অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা ও সহজ একটি উপায়?

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তবে তার ভিতরে অনেক উপায়গুলো কঠিন আবার অনেক উপায় গুলো অনেক সহজ। আজ আমি আপনাদের সাথে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা ও সহজ ১ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক বিস্তারিত।

আর্টিকেল এর সূচনা: বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এই যুগে কেউই আর বাইরে কাজ করতে চায় না। সবাই চাই ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটা দেশের অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য নানা মানুষ ছোটাছুটি করে।

কেউ সঠিক উপায় খুঁজে পায় না আবার কেউ সঠিকভাবে কাজ শুরু করতে পারেনা। আবার কেউ কাজ পেয়েও হারিয়ে ফেলে তার ভুলের জন্য। এ সমস্যাগুলো নতুন কিছু নয় সবই পুরাতন সমস্যা। আপনি যদি মনে করেন ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম অনেক সহজ একটা ব্যাপার।

এবং এর উপরে নির্ভর করে যদি আপনি অনলাইনে কাজ করতে চান তাহলে আপনি ভুল করতে পারেন। মনে রাখবেন শুধু অনলাইনে কেন? বিশ্বের যে কোনো কাজই পরিশ্রম ছাড়া সম্ভব নয়। আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রমই হতে হবে।

বাংলাদেশে এমন এমন লোকেরা অনলাইন থেকে ইনকাম করে তারা এই কাজ করে নিজেদের সংসার চালাতে পারে খুব সহজেই। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে তারা শুরু করেছে। অনলাইনে এমন কোন কাজ নেই যে কাজগুলো করা যায় না। সব রকমের কাজে অনলাইনে সম্ভব।

তবে একথা ভাববেন না যে অনলাইনে খুব সহজেই কাজগুলো সম্পন্ন করা যায়। আপনার ভিতরে অবশ্যই নতুনত্ব ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলে আশা করা যায় অনলাইন থেকে আপনি যেকোনো কাজ খুব সহজে করতে পারবেন। আমরা যারা নতুন অনলাইন জগতে এসেছি তারা তো কিছুই জানোনা।

এই পোস্টটি বা আর্টিকেলটি নতুনদের জন্য অনেক উপযোগী হবে বলে আশা করা যায়। তাই আপনাদেরকে বলব অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। আমি চেষ্টা করব বিস্তারিত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানানোর।

অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা ও সহজ ১ টি উপায়?

অনলাইন থেকে ইনকাম করার প্রথম উপায়?

ইউটিউব থেকে ইনকাম: কমবেশি আমরা সকলেই ইউটিউব সম্পর্কে জানি। ইউটিউবে হাজার রকমের ভিডিও রয়েছে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রায় সকল ধরনের ভিডিও ইউটিউবে পেয়ে যাবেন।

তবে আপনি কি জানেন ইউটিউব এর এত ভিডিও কোথা থেকে আসে।এই ভিডিওগুলো আপনার এবং আমার মত লোকেরাই ইউটিউবে আপলোড করে। আপলোড করে তাদের লাভ কি হয়? ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন! উত্তরটি হলো: ইউটিউব থেকে ভিডিও আপলোড করে তারা ইনকাম করতে পারে।

হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই শুনেছেন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে তাড়ানো ইনকাম করতে পারে। তাই বলে ভাববেন না আপনার ইচ্ছামত ভিডিও আপলোড করলেই ইনকাম হবে। ইউটিউবে ইনকাম করার জন্য নানারকম গাইডলাইন রয়েছে।

ইউটিউব এর এই গাইডলাইন ও নিয়মনীতি না মেনে কাজ করলে আপনি কখনোই ইনকাম করতে পারবেন না ইউটিউব থেকে। আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আগ্রহী হন তাহলে, অবশ্যই তাদের নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন সম্পূর্ণ মেনে কাজ করতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করলেই কি ইনকাম শুরু হয়ে যায়? একটা ভিডিও তে কত টাকা করে পাবো? পেমেন্ট কিভাবে পাব বিকাশে? এই প্রশ্নগুলো যদি আপনার মাথায় থাকে তাহলে অবশ্যই এর উত্তরটি আপনার জানা দরকার।

ইউটিউব এর ইনকাম শুরু কোথা থেকে: প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু নিয়ম বিদ্যমান থাকে। এমনকি ইউটিউব এর ও কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে ইনকাম শুরু করার জন্য। ইউটিউবে এসে আপনি যদি ভিডিও আপলোড করে দেন তাহলে আপনার ইনকাম হবে না।

একটা ভিডিও আপলোড করলে কত টাকা পাবেন? আপনি যদি ভিডিও আপলোড করেন আর চিন্তা করেন এই ভিডিও থেকে আমি কত ইনকাম করতে পারব!! তাহলে আমি বলব এক টাকাও ইনকাম করতে পারবেন না। যেহেতু আপনি নতুন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেছেন সেহেতু কোন টাকায় পাবেন না।

ইউটিউব হলো সারা বিশ্বের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের জন্য নয় বিদ্যমান। বরং সারা বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম এই ইউটিউব। যে কেউ চাইলে এখানে কাজ করতে পারে। সুতরাং আপনি যদি প্রেমেন্ট এর কথা চিন্তা করেন। অর্থাৎ কিভাবে আপনি টাকা ইউটিউব থেকে পাবেন?

তাহলে তার উত্তরটি হবে: ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে সরাসরি ইউটিউব থেকেই যে আপনি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এরকম কিন্তু নয়। এ বিষয়ে আমি একটু পরে বিস্তারিত জানাবো তবে তার আগে যেটা আপনার জানা দরকার সেটা আগে জানবো।

ইউটিউব থেকে কাজ করার আগে অবশ্যই তাদের রুলস গুলো মেনে আপনাকে কাজ শুরু করতে হবে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে এখানে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। ইউটিউব এ চ্যানেল তৈরি করার জন্য অবশ্যই একটি জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন হবে।

আশা করি এই ডিজিটাল সময়ে জিমেইল নেই এমন কোন ব্যক্তি নেই। থাকলেও খুব অল্প সংখ্যক লোক থাকতে পারে। যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সর্বপ্রথম আপনি ইউটিউবে চলে যাবেন।

তারপর আপনাকে ইউটিউবে লগইন করতে হবে জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে। লগইন হয়ে গেলে আপনাকে ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। ইউটিউবে নানারকম টিউটোরিয়াল ফ্রিতে আপনি পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে প্রফেশনাল ভাবে একটি চ্যানেল তৈরি করে নিতে পারবেন খুব সহজে।

সঠিকভাবে অ্যাকাউন্টটি তৈরি করার পর। আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে ইউটিউবে আপলোড করার জন্য। তবে ইচ্ছামত ভিডিও তৈরি করলেই কিন্তু আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। তাদের নিয়ম অনুযায়ী মেনে আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে।

ইউটিউবে কিভাবে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও তৈরি করবেন?

ইউটিউব এর ভিডিও: আপনি আপনার চ্যানেল অনুযায়ী ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। ধরুন আপনি রান্না রিলেটেড একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করেছেন। আপনি চাইলে ইচ্ছামত রান্না রিলেটেড যেকোন ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন।

তবে অবশ্যই আপনার ভিডিওটি ডাউনলোড করলে হবে না। যদি অন্য কারোর ভিডিও আপনি আপনার চ্যানেলে ব্যবহার করেন তাহলে, আপনাকে কপিরাইট এর আওতায় ধরা হবে। যেহেতু আপনি নতুন তাই শুরুতেই ইউটিউব এর জন্য পরিশ্রম করতে থাকুন।

যেমন আপনার ভিডিওগুলো সম্পূর্ণ আপনি নিজে তৈরী করার চেষ্টা করুন। ইউটিউব এর যত রকম কাজ রয়েছে সম্পূর্ণ নিজে করার চেষ্টা করুন। অথবা অন্য কারোর চ্যানেলের ছবি ফটো অথবা ভিডিও অডিও এগুলো ব্যবহার করবেন না।

যদিও ইউটিউবে প্রথম প্রথম আপনি কোন ভিউজ পাবেন না। তার জন্য আপনাকে ভিডিওর কোয়ালিটি এবং কনটেন্ট ভালো হতে হবে। শুরুতে অবশ্যই শুরুতেই ভিডিওর কোয়ালিটি সৌন্দর্য করার চেষ্টা করুন। কারণ আপনার এই আপলোডকৃত ভিডিও গুলো সারা বিশ্বের লোক দেখতে পারবে।

খারাপ ভিডিও বা অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন। ইউটিউব এর নিয়মে এটা খুবই জঘন্য একটি কাজ। এই রিলেটেড কোন ভিডিও আপলোড হলে সাথে সাথে তারা অ্যাকশন নেবে। মনে রাখবেন আপনার চ্যানেল অনুযায়ী আপনার ভিডিওগুলো আপলোড করতে হবে।

যেমন আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন রান্না বিষয়। কিন্তু আপনি ভিডিও তৈরি করেছেন খেলা নিয়ে। তাহলে কিন্তু হবে না। আপনাকে অবশ্যই চ্যানেল অনুযায়ী ভিডিওগুলো আপলোড করতে হবে। এ বিষয়টি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুরুতেই এটি মানার সম্পূর্ণ চেষ্টা করুন।

কিভাবে ইউটিউবে ইনকাম শুরু হয়: ইউটিউব প্রতিষ্ঠান ইনকাম শুরু করার জন্য তাদের কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। তাদের কিছু শর্ত রয়েছে ইনকাম শুরু করার জন্য। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে তা নিচে দেওয়া হল:

  • 12 মাসের ভিতরে 1000 সাবস্ক্রাইব।
  • এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম।

এই শর্তগুলো পূরণ করে আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হয়ে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ইউটিউব এর শর্তগুলো পূরণ করলে আপনি ইনকাম করার অনুমোদন অপশন পাবেন।

আপনি চাইলে তাদের শর্তগুলো পূরণ করে এপ্লাই করতে পারেন। যখন আপনার 12 মাসের ভিতরে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ হয়ে যাবে। তখন যখন আপনি তাদের কাছে এপ্লাই করবেন তখন তারা আপনার চ্যানেল টি রিভিউ করবে।

তাদের সকল নিয়ম-নীতি গাইডলাইন মেনে থাকলে অবশ্যই তারা আপনার অনুমোদন দিয়ে দিবে অর্থাৎ মনিটাইজেশন অন করে দেবে। আর মনিটাইজেশন অন করলে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। তারা যখন আপনার চ্যানেল টি মনিটাইজেশন এর অনুমোদন দিয়ে দিবে।

তখন আপনি প্রত্যেকটা ভিডিওতে মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন। যত ভিডিওতে মনিটাইজেশন অন করবেন ততো ভিডিওতে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে মনে রাখা দরকার আপনার চ্যানেলে শুধু মনিটাইজেশন অন করতে পারলেই হবে না।

ইনকাম শুরু করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। সেটা হল: এখান থেকে যে ইনকাম সেটা আপনি কোথায় রাখবেন। সেটা আপনাকে আগে সেটআপ করতে হবে। এই কাজটি না করলে আপনি কোন ইনকাম পাবেন না। আপনারা হয়তো এডসেন্স এই নামটি শুনে থাকতে পারেন।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম কেবলমাত্র এডসেন্সের মাধ্যমে শুরু হবে। এবং শেষ পর্যন্ত টাকা উত্তোলনও এই এডসেন্সের মাধ্যমে হবে। তো চলুন এডসেন্স সম্পর্কে এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে কিভাবে ইউটিউবে ইনকাম শুরু হয়?

গুগল এডসেন্স: গুগল এডসেন্স হলো বিজ্ঞাপন দাতা। এই প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার লোক প্রতিনিয়তঃ বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে, শুরুতেই আপনাকে একটি এডসেন্স একাউন্ট তৈরী করতে হবে।

আপনি যখন একাউন্টে তৈরি করবেন তখন সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য। অর্থাৎ গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরী করার পর কমপক্ষে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।এই দুই সপ্তাহের ভিতরে এই আপনার একাউন্টি এপ্রুভ হয়ে যাবে।

আপনার অ্যাকাউন্টটি যতদিন অ্যাপ্রুভ হবে না ততদিন আপনার ইউটিউবে ইনকাম হবে না। কারণ ইউটিউব বিজ্ঞাপন এর ধারায় আপনার ইনকাম দেবে। অর্থাৎ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন চললেই আপনি ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

যখন এডসেন্স একাউন্টে আপনার এপ্রুভ হয়ে যাবে তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখাবে। এই অ্যাডগুলো যত লোক দেখবে ততো আপনার ইনকাম হবে। অর্থাৎ ইউটিউব থেকে ইনকাম মূলত বিজ্ঞাপন ধারায় শুরু হয়।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি ইউটিউব থেকে ইনকাম টা আসলে কিভাবে শুরু হয়! যদি তবুও কোন প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন আমি রিপ্লাই করার চেষ্টা করব।

ইউটিউব থেকে ইনকাম কিভাবে হাতে পর্যন্ত পাবেন?

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে: ইতিমধ্যে আমরা গুগল এডসেন্স কি? এই সম্পর্কে একটি হলেও জেনে গিয়েছি। ইউটিউব থেকে টাকা আমরা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে পাব। হ্যাঁ আমি আবারও বলছি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টটি ইউটিউব এর টাকা আপনার হাতে পৌঁছে দিবে।

আপনি ইউটিউবে যে টাকা ইনকাম করবেন এই টাকা গুগল এডসেন্স যোগ হবে। যখন গুগোল অ্যাডসেন্সে 10 ডলার জমবে তখন আপনার এড্রেসে একটা চিঠি আসবে। আপনার এড্রেস টি ভেরিফাই হওয়ার জন্য। এড্রেসটি ভেরিফাই করার জন্য সিটিতে একটি পিন পাঠানো হবে।

আপনি যদি গুগোল অ্যাডসেন্সে এই পিনের কোডটি সাবমিট করেন তাহলে আপনার দৃষ্টি ভেরিফাই হয়ে যাবে। এভাবে টাকার জমতে জমতে যখন 100 ডলার হয়ে যাবে। তখন আপনি সর্বপ্রথম টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

আপনার এড্রেস টি যখন ভেরিফাই হয়ে যাবে তখন আপনি ইচ্ছামত একটি ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারবেন। যেমন ডাচ বাংলা ব্যাংক।বা বাংলাদেশি বা অন্যান্য যেকোন দেশের একটি ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারবেন গুগল এডসেন্স একাউন্টে।

যখন আপনার একাউন্টে 100 ডলার জমবে তখন এই মাসের শেষের দিকে তারা আপনার একাউন্টে অর্থাৎ ব্যাংক একাউন্টে এড করে দিবে টাকাটা। আপনাকে এক্সট্রা কোন অনুরোধ পাঠাতে হবেনা টাকা আপনার ব্যাংকে আনার জন্য।আশাকরি বিস্তারিত বুঝাতে পেরেছি কিভাবে টাকা হাতে পাবেন ইউটিউব থেকে!

অনলাইন থেকে ইনকাম করার আগে কিছু পরামর্শ?

আপনি যেহেতু অনলাইন থেকে ইনকাম শুরু করতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই এই পরামর্শগুলো আপনার কাজে লাগবে।

  1. কখনোই ফেক কোন তথ্য দিয়ে আপনার একাউন্ট তৈরি করবেন না।
  2. সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে এগিয়ে যাবেন।
  3. আপনি ইউটিউবে এসেছেন মানুষকে শেখাতে। তাই তাদের যেকোন সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
  4. তারা যেন আপনার কোন কথায় কষ্ট না পায়।
  5. ইউটিউবে যে কেউ সাকসেস হতে পারেনা। তাই আপনি শুরুতেই সাকসেস হতে পারবেন না আপনাকে চেষ্টা করে যেতেই হবে।
  6. ভুলভাল ভিডিও না বানিয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভিডিও বানান।
  7. খারাপ কোনো পরিকল্পনা নিয়ে ইউটিউবে ফাও কাজে এশিয়ান না।
  8. ইউটিউবে কাজ করার আগে অবশ্যই তাদের নিয়ম নীতি ও গাইডলাইন এর দিকে মনোযোগ দিন।

আশাকরি উপরের নিয়মকানুন বা পরামর্শগুলি আপনারা মেনে ইউটিউবে কাজ করবেন। তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে সফল হতে পারবেন খুব সহজেই। আজকের আর্টিকেলটি আর বড় করবো না। যদি এই আর্টিকেলে কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

শেষ কথা:

সর্বোপরি বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই। আর্টিকেলটি যদি একটি হলে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন কেমন লেগেছে? আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন। এই আশা ব্যক্ত করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles