বর্তমানে আমাদের অনলাইন ব্যবহারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজে অনলাইন ব্যবহার করে থাকি। বর্তমান সময়ে অনলাইনের ব্যবহার আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির বিশেষভাবে এগিয়ে যাওয়াতে সমগ্র বিশ্বে এখন অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে শুধু আমাদের দেশেই নয় পৃথিবীর প্রায় বিভিন্ন দেশে অনলাইনের মাধ্যমে নানা কাজ পরিচালিত করা হয়ে থাকে। আজকের এই সময়ে আমাদের অধিকাংশ কাজকর্ম অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের এই আধুনিক যুগে আমরা অনলাইন ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা পেয়ে থাকি।আর এই অনলাইনকে আমরা আমাদের ক্যারিয়ার গঠনের প্রধান উপায় হিসেবে ব্যবহার করে থাকি।
আমরা এই আধুনিক যুগে অনলাইন কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করে যাচ্ছি।অনলাইনে ইনকাম করার ব্যাপারে দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। বর্তমান এই সময় চাকরি বাজারে শুরু হয়েছে এক বিশেষ ধরনের প্রতিযোগিতার কারণে আমরা বেশিরভাগ অনলাইনে ইনকাম করে কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করব, কিভাবে নিজের পায়ে দাড়াবো সে সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে চলছি।
সাধারণত অনলাইনে ইনকাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি থেকে থাকে। অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে বিভিন্নভাবে কাজ করে মানুষ প্রতিনিয়ত ইনকাম করতে পারে। তবে অনলাইনে ইনকাম করার পেশাটিকে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং বলে সম্বোধন করে থাকি। ফ্রিল্যান্সিং পেশা বর্তমান অধিকাংশ মানুষের একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের দেশের অনেক বেকার রাই এখন তাদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে বেছে নিয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে চলছে, আবার কেউ কেউ কাজ ভালো মতন না পারার কারনে এক টাকা ও ইনকাম করতে পারে না।
এই পেশা করে আপনি মাসে বা বছরে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। এখানে আপনি যত ভালোভাবে কাজ করে যেতে পারবেন আপনার ইনকাম ততবেশি হয়ে থাকবে।তাই সর্বপ্রথম যেটা আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চান সে বিষয়ে আপনাকে ভালো মতন জানতে হবে।
আপনাকে ভালো কাজ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। চাকরির বাজারের মতো এখানে ও এক ধরনের প্রতিযোগিতা আছে। আর ভালো দক্ষতা অর্জন করার জন্য আপনাকে ধৈর্যশীল হয়ে কাজ করে যেতে হবে।আপনি যদি আপনার চেষ্টাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেন তবে আপনি সফল হবেন। অনলাইনে ইনকাম করার সাইট গুলোতে এমন চিন্তা ভাবনা একেবারেই করবেন না যে আপনি রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন।
বলতে গেলে সেটা ই বলতে হবে যে ধৈর্য ধরে কাজ করে যান এবং নিজের চেষ্টা কে কাজে লাগিয়ে যান তবেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।আর এই অনলাইনের অধিকাংশ সাইটের মধ্যে গুগোল সাইটে কাজ করে ইনকাম করার বিষয়টি ইতিমধ্যে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকের এই আধুনিক যুগে গুগোল সাধারণত একটি বিশেষ জনপ্রিয় সাইট।
যাকে শুধু বাংলাদেশেই নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এক বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই সাইটটি অসংখ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা বলে শেষ করা যাবেনা। আর এই সাইটটিতে কাজ করে আয় করার বিষয়টি এটিকের চাকরি করা তেমন কিন্তু কিছু নয়। আজকালের এই অনলাইন প্রিয় জগতে মানুষ অসংখ্য সাইটে কাজ করে ইনকাম করে চলছে ঠিক তেমনি গুগোল একটি সাইট যেখানে আপনি কাজ করে ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।
গুগোল হচ্ছে সাধারণত ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। গুগোল এর বিভিন্ন সেবার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটি ব্যবহৃত হয় সেটি হলো গুগোল সার্চ। তবে যাই হোক কিন্তু আপনি কিভাবে গুগল সাইট কে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন সে সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানোর জন্য আজকে আমাদের এই আলোচনা।
আমরা অনেকেই আছি যারা এখনও জানি না যে গুগল সাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করবো। গুগল থেকে ইনকাম করার সেরা উপায় গুলো সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জানব। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই গুগল সাইট থেকে কিভাবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। নীচে সেরা উপায় গুলো সম্পর্কে বলা হলো:
১. ইউটিউব থেকে টাকা আয়:
ইউটিউব কে সাধারণত গুগলের একটি ভালো সাইট বলা যায়। অধিকাংশ মানুষের এখন ভিডিও দেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট টি হলো এই ইউটিউব। এখানে সাধারণত আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার আপলোড করা ভিডিও গুলো হতে হবে নিজস্ব কোন প্রকার কপি করা যাবে না।
এখানে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। এসব ভিডিও দেখে মানুষ যেন কিছু শিখতে পারে বা জানতে পারে, বা আপনার করা ভিডিও মানুষকে আনন্দ দিতে পারে এসব বিষয় অবশ্যই আপনি খেয়াল রাখবেন। তাছাড়া আপনি ইউটিউবে নিজের কোন পণ্যের ভিডিও তৈরি করে সেখান থেকে প্রচার করতে পারেন এবং পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
ইউটিউবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করি বা বিভিন্ন স্পন্সরশিপ নিয়ে ইনকাম করতে পারেন। স্পন্সরশিপ কাজ করলে তখন গুগল থেকে আয় করার পাশাপাশি সেই কোম্পানি থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তবে শুরুতে আপনাকে যেটি করতে হতে পারে সেটি হচ্ছে ইউটিউবে আপনাকে একটি চ্যানেল খুলতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে সেখানে ভিডিও আপলোড করতে হবে আপনার ভিউয়ার্স বাড়ার সাথে সাথে ইনকামও বাড়বে। যা গুগল সাইট থেকে ইনকাম করার সহজ এবং সেরা একটি উপায়।
২. গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়:
গুগল এডসেন্স সাধারণত ব্লগারদের একটি প্রিয় সাইট হয়ে থাকে। যেখান থেকে মানুষ নানা উপায়ে ইনকাম করতে পারে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাড দেখানো হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট বা ইউটিউব এ দেখানোর মাধ্যমে গুগোল আমাদেরকে টাকা দেয়।
গুগল অ্যাডসেন্স বিভিন্ন কোম্পানি থেকে টাকার বিনিময়ে অ্যাড নেয়। এখন কথা হল যে এই অ্যাডগুলো কোথায় দেখাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেখানো সম্ভব না তারা এই অ্যাড যথাক্রমে ইউটিউব এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখায়। এখানে আপনার আয়ের সাধারণত নির্ভর করে ভিজিটর বা ভিউ এর উপরে।
গুগল এডসেন্স সাধারণত ওয়েবসাইট মালিক কে দেয় ৬৮% ইউটিউবার নেট দেয় ৫১%।আপনার ওয়েবসাইট ব্লক ইউটিউব চ্যানেলটি যখন পপুলার হয়ে যাবে তখন আপনি সেখানে গুগল এডসেন্স যুক্ত করে দিবেন। সেখানে গুগল এড দেখাবে যখন কেউ দেখবেও ক্লিক করবে তখন গুগোল টাকা দিবে। গুগলে টাকা ইনকামের সেরা সাইট গুলোর মধ্যে এটিও একটি।
৩. ব্লগিং করে টাকা আয়:
ব্লগিং করে সাধারণত গুগল থেকে টাকা আয় করা যায়। বর্তমান সময়ে এই কাজটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক ভাল ভাল ব্লগার রয়েছে তাদের আয় প্রচুর হয়ে থাকে।ব্লগার হলো গুগলের একটা সার্ভিস ব্লগে বিভিন্ন লেখা দেওয়ার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।
আপনি আপনার বিভিন্ন টপিক নিয়ে ব্লগে লিখতে পারেন। সেই টপিক সম্পর্কিত কিছু যখন মানুষ গুগলের সার্চ করবে তখন আপনার লেখা সবাই দেখতে পারবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার লেখার মান ভালো হতে হবে। তাহলে আপনি অনেক ভালোভাবে ও সহজেই ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং এর বাংলা অথবা ইংলিশ দুটোই হতে পারে যেকোনো বিষয়ে লেখার জন্য আগেই যে বিষয়টি নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। লেখাটিকে আপনার সাধারণত মানসম্মত ভাবে ও অনেক সুন্দর তথ্যবহুল দিয়ে সাজাতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে আপনার ভাষা ভালো মতন বুঝতে পারে সে রকম ভাষা আপনাকে প্রয়োগ করতে হবে এমন কোনো ভাষা কখনো ব্যবহার করবেন না যাতে মানুষ বুঝতে অনেক সমস্যা হয়।
ব্লগে লিখে সাধারণত অনেক টাকা আয় করা সম্ভব প্রতিমাসে যদি 100 ডলার হয়ে থাকে তাহলে গুগল সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিবে। গুগল সাইট থেকে টাকা আয় করার সেরা সাইট গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি সেরা সাইট এটি হয়ে থাকে।
৪. গুগল এডওয়ার্ড থেকে টাকা আয়:
গুগল এড ওয়ার্ল্ড হল এড দেওয়ার একটি মাধ্যম। এটি এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যেখানে আপনি আপনার বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর দেখাতে পারেন এবং এখান থেকে বিক্রিও করতে পারেন। সাইটে টাকা ইনকামের সেরা উপায় গুলো যেগুলো আছে এটিও তাদের মধ্যে একটি।
তবে এখানে অ্যাড দেখানোর জন্য কিছু পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে, অ্যাফিলিয়েট করা পণ্য এই আইডি কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এখানে আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে তারপর আপনার নির্দিষ্ট মতন আপনাকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আপনি এখানে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই কাজ করে যেতে পারবেন।
৫. গুগল এডমোব থেকে টাকা আয়:
এডমোব হলো এক ধরনের মোবাইল এডভার্টাইজিং সার্ভিস। এর নির্দিষ্ট কাজ হচ্ছে মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপস এর মধ্যে অ্যাড দেখানো। এটি সাধারণত গুগল এডসেন্স এর মতনি হয়ে থাকে। তবে এখানে মোবাইলের অ্যাপস অ্যাড দেখানো হয়।
আপনি যদি কোন মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে থাকেন তাহলে সেখানে অ্যাড দেখিয়ে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইলে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ডাউনলোড করে থাকি প্রতিনিয়ত এসব অ্যাপস ব্যবহার করার সময় বিভিন্ন অ্যাড দেখতে পাবেন। এই অ্যাড গুলো দেখানোর মাধ্যম এই অ্যাপস এর প্রতিষ্ঠাতা টাকা ইনকাম করে থাকে।
তবে আপনি যদি কোন অ্যাপস বানান তাহলে তা অবশ্যই গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করতে হবে। প্লে স্টোরে যদি পাবলিশ করতে না পারেন তাহলে তা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে না এবং আপনার ভালো ইনকাম কখনোই হবে না।
গুগলের যে সাইট গুলো সম্পর্কে আমরা আলোচনা করলাম সেই সবগুলো গুগল সাইটকে ইনকাম এর সেরা সাইট বলা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে আর দেরি না করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে আপনাকে এখানে কাজ করতে গেলে আবশ্যই ধৈর্য ধরে করে যেতে হবে আপনি যদি এই সাইটগুলোতে ভালো মতন কাজ করে দিতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে অবশ্যই অর্থ প্রদান করবে।
আমাদের লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে অবশ্যই আপনার পছন্দমত একটি সাইটে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন আপনার একটি শেয়ার আমাদেরকে পরবর্তীতে আরও ভালো আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করবে।
You must be logged in to post a comment.