স্বাগতম প্রিয় পাঠক আমার লেখা নতুন ব্লগে। অনেকেই ভাবেন সারাদিন তো অনলাইনেই থাকি, ফেসবুক, মেসেঞ্জার , ইউটিউব ইত্যাদি হাবিজাবি করে অনেক সময় প্রতিদিনই অনলাইনে ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত ভাবে চলে যায়। এই সময়টা খরচ করে যদিও অনলাইন হতে কিছু ইনকাম করা যেত তাহলে ভালো হতো।ভালো হতো না? তো আজকের লেখাটা এই ভালো লাগানোর জন্যই। তো চলুন আর দেরি না করে সামনে এগিয়ে যাই।
আজকে আপনাদের হুটহাট কিছু আইডিয়া দিব যা হত আপনারা আজকে অনলাইনে ইনকামের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবেন। এজন্য ধৈর্য ধরে পুরা পোস্ট পড়তে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইন জগতের অন্যতম একটি লাভজনক আর্নিং আইডিয়া যা ব্যবহার করে যে কেউ খুব সহজেই অনলাইন হতে ব্যাপক টাকা ইনকাম করতে পারে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট হওয়া এবং আপনার এফিলিয়েট লিংক হতে কেউ যদি ওই পণ্য কিনে তাহলে সচরাচর আপনি দশ পার্সেন্ট শেয়ার পাবেন।
এজন্য আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন সেলিং সাইট হতে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট করতে হবে এবং এই পণ্যগুলোর এফিলিয়েট লিংক যত পারেন প্রচার করবেন। আপনার লিঙ্ক হতে কেউ কিনলেই আপনি 10% লাভ পাবেন। মজা না ?
ব্লগিং : অনেক কষ্ট করে ফেসবুকে পোস্ট লিখে কয়েকটা লাইক পেয়েই মানুষ সন্তুষ্ট হয়ে যায়। এটা কেমন হয় যে পোস্ট লিখলাম ,কিছু লাইক পেলাম, সঙ্গে কিছু টাকা-পয়সা পেলাম, কমেন্টে পোস্ট সম্পর্কে মানুষদের মন্তব্য পেলাম , ভালো হয় না? এজন্য আপনাকে সাহায্য করবে ব্লগিং ওয়েবসাইট ।
বাংলাতে গল্প লেখা বহু ব্লগিং ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে গল্প-কবিতা , কাহিনী, ইতিহাস ইত্যাদি নিজের মনের মত লেখা যায়। এমনকি নিজের জীবনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করে আপনি ওখান হতে টাকা কামাতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট গুলো পেতে আপনাকে একটু গুগোল করতে হবে যে। আপনার জন্য যদি এখানে লিংক দেই তো তাহলে আমার কামাই বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং একটু কষ্ট করুন। সবুর করুন, সবুরে মেওয়া ফলে।
ইউটিউব: জনগনের মাঝে কিছু ইউটিউবার এমনভাবে ফোবিয়া ছড়ায় যেন কেউ সহজে ইউটিউবার হওয়ার হিম্মত করতে না পারে। অথচ যে ব্যক্তি সেলফি তুলতে পারে তারও ইউটিউবার হওয়ার সুযোগ আছে। প্রত্যেক এলাকায় কিছু ভালো দর্শনীয় জায়গা আছে। কষ্ট করে গিয়ে সেখানকার কিছু ভিডিও করে এনে ইউটিউবে আপলোড করতে পারে যে কেউ। এবং এটা হতেও আপনি কিছু আর্নিং করতে পারেন। তাছাড়া প্রতিদিন হয়তো ইউটিউবে এসে শিশুদের জন্য গল্প বললেন, আপনার জানা কোন অভিজ্ঞতা ইউটিউবে শেয়ার করলেন ,
এইগুলা হাবিজাবি করেও আপনি ইউটিউব হতে আর্নিং করতে পারবেন। কারণ ইউটিউব কনটেন্টের কোয়ালিটি দেখেনা, বরং দেখিয়েছে 1000 সাবস্ক্রাইবার পুরা হয়েছে কিনা আর বিগত এক বছরে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এসেছে কিনা। যদি আসে তো আপনার চ্যানেলকে আপনি ভাল করে সাজিয়ে ফেলুন আর মনেটাইজ এর জন্য আবেদন করে ফেলুন, হয়ে যাবে। মানুষজন ভিউ করবে আর আপনার অ্যাকাউন্টে পয়সা জমা হতে থাকবে।
ভালো বুদ্ধি না? কেউ যদি আপনার ভিডিও নাও দেখে তাও আপনি হাল ছাড়বেন না। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে যাবেন। ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়।
ফেইসবুক পেজ খুলে আয়: ফেসবুকে পেজ খুলে আপনি ওখান হতে ব্যাপক আর্নিং করতে পারেন। কেমন করে ফেসবুকে পেজ খুলতে হয় এটার জন্য ইউটিউবে বহু ভিডিও পাবেন। আর যদি মনে করেন যে, "না ভাই , একটা টিউটোরিয়াল পোস্ট দেন " তো অবশ্যই দিব ইনশাআল্লাহ । ফেসবুকে পেজ খুলে নিয়মিত পোস্ট করতে থাকুন।
আপনার পোস্টে যথাযথ এনগেজমেন্ট যদি আসে আর ওদের ক্রাইটেরিয়া মাফিক ফলোয়ার যদি জোগাড় করতে পারেন তো তাহলে ফেসবুক পেজ মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করবেন। যখন ফেসবুক পেজ মনিটাইজ এর আবেদন মঞ্জুর হবে, তারপর হতে আপনি ওই পেজ হতে আর্নিং করতে পারবেন। তারা আপনার ভিডিও পোস্ট ইত্যাদিতে অ্যাড শো করাবে এবং ওই টিই হলো টাকার উৎস।
ধন্যবাদ এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য। ভালো লাগলে পোস্টটি একটি লাইক দিবেন আর কমেন্ট করে জানাবেন । ictmela.com
payment dei na eta
You must be logged in to post a comment.