মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম 2023

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় আছে।মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর উপায়গুলো হলো_

  1. ব্লগিং করে 
  2. ফ্রিল্যান্সিং করে 
  3. ইউটিব এ ভিডিও তৈরি করে 
  4. ছবি বিক্রি করে 
  5. ডিজিটাল মার্কেটিং করে  
  6. ফেসবুক থেকে 

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম Caption

 

1/ব্লগিং কী?

দেখুন,আমাদের সবার কোন না কোন কিছুতে অবশ্যই প্রতিভা আছে।কেউ রান্না করতে ভালোবাসে,কেউ খেতে ভালোবাসে,কেউ গান গাইতে ভালোবাসে,কেউ নাচতে ভালোবাসে,কেউ লেখালেখি করতে ভালোবাসে,কেউ পড়তে ভালোবাসে আবার কেউ বাগান করতে ভালোবাসে আরো কত কি করতে ভালোবাসে।

আপনার এই প্রতিভা গুলো শুধু আপনিই জানেন। ইন্টারনেট জগতে আপনি আপানার এই প্রতিভার কথা বিশ্বের যেকোন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে পারবেন যেকোন মাধ্যমে।

অনেকে ভিডিও তৈরি করে সবাইকে জানায়।কিন্তু অনেকেই আছে ভিডিও তৈরি করার ইচ্ছা নেই।তাদের জন্য হলো লেখালেখি করে জানিয়ে দেওয়া।

লেখালেখি যে করবেন সেটা কোথায় করবেন?এই লেখালেখি করার সাইটই হলো ব্লগিং।

আপনি আপনার যেকোন শখ এর কথা সেখানে শেয়ার করতে পারবেন।আপনি চাইলে ইংরেজিতে ও ব্লগিং শুরু করতে পারবেন আবার চাইলে বাংলাতেও শুরু করতে পারবেন। এতক্ষণ আমরা জানলাম যে ব্লগিং কী?এখন আমরা জানব কীভাবে একটি ব্লগ তৈরি করব?

এখন আমরা শিখব ফ্রিতে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট কীভাবে বানাতে পারব?একটি ব্লগ সাইট খুলতে হলে গুগল এর সাহায্য নিতে হবে।

একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই সেটা হলো প্রথমে আপনার ব্লগে কাজ করতে একটু ঝামেলা মনে হতে পারে কিন্ত পরে ঠিকই সেখানে কাজ করতে ভালো লাগবে।

বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষরা ব্লগিং কে তাদের ব্যবসা বানিয়ে নিয়েছে এবং তারা প্রতি মাসে প্রচুর পরিমানে টাকা আয় করছে।

আপনি ও যদি চান তাহালে ব্লগিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তার জন্য প্রথমে একটু ধৈর্য ধরে লেগে থাকবেন। 

আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করার জন্য সর্ব প্রথম দরকার হবে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্ট।

আপনি একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে অনেক গুলো ব্লগ বানিয়ে নিতে পারবেন। আপনার যদি একটি জিমেইল বা গুগল অ্যাকাউন্ট থাকে তাহালে একটি ব্লগ বানিয়ে নিতে পারবেন।

আর আপনার যদি জিমেইল বা গুগল অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহালে একটি জিমেইল বা গুগল অ্যাকাউন্ট খুলে নিন।

ব্লগার দিয়ে আপনি সম্পর্ন ফ্রিতে ব্লগ বানাতে পারবেন। আপনার কোনো রকম টাকা পয়সা দরকার হবে না।

2/ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন।আপনি অফলাইনেই কাজ করুন আর অনলাইনেই কাজ করুন না কেন আপনি কাজ না জানলে কিন্তু আপনাকে কেউ কাজ দিবে না।

তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার আ্যাকডেমিক যোগ্যতার কোন প্রয়োজন নেই যা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কোন বিশেষ কাজে দক্ষতা । সেটা হতে পারে -কনটেন্ট রাইটার, প্রোগ্রামার, ওয়েব ডেভলপার,ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইনার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং এরকম অসংখ্য কাজের মধ্যে যে কোন একটাতে যেটা আপনার ভাল লাগে সেটার উপর কাজ করতে পারবেন।

মনে রাখবেন আপনি কোন কাজে দক্ষ না হলে প্রথমে কোনভাবে কাজ পেয়ে গেলেও বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না । কারণ সেখানে আপনাকে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করেই কাজ পেতে হবে ।

আর একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে আপনার যে আরেকটি যোগ্যতা লাগবে সেটা হল ইংরেজীতে ভাল দক্ষতা । কারণ আপনার ক্লায়েন্টরা থাকবে বিদেশী তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার্থে এবং ক্লায়েন্ট কি চায় তা বুঝার জন্য ইংরেজীতে ভাল দক্ষতা অপরিহার্য ।

3/ইউটিউব এ ভিডিও তৈরি করে ইনকাম।

আমাদের অনেকেরই অনেক বিষয়ে শখ আছে।যেমন:রান্না করা,ভ্রমণ করা,বাগান করা,গান গাওয়া ইত্যাদি।আর এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই প্রফেশনাল ইউটিউবার হতে পারবেন।

4/ছবি বিক্রি করে 

আপনি নিজে ছবি তুলে বিক্রি করতে পারেন। তবে এজন্য আপনার ভালো ক্যামেরা থাকতে হবে।

ডিএসএলআর ক্যামেরা হলে ভালো হয়। আপনি ওই ক্যামেরা দিয়ে কয়েকটি প্রকৃতির ছবি তুলবেন।

তারপর Shutterstock সেখানে আপনার ছবি আপলোড দিবেন।

তারপর কেউ যদি আপনার ছবি কিনে তাহলে আপনি আয় করতে পারবেন।

5/ডিজিটাল মার্কেটিং করে

বর্তমানে আমাদের দেশে সবথেকে জনপ্রিয় একটি ইনকাম করার মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান বাংলাদেশ যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ সেরকমই ভাবে বাংলাদেশ ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করা যায়।

বর্তমান সময়ে অনেক লোক নিজের ঘরে বসেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করে যাচ্ছে আপনিও কি তাদের মত অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুরু করে টাকা ইনকাম করতে চান।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয় করতে চান তবে আমাদের দেয়া আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আমরা আপনাকে এখানে জানাবো ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কিভাবে আয় করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

আপনি যদি এই সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে চান তবে নিচে দেওয়া তথ্যগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কিভাবে আয় করা যায় ?

আপনি যদি উক্ত আলোচনা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এখন আমরা আপনাকে জানাবো ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কিভাবে আয় করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে তার মধ্যে আমরা আপনাকে সহজ কিছু উপায় বলব সেগুলো কাজে লাগিয়ে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারবেন তবে আপনাকে প্রথমেই একটি সহজ উপায়ের কথা বলে রাখি সেটি হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি সহজেই মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।

6/ফেসবুক থেকে ইনকাম

ফেসবুক থেকে অনেকেই এখন অনেক টাকা ইনকাম করছে।ফেসবুক ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়।

ফেসবুক এর অসাধারন সব ফিচার্স এর মধ্যে অন্যতম হল ফেসবুক ফ্যান পেজ বা লাইক পেজ। ফেসবুক প্রোফাইলে যেভাবে বন্ধু বাড়ানোর জন্য ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে হয় বা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট রিসিভ করতে হয়, ফেসবুক ফ্যান প্যাজ এর ক্ষেত্রে তেমনটি করতে হয় না।

আপনার নিজের নামে একটি ফেসবুক লাইক পেজ থাকলে, যে কেউ আপনার পেজে লাইক করতে পারবে। আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকলে এবং সেটিতে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার বা লাইক থাকলে আপনার ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক হতে সহজে টাকা আয় করতে পারবেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles