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয়

সাধারণত এখন নিজের একটা ওয়েবসাইট তৈরির করার জন্য অনলাইনেই সবধরণের উপাদান খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা বা কাস্টোমাইজশন ইত্যাদি বিষয় সূমহ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর যখন আপনি আপনার পাঠক বা দর্শককে নিজের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট দিয়ে সেবা প্রদান করতে থাকবেন,

ঠিক তখন আপনি নিজের ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।

তারপর এই গুগলের বিজ্ঞাপন যখন আপনার ওয়েবসাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে আপনার পাঠক বা দর্শককের দেওয়া ক্লিক পড়বে।

আর তখন এখান থেকে আপনার টাকার আয় আসতে শুরু করে দিবে।এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি পরিমান ট্রাফিক বা দর্শক হবে,আপনার টাকা আয়ের পরিমাণ ঠিক তত পরিমান বাড়তে থাকবে।

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয়

মূলত এই পদ্ধতিতে টাকা আয়ের ক্ষেত্রেও আপনার নিজের ওয়েবসাইট  বা ব্লগ সাইট প্রয়োজন হবে। আর যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট চালু হয়ে যাবে,

ঠিক তখন আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক সেখানে যুক্ত করে দিতে পারবেন।

তবে যখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা অনলাইন সেবা কোনো দর্শক কিনবেন,ঠিক তখনই সেখান থেকে আপনার টাকার আয় আসতে শুরু করবে।

৩. গ্রাফিকস ডিজাইন করে টাকা আয়

বর্তমান সময়ে অনলাইনে নিজের ঘরে বসে টাকা আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায় হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মূলত যাঁরা এই কাজে বিশেষভাবে দক্ষ হতে পারে,আসলে তাঁরা তাদের বিভিন্ন রকম ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপলোড দিয়ে রাখেন।

আর সেখান থেকে তাঁদের একটা প্যাসিভ আয় চলে আসে।এছাড়া তাঁদের তৈরি একটি ডিজাইন পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়ে থাকে।

অর্থাৎ সেখানে তাদের একটি ভালো নকশা বা গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত টাকা আয় হতে থাকে।

এমনকি অনলাইনে এই ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এছাড়া বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

৪. জরিপ, সার্চ ও রিভিউ করে টাকা আয়

আসলে আপনি অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে খুব সহজে টাকা আয় করতে পারেন। কেননা অনলাইন জগতে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে,মূলত তাদের জরিপে অংশ নিলে তারা আমাদেরকে একটা ভালো পরিমান টাকা প্রদান করে থাকে।

এছাড়া আপনি অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা বা রিভিউ লিখে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি নিজের ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য তাদের কাছে দেওয়া লাগতে পারে।

তাই এই ক্ষেত্রে সেখানে কাজ করার সময় আপনাকে একটু সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এমনকি এই বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম কাজ?

তা আপনি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিয়ে সেখানে কাজ শুরু করতে পারেন।

৫. ভার্চ্যুয়াল সহকারী হিসাবে টাকা আয়

এখনকার সময়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভার্চ্যুয়াল সহকারীদের কাজের ক্ষেত্র অনেক পরিমান বেড়েছে।

এছাড়া এখানে তাদের ঘণ্টাপ্রতি আয়ও বেশি ধরা হয়ে থাকে। এমনকি এখন নিজের বাড়ি থেকে করপোরেট অফিসের নানা রকম কাজ অনলাইনে করে দেওয়ার বিশেষ সুবিধা বের হয়েছে।

আবার ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মী হয়ে কাজ করা যায় এবং এর পাশাপাশি এটি করে নিজের ব্যবসা নিজেই পরিচালনা করা যায়।

তবে এসব প্রতিষ্ঠান সূমহ বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের কাজের জন্য ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় ।

আর এর মধ্যে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো ইত্যাদি কাজ সূমহ পোস্ট বা অফার করা থাকে।

সাধারণত একজন দক্ষ ২৪ / ৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ হিসাবে ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে উপরের সেসব কাজ সূমহ খুঁজে পাওয়া যায়।

৬. অনুবাদ বা ট্রান্সলেট করে টাকা আয়

আপনার যদি ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকে,তাহলে আপনি সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

আর বর্তমান সময়ে অনলাইন জগতে এমন বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে,যেখানে মূলত আপনি বিভিন্ন ধরণের ডকুমেন্ট অনুবাদ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে যাঁদের মধ্যে স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা আছে।

এমনকি তারা এগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে,সেখান থেকে তারা একটা ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে অনেক সময় কাজদাতারা নিজেদের সময়ের অভাবে এসব অনুবাদের কাজ একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন।

এছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েব সাইটগুলোতে খুব সহজে এই ধরনের কাজ খুঁজে পাবেন।

৭. অনলাইন টিউটর হয়ে টাকা আয়

সাধারণত কোনো বিষয়ে যদি আপনার বিশেষ পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে আপনি সেই বিষয়ে সবাইকে শিক্ষা দিতে পারেন। কেননা অনলাইন প্লাটফর্মে এসব টিউটরদের এখন চাহিদা অনেক পরিমান বাড়ছে।

আবার এখানে সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এমনকি এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর বিশেষ সুযোগ রয়েছে। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির নানা রকমের সুযোগ খুঁজে পাওয়া যায়।

আর সেখানে একজন ছাত্র তার নিজের সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন।তবে এসব সাইটে কাজের জন্য তাদের কাছে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়।

আসলে সেখানে একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে আপনি একজন ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেকশন পরিচালনা করতে পারেন।

আসলে এসব জায়গায় নিজের দক্ষতা বাড়লে এই ক্ষেত্র থেকে অনেক টাকা আয় করার সুযোগ পাওয়া যায়।

৮. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টাকা আয়

মূলত বর্তমান সময়ে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সীমাবদ্ধ থাকছে না।

আসলে এগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের জন্য প্রচুর পরিমান অর্থ দেওয়া হয়।কেননা এটি তারা তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করার জন্য করে থাকে।

আবার অনলাইনে নিজেদের জন্য গ্রাহক ধরে রাখা, প্রচার করার জন্য আপনার মধ্যে অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার হবে।সাধারণত সেখানে বিভিন্ন পোস্ট তৈরি,

ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে,আপনি তাদের কাছ থেকে একটা ভালো পরিমান অর্থ আয় করে নিতে পারবেন।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে আপনার মধ্যে প্রচুর পরিমান মানসিক ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমান ধারণা থাকতে হবে

৯. ওয়েব ডিজাইন করে টাকা আয়

মূলত এখনকার সময়ে অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক পরিমান বেড়ে গেছে।

এমনকি এই কাজের মাধ্যমে আপনি কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খুব সহজে আয় করতে পারবেন।

তবে এসব জায়গায় সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী হয় না।তাই নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে যায়।

আর যারা এখানে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান,তারা আসলে নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।

সাধারণত একটা ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে কাজ করে থাকে।

এছাড়া অনেক সময় সেখানে ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে থাকে।

যার ফলে একজন ওয়েব ডিজাইনারকে কখনো তার কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না।মূলত এসব সেক্টরে ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।

১০. কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা আয়

সাধারণত যারা লেখালেখিতে ভালো এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল ভাবে লিখতে পারেন, আসলে তাঁদের কাজের জন্য কখনো বসে থাকতে হয় না।

কেননা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে বা লিখে আপনি নিজের দক্ষতা ভালোভাবে অর্জন করতে পারেন।

এছাড়া আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আপনার টাকার আয় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।আবার এসব ব্যাপারে কাজদাতা তাদের নির্দিষ্ট নীতি মেনে কনটেন্ট লেখার জন্য বলতে পারেন।

আর এই নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ ধরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে টাকার আয়ের পরিমান অনেক বেড়ে যায়।

১১. ব্লগিং করে টাকা আয়

মূলত অনেকে শখ করে অনেক বিষয়ে লেখালেখি করে থাকে। কিন্তু এই শখের বিষয়টি যদি সে তার জীবনের পেশাগত কাজে সঠিকভাবে লাগাতে পারে, তবে সে অনলাইনে খুব সহজে টাকা আয় করতে পারবে।

এছাড়া ব্লগিং করেও আপনার টাকা আয় করার বিশেষ সুযোগ আছে। সাধারণত দুই উপায়ে নিজের ব্লগ সাইট থেকে টাকা আয় করা যায়। আর তার মধ্যে একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করা।

তবে এটি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে একটি ব্লগসাইট শুরু করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে নিজেই ডোমেইনও হোস্টিং কিনে আপনার ব্লগসাইট চালু করতে পারেন।

তবে নিজে ব্লগ সাইট চালু করতে গেলে আপনাকে কিছু পরিমান টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।এমনকি আপনাকে নিজেই একটি ডোমেইন ও হোস্টিং প্ল্যান কিনতে হবে। তবে আপনার ক্ষেত্রে নিজের ব্লগ শুরু করাটাই সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হবে।

কারণ এতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী অনেক পরিবর্তন করার বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়।আসলে আপনি বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা বা রিভিউ সহ নানা উপায়ে নিজের ব্লগ সাইট থেকে টাকা আয় করতে পারেন।

তবে ব্লগ লিখে টাকা আয় করতে গেলে আপনার কিন্তু রাতারাতি টাকা আয় হওয়া শুরু হবে না। আর এজন্য আপনার এখানে সফলতার জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

কেননা আমার জানামতে, অনেকের ব্লগ সাইট থেকে টাকা আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। সাধারণত ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেটসহ তা সক্রিয় রাখতে এখানে আপনার কাজ করে যেতে হবে।

১২. ইউটিউব থেকে টাকা আয়

যারা ব্লগ লিখে টাকা আয় করতে স্বচ্ছন্দবোধ করতে পারেন না,আসলে তারা তাদের ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও থেকে খুব সহজে টাকা আয় করতে পারেন।

তবে এজন্য আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল আর ভালো মানের ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে জানতে হবে।

এছাড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।

আবার আপনার চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে আপনি কোন ধরনের ভিডিও রাখবেন?তা আগেই আপনি ঠিক করে রাখুন?

আর যেসব বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি হয়ে থাকে,আসলে সেই বিষয়ে ভিডিও না রাখলে মানুষ তা দেখবে না।আর আপনার ভিডিও না দেখলে,আপনার ক্ষেত্রে টাকাও আয় হবে না।

তাই এই বিষয়টি অনেকটাই ব্লগের মতো কাজ করে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও।

এমনকি আপনার চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে টাকা আয়ের সম্ভাবনাও ঠিক সেরকম বাড়বে।

আর এখানে প্রতি হাজার ভিউয়ের হিসাবে গুগল এডসেন্স থেকে আপনি একটা ভালো পরিমান টাকা পাবেন।

১৩. পিটিসি সাইট থেকে টাকা আয়

অনলাইন জগতে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে,মূলত যারা তাদের দেখানো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করবে।আর এই ধরনের সাইটকে সাধারণত পিটিসি সাইট বলা হয়ে থাকে।

তাই এখানে কাজ শুরুর আগে আপনাকে তাদের কাছে নিবন্ধন বা সাইন আপ করতে হবে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে,সাধারণত পিটিসি সাইটগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ভুয়া হয়ে থাকে

তাই এখানে কাজের আগে আপনাকে একদম নিশ্চিত হতে হবে যে,আসলে সেটি প্রকৃত পিটিসি সাইট কি না?

এছাড়া আপনি এসব জায়গায় অনেক সময় আপনার বন্ধুদের রেফারেন্স দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

১৪. ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয়

সাধারণত বর্তমান সময়ের জন্য অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি করা। তবে এই কাজের ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম পরিমান হয়ে থাকে।

আসলে এই ধরনের কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়।আর যাঁদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, আসলে তারা অনলাইনে এই ধরনের কাজ করতে পারবে।

এমনকি বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে এই  ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ রয়েছে। তবে যাদের মধ্যে কোনো কাজে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে,

মূলত সেখানে তারাই খুব সহজে কাজ খুঁজে পান।এমনকি এতে তাদের টাকার দ্রুত আয় বাড়তে থাকে।

১৫. ছবি ও ফুটেজ বিক্রি করে টাকা আয়

আসলে আপনি যদি আপনার নিজস্ব তোলা কোনো ছবি অনলাইনে বিক্রি করতে চান,তাহলে তার জন্য নানা ধরণের ইমেজ শেয়ারিং বা স্টক ইমেজ কিংবা ইমেজ সেলিং ওয়েবসাইট রয়েছে।

আর এই ওয়েব সাইটগুলোতে আপনি আপনার ছবি বিক্রি করার জন্য আপলোড করে দিতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনার ছবিগুলো অনেক ভালো মানের ও হাই রেজুলেশনের হতে হবে।

এছাড়া এসব ওয়েবসাইটে কাজ করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে এদের ওয়েবসাইটে একটা একাউন্ট খুলে নিতে হবে।তারপর সেখানে আপনার তোলা নিজস্ব ছবি আপলোড করা যাবে।

এবার আপনার ছবির কোয়ালিটি ও রেজুলেশন ইত্যাদি বিষয় সূমহ সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।এখন এটি করার পরে আপনার প্রোফাইলটি উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হবে।

এবার আপনার প্রোফাইল অনুমোদন পাওয়ার পর,আপনি সেখানে আপনার তোলা ছবি খুব সহজে আপলোড করে দিতে পারবেন।

তবে কর্তৃপক্ষ প্রথমে আপনার আপলোড করা প্রতিটি ছবিকে ভালোভাবে যাচাই করে দেখবে।

তারপরেই সেখানে তারা আপনার ছবিগুলো আপলোড করে দিবে এবং সবাই আপনার সেই ছবি সূমহ অনেক সহজে দেখতে পারবে।

১৬. কিন্ডলে ইবুক থেকে টাকা আয়

আপনার যদি ভালো মানের লেখালেখি করার ইচ্ছে বা অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি অ্যামাজন কিন্ডলের সাহায্য নিয়ে লাখ লাখ মানুষের কাছে আপনার লেখা খুব সহজে প্রকাশ করে দিতে পারবেন।

সাধারণত অ্যামাজন Kindle Direct Publishing এর সাহায্যে আপনি যেকোনো বই ডিজিটাল ভাবে লিখে খুব সহজেই তা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারবেন।

মূলত একটি বই অ্যামাজনের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ও অ্যামাজনের ই-কমার্সের মাধ্যমে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অনলাইনে প্রচুর মানুষের কাছে বিক্রির জন্য একদম প্রস্তুত করে ফেলা যায়।

এমনকি আপনি নিজেই Amazon KDP- এর সাহায্যে নানা রকম ক্যাটাগরির বই প্রকাশ করতে পারবেন। আর এই বইয়ের দামটাও আপনি নিজেই ঠিক করে দিবেন।এবার উক্ত বই বিক্রির টাকা আপনার পেপ্যাল ​​অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে আসবে

১৭. ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হয়ে টাকা আয়

আপনি যদি শুদ্ধ ভাষায় সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন, তাহলে নানা রকম জায়গায় বা অনলাইন প্লাটফর্মে একজন দক্ষ ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে অনলাইন থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এমনকি অডিওবুক, ভিডিও কন্টেন্ট, অ্যানিমেশন, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, প্রোডাক্ট ভিডিও, অডিও গাইড ইত্যাদি জায়গায় ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বিশেষ সুযোগ রয়েছে।

এছাড়া লোকাল মার্কেটপ্লেসে এসব কাজের ক্ষেত্রে আপনি প্রতি মিনিটের জন্য ৩০-৬০ টাকা করে পেতে পারেন৷ আর ফাইভারে এসব কাজ করলে আপনি মূলত ৫ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত অর্থ আয় করতে পারবেন।

আবার একজন দক্ষ ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে আপনার সুন্দর স্বর ও শুদ্ধ উচ্চারণ খুব দরকার হবে।আর এটির পাশাপাশি ভয়েস ওভার রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি ভালো মানের মাইক্রোফোন অনেক প্রয়োজন হবে।

এরপর আপনি আপনার নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে রেকর্ডিংটা এডিট করে বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিলে খুব সহজেই আপনি সেখান থেকে একটা ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

১৮. ডোমেইন ফ্লিপিং থেকে টাকা আয়

সাধারণত অনলাইনে টাকা ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় উপায় হলো ডোমেইন নেম কেনা-বেচা করা। আর এটিকে সংক্ষেপে মূলত ডোমেইন ফ্লিপিং বলা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ একটি ডোমেইন নেম কিনে সেটিকে অন্য কারো কাছে বেশি দামে বিক্রি করাকে ডোমেইন ফ্লিপিং বলা হয়।

তবে সর্বপ্রথমে আপনাকে ডোমেইন নেম সম্পর্কে ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে ও সেই বিষয়ে অনলাইন থেকে বিস্তারিত ধারণা নিতে হবে।

এছাড়া বর্তমান সময়ে অনলাইনে কোন ধরনের ডোমেইন নেম-এর চাহিদা ও দাম বেশি চলছে?সেগুলো নিয়ে আপনাকে সঠিকভাবে জানতে হবে।

এরপর আপনাকে একটি ডোমেইন নেম কিনে নিতে হবে। তবে ডোমেইন নেম কেনার সময় সবসময় খেয়াল রাখবেন যে,এটি যেন খুব আকর্ষণীয় এবং অর্থবহ কিছু হয়ে থাকে।

তবে আপনি সাধারণত এক্সপায়ারড হয়ে যাওয়া ডোমেইন নেম বেশি পরিমান কিনতে যাবেন না।কেননা এতে আপনার লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে।

আসলে আপনি চাইলে আপনার ডোমেইন নেমটি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিক্রি করে ফেলতে পারেন।আবার আপনি চাইলে এটিকে অনেকদিন ধরে নিজের কাছে জমা করে রাখতেও পারেন।

১৯. গুগল এডসেন্স থেকেটাকা আয়

মূলত ওয়েবসাইট বা ইউটিউব থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথম গুগল এডসেন্স এর সাথে থেকে কাজ করতে হবে।

কেননা এটিকে বাদ দিয়ে বিকল্প অপশন হিসাবে আপনি নিজের ওয়েবসাইট ও ইউটিউব প্লাটফর্ম থেকে কখনো টাকা আয় করতে পারবেন না।

এছাড়া আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তখন সেই ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় গুগল কর্তৃক এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।

তারপর আপনার সাইটের ভিজিটররা সেই বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিক করলে,সেই বিজ্ঞাপন থেকে মূলত আপনি একটি অংশ পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

এমনকি গুগল এডসেন্স থেকে প্রতি ক্লিকে কতটাকা  ইনকাম হবে?এটাও নির্দিষ্ট ভাবে আপনি কখনো বলতে পারবেন না।

তবে বিভিন্ন দেশ ভেদে প্রতি ক্লিক এর মূল্য সাধারণত $০.০১ ডলার থেকে শুরু করে $১০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

আসলে এটা আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি, কনটেন্টের ধরন এবং কান্ট্রি অনুযায়ী নির্ভর করে থাকে।

এজন্য আপনি এসব জায়গায় ইংরেজি ভাষায় কাজ করে যাবেন।আর আপনি এখানে বাংলা ভাষায় কনটেন্ট বানালে সেরকম টাকা আয় করতে পারবেন না।তারপরও আপনি গুগল এডসেন্স থেকে প্রতিমাসে একটা ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

 পরিশেষ,,

সাধারণত অনলাইনে কাজ শুরুর আগে আপনি যেসব ওয়েবসাইটে বা যাদের সাথে কাজ করবেন, আসলে সে বা তাদের সম্পর্কে আপনি আগে থেকেই ভালোভাবে বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখবেন।

কারণ আজকের অনলাইন জগতে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে,যেগুলো মূলত নানা ধরনের কাজ করার বিপরীতে মানুষকে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও একসময় তাদের সাথে প্রতারণা করে দিবে।

এছাড়া বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ রয়েছে,যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য সবসময় আড়ি পেতে বসে আছে।

তাই নতুন কোনো টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট -এর মধ্যে কাজ করতে চাইলে,আপনি আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

আর যেখানে আপনি কাজ করতে চাইছেন, আপনি আগে সেই প্লাটফর্ম বা অনলাইন ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে দেখে নিবেন।

অর্থাৎ এটি আসলে সবার কাছে কেমন সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য অনলাইন থেকে টাকা আয় করার প্লাটফর্ম?

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

I am Azizul Hakim, I am a highly-skilled, enthusiastic, self-motivated professional article & blog writer.If you are looking for a SEO ready article for your niche site then I can be your great solution.