বর্তমান সময় মানুষের মনে যে প্রশ্নটি থাকে সেটি হচ্ছে মোবাইল দিয়ে কি টাকা ইনকাম করা যায় না, কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করব, হ্যাঁ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় এবং আপনি মোটামুটি আমাকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করব আজকেতা বিস্তারিত এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করব। আজকের বিষয় সমূহ হল:
1. মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ।
2. মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট।
3. কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
4. ফেসবুকের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।
5. ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।
6. ইউটিউব দিয়ে মোবাইল থেকে টাকা ইনকাম.
7. ফটোগ্রাফার ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম।
8. মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম।
9. মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম।
10. ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম।
উপরোক্ত কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এবং আশা করা যায় যে আপনি মোটামুটি ভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত বুঝবেন।
1. মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ।
বর্তমান সময়ের প্রতিটি মানুষের ইচ্ছা কিছু পরিমাণ টাকা ইনকাম করা। অনেকে মোবাইলে টাকা ইনকাম করছেন আবার অনেকেই বিভিন্ন প্রতারক শখের কাছে ধরা খাচ্ছেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে ইনভেস্ট করে টাকা লস করছেন।
আজকে আমি বেশ কয়েকটি অ্যাপস এর নাম বলব যে অ্যাপস গুলো ১০০% ট্রাস্টেড। আপনি মোটামুটি ভাবে কয়েক ঘণ্টা সময় কাজ করলে ২-১০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং সে টাকাগুলো বিকাশ রকেট নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে উইথড্র করতে পারেন।
অ্যাপস গুলোর মধ্যে প্রথমে যে এপস আছে সেটি হচ্ছে মেক মানি (make money) গুগলে গিয়ে মেক মানি লিখে সার্চ করলে সর্বপ্রথমে যে এপ্লিকেশনটি আসে সেটি হচ্ছে এই অ্যাপ্লিকেশন প্রথমে এই অ্যাপ্লিকেশনে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে?
তারপর তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
কয়েন জমা হলে আপনাকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা উইথড্র করে দেওয়া হবে। তারপরের কয়েকটি অ্যাপস হলো।,(Quizee Earn Money,make money and earn cash reword
,money hunter , sharigari, taka earn ,earn money bd ) উপরোক্ত কয়েকটি অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি অনায়াসে কাজ করতে পারেন এবং প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
2. মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট।
আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। অনেকে আছে তারা কোন ট্রাস্টেড অ্যাপস ওয়েবসাইট কিছু খুঁজে পাই না।
তখন তারা এই সাইট সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচার করে বেড়ায় অ্যাপ সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচার করে বেড়ায়। আসলে কি ট্রাস্টেড সাইডের আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং সে টাকা বিকাশ নগদ রকেট পেপাল সবকিছু তে উইথড্র করতে পারেন।
উপরোক্ত যে কয়েকটি অ্যাপসের কথা বললাম সেই কয়েকটি অ্যাপসে প্রতিটা আপনি কাজ করে বিকাশ রকেট নগদে টাকা উইড্য করতে পারেন। তাছাড়া আরো কয়েকটি অ্যাপস আছে যেগুলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আমাদের পরের পোস্ট এ ।
3. কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
টাকা ইনকাম করার কোন ট্রাস্তেড সফটওয়্যার না থাকার কারণে অনেক মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে। অনেক অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আপনাকে একাউন্ট করে কিছু পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করতে বলবে।
কোনদিন এমন ভুল করবেন না যে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। টাকা ইনভেস্ট করবেন তারপরে কিছুদিন পর ধোঁকা খেয়ে সে টাকা ফেরত পাবেন না।
টাকা ইনকাম করার সবথেকে ভালো সফটওয়্যার হচ্ছে গুগলে গেলে পেয়ে যাবেন। অথবা নিচের সাইটে সার্চ দিতে পারেন ।
earn money from home – money earning sites যেই সফটওয়্যার টার নাম বললাম সেটা আমার কাছে সবথেকে ভালো সফটওয়্যার বলে মনে হল। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার আছে।
যে সফটওয়্যার গুলো আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে আর্ন মানে লিখলে অনেক ধরনের সফটওয়্যার আসি সেখান থেকে প্রথম পেজের সফটওয়্যার গুলো থেকে প্রচুর পরিমানে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
4. ফেসবুকের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।
বর্তমান সময়ের সব থেকে টাকা ইনকাম করার ভালো উপায় হচ্ছে ফেসবুক। আপনার যদি একটি ফেসবুক আইডি থাকে এবং একটি ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে আপনি ফেসবুক মনিটাইজেশনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক মনিটাইজেশন পেতে হলে আপনাকে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০কে ফলোয়ার হতে হবে। আপনি এই ফলোয়ার ওয়াচ টাইম গুলো সেল করেও মনিটাইজেশন পেতে পারেন।
আপনার পেজটি মনিটাইজেশন অন হলে অ্যাড শো করলে আপনি এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভিডিও ক্রিয়েটর হতে হবে।
আপনার পেইজে সুন্দর সুন্দর ভিডিও পোস্ট করতে হবে যেটাতে দর্শক মুগ্ধ হবে। বর্তমানে মেটা কোম্পানি প্রোফাইল থেকে টাকা ইনকাম করার আরো একটি সুযোগ করে দিচ্ছে ।
ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যাবে সামনে সময়ে। হ্যাঁ নিজের প্রোফাইলের মাধ্যমেই টাকা ইনকাম করা যাবে
5. ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে টাকা ইনকাম।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে একটি বড় বিষয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ধরনের ভেরিয়েন্ট আছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং ইউটিউব মার্কেটিং টিক টক মার্কেটিং ইমেইল মার্কেটিং instagram মার্কেটিং আরো বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে।
ফেসবুক মার্কেটিং বলতে সাধারণত ফেসবুক ব্যানার তৈরি ফেসবুক কভার তৈরির, এড রানিং দেওয়া, ফেসবুক প্রোফাইল সাজিয়ে দেওয়ার লোগো ডিজাইন করা ইত্যাদি কে বোঝায়।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেন তাহলে ফাইবার মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকম এসব বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক সেক্টর গুলো মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারবেন ।
প্রায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব সেক্টর গুলা মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায় যদি আপনার ইচ্ছা থাকে। তাই বসে না থেকে লিখে পড়ুন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ।
6. ইউটিউব থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম।
ইউটিউব থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে ইউটিউবে এডসেন্স। যখন আপনার একটি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থাকবে এবং সেখানে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে থাকবেন। আপনার youtube চ্যানেল মনিটাইজেশন হলে ইউটিউব এডসেন্স এপ্লাই করতে পারবেন।
ইউটিউব এডসেন্স এপ্লাই হলে আপনি ইনকাম করা শুরু করে দিবেন। ইউটিউবে এডসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ১০ কে ফলোয়ার ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম ইউটিউবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ করতে হবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেল একবার মনিটাইজেশন পেলে আপনি ইনকাম করা শুরু করে দিবেন। মূলত ইউটিউব থেকে ইনকাম করার প্রধান উপায় হচ্ছে ইউটিউব এডসেন্স।
7. ফটোগ্রাফ ও ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম।
আপনার হাতের মোবাইলটি যদি মোটামুটি ভাবে ভালো রেজুলেশনের হয়। আপনার মোবাইল যদি ক্যামেরা ভাল হয় তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করে সে ফটো এডিট করে মার্কেটপ্লেসি বিক্রি করতে পারেন,
এমন বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে যেখানে শুধু ফটো পাবলিশ করলে সেই ফটো ডাউনলোড হলে আপনাকে টাকা পে করা হবে।
আপনি যদি শর্ট ভিডিও বানাতে পারেন এবং ভিডিও এডিট করতে পারেন তাহলে সেই ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। মোবাইলে ভিডিও এডিট করার সবথেকে ভাল অ্যাপ্লিকেশন হল কাইনমাস্টার।
কাইনমাস্টার অ্যাপ এর মাধ্যমে ছোটখাটো সকল ধরনের ভিডিও এডিট করা হয়। তারপরে যে অ্যাপটি রয়েছে সেটি হচ্ছে ক্যাপ্টাট ভিডিও এডিটিং অ্যাপ।
এই অ্যাপটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শর্ট ভিডিও টিক টক ভিডিও ফেসবুক পেজ ভিডিও তৈরি করা হয়। আপনি যদি সামান্য পরিমাণ ভিডিও বানাতে পারেন সেই ভিডিও মার্কেটে সেল করে মোটামুটি ভাবে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।
9. মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম।
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম হচ্ছে সবথেকে বড় এবং বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি টাকা ইনকামের মাধ্যম, আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে এবং একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও শিখতে হবে। কারণ এসইও না হলে আপনি কোন আর্টিকেলি লিখতে পারবেন না। এসো শিখার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্লগিং করে এডসেন্সের মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমানে অনেকেই আছে যারা ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করছে। আপনি যে বর্তমান সময়ে যে ওয়েবসাইটটিতে পড়ছেন সেই ওয়েবসাইটে ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম হচ্ছে।
আপনার ওয়েবসাইটটি এডসেন্স এপ্রুফ্যাল হলে আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর আসলে আপনি মাসে মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এবং ব্লগিং করা তেমন কোন কঠিন ব্যাপার নয়। বর্তমান সময়ে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা ব্লগিং করছে।
10. ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম.
হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম। আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে সে ওয়েবসাইট সেল দিয়ে অথবা এডসেন্স অ্যাপ্রভাল করে টাকা ইনকাম করা যায়।
ব্লগস্পটস ডট কম থেকে মোবাইল দিয়ে একটু ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করে এডসেন্স অ্যাপ এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
মজার বিষয় হলো ব্লগস্পটস ডট কমে ফ্রী বিভিন্ন ধরনের টেমপ্লেট দেওয়া থাকে এবং আপনি সেই টেমপ্লেট গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করতে পারেন।
যেহেতু এটা গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট তাই এডসেন্স পেতে কোন সমস্যা হয় না। আপনি শুধুমাত্র ইউনিক কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করলে এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পেলে টাকা ইনকাম করতে শুরু করবেন। এবং এটি সম্পূর্ণ মোবাইল দিয়ে সম্ভব হবে।
উপরোক্ত যে দশটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করলাম আশা করি সেই দশটা বিষয় ফলো করলে আপনি মোবাইল দিয়ে দৈনিক 5 থেকে 700 টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অযথা কোথাও ইনভেস্ট করার আগে একবার ভাবুন।
কোন ওয়েবসাইটে টাকা ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই বিবেচনা করবেন। কারণ বর্তমান সময়ে প্রতারক চক্রের কোন তুলনা নাই । ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন ধরনের জাল। এতক্ষণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.