কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি সহজেই অর্থ উপার্জন করবেন ?

বেকারদের পরিমান দিনে দিনে বেরেই চলেছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর পরিমান বারছে কিন্তু বেকারত্ত কমছে না । ছাত্র থাকা কালিন সময়েই শিক্ষার্থীরা অর্থ উপার্জনে সক্ষম হপে পারে, সেই বিষয়েই কিছু কথা নিন্মে তুলে ধরা হল। 

কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি  অর্থ উপার্জন করবেন কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি  অর্থ উপার্জন করবেন 

১। ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং হল সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই  অর্থ উপার্জন করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশাল অর্থ উপার্জন এর ক্ষেত্র। একজন শিক্ষার্থীকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অন্তত যে কোন একটি বিষয়ের উপর  দক্ষতা থাকতে হবে ।

যেমন  ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। একজন শিক্ষার্থী যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চায়, তাকে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে এই দক্ষতাগুলো মধ্যে যে কোন একটি বিষয়ে তার  দক্ষতা থাকতে হবে।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা  এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোনো কোর্স থাকে না। শিক্ষার্থীরা যেকোনো একাডেমি বা ইন্টারনেট থেকে এই দক্ষতা সম্পর্কে শিখতে পারে। 

যেমন ইউটিউবে, এমন অনেক চ্যানেল রয়েছে যেখানে ওয়েব ডিজাইনের মতো অনেক ধরনের কোর্স  বিনামূল্যে শেখানো হয় । সুতরাং, একজন শিক্ষার্থী কোন অর্থ ব্যয় না করেই ইউটিউব থেকে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে শিখতে পারে।

তবে যদি  শিক্ষার্থীরা ফ্রিল্যান্সিং এ আরও  উন্নত করতে চায় তবে তাদের কোন একটা কোর্স এ ভর্তি হয়ে শিখে নিতে পারে ।

কারন ইউটিউব থেকে সব কিছু ভালো ভাবে শেখা যায় না । এছাড়াও, ইউটিউব থেকে শিখলে শিক্ষার্থীদের  কোনো সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না।

যে শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট অর্জন করতে চায় বা কোন বিষয়ে অ্যাডভান্স লেভেল শিখতে চায় তারা পেইড কোর্স  ভর্তি হয়ে ভালো ভাবে শিখতে পারে।

যেমন Udemy, Coursera  এরা আন্তর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে থাকে। দক্ষতা অর্জনের পর, শিক্ষার্থীরা দেশী বা বিদেশী কোম্পানির সাথে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। চাইলে তারা  যেকোন লোকাল কোম্পানিতে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে ।

অথবা ঘবে বসে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে পারবে । একজন শিক্ষার্থী  প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ফেসবুক গ্রুপ অথবা বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়া থেকে  অনুসন্ধান করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বিভিন্ন কাজ খুঁজে পেতে পারেন।

কাজ পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকেদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সোসিয়াল মিডিয়া গুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। একজন শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইনিং করতে চাইলে তাকে গ্রাফিক ডিজাইনিং সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপে সার্চ করতে হবে।

একজন শিক্ষার্থী তার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে নিজ দেশীয় কোম্পানিগুলোর সাথে।

একজন শিক্ষার্থী বিদেশী কোম্পানিতেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। তবে, তার জন্য কিছু জিনিস লাগবে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, একটি এনআইডি বা পাসপোর্ট সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য।

18 বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি NID বা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া খুব কঠিন। তারা বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে তাদের পিতামাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং NID ব্যবহার করতে হবে। 

একজন শিক্ষার্থী ফাইভার, আপওয়ার্কের মতো ওয়েবসাইটে  মাধ্যমে  আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং চাকরির সন্ধান করতে পারে।

এই ওয়েবসাইটগুলি ছাড়াও, আরও কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে একজন শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং চাকরির সন্ধান করতে পারে।

এই ওয়েবসাইটগুলি থেকে একজন শিক্ষার্থী বাংলাদেশে অর্থ উপার্জন করতে পারে। দক্ষতা সঠিকভাবে জানা থাকলে, একজন শিক্ষার্থী  ফ্রিল্যান্সইং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গরতে পারে।  

২। অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসা

 একটি অনলাইন ই-কমার্স শপ খোলা খুবই সহজ। এমনকি ফেসবুক মাধ্যমেও  শিক্ষার্থীরা তার পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারে।

অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে পণ্য  বিক্রির দিকে ঝুঁকেছে। অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বা খাবারের জিনিস বিক্রি করেছে।

একটি অনলাইন শপ সেট আপ করা অনেক সহজ। শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করে  তাদের ব্যবসা শুরু  করতে পারে।

এছাড়াও, অনলাইন ব্যবসার জন্য কোন লাইসেন্স করতে হবে না। পেমেন্ট প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে খুব সহজেই একটি পণ্য অনলাইনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া যায়।

৩। রিমোট কাজ

রিমোট কাজ এমন এক ধরনের কাজ যেখানে কাজগুলো ঘরে বসেই করা যায়। একজন শিক্ষার্থী রিমোট কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে তার জন্য অফিস এ যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

লিঙ্কডইনের মতো অনেক অনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে অনেক রিমোট কাজের অফার থাকে। বিশ্বব্যাপী অনেক কোম্পানি তাদের ঐতিহ্যগত কাজের ধরন পরিবর্তন করছে।

বিশ্বে উন্নত প্রজুক্তির কারনে  মানুষ সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে।   

কর্মচারীদের মধ্যে সহযোগিতা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যেতে পারে। রিমোট কাজের একটি সুবিধা হল যে কর্মচারীরা অনেক সময় বাঁচাতে পারে।

তাদের কাজ করার জন্য অফিসে আসতে হবে না এবং এতে অনেক সময় বাঁচে। এতে কোম্পানিরও লাভ হয়, কোম্পানিগুলির  অফিসের জন্য বিপুল পরিমাণ ভাড়া দিতে হয় না ।

রিমোট চাকরি করে দেশে থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।

বাংলাদেশে বসে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যে কোনো দেশে এসব রিমোট কাজ করতে পারে। দূর থেকে করা যায় এমন বেশিরভাগ কাজই কম্পিউটার এর সাথে  সম্পর্কিত কাজ। তাই, শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটারে বিশেষায়িত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কেন একজন শিক্ষার্থীর জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন

বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার মূল ফোকাস রয়ে গেছে বইয়ের জ্ঞানের ওপর। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহারিক কাজের সুযোগ খুবই কম।

সুতরাং, একটি কোম্পানি বা ব্যবসা নতুন স্নাতক বা বিদ্যমান ছাত্রদের চেয়ে চাকরির জন্য অভিজ্ঞ প্রার্থী নিতে বেশি আগ্রহী। তবে, এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করা যেতে পারে।

ছাত্র জীবনে অভিজ্ঞতা অর্জন করলে চাকরী না  করেও অনালাইন প্লাটফর্ম থেকে টাকা উপার্জন করতে পারে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles