অনলাইনে কাজ করে সহজেই টাকা আয় করার বিশ্বস্থ সাইট

অনলাইনে আয় করতে চাইছেন কিন্তু সঠিক গাইডলাইন এর অভাবে আপনি অনলাইনে আয় এর পথে এগিয়ে যেতে পারছেন না? তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে নিয়ে এলাম  বিশ্বস্ত কতগুলো ওয়েব সাইট। যেখানে কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

আয় করার জন্য বিশ্বস্ত কতগুলো ওয়েব সাইট এবং কাজ করার নিয়মাবলী :-

আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন সবাই। আশাকরি ভালই আছেন। আজ আপনাদের এমন কিছু ওয়েবসাইট এবং এপ্লিকেশন সম্পর্কে জানাতে চলেছি।

যারা এখনো পর্যন্ত তাদের সকল গ্রাহক দের পেমেন্ট করছে। অনলাইন থেকে আয় করা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। কাজ করার ইচ্ছা আর একটু সময় দিলেই আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

বলতে গেলে কোনো কাজই পরিশ্রম ছাড়া হয় না। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে আপনি যতো শ্রম আর সময় দিবেন আপনার জন্য সেই কাজটি তত সহজ হয়ে যাবে।

আর অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে অনেকের অনেক ভুল ধারণা থাকে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে যে ভুল ধারণা তা অনেকটাই কমে যাবে।

আজকের আর্টিকেলটা একটু বড় হতে পারে। কারন এই আর্টিকেলে আমি অনেক গুলো তথ্য তুলে ধরবো যার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্র সমূহ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে আপনার অনলাইনে আয় করার যাত্রা শুরু করতে পারেন।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে অনলাইনে আয় করতে হলে কি সারাক্ষণ কাজ করতে হয়। তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো একদমই না।

অনলাইনে আয় বলতে বোঝায় অবসর সময়ে বাড়ীতে বসেই যে আয় টা করা যায় আর কি। অনেকেই বেকার বসে থাকে।

তাদের ক্ষেত্রে অনলাইনে আয়টা সাময়িক একটা পেশা হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ থাকে। তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা একটু আলাদা।

আর অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ ছাত্র ছাত্রীরা কিংবা অন্য পেশার মানুষের জন্য অনলাইনে কাজ করাটা হতে পারে বাড়তি আয়ের উৎস। তাছাড়া এরকম ছোট ছোট কাজ করে টাকা আয় করাটা অনেকের কাছে আনন্দদায়ক।

মোবাইল ফোন তো অনেকেরই থাকে কিন্তু সেটা থেকে যে আয় করা যায় তা অনেকেরই ধারণার বাইরে। আর এটা অজানা নয় যে করোনা ভাইরাস এর কারনে বেকারত্ব হার কতটা বেড়ে গেছে।

কর্মহীন মানুষ খুঁজছে কাজ, তাই অনলাইনে আয় হতে পারে পরিবার বাঁচানোর হাতিয়ার। এখানে অনায়েসেই আয় করা যায়। প্রয়োজন শুধু একটা স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা।

আপনি অনলাইনে কাজ করে বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। আজকাল এমন অনেক বিশ্বস্ত ওয়েব সাইট রয়েছে যেখানে প্রতিদিন কাজ করে ২০০-৩০০  টাকা সহজেই আয় করতে পারবেন।

আপনার কাজ অনুযায়ী ওয়েব সাইট গুলো পেমেন্ট করে থাকে। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।

কয়েকটি বিশ্বস্ত ওয়েব সাইট :-

"জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম" থেকে টাকা আয় :-

বিশ্বস্ত ওয়েব সাইটের কথা বললে প্রথমেই বলতে হয় "জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম" এর সম্বন্ধে। আমি আগেও এই ওয়েব সাইটটি সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম।

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আবারও এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। হয়তো বা অনেকেই জানেন এটি একটি বাংলাদেশী সাইট।

আর যেহেতু এটি বাংলাদেশী ওয়েব সাইট সেহেতু কাজ গুলো তুলনামূলক সহজ হবে। এই ওয়েব সাইটের অনেক এক্টিভ ইউজার রয়েছে এবং অনেকেই নতুন গ্রাহক হিসেবে যুক্ত হচ্ছে।

জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এ আয় করার কোনো লিমিট নেই। আপনি যতো ইচ্ছা তত টাকা এই ওয়েব সাইটটি থেকে আয় করতে পারবেন। এই সাইটের মূল কাজ হলো আর্টিকেল লিখা।

আপনি যদি একজন ভালো লেখক হন তাহলে আপনি এই ওয়েব সাইটটি থেকে সহজেই প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে আয় করা খুব সহজ।

আপনাকে শুধু এই ওয়েব সাইটের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এখানে কাজ করার কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনিকে এই নীতিমালা গুলো অবশ্যই মানতে হবে।

জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে যে কেউ ঘরে বসে প্রতিমাসে  ৮০০০-১০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। শুধু আর্টিকেল লিখেই নয় আরো কয়েকটি অতিরিক্ত আয় করার অপসন রয়েছে।

এখানে  আর্টিকেল লিখার কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। আপনি যেকোন ট্রপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারবেন না কারণ এখানে নির্দিষ্ট কিছু ট্রপিক রয়েছে।

আর আপনার লেখা আর্টিকেলটি ইউনিক না হলে তা পাবলিশ করা হবে না। তাছাড়া আপনি যদি কোনো লিখা কপিরাইট করেন অর্থাৎ কারো লেখা কপি করেন তাহলে আপনার আর্টিকেল টি প্রকাশ করা হবে না।

আর যদিও বা প্রকাশিত হয় তবে সেই আর্টিকেল থেকে আপনার একাউন্টে কোনো টাকা যুক্ত হবে না। অর্থাৎ আর্টিকেল লিখলেই তা প্রকাশিত হবে না যদি না গুনগত মান ভালো হয়।

যেভাবে জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এ একাউন্ট তৈরি করবেন:-

১. প্রথমে আপনার স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার এ গিয়ে যেকোনো একটা ব্রাউজার সিলেক্ট করে নিবেন এবং সার্চ বাটনে বাংলায় লিখবেন " জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম"

২. আপনার সামনে ওয়েব সাইটটির লিঙ্ক চলে আসবে। আপনি যেহেতু নতুন ইউজার তাই ক্রিয়েট একাউন্ট এ ক্লিক করে নাম সহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে দিবেন।

৩. একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে জিমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন এ ক্লিক করবেন।

৪. জে আইটি আর্নিং এর নিয়ম অনুযায়ী সাথে সাথে বোনাস হিসেবে ১০ টাকা পেয়ে যাবেন।

এবার আপনার আর্টিকেল লেখার কাজ শুরু করতে পারেন। আর্টিকেল লিখার জন্য কিছু ট্রপিক এবং কিছু শর্ত রয়েছে । নিচে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা হলো।

আর্টিকেল লেখার ট্রপিক সমূহ:-

যেসব ট্রপিক গুলো নিয়েই আর্টিকেল লিখতে হবে।
অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং এন্ড ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, এস.ই.ও, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং,

 অনলাইন ব্যবসা, ই-কমার্স , কম্পিউটার ও মোবাইল, সফটওয়্যার, এন্ড্রোয়েড এপ, গেমস, বিট কয়েন, ক্রিপ্রোকারেন্সি, অনলাইন ট্রেডিং, টেকনোলজি, নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট অফার, সিম কার্ড অফার।

সাইবার নিরাপত্তা, ডাটা রিকভারী, ব্যাংকিং, মাস্টার কার্ড , ভিসা কার্ড, ডেবিট ক্রেডিট ও একাউন্স, লোন বা ডোনেশন, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স , বীমা /ইন্সুরেন্স, আইন, মর্গেজ, নোটারী, ভিডিও কল, ম্যাসেজিং।

চ্যাটিং, কল কনফারেন্স, অনলাইন পড়াশুনা, বিদেশে উচ্চ শিক্ষা , অনলাইন ক্লাস, সাইন্স ও সাকসেস স্টোরি। উপরোক্ত ট্রপিক বাদ দিয়ে অন্যান্য কোনো ট্রপিক সম্পর্কে লিখা যাবে না।

আর্টিকেল প্রকাশিত হওয়ার শর্ত:-

আর্টিকেলটি একেবারে 100% ইউনিক হতে হবে। এবং অন্যান্য সাইট থেকে কোনো ধরনের কপিরাইট আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে না।

১. প্রথম শর্ত হলো আর্টিকেলটি কমপক্ষে 400 ওয়ার্ড এর হতে হবে কিংবা তার বেশি হতে হবে।

২. বোঝানোর সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে স্ক্রিনসট ব্যবহার করতে হবে।

৩. আর্টিকেল এর গুনগত মান ভালো হওয়ার জন্য একটি ইউনিক ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হবে।

৪. অবশ্যই বাংলা ভাষায় লিখতে হবে।

আর্টিকেল লিখার জন্য গুনগত মান সম্পন্ন ট্রপিক নির্ধারণ:-

আপনার আর্টিকেলটি লেখার পূর্বে চাহিদা সম্পন্ন ট্রপিক নির্ধারণ করতে হবে। লোকজন যেই টপিক গুলো বেশি পছন্দ করে এবং পড়তে ভালোবাসে সেই ট্রপিক সমন্ধে লিখতে হবে।

যার ফলে আপনার টাকা আয় এর পরিমাণ ও বৃদ্ধি পাবে। আর লিখা ইউনিক হলে সহজেই লিখা গুলো পাবলিশ হবে।

তাছাড়া আপনি চাইলে জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম থেকে আর্টিকেল লেখার ইউজার মেন্যুয়াল পরতে পারেন অথবা ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখতে পারেন।

আর্টিকেল লিখার নিয়ম:-

আপনি একাউন্টে লগইন করার পর সামনে এড আর্টিকেল নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এড আর্টিকেলে ক্লিক করার পর টাইটেল, সামারি, পেরাগ্রাফ নামক কিছু ফিচার আসবে।

টাইটেল এ আপনার আর্টিকেল এর শিরোনাম লিখতে হবে। সামারিতে আর্টিকেল এর মূল কথা গুলো লিখবেন। আর্টিকেল লিখা শেষ হলে ইউনিক করার জন্য কিছু ডিজাইন করতে হবে ।

যেমন ছবি বা স্ক্রিনসট যুক্ত করা, লিঙ্ক যোগ করা, লিখা আন্ডারলাইন করা, ফিচার ইমেজ যুক্ত করা। এভাবেই আপনি আর্টিকেল লিখে সাবমিট করবেন এবং মাই আর্টিকেল এ আপনার দ্বারা পোস্ট করা সকল আর্টিকেল এর বিবরণ গুলো দেখতে পারবেন।

যেমন কতগুলো ভিউজ হলো, কত টাকা পেয়ে পার ভিউ হিসেবে যুক্ত হচ্ছে এবং লিখা শেয়ার করার সুবিধা রয়েছে।

আর্টিকেল থেকে যেভাবে আয় হবে:-

আপনি একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লেখার পর তা পাবলিশ হলেই টাকা আয় হওয়া শুরু হয়ে যাবে। আর্টিকেল লিখার শর্ত অনুযায়ী অর্থাৎ ৪০০ শব্দের আর্টিকেল লিখলেই আপনি তথক্ষনাৎ ১০-১০০ টাকা পেয়ে যাবেন।

এই বোনাসটি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আর্টিকেল এর ধরনটি ইউনিক হতে হবে। তারপর প্রে পার ভিউ হিসেবে টাকা পেতে থাকবেন।

অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলটা এক জন দেখলে আপনি পাবেন ০.৮০০ টাকা। আপনার আর্টিকেল এ ২ মাস এর মধ্যে যত বেশি ভিউজ হবে তত টাকা পেতে থাকবেন।

আপনি একটা আর্টিকেল লিখে সেটা থেকে প্রায় ১০০০ টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার আর্টিকেল এর লিঙ্ক ফেসবুক, টুইটার আরো অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ পোস্ট করেন তাহলে আপনার ভিউয়ার এর সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং দ্বিগুণ টাকা আয় হবে।

তাই পাবলিশ হওয়া আর্টিকেল এর লিঙ্ক আপনার বন্ধুদের সাথে অথবা অন্যান্য সাইট এ শেয়ার করে একটা ভালো পরিমাণ টাকা আর্ন করতে পারবেন।

আপনাদের জন্য জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এর চলমান কিছু পুরষ্কার জিতার সুযোগ রয়েছে। আপনার যদি ২০ টি আর্টিকেল প্রকাশিত হয় তাহলে জে আইটি হতে একটা আকর্ষণীয় টি শার্ট দেওয়া হবে।

আর যদি ১০০ টি আর্টিকেল পাবলিশ হয় তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন একটা মোবাইল ফোন। এভাবেই ইউনিক আর্টিকেল লিখে আনলিমিটেড টাকা আয় করতে পারবেন।

রেফার করে আয় করুন:-

জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এ আপনি কোনো কাজ না করে শুধু রেফার এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি যে কাওকে অর্থাৎ আপনার বন্ধুদের সাথেও লিঙ্ক শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের এই ওয়েব সাইটে যুক্ত করলে লাইফটাইম অর্থাৎ সারা জীবন তার আয় এর একটি অংশ পেতে থাকবেন।

রেফারেন্স এর মাধ্যমে আপনার বন্ধুর একাউন্ট হতে কোনো টাকা দেওয়া হবে না। আপনি আয় অনুযায়ী বোনাস হিসেবে টাকা পেতে থাকবেন।

এখানে যত রেফার করবেন ততো আয় করতে পারবেন। আপনি ১০০  টা এক্টিভ রেফার করতে পারলে একটি আকর্ষণীয় মোবাইল ফোন জিতে নিতে পারবেন।

কিভাবে টাকা তুলবেন:-

যেহেতু এটি একটি বাংলাদেশী ওয়েব সাইট তাই এখানে টাকা তোলার কোনো ঝামেলা নেই । আপনি আয় কৃত টাকা বিকাশ, নগদ, রকেট সহ আরো কয়েকটি মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

আপনার একাউন্টে ২০ টাকা হলেই মোবাইল রিচার্জ এবং ১০০ টাকা বা তার বেশি হলেই বিকাশ কিংবা নগদের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। টাকা তুলতে উইড্রো অপসানে ক্লিক করুন।

তারপর যে নাম্বারে টাকা তুলবেন সেই নাম্বারটা যুক্ত করে উইড্রোতে ক্লিক করে কিছুক্ষণ পর আপনার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।

ইউটিউব থেকে টাকা আয়:-

এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা ইউটিউব ব্যাবহার করে না। কিন্তু অনেকেই এটা জানে না যে ইউটিউব থেকেও টাকা আয় করা যায়।

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। শুধু একটা ইউটিউব চ্যানেল এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা আর ইউনিক ট্রপিক নির্ধারণ করে মানসম্মত ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করা।

আপনি সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা অনুযায়ী টাকা পাবেন। ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে পারলেই সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

এমন অনেকেই আছেন যারা ইউটিউবিং কেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই আপনিও চেষ্টা করুন নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করতে।

হতে পারে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার। এই ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণটা অনেক বেশি। তাই নিজেকে স্বাবলম্বী করতে ইউটিউবিং কে বেছে নিতে পারেন ।

Work Up Job থেকে টাকা আয়:-

এটি এমন একটি ওয়েব সাইট যেখানে ছোট ছোট কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। এটিও একটি বাংলাদেশী ওয়েব সাইট।

এখানে রয়েছে দুই ধরনের কাজ করার পদ্ধতি। আপনি চাইলে নিজে কাজ করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে এখানে কাজ দিতেও পারবেন। এই ওয়েব সাইটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে।

এটি বিশ্বস্ত ওয়েব সাইটের মধ্যে একটি। আরো অনেক আগে থেকেই এই ওয়েব সাইটটি বিশ্বস্ততার সঙ্গে গ্রাহকদের পেমেন্ট করে আসছে।

এখানে যেকোনো ক্যাটাগরির লোক কাজ করতে পারবে। এখানে কাজ করার জন্য কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। এই ওয়েব সাইটে এখনো প্রায় অনেক এক্টিভ ওয়ার্কার রয়েছে।

আপনি সম্পূর্ণ নিশ্চিতের সাথে এখানে কাজ করতে পারেন। অনলাইনে কাজ করার পূর্ব শর্ত রয়েছে।

প্রথমে প্রয়োজন একটা স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা। এগুলো হলেই আপনি মোটামুটি অনলাইনে আয় করার কাজ শুরু করতে পারবেন।

Work Up Job এ একাউন্ট তৈরির নিয়ম:-

১. আপনি প্রথমে ব্রাউজার ওপেন করে লিখবেন  Work Up Job.

২. সামনে কতগুলো লিঙ্ক আসবে এবং আপনি ক্রিকেট নিউ একাউন্টে ক্লিক করবেন।

৩. আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিয়ে কনফার্ম এ ক্লিক করে একাউন্ট তৈরি করে নিবেন।

এখানে টাকার হিসাবটা ডলার এর মাধ্যমে করা হয়। একাউন্টে প্রথম বার লগইন করার সাথে সাথে ০.২০০  সেন্ট পেয়ে যাবেন।

কাজ করার ট্রপিক সমূহ:-

১. ইউটিউব।
২. ফেসবুক।
৩. লিঙ্ক দিন।
৪. টুইটার।
৫. টিকটক।
৬. এডস ক্লিক।
৭. রেফারেন্স।
৮. সফ্টওয়্যার।

সহ আরো অনেক ক্যাটাগরি ভুক্ত কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

কাজ করার নির্দেশনা:-

আপনি আপনার সামনেই অনেক কাজ দেখতে পাবেন। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ দেওয়া এয় যেমন ইউটিউব ভিডিও দেখা।
সাবস্ক্রাইব করা, ভিডিও তে লাইক দেওয়া, ফেসবুক পেজ ফলো করা, ফেসবুকে গ্রোপ এ এড হওয়া, টিকটকে লাইক কমেন্ট ফলো করা সহ বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ রয়েছে।

এই ধরনের কাজ গুলো কম বেশি অনেকেই করতে পারবেন। এখানে সততার সাথে কাজ করতে হবে। আপনি যে কোনো একটি কাজ বাছাই করুন।

অথবা আপনার ইচ্ছা মত ক্যাটাগরি এবং লোকেশন সিলেক্ট করতে পারবেন। তারপর বাংলায় কাজ করার নির্দেশনা গুলো দেওয়া থাকবে।

এবং আপনাকে কাজ করার প্রুফ হিসেবে স্ক্রিন সট যুক্ত করতে হবে। কাজ সম্পন্ন হলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। তখনি আপনার করা কাজটি পেন্ডিং এ নিয়ে নেওয়া হবে।

আপনার মোট কাজের হিসাব দেখার জন্য প্রোফাইলেরমধ্য ক্লিক করুন। এবার একটু নিচে চলে গেলেই আপনার মোট কাজ।

অর্থাৎ এ পর্যন্ত করা কাজ, পেন্ডিং এ থাকা কাজ, এপ্রুভ হওয়া কাজ, নট সেটিসফাইড হওয়া কাজ এবং ডিলেইটেড ওয়ার্ক সহ আরো কয়েকটি অপশান দেখতে পাবেন।

এখানে আপনার একাউন্টের নাম, পাসওয়ার্ড সহ ব্যক্তিগত কিছু তথ্য ইডিট করতে পারবেন। আপনার কাজ যদি সঠিক হয় তবে এপ্রুভ হবে এবং তথক্ষনাৎ আপনার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।

অবশ্য এপ্রুভ হওয়া কাজ এর জন্য আলাদা করে নটিফিকেশন দেওয়া হবে। আর আপনার কাজ যদি কোনো কারণে গ্রহণ যোগ্য না হয় তবে নট সেটিসফাইড দেওয়া হবে এবং আপনি সেই কাজটির জন্য কোনো টাকা পাবেন না।

আর ডিলেইটেড টাস্ক হলো যে কাজ গুলোর জন্য আপনাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আপনি ভালো ভাবে কাজ করলে প্রতি দিন
১০০-২০০৳ টাকার মতো আনিং করতে পারবেন।

আর যদি আপনার কাজের পরিমাণ বেশী হয় তবে আপনার আয়ের পরিমাণ ও বৃদ্ধি পাবে।

রেফার করে বাড়তি আয়:-

অনেকেই কাজ করার পাশাপাশি একটু বাড়তি আয় করতে চায়। বাড়তি আয় করার জন্য আপনি আপনার বন্ধুদের রেফার করতে পারেন।

অথবা রেফার লিঙ্ক শেয়ার করে যুক্ত করতে পারবেন। তবে রেফার করার সাথে সাথেই টাকা দেওয়া হবে না। আপনার বন্ধু যখন টাকা উইথড্রো করবে তখন এডমিন বোনাস হিসেবে আপনার একাউন্টে টাকা পেমেন্ট করে দিবে।

টিকেট কিনে টাকা আয়:-

এখানে আপনি টিকেট কিনে টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে প্রতি ১৫ দিন পর পর একটা লাকি ড্র এর আয়োজন করা হয়। এখানে সর্বোচ্চ ৫ জন টিকেট ক্রয় কারিকে টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রথম পুরস্কার $100 ২য় পুরস্কার $60 ৩য় পুরস্কার $40 ৪র্থ পুরস্কার $30  ৫ম পুরস্কার $20 ।

আপনি আর্ন করা টাকা অথবা ডিপোজিট করা টাকা দিয়েই টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এই সুযোগের মাধ্যমে কোনো কাজ না করেই ১৫ দিন পর পর ১০০০০ টাকার মতো আনিং করতে পারবেন। ( এখানে $1= ৮৫৳ )।

উইড্রো দেওয়ার নিয়ম:-

একাউন্টে $3.500 ডলার হলেই টাকা তোলা যায়। আপনি টাকা তোলার জন্য উপরে বাম দিকের আয়কন এ ক্লিক করলেই উইড্রো বাটন চলে আসবে।

তবে বলে রাখা ভালো এখানে উইড্রো করতে হলে আইডি ভেরিফিকেশন করতে হবে। ভেরিফিকেশন করা তেমন কঠিন বিষয় নয়।

আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিবেন। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে ইউটিউব এর সাহায্যে নিতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে টাকা আয়:-

আজকাল ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর অনেক চাহিদা রয়েছে। অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কাজ বেশি থাকে এবং চাহিদাও প্রচুর।

আপনি অল্প কিছু সময় ব্যয় করে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের জন্যই গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর প্রয়োজন হয়।

আপনি অল্প দিনেই হয়ে যেতে পারেন একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার। এক্ষেত্রে টাকা আয় করার পরিমাণ টা একটু বেশি।

আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে ভালো একটা সেক্টর হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কে গন্য করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মূল কাজ হলো বিভিন্ন ব্যানার, ইউনিক লগো ডিজাইন এবং টি শার্ট এর লগোর বিভিন্ন ডিজাইন করা সহ আরো বিভিন্ন কাজ।

ফেসবুক থেকে টাকা আয়:-

ফেসবুক হতে পারে আয় করার একটি সুন্দর মাধ্যম। আপনি অনেক ভাবে ফেসবুককে টাকা আয় করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

যারা অবসর সময়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে চান তাদের জন্য এটি একটি ভালো মাধ্যম।

অনেকেই আছে যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিন্তু ভালো পাবলিশিটির অভাবে তার ব্যবসাটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারছে না তাদের জন্যও ফেইসবুক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আপনারা আপনাদের কাজের একটা এড ফেসবুক এ শেয়ার করার মাধ্যমে কাজের অর্ডার নিতে পারেন। আপনার যদি একটি সেলাই মেশিন থাকে তাহলে আপনি ফেসবুককে ব্যবহার করে কাজের অর্ডার নিতে পারেন।

এবং আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসাটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবেন। তাই  ফেসবুক হতে পারে  অনলাইনে আয় করার জন্য একটি বিরাট প্লাটফর্ম।

বিভিন্ন কন্টেন্ট বা ব্লগ রাইট করে টাকা আয়:-

বর্তমানে ব্লগ রাইটিং এর কিছু ওয়েব সাইটে ব্লগ রাইটার এর অধিক চাহিদা রয়েছে। আপনি ঘরে বসেই ছোট ছোট ব্লগ রাইট করে টাকা আয় করতে পারেন।

ব্লগ রাইটিং এর জন্য তেমন কোনো যোগ্যতার বা দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনার লেখা ব্লগ বা কন্টেন্ট টির গুনগত মান ভালো হতে হবে। এসব কাজ অবসর সময়ে বাড়ীতে বসেই করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ এ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্লগ রাইটার এর প্রয়োজন হয়। তাই অল্প সময়ের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিয়ে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন দক্ষ ব্লগ রাইটার।
এসব কাজে দক্ষ হয়ে গেলে প্রতি দিন ভালো পরিমাণ টাকা আর্ন করতে পারবেন।

ওয়েব সাইট তৈরি এবং ডিজাইন করে টাকা আয়:-

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর আওতাভুক্ত হলো ওয়েব সাইট তৈরি করা এবং তা ডিজাইন করা। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ওয়েব সাইট ডিজাইনার এবং ডেভেলপার এর চাহিদা রয়েছে।

তারা তাদের ওয়েব সাইট কে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কাজ করার লোক খুঁজে। আপনি এরকম কাজ অর্থাৎ ওয়েব পেজ ডিজাইন করা, তা ডেভেলপ করার কাজ প্রচুর পরিমাণে পেয়ে যাবেন।

এবং আপনার কাজ করার যোগ্যতা অনুযায়ী টাকা পাবেন। আজকাল অনেকেই ওয়েব সাইট ডিজাইনিং এর কাজ করে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।

পরিশেষে কিছু কথা:-

আশাকরি অনলাইনে আয় করার জন্য আমার লেখা আর্টিকেল টি কাজে আসবে। আসলেই অনলাইনে আয় করা কঠিন কিছু না।

আপনি সততা পরিশ্রম এবং কিছু সময় দিয়েই  আপনার আপনার অনলাইনে আয় এর যাত্রা শুরু করতে পারবেন। আর অনলাইনে আয় করার জন্য আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের জন্য দারুন দারুন গাইডলাইন গুলো শেয়ার করতে থাকবো।

আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন পান তাহলে অবশ্যই অনলাইন থেকে টাকা আয় হবেই। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আর্টিকেলটা এখানেই শেষ করছি। আমার আর্টিকেলটি  শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Shakil Mollik - Mar 15, 2022, 5:59 PM - Add Reply

Hi

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles