অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়? (বিস্তারিত গাইড লাইন)

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। সম্মানিত পাঠক গনেরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন! আজকেরে আর্টিকেল থেকে আমরা অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়? এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব আশা করি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম।আপনারা চাইলে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে আয়ের অন্যতম একটি সহজ মাধ্যম। অনলাইনে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে তার ভিতরে আফিলিয়েট অন্যতম একটি সহজ মাধ্যম।

আর্টিকেল এর সূচনাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন জগতে অন্যতম একটি প্লাটফর্ম অনলাইনে আয় করার জন্য।যে কেউ চাইলেই অনলাইন অ্যাপলেট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারে।এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য তেমন কিছু দরকার হয়না সম্পূর্ণ ফ্রিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।

অনলাইনে আয় করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে বর্তমান সময়ে। তবে তার ভিতরে সবচেয়ে সহজ মাধ্যমের একটি মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে লক্ষাধিক টাকা আয় করা যায়।

বর্তমান ডিজিটাল অনলাইন যুগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে হাজার হাজার লোক আয় করে। এমনকি আপনিও চাইলে বাংলাদেশ অথবা যেকোন দেশে বসেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তার জন্য আপনার কোন বয়স অথবা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে না। বিনা অভিজ্ঞতা থেকেই আপনি ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়? এই বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আর্টিকেলটি করার ইচ্ছুক থাকেন তাহলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশাকরি আফিলিয়েট মারকেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত না হলে আসবে আর্টিকেল থেকেই।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনার অথবা অন্য কারোর সার্ভিস বা পণ্য প্রচার করা। আপনার কোন সার্ভিস অর্থ ভোগ পণ্য প্রচার করার নামই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে?

  • আপনি যদি ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান?তাহলে অবশ্যই বেশ কিছু জিনিস আপনার দরকার বা প্রয়োজন হবে। এই জিনিসগুলো ব্যতীত সত্যিকার অর্থে অ্যাফিলিয়েট করা অসম্ভব।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন থাকতে হবে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার ইন্টারনেট কানেকশন কিংবা ওয়াইফাই থাকতে হবে।
  • সর্বোপরি, নিজের সততা, পরিশ্রম, ধৈর্য, ইচ্ছাশক্তি ও সৎ ইত্যাদি থাকতে l

উপরের এই ছোট্ট জিনিসগুলো প্রয়োজন হবে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। এই ছোটখাটো জিনিসগুলো আপনার মধ্যে থাকলে অবশ্যই আপনি অনলাইনে আফিলিয়েট মারকেটিং করতে পারেন।

অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়: আপনি যদি অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে অবশ্যই পারবেন। তবে তার জন্য এক প্লেট সম্পর্কে আপনার প্রপার নলেজ থাকতে হবে।তাহলে যে কেউ চাইলে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারে।

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে, সর্বপ্রথম আপনাকে বড় একটি প্ল্যাটফর্মের যুক্ত হতে হবে যারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু রেখেছে। আপনি চাইলে বর্তমান সময়ে ফ্রিতে এই যে কোন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম যুক্ত হতে পারেন।বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হল অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম।

আপনারা চাইলে এখানে যুক্ত হয়ে ফ্রীতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এখানে আয় করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার অনেক বিষয়ের তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে। যেমন আপনার এনআইডি কার্ড এর যাবতীয় সকল তথ্য। এবং আপনার কার্যক্রমের তথ্যগুলো।

এই তথ্যগুলো দিয়ে খুব সহজে ফ্রিতে এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। তবে আপনাকে সঠিকভাবে এখানে সকল তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনি এখানে অ্যাপলেট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করে টাকা আয় করতে হয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় যেভাবে: ধরুন আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এই কোম্পানিতে যুক্ত হয়েছেন। এখন এই কোম্পানি আপনাকে একটি লিংক দিবে। এখন আপনি কি এখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে, আপনার দেওয়া লিঙ্কটি মানুষের কাছে প্রচার করতে হবে।

ধরুন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে লিংকটি প্রচার করলেন। এখন আপনার প্রচারকৃত লিংকটি ক্লিক করে এই কোম্পানি থেকে যারা প্রডাক্ট ক্রয় করবে।এবং অন্যদিকে আপনার এই কোম্পানির একাউন্টে কমিশন আসতে থাকবে।

ঠিক একই ভাবে আপনি এভাবেই আরো বিভিন্ন মাধ্যম কাজে লাগিয়ে আপনার লিঙ্কটি শেয়ার করতে পারেন।এখন আপনার লিংকে ক্লিক করে যত লোক তাদের কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট গুলো কিন্তু ততো আপনার কমিশন যোগ হতেই থাকবে। ঠিক এভাবেই আপনাকে অনলাইন অ্যাপলেট মার্কেটিং করতে হয়।আর আপনারা চাইলে এভাবে অনলাইনে অ্যাপলেট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর উদ্দেশ্যে লিংক শেয়ার করে আয়?

আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য কোন কোম্পানিতে যুক্ত হলে। ওই কোম্পানি আপনাকে একটি লিংক দিবে। এখন আপনার কাজ হবে লিংকটি মানুষের কাছে প্রচার করা। যত আপনি প্রচার করতে পারবেন তত আপনার ইনকাম আসার সম্ভাবনা থাকবে।

ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার: আপনি চাইলে আপনার এফিলিয়েট লিংক টি ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন। আপনি একটি আকৃষ্ট করার পোস্ট অথবা ফটো বানিয়ে ফেসবুকে প্রচার করতে পারেন।

অবশ্যই তার জন্য মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট গুলো ও দরকারি জিনিস গুলো নিয়ে আপনাকে আলোচনা করতে হবে। যাদের প্রয়োজন তারা আপনার লিংকে ক্লিক করে অবশ্যই কোম্পানি থেকে কিছু অর্ডার করবে।এই কথা মাথায় রেখে আপনাকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।যত লোক আপনার লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট কিনবে তত আপনার কমিশন আসবে তত আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রচারঃ বর্তমান সময়ে মানুষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করতে পারে। আপনি হয়তো কোন ভিডিও অথবা ভিডিও ডেসক্রিপশনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিবেন।

মানুষের কাছে বিস্তারিত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন যেন মানুষ প্রয়োজন হলে আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে। এবং সে কোম্পানি থেকেই আপনার পণ্য অথবা প্রডাক্ট ক্রয় করে। এভাবে করে আপনারা ইউটিউব এর মাধ্যমেও প্রচার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

টুইটারের মাধ্যমে প্রচারঃ আপনারা চাইলে টুইটারের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রচার করতে পারেন এবং আয় করতে পারেন।ঠিক একই নিয়মে ইউটিউব এবং ফেসবুকে যেভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে বলছিলাম।

ঠিক একই নিয়মে ও আপনারা চাইলে টুইটারে আপনার প্রডাক অথবা পণ্যের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন। যেন মানুষ আপনার বর্ণনা খুব সহজে পড়ে দরকারি জিনিস গুলো লিংকে ক্লিক করে ওই কোম্পানি থেকে কিনতে চাই। যদিও তার জন্য আপনাকে টেকনিক খাটিয়ে কাজ করতে হবে।এভাবে করে আপনারা খুব সহজেই টুইটারের মাধ্যমে ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ

  • আপনারা যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের কোম্পানির নিয়ম-নীতিগুলো মেনে কাজ করবেন।
  • যদিও শুরুতে আপনার ইনকাম নাও আসতে পারে তাই ভেঙে না পড়ে কাজে মন দিয়ে এগিয়ে যান কাজ করতে থাকুন।
  • মানুষের কাছে প্রচার করুন সম্পূর্ণ বিবরণ ও বিস্তারিত লিখে যেন মানুষ খুব সহজেই বুঝতে পারে এবং ক্রয় করতে চাই।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কখনোই মানুষের ক্ষতি হবে সমাজে আঘাত আনবে কিংবা মানুষের খারাপ উদ্দেশ্য প্রচার করবেন না।
  • পরিশেষে নিজের দক্ষ, সততা, পরিশ্রম, ডেডিকেশন ও নতুনত্ব নিয়ে কোম্পানির নিয়ম নীতি গুলো মেনে কাজ করতে হবে।

আর্টিকেল এর শেষ কথা

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়? এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়েছেন অবশ্যই তাদের ভালো নলেজ এসে গিয়েছে এই সম্পর্কে আশা করি।

আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো মতামত অথবা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। আর যদি এই ছোট্ট আর্টিকেলটি ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।বরাবরের মতো আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

অনলাইনে লেখালেখি করতে ভালোবাসি। অনলাইনে কিছু শিখতে ও জানতে ও জানাতে আরো বেশি ভালোবাসি।