দৈনন্দিন জীবনে শশার উপকারিতা

১. শশার উপকারীতাঃ- শশা প্রায় বারো মাসেই পাওয়া যায় শশার গুন রয়েছে বহু,এটি এমন একটি সবজি যার গুনাবলি বলে শেষ করা যাবেনা। আমাদের হাঁজারো সমস্যার সমাধান করে শশা,শশা আমাদের শরীর স্বাস্হের অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। 

২. শশার ব্যবহারঃ- শশা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি বিভিন্ন ভাবে শশা আমাদের খাবার তালিকা পূরন করে যেমন সালাদ,রান্না-বান্না ও খাওয়া-দাওয়ায় ব্যবহৃত হয় তেমনি ব্যবহৃত হয় রূপচর্চায়ও এছাড়াও সুস্থ সুন্দর ত্বকের জন্য শশার বিকল্প নেই।চলুন শশার ব্যবহার গুলো একটু জেনে নেয়। 

৩. রুপচর্চায় শশার উপকারীতাঃ- যেকোনো সময় আমরা আমাদের ত্বকের যত্ন নিয়ে  থাকি আর আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তাই আমরা বাজার থেকে ময়েশ্চারাইজার নিয়ে এসে ব্যবহার করি কিন্তু বাজারের ময়েশ্চারাইজার কোন কাজে আসেনা এই গুলো আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।তাই এইসব ত্বকের যত্নের জন্য আমরা শশা দিয়ে হাতে বানানো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারি। 

৪. মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শশার উপকারীতাঃ- প্রায় আমাদের সবার মুখে কালো দাগ রয়েছে সেটা দূর করতে কচি শশার রস লাগিয়ে ২০ মিনিট  রেখে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে পেলুন এভাবে সপ্তাহ খানেক নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগালে দাগ উঠে যাবে।

শশার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মেখে  শুকিয়ে  গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবার দেখুন মুখের রং কতোটা উজ্জ্বল ও কতোটা কোমল হয়।

৫. চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে শশার উপকারীতাঃ- আমাদের অনেকের চোখের নিচে কালো দাগ পরে শশার রস লাগালে কালো দাগ দূর হয়।

৬. ফর্সা গায়ের রং বাড়াতে শশার উপকারীতাঃ- কেউ যদি ফর্সা হতে চান তাহলে শশার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত  মুখে, হাতে ও গায়ে লাগালে গায়ের রং ফর্সা হয় 

এছাড়াও শশা গোল গোল পাতলা পাতলা করে কেটে মুখে ঘস্তে পারেন। যাদের তৈলাক্ত মুখ তাদের জন্য শশার রস  অত্যান্ত উপকরী

৭. শশার ফেসপ্যাকঃ- মুখকে রোদ থেকে বাঁচাতে,মুখের দাগ দূর করতে ও ময়লা থেকে যদি রেহাই পেতে চান তাহলে আর দেরি না করে এক্ষুনি বানিয়ে ফেলুন শশা দিয়ে ফেসপ্যাক। আধঘন্টা রেখে প্রথমে গরম পানি তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এর পর মনের আনন্দে যেখানে ইচ্ছে সেখানে যেতে পারেন এতে আপনার ত্বক সারাদিন চকচকে,মসৃণ ও কোমল থাকবে ময়লা থেকে রক্ষা পাবে আপনার ত্বক।

৮. পানির ঘাটতি পূরণে শশার উপকারীতাঃ- শশাতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যার কারণে  এটি শরীরের আদ্রতা ধরে রাখতে পারে। শশা দেহের ভিতরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে দেহকে শীতল রাখতে সহায়তা করে এতে ক্যালরির পরিমান কম,শশা আমাদের পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। যদি কোন কারণে পানি কম পাণ করে থাকেন তাহলে শশা খান কারন শশাতে রয়েছে ৯৫ শতাংশই পানি।তাই সহজেই পানির ঘাটতি পূরন হয়ে যায় আর পেট ঠান্ডা থাকে। 

৯. খাবার হজমে শশার উপকারীতাঃ- শশা আমাদের খাবার হজম করতে সহায়তা করে প্রতিদিন নিয়মিত শশা খেলে দীর্ঘমেয়াদি রোগ কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়।শশার ভেতর যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। এছাড়াও শশার রস অনেক উপকারী শশা আমাদের ডায়াবেটিস  থেকে মুক্তি দেয়।

এই সব উপকারীতা দেখে বোঝা যায় শশা আমাদের অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Proma - May 30, 2021, 5:21 PM - Add Reply

Thanks

You must be logged in to post a comment.
Proma - May 30, 2021, 5:30 PM - Add Reply

Good

You must be logged in to post a comment.
Tanjin - May 31, 2021, 4:34 PM - Add Reply

👍

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.