ব্লগিং করে সহজেই ঘরে বসে টাকা ইনকাম করুন।

এসো ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করি। 
প্রিয় বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকু!  সবাই কেমন আছেন?

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে ব্লগ লিখে বা ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা যায়।কিভাবে ব্লগিং শুরু করব? কিভাবে ব্লগিং শিখব? কিভাবে ব্লগ তৈরি করব?কিভাবে ব্লগিং থেকে টাকা ইানকাম করবেন? ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন কিভাবে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করবেন সব প্রশ্নের উত্তর আমার আজকের পোষ্টে থাকবে।সাথে থাকবে ব্লগিং এর সম্পপূর্ন গাইডলাইন।ত চলুন শুরু করা যাক।

সূচনা:-

আপনি কি লেখা লেখি করতে ভালোবাসেন?  আপনার কি সৃজনশীল লেখা লেখির প্রতি আগ্রহ? আপনার উত্তর যদি, হয়ে থাকে হ্যাঁ তবে আপনার এই লেখা লেখির আগ্রহটা কে কাজে লাগিয়ে টাকা আয়ের উৎসে পরিনত করতে পারবেন। ভাবছেন কিভাবে সেটি হলো ব্লগ লিখে।

মাত্র কয়েক বছর আগে ও আমাদের দেশে ব্লগিংকে একটি শখেঁর লেখা হিসাবে নেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে যোগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ধারার পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে ব্লগিংকে টাকা উপার্যন করার একটি সহজ এবং কার্যকর মাধ্যম হিসাবে ভিবেচনা হরা হয়।

আমাদের দেশে অনেক লোক আছেন যারা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ব্লগিং কে তারা পেশা হিসাবে বেচে নিয়েছেন।এর প্ররিপেক্ষিতে বর্তমানে ব্লগারদের পাশাপাশি অনেক উদ্যোগতা ও ব্লগিং কে পূর্ন পেশা হিসাবে বেচে নিচ্ছেন।

ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যাবসায়, দক্ষতা ও ভালো পরিকল্পনার।দেখুন আগের দিন চলে গিয়েছে, আগে ব্লগিং মানে মনে করা হতো শুধু ভালো ভালো আটিক্যাল লিখা।

বর্তমানে এই প্রতিযোগিতার সময় ব্লগিং মানে পরিপূর্ণতা। বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার মধ্যে ব্লগিং সব থেকে সফল অনলাইন ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।

নিজের জানা বিষয় গুলো অন্যদের মধ্য ছরিয়ে দেওয়ার পক্রিয়াই মূলত ব্লগিং।ব্লগিং অনেক টা ডায়রি লেখার মতো। তবে পার্থক্য হলো ডায়রি লিখলে অন্য কেউ পড়তে পারে না, কিন্ত ব্লগ লিখলে তা সারা পৃথিবীর লোক পড়তে পারে।

ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য আপনার কোন ধরাবাধা যোগ্যতা প্রয়োজন হবে না।

ত চলুন দেখি কিভাবে আপনি ব্লগিং শিখতে পারেন। বর্তমানে ব্লগিং শেখার অনেক মাধ্যম রয়েছে যেমন,,,

*ইউটিউব ভিডিও।

* পেইড কোর্স।

* অনলাইন কন্টেন্ট।

* ব্লগ শেখার বই।

* ব্লগ প্রাকটিস।

* ইউটিউব ভিডিও।

ইউটিউব ভিডিও  ব্লগিং শেখার জন্য একটি সহজ মাধ্যম।এখন ইউটিউব ভিডিও দেখে আপনি ঘরে বসে সহজে ব্লগিং শিখে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউবে গিয়ে আপনি ব্লগ শেখার জন্য সার্চ করলে আপনার সামনে হাজার হাজার ভিডিও চলে আসবে। আপনি ভিডিও গুলো দেখে যে ভিডিও আপনার কাছে ভালো লাগবে এই ভিডিও দেখে আপনি ব্লগিং শিখে নিতে পারবেন।

ইউটিউবে গিয়ে আপনি যদি জানতে চান কিভাবে ব্লগিং শুরু করা যায় তবে দেখবেন আপনার সামনে হাজার হাজার ভিডিও চলে আসবে যেগুলো দেখে আপনি ও ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।

* পেইড কোর্স:-

বর্তমানে অনলাইনে অনেক প্রতিষ্টান আছে যারা ব্লগিং শেখানোর উপর পেইড কোর্স বিক্রি করে থাকেন।আমার মনে হয় বর্তমানে আর কেউ পেইড কোর্স করে না ব্লগিং এর জন্য।

তবে আমি আপনাদের কে এ কথা বলবনা যে পেইড কোর্স ছাড়া আপনি ব্লগিং করতে পারবেন না। আবার এই কথা ও বলব না যে পেইড কোর্স করবে না।

* অনলাইন কন্টেন্ট:-

বর্তমানে গুগোলে গিয়ে যদি আপনি সার্চ করেন কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন, কিভাবে ব্লগিং শিখবেন তবে এখানে ও ইউটিউবের মতোই আপনার সামনে হাজার হাজার লেখা চলে আসবে।

এগুলোতে খুব সুন্দর করে শিখিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন।আবার অনেকে লেখার সাথে সাথে ছবি দিয়ে ও আপনাকে ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেবে কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন।

* ব্লগ শেখার বই:-

বর্তমানে অনলাইনে ব্লগিং এর পেইড কোর্সের বইয়ের পিডিএফ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে অনলাইন বুক ষ্টুর থেকে ব্লগিং এর কোর্স বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ে ব্লগ শিখতে পারবেন।

* ব্লগ প্রাকটিস:-

আপনি শুধু ব্লগ শেখার বই পড়ে বা ইউটিউবে ভিডিও দেখে গুগোলো ব্লগের সর্ম্পকে লেখা পড়লেই ব্লগ শিখতে পারবেন না।কারন আপনি যে ভাবেই ব্লগিং শিখতে শুরু করেন না কেন, তার পাশাপাশি আপনাকে লাইভ প্রাকটিস করতে হবে।

কারন যতোই আপনি কোর্স করেন না কেন ব্লগিং শিখার জন্য নিজে নিজে লাইভ প্রকটিস ছাড়া আপনি কোন দিনই ব্লগিং শিখতে পারবে না।কারন প্রকটিস না করলে আপনি আজ যা শিখবে তা আবার কাল ভূলে যাবেন।তাই নিয়মিত প্রাকটিস চালিয়ে রাখুন।

* ব্যাক্তিগত সহযোগীতা:-

আপনার আত্বীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব বা চেনা জানা কেউ যদি ব্লগিং করেন তবে আপনি তাদের সহযোগীতা নিয়ে সহজে ব্লগিং শিখতে পারবেন।কারন সরাসরি যদি আপনি কারো কাছ থেকে ব্লগিং শিখতে পারেন তবে ভাল ভাবে করতে পারবেন।
* কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন:-

ব্লগিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যম, যেখানে আপনার জ্ঞান, মতামত,আপনার জানা বিষয় গুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে অনেক মানুষ ব্লগিং কে পেশা হিসাবে বেঁচে নিচ্ছেন।এবং সেই সাথে ব্লগিং করে অনেক টাকা ইনকাম করছেন।

আপনি ও ব্লগিং এর মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা,এবং তথ্য অন্যদের সাথে শেয়ার করে গুগোল এডন্স্যন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং শুরু করার কথা এলেই আমাদের মনে সবসময় অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে যেমন,,,,,,,

* ব্লগিং কি?

* ব্লগার কারা?

* ব্লগিং করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?

* ব্লগিং কেন করব?

* কোন ভাষায় ব্লগিং করব?

ইত্যাদি আর ও অনেক রকমের প্রশ্ন আমাদের মনে উকিঁ দেয়।ত আজ এই পোস্টটি পড়লে আপনাদের মনের সব প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন ইনসা আল্লাহ।

* ব্লগিং কি? :-

ব্লগ অনেকটা ডায়রির মতো। যেখানে আপনি আপনার ব্যাক্তিগত যোগ্যতা, আপনার জানা বিভিন্না বিষয় মানুষের কাছে লিখে শেয়ার করতে পারবেন।

ব্লগের মাধ্যমে একজন ব্লগার তার ব্যাক্তিগত দক্ষতা এবং ইচ্ছে, মতামত প্রকাশ করে থাকেন।সুতরাং ব্লগিংকে আমরা বলতে পারি এটি একটি লেখার কাজ।

* ব্লগার কারা? :-

যিনি ব্লগ কন্টেন্ট লিখেন, এবং ব্লগ পরিচালনা করেন তিনিই ব্লগার।যিনি ব্লগের জন্য আটিক্যাল লিখেন তিনিই ব্লগার।আপনিও চাইলে একজন ব্লগার হতে পারবেন তবে তার জন্য আপনাকে প্রথমে ব্লগ লিখে তা পোষ্ট করতে হবে।

* ব্লগিং করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন? :-

ব্লগিং করার জন্য তেমন কোন যোগ্যতা প্রয়োজন নেই।তবে ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে ব্লগিং শিখতে হবে।তার জন্য আপনি কোর্স করতে পারবেন।ওয়ার্ডপ্রস,এসইও সর্ম্পকে ভালো ধারনা থাকতে হবে।

আগেই বলেছি এই কাজ সম্পকে শিখার জন্য আপনি ইউটিউবের টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে নিতে পারবেন।

* ব্লগিং কেন করব?:-

ব্লগ কেন করবেন?  কারন ব্লগ আপনি ঘরে বসে আপনার জানা কোন বিষয়,বা তথ্য আপনি লিখে সারা পৃথিবীর কাছের শেয়ার করতে পারবেন।এবং এর পাশাপাশি আপনার কিছু বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং করার আর ও একটি কারন হলো এখানে আপনি আপনার ব্যাক্তিগত ব্লগ ও লিখতে পারবেন আবার চাইলে কোন প্রতিষ্টানের প্রাতিষ্টানিক ব্লগ ও লিখতে পারবেন।

জনপ্রিয়তা পেতে বা নিজেকে ব্রান্ড হিসাবে উপস্থাপন করতে ব্লগ একটি অন্যতম মাধ্যম।

অনেক ব্লগার আছে যারা প্রথমে নিজেদের শখঁ হিসাবে ব্লগ শুরু করলেও বর্তমানে তারা তাদের পেশা হিসাবে ব্লগকে বেচেঁ নিচ্ছেন।

* কোন ভাষায় ব্লগিং শুরু করব?:-

কোন ভাষায় ব্লগিং করবেন তা সর্ম্পূনআপনার ব্যাপার। আপনি যদি বাংলা ভাষায় লিখেলে আপনার ভিউয়াস হবে শুধু দেশে।কিন্তু আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় ব্লগ লিখেন তবে আপনার ইনকামের মাত্রা বেশি হবে কারন তখন আপনার ভিজিটর থাকে সারা পৃথিবী জুরে।

এতে আপনার এডসেন্স এর  সি পি সি রেট ভালো থাকবে।আপনার যদি ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকে তবে ইংরেজি ভাষায় আপনি ব্লগ লিখা শুরু করতে পারবেন।

যেকোন কাজেই সফলতার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় প্রয়োগ করতে হবে।আপনি আপনার সমস্ত দক্ষ তাকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং এ আপনি ও সফলতা পেতে পারবেন।কিন্তু নতুন ব্লগ শুরু করলে প্রথমে আপনার অনেক ভূল হতে পারে কিন্তু ধৈর্য হারাবে না।

ধৈর্য ধরে সঠিক নিয়মে কাজ করলে আপনি ও ব্লগিং এ সফলতা পেতে পারবেন  ইনশাআল্লাহ।

* ব্লগ থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে যে ধাপ গুলো সর্ম্পূন করতে হবে তা,,,

* ব্লগের বিষয় বস্তুু বা টপিক নির্বাচন করতে হবে।

* ডোমেনের নাম নির্ধারন করতে হবে।

* ব্লগ ডিজাইন করুন এবং থিম পছন্দ করুন।

* আপনার ব্লগ চালু করুন।

* আপনার ব্লগ প্রচার করুন।

* ব্লগকে গুগোল এডসেন্স এর জন্য মনিটাইজ করুন।

* ব্লগের বিষয় বস্তু বা টপিক নির্বাচন:-

ব্লগিং শুরু করার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ব্লগের বিষয় বস্তু বা টপিক নির্বাচন করা।ব্লগের টপিক বা বিষয় বস্তু  নির্বচন করার সহজ উপায় হলো আপনি যে বিষয়ে জানেন বা যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে সেটাকেই ব্লগের বিষয় ব্স্তু বা টপিক বানিয়ে ব্লগ শুরু করুন।

আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে হয়ে থাকেন তবে ত আরও ভালো হবে।ভালো বিষয় বস্তু নির্বাচন করে ব্লগ লেখা শুরু করে আপনার ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি করতে পারবেন।বর্তমানে সবার্ধিক সফল ব্লগের কয়েকটি বিষয় হলো:-

১/ অনলাইন ইনকাম।

২/ ভ্রমন গাইডলাইন।

৩/ রেসিপি।

৪/ ফিটনেস।

৫/ ফ্যাশন।

ইত্যাদি বর্তমানের জনপ্রিয় ব্লগের টপিক বা বিষয় বস্তু।তবে আপনি চাইলে এখান থেকে এক বা একাদ্বিক বিষয় বস্তু নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।তবে এটি সর্ম্পূন আপনার ব্যাক্তিগত ইচ্ছা।

* ডোমেনের নাম নির্ধারন করতে হবে:-

আপনার ব্লগের জন্য ডোমেনের নাম নির্ধারন করা ও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।কারন এই ডোমেনের নামেই মানুষের কাছে আপনার ব্লগ পরিচিতি পাবে। ডোমেনের নাম নির্ধারন করার সময় অব্যশই ডটকম দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

আপনি যে বিষয়ে ব্লগিং শুরু করবেন চেষ্টা করবেন তার সাথে মিলরেখে ডোমেনের নাম নির্ধারন করার।কারন এতে ভিজিটররা আরও বেশি সিকিউর অনুভব করবেন।

যদি ডোমেনের নাম নির্ধারন সর্ম্পকে আপনার কোন কিছু জানার থাকে, তবে ইউটিউবে সার্চ করে আপনি দেখে নিতে পারবেন।এতে ডোমেনের নাম নির্ধারন সর্ম্পকে আপনার আরও বেশি আইডিয়া হবে।

* ব্লগ ডিজাইন করুন এবং থিম পছন্দ করুন:-

আপনার ওয়েব সাইটকে সুন্দর করার জন্য প্রথমে থিম পছন্দ করতে হবে।আপনার ওয়েবসাইটটি কেমন দেখাবে তা নির্ভর করবে আপনার থিম নির্বাচনের উপর।

ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক থিম কালেকশন থেকে যেখান থেকে আপনি থিম নির্বাচন করতে পারবেন।ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক ফ্রি থিম রয়েছে যেগুলো অনেকটা প্রিমিয়াম থিমের মতো কাজ করে।

* আপনার ব্লগ চালু করুন:-

আপনার ব্লগের থেম ডিজাইন এবং সকল সিটিং এর কাজ শেষ হলে ব্লগ লেখা শুরু করুন।প্রতিদিন অন্তত দুটি আটিক্যা লিখে পোষ্ট করুন।একটি ভালো মানের আটিক্যালে অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ ওয়ার্ড থাকবে।তবে তা নির্ভর করবে আপনার উপর।

তবে গুগোলের মতো একটি পোষ্টে ২৫০ থেকে ৩০০ টি ওয়ার্ড থাকা উচিত।আপনি যত ভালো আটিক্যাল লিখবেন তত ভালো ভিজিটর ফিটব্যাক পাবেন।

* আপনার ব্লগ প্রচার করুন:-

আপনার ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে আপনার লেখা আটিক্যাল প্রচার করতে হবে।আর আটিক্যাল প্রচার করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া যেমন: ফেসবুক,টুইটার,ইন্ট্রাগ্রাম, ইত্যাদি।

নতুন ব্লগ শুরু করলে প্রথমে বেশি ভিজিটর পাবেন না যার জন্য বেশি বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে হবে।বেশির ভাগ ব্লগাররা তাদের আটিক্যালে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন।

* ব্লগকে গুগোল এডসেন্স এর জন্য মনিটাইজ করুন:-

আপনার ব্লগে আটিক্যাল প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে আপনি গুগোল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ২৫ থেকে ৩০ ভালো মানের আটিক্যাল লেখার পড় আবেদ করা ভালো।

অনেকেই প্রশ্ন করেন গুগোল এডসেন্স এর জন্য ভিজিটর ম্যাটার করে কি না।উত্তর হবে না,এডসেন্স মনিটাইজ করার জন্য ভিজিটর ম্যাটার করে না।আপনি কোন প্রকার ভিজিটর ছাড়াই এডসেন্স মনিটাইজ করাতে পারবেন।

* যেভাবে ব্লগ থেকে টাকা আয় করবেন:-

মান বজায় রেখে পর্যাপ্ত বিষয় বস্তুসহ ব্লগ প্রস্তুত হয়েগেলে আপনি মানে ব্লগিংয়ের দিকে এগিয়ে জেতে পারবেন।তাছাড়াও ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার আরও অনেক উপায় রয়েছে। নিম্নেতা দেওয়া হলো:

* বিজ্ঞপন নের্টওয়াক।

* শাখা বিপণন।

* পরিশেবা বিক্রি।

* বিজ্ঞপনের জায়গা বিক্রি।

* আটিক্যাল প্রচার করা।

* বিজ্ঞপন নের্টওয়াক:-

ব্লগিং থেকে টাকা আয় করার সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো বিজ্ঞাপন নের্টওয়াক গুলো প্রয়োগ করা।এক জন্য প্রথমে একটি বিজ্ঞাপন নের্টওয়াকে আপনার ব্লগ জমা দিতে হবে।

* শাখা বিপণন:-

শাখা বিপণন এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো অর্থউপার্যন মানি ব্লগারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আপনি একটি পন্য নিয়ে আলোচনা মূলক লেখা লিখতে পারবেন।সাথে পন্য ক্রয়ের লিংক দিতে পারবেন।দর্শকরা লেখাটি পড়ে লিংকের মাধ্যমে পন্যটি ক্রয় করতে পারবে।

এর জন্য প্রথমে আপনার ব্লগ সম্পকিত সব তথ্য প্রতিষ্টনে জমা দিতে হবে।

* পরিশেবা বিক্রি:-

পরিশেবা বিক্রি করে ও আপনি ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনি কি গ্রাফিক ডিজাইন,প্রোগ্রামিং, ফটোগ্রফি বা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে দক্ষ?. যদি থাকেন তবে আপনার ব্লগের মাধ্যমে পরিশেবা বিক্রি করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

* বিজ্ঞাপনের জায়গা বিক্রি:-

আপনার ব্লগ যদি প্রতি মাসে অনেক পাঠক এবং পেজ ভিউ পায়, তাহলে পনি সরাসরি বিজ্ঞাপন দাতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।বিজ্ঞপন দেওয়ার জন্য আপনার ব্লগের জায়গা বিক্রি করার উদ্দ্যেশে। 

বিজ্ঞপনদাতা দের আকৃষ্ট করার জন্য আপনার ব্লগে সুন্দর সুন্দর নকশাঁ ব্যবহার করুন।যাতে ব্যবহার কারিরা সহজে সবকিছু দেখতে পারে।

* শেষ কথা:-

ত এই ছিল আমার আজকে পোষ্ট ব্লগিং শুরু থেকে ইনকাম করা পর্যন্ত সকল টিপস।

ব্লগিং অনেকের কাছে আবেগের বিষয়।আবার অনেকের কাছে তার শখঁ।আর আপনি যদি আপনার এই শখেঁ কাজকে পেশায় পরিনত করে টাকা আয়ের মাধ্যম বানাতে চান তবে মানি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

ব্লগিং একটি বহুমূখি কাজ।কারন এখানে আপনাকে মালিক,পরিচালক,সিইও,কর্মি ইত্যাদি বেশ কয়েকটি ভূমিকায় একা কাজ করতে হবে।

ত আসা করছি আমার আজকের এই ব্লগিং বিষয়ক পোষ্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।আর আপনারা উপকৃত হলেই আমার লেখার সার্থক হবে।

আর আমার এই ব্লগিং বিষয়ক আজকের পোস্ট সর্ম্পকে যদি কিছু জানার থাকে বা ব্লগিং সর্ম্পকে যদি আপনারা কিছু জানতে চান, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানিয়ে দেবেন।আমি ইনশাআল্লাহ আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ত আজ এই পর্যন্তই সবাই খুব ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন,নিরাপদে থাকবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন।আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।এই পর্যন্ত সবাই খুব ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

লেখক সম্পর্কেঃ

আস্সালামু আলাইকুম, আমি জহুরা। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করছি। এবং পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করছি।