আসসালামু আলাইকুম যারা ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে সহজে আয় করতে চান আজকের পোস্টটি তাদের জন্য। চলুন জেনে নেয়া যাক ডাটা এন্ট্রি কি এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ভূমিকা:
একবিংশ শতাব্দিতে এসে বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষের ঘরে বসে সহজে আয় করতে পারছে।ডাটা এন্টি মাধ্যমে ঘরে বসে সহজে অনলাইনে আয় করা যায়।
ডাটা এন্ট্রি কাকে বলে:ডাটা এন্ট্রি মানে একজন টাইপিস্ট এর সাহায্যে টাইপিং এর মাধ্যমে হার্ডকপি থেকে ডাটাগুলোকে সফটকপি তে কনভার্ট করা হয়।মূলত ডাটাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট স্থানের সংরক্ষণ করা হয়। বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ডাটাগুলোকে আপডেট করা হয়।
ডাটা এন্ট্রি থেকে বিভিন্ন ডাটাগুলো একটি ফিজিকাল পেপার ডকুমেন্ট থেকে দেখে কিবোর্ড এর মাধ্যমে কম্পিউটারে টাইপ করে ডিজিটাল ডকুমেন্টে রূপান্তর করা হয়। আপনি যদি চান একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হতে তাহলে খুব সহজেই হতে পারেন।ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হলো যে ডাটাগুলোকে এন্ট্রি করে বেসিক নলেজ থাকতে হবে এবং টাইপিং স্পিড থাকতে হবে। পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই।টাইপিং এর স্পিড এবং কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক নলেজ থাকলেই হবে।ডাটা এন্ট্রি জন্য একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ডাটাগুলোকে টাইপ করা হয়।ms-exal ms-office ইত্যাদি।
কথায় বলতে গেলে বলা যায় যে কম্পিউটারের কিবোর্ড এর সহায়তা টাইপ করে এন্টি করাকে ডাটাএন্ট্রি বলে।
ডাটা এন্ট্রি কি ধরনের কাজ:
বর্তমান সময় ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনেক যুবক-যুবতী স্বাবলম্বী হয়েছে।তারা যেমনি তাদের বেকার সমস্যা দূর করেছে তেমনি সংসারেও বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে মাসের এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় করা যায়।
বেকার যুবক যুবতীর পাশাপাশি বর্তমান সময় কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ডাটা এন্ট্রি জব এর সা কাজ শেখার জন্য তেমন কোনো অভিজ্ঞতা দরকার হয়না প্রয়োজন হয় কম্পিউটার সম্পর্কে জেনারেল নলেজ এবং এর টাইপিং স্পিডথে যুক্ত হচ্ছে।
যারা টিউশনি ছেড়ে ডাটা এন্ট্রি দেননি যুক্ত হচ্ছে। অনেক চাকরিজীবী আছে যারা চাকুরীর পাশাপাশি ডাটা এন্ট্রি তিনি যুক্ত হচ্ছে এবং অনেক লাভবান হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি করার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়না।
জন্য প্রয়োজন হয় যুদ্ধ সম্পর্কে জেনারেল নলেজ এবং টাইপিং স্পীদ যার মাধ্যমে ঘরে বসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ফার্মের কাজ করে খুব সহজে ঘরে বসে ইনকাম করার করা যায়
ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার:
বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে খুব সহজে প্রতিটি ডাটা আলাদা আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয়।কম্পিউটারের ফিজিক্যাল ডকুমেন্টগুলো কে কম্পিউটারের টাইপিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল ডকুমেন্ট পরিণত করা হয়।
হার্ড কপির সংরক্ষিত ডকুমেন্টগুলোকে টাইপিং এর মাধ্যমে সফট কপি তে সংরক্ষণ করা হয়।আলাদা আলাদা কম্পিউটার ডকুমেন্টসমূহকে সংরক্ষণের ফলে আলাদা ভাবে ডাটা এন্ট্রি করতে হয়।যার ফলে ডাটা এন্ট্রি শ্রেণীবিভাগ তৈরি হয়েছে নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
1. ডাটা কনভার্শন।
2. ডাটাবেজ কারেকশন।
3. জব পস্টিং।
4. ট্রানসলেশন।
5. পেপার ডকুমেন্টশন।
6. এমএস এক্সেল ডাটা এন্ট্রিে।
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
1. ডাটা কনভার্শন:
ডাটা ডাটা কনভার্শন মানে যেকোনো একটি ডাটাবেজ এর ফরমেট সম্পূর্ণভাবে চেঞ্জ করা বা বদলে দেয়া। একটি ফাইলকে সম্পর্কে একটি ফাইল ফরম্যাট সম্পূর্ণভাবে বদলে অন্য একটি ফাইল তৈরি করার নাম কনভার্শন। বড় বড় কোম্পানিগুলো থেকে ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ করানোর জন্য একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রয়োজন রয়েছে।
2. ডাটাবেজ কারেকশন:
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন বিষয় ডাটাবেজ তৈরি করে থাকে।এ ধরনের ডেটা বেজ তৈরীর ক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রি করা হয়।এ ধরনের ডাটাবেজ তৈরির ক্ষেত্রে ফিজিকাল ডকুমেন্টস গুলো কে টাইপিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল ডকুমেন্টে রূপান্তর করা হয়।
3. জব পস্টিং:
অনলাইনে এমন অনেক জব পোস্টার রয়েছে যেখানে প্রতিদিন অনেক নতুন নতুন জব পাবলিস্ট হয়।অনলাইনের মাধ্যমে নতুন নতুন জব পাবলিশ করার জন্য আলাদা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এর প্রয়োজন হয়।ডাটা এন্ট্রি অপারেটরা বিভিন্ন স্থান থেকে জবের খবর নিউজ গুলো নিয়ে নতুন করে আর্টিকেল লিখে খবর পাবলিশ করে এক্ষেত্রে তারা টাইপিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল ডকুমেন্টের রূপান্তর করে।
4. ট্রানসলেশন:
এ ধরনের ফাইল তৈরীর ক্ষেত্রে অডিও ভিডিও ডকুমেন্ট ব্যবহার করা হয়।অডিও ও ভিডিও মাধ্যম থেকে ডাটাকে কম্পিউটারের ট্যাক্স হিসেবেটাইপিং করে হয়।একটি সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে অন্য কোন একটা ভাষার বই কে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার জন্য কম্পিউটারে টাইপ করা হয় তাকে ট্রানসলেশন মাধ্যম বলে।
5. পেপার ডকুমেন্ট:
এজন্য ডাটা এন্ট্রি কাজ বক্তব্য শুনে খুবই জনপ্রিয় কারণ এ ধরনের ডাটা এন্ট্রি কাজ খুবই সহজ এবং কোন প্রকার ঝামেলা মুক্ত।পেপার টাইপিং হল কাগজ দেখে কম্পিউটারে টাইপ করা।হার্ডকপি গুলোকে কম্পিউটারে টাইপিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল সফট কপি তে রুপান্তর করতে হবে।এজন্য আপনাকে কম্পিউটারের বিশেষ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে এই কাজটি করতে হবে।এমএস এক্সেল নোটপ্যাড ইত্যাদি এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
6. এমএস এক্সেল:
বিভিন্ন কোম্পানির সেলস পার্সেল সেলস রিভিউ ফিডব্যাক ইত্যাদি এমএস এক্সেল এর মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়।এমএস এক্সেল সফটওয়্যার এর মাধ্যমে খুব সহজে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়।এর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি করা যায় এবং ডাটা রেকর্ড করে রাখা যায় এডিট করা যায়।
ডাটা এন্ট্রি করে মাসে কত আয় করা যায়:
দিন দিন ডাটা এন্ট্রি কাজ অনেক বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।সকলেই চায় সহজে বাড়তি উপার্জন করতেন। বর্তমান সময়ের যুবক-যুবতীরা এ কাজে বেশি নিয়োজিত হচ্ছেন।তাছাড়া বেকার যুবক-যুবতী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৃহিণী পার্ট টাইম জব করতে আগ্রহী এমন অনেক মানুষ তাদের বাড়তি ইনকাম এর জন্য ডাটা এন্ট্রির কাজ করছেন।
ক্যাপচা এন্ট্রি করে প্রতি মাসে 15 থেকে 20 হাজার টাকা আয় করা যায়।এর জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার সম্পর্কে জেনারেল নলেজ এবং টাইপিং স্পিড টাইপিং স্পিড এর উপরে মাসিক আয় ওঠানামা করে।
ডাটা এন্ট্রি কোর্স:
ডাটা এন্ট্রি শেখার জন্য কোন কোর্স করার প্রয়োজন হয় না।একথা শুনে মনে একটাই প্রশ্ন জাগবে তাহলে শিখব কিভাবে ডাটা এন্ট্রি। আমার কাছে মনে হয় নিজে নিজে শেখা টাই বেটার।
কারণ আপনি যদি কোর্স করে সবটা শিখতে চান তাহলে শিখতে পারবেন না। কোর্সের মাধ্যমে আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন এবং রুলস ধরিয়ে দেয়া হবে। বিনিময় আপনার নষ্ট হবে গাদা গাদা টাকা।কোর্স পোস্ট করার পরে কেউ যদি প্র্যাকটিক্যালি কাজ করতে চায় তাহলে দেখবে সে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এ সমস্যাগুলো তা নিজে নিজে সমাধান করতে হবে।তাই আমি মনে করি কোর্স না করে নিজে নিজে শেখা টাই বেটার অযথা 5 থেকে 10 হাজার টাকা খরচ হবে না। আপনি নিজের প্রচেষ্টায় শিখতে চাইলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যা কোর্সের মাধ্যমে সম্ভব না।
ডাটা এন্ট্রি টিউটোরিয়াল:
ইউটিউবে সার্চ করলে আপনি এমন অনেক চ্যানেল পাবেন যেখানে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং যার সাহায্যে আপনি অনেক ভালোভাবে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে শিখতে পারবেন।
যা আপনাকে গাদাগাদা টাকার বিনিময় কোর্সের থেকে ভালো শিক্ষা দেবে। এটা আপনাকে প্যাকটিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
ডাটা এন্ট্রি ফ্রিল্যান্সিং:
ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হল বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্টএকটি ফাইল এমএস এক্সেলে সংরক্ষণ করে রাখা। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফাইল ছবি আপলোড করা। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল লেখা ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়:
ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে খুব সহজে আয় করতে পারেো। যা ধীরে ধীরে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে মার্কেটিং ফিনান্সিং ক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে মনুষ স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ডাটা এন্ট্রি করে প্রতি মাসে 15 থেকে 20 হাজার টাকা খুব সহজেই করা যাচ্ছে। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো ডাটা এন্ট্রির জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করছে।
You must be logged in to post a comment.