ই- কমার্স ব্যাবসা করতে হলে ই- কমার্স কি সেটা সম্পর্কে জানতে হবে।আবার কিভাবে ই- কমার্স ব্যাবসা বাড়াতে চান তার জন্য, মার্কেটিংয়ের কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে।ব্যাবসা যাই হোক না কেন মার্কেটিং কৌশল যদি সঠিক না হয় তবে কোন ব্যাবসা বেড়ে উঠবে না।
টপিক সূচি
|
অনলাইন সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ব্যাবসা হচ্ছে ই- কমার্স। ই- কমার্স এর অর্থ হলো ইলেকট্রনিক কমার্স।অনেক সময় ইন্টারনেট কমার্স নমেও পরিচিত।ইন্টারনেটে গিয়ে কোনো পন্য বা সার্ভিস কেন ও বেচার মাধ্যমকেই ই- কমার্স বলা হয়ে থাকে।ইকমার্স শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়ে আসছে।।এটি আমাদের জীবনযাপন,কেনাকাটা এবং ব্যাবসাএর পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে।আমাদের দেশে এখনও অনেক ইকমার্স ব্যাবসা রয়েছে। ভবিষ্যতে ইকমার্স মার্কেটের বিকল্প নেই।এটি গ্রাহকের সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে ,তার সেবা নিশ্চয়তা দিতে যা যা করনীয় এর সবকিছু যদি আপনি নিশ্চিত করতে পারেন এবং এর মার্কেটিংটাও যদি আপনি বড় আকারে করতে পারেন ,তাহলে অবশ্যই আপনি এই পেশায় সফল হতে পারবনে।এই ব্যাবসা ক্যারিয়ার হিসেবে ধরে অনেকেই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন।
সর্বনিম্ন কত টাকায় একটি ই- কমার্স সাইট তৈরি করা যাবে।
সবকিছু নির্ভর করে হোস্টিং এবং সিএমএস এর ওপর।আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম কিনেন তবে থিমের মুল্য অনুযায়ী খরচ বাড়বে।প্রোডাক্ট যদি নিজে আপলোড করেন ,তাহলে খরচ অনেক কমাতে পারবনে।আর যদি ডেভেলপার দিয়ে আপলোড করলে ভালো একটা আমাউন্ট বেরিয়ে যাবে।আপনি যদি প্রফেশনালি করতে চান তাহলে পেমেন্ট গেটওয়ের পেছনে কিছু টাকা ঢালতে হবে।
আবার শ্রম কাজটা যদি ম্যাজেন্টা বা লারাভেল দিয়ে করতে চান ,তাহলে খরচ লাখের ওপরে পরে যাবে ।এমনি ভাবে ইকমার্স নিশ কিছু সিএমএস আছে একেকটার খরচ একেক রকম।
ই -কমার্স ব্যাবসা এর বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি মার্কেটিং কৌশল।
১/ 'আনইউনিক" প্রোডাক্ট নিশ নিয়ে কাজ করুন।
আমাদের নতুন ই উদ্যোক্তাদের একটি বড় ভুল হচ্ছে একসাথে একাধিক নিশ বা পন্য নিয়ে কাজ করা।একসাথে একাধিক নিশ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সফলতার পরিবর্তে ব্যার্থতা আসে। ই- কমার্স ব্যাবসা এর প্রধান শর্ত হচ্ছে পরিচিতি । ই - কমার্স ব্যাবসার পরিচিতি পেতে অনেক সময় নিয়ে কাজ করতে হয়।শুধুমাত্র ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রমোশন ক্যাম্পেইন চালালেই যে বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে তা নয়।সবসময় যদি প্রমোশনের মাধ্যমে পন্য বিক্রি করতে হয় তাহলে প্রফিটের টাকা তো মার্কেটিংয়ের জন্য দিয়ে দিতে হবে।আপনি কিভাবে প্রফিট করবেন?শুধু অনলাইন বিজনেস নয় ,যেকোন বিজনেস এর জন্য পরিচিতি বৃদ্ধি করা কোম্পানির প্রথম কাজ।আপনাকে আর আপনার প্রতিষ্ঠানকে যদি কেউ না চিনে, তাহলে কিভাবে ক্রেতা আপনার পন্য ক্রয় করবে।অনলাইনের ক্ষেত্রে বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য আপনার ই- শপের পরিচয় বাড়াতে হবে।
২/ আনইউনিক" মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যাবহার করুন।
ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য অন্যদের থেকে ভিন্নভাবে মার্কেটিং করার চেষ্টা করুন।আপনার প্রতিষ্ঠান বা পণ্যর জন্য আনইউনিক ট্যাগ লাইন বা টাইটেল যুক্ত করুন।
-কেন ক্রেতা আপনার কাছ থেকে পন্য ক্রয় করবে ।
-আপনি কেন অন্যদের থেকে আনইউনিক।
তা বুঝানোর জন্য আপনার মার্কেটিং পদ্ধতি উন্নতি করতে হবে।অন্যদের থেকে আলাদা কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে।এটা আপনাকে ক্রেতাদের উৎসাহিত করবে।আর আপনার সুন্দর বুঝানোর ক্ষমতা ক্রেতাদের আপনার পণ্যের কথা মনে রাখতে সাহায্য করবে।
৩/ একটি ই- কমার্স স্টোর তৈরি করুন।
ই - কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে যেটা মানুষ বেশি ভুল করে থাকে তা হলো অতিরিক্ত কালার ও সেকশন দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা।এটা আপনার বিক্রির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে ।একটা সিম্পল স্মার্ট ডিজাইন করা ও ওয়েবসাইট আপনার বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য অনেক ভূমিকা রাখে।
৪/ একটি সুন্দর স্বাগতম মেসেজ তৈরি করুন।
ক্রেতা যখন আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট ভিজিট করবে ,তখন ক্রেতাকে মেসেজ দিন।
যেমন : সম্মানিত ক্রেতা বন্ধু ।আমাদের শপে আপনাকে স্বাগত জানাই।আরো ইত্যাদি রকমের মেসেজ দেখতে পারেন।এটার মাধ্যমে ক্রেতা পন্য ক্রয় করতে সম্মানের সাথে বাধ্য করা যায়।
৫/ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাড ক্যাম্পেইন চালু করুন।
ব্যাবসা করবে অথচ বিনিয়োগ করবে না। তা কি কখনো হয়।ই- কমার্স ব্যাবসায়ের জন্য অ্যাড কম্পেইন খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয়। প্রতিটি অ্যাড ক্যাম্পেইনের জন্য আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন করে অপটিমাইজেশন করতে হবে।বুঝতে হবে কোন ওয়ার্ডগুলোতে বেশি বিক্রি হচ্ছে।সবসময় একই প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার না করে ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্মে পন্য প্রচার করুন ।
৬/ ক্রেতাকে ফ্রি শিপিং অফার করুন।
পন্য অর্ডার করার জন্য আপনার ক্লায়েন্টদের ফ্রি শিপিং সুবিধা দিতে পারেন ।এজন্য আপনি ফ্রি পন্য ডেলিভারি অফার দিয়ে ক্রেতাদের আরো বেশি পন্য করতে আগ্রহ করতে পারেন।।
ই- কমার্স সাইটে এসইও কিভাবে করতে হয়?
ইকমার্স ব্যাবসা যতটা না সহজ ততটা কঠিন।কেননা এ পিছনে সব কিছুই টেকনিক্যাল।আর এর মধ্য প্রধান অংশ হচ্ছে এসইও।কিভাবে আপনি এসইও করতে পারেন?
১/ কীওয়ার্ড রিসার্চ
এসইও এর মূল হচ্ছে কীওয়ার্ড।তাই শুরুর কাজটা করতে হবে কীওয়ার্ড বাছাই করে,খুব সতর্কতার সাথে।সেই সাথে আছে কীওয়ার্ড ডেভেলপ করার বিষয়গুলো।কীওয়ার্ড খোঁজা বা বাছাই করার জন্য গুগলে অনেক টুলস আছে সেখান থেকে পেয়ে যাবেন।সেগুলো দিয়ে আপনি কীওয়ার্ড বাছাই করতে পারবেন।
২/ সাইটের ধরন
এসইও এর জন্য অপটিমাইজ করতে গেলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং কিভাবে কাজ করে সেটিও জন্য আবশ্যক।ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েও সুন্দর সাইট বানানো যায় ।আর তাই ওয়ার্ডপ্রেসের ডেভেলপ এবং এসইও সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে।
৩/ অন পেজ
এসইও এর অনেকগুলোর ধরনের মধ্য অন পেজটা প্রথমেই আসে।আর তাই এসইওর শুরু করতে আপনার অন পেজ এর দিকে নজর দিতে হবে।সাইটে কি ধরনের কনটেন্ট থাকবে ,কি ধরনের লেখা বা ভিডিও অন পেজের জন্য কতটা সহায়ক সেটি খেয়াল রাখতে হবে।আর সেই সাথে কনটেন্ট এর টাইটেল,মেটা ট্যাগ ইত্যাদি অন পেজ এসইও এর মুখ্য বিষয়।
৪/ টেকনিক্যাল এসইও
অন পেজ এসইও এর পাশাপাশি আপনাকে টেকনিক্যাল এসইওর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।সার্চ ইঞ্জিনের গুলোতে এর ইনডেক্সিং সহ্য অনেক কিছু থাকে টেকনিক্যাল এসইওতে।
৫/ লোকাল এসইও
এসইও শুধু সার্চ ইঞ্জিন অথবা অন পেজ করে রাখলেই চলবে না।আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সের কথাও মাথায় রাখতে হবে।
আপনি ইকমার্স সাইট যেমন - দারাজ, ইভ্যালি,রকমারি,আজকেরডিল এই ধরনের সাইটগুলোতে দেখতে পারেন ,তারা কিভাবে কাজ করে এবং কি ধরনের কনটেন্ট ব্যাবহার করে প্রতিনিয়ত সফল হচ্ছে সে দিকে নজর রাখতে পারেন।এখানে নজর রাখলে আপনি নিত্যনতুন ধারণা পাবেন ।
hi everyone. I'm a Bangladeshi Content Creator. I'm Making Youtube Video About Freelancing Outsourcing and Web Design Development. My youtube Channel Name : Adnan Habib
My Channel Link: https://www.youtube.com/adnanhabib
You must be logged in to post a comment.