বর্তমান সময়ে অনলাইনের অন ডিমান্ডিং এবং চ্যালেঞ্জিং আয়ের সেক্টর হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনন্য একটি শাখা।
অনলাইনে কোন পণ্যের প্রচারণা চালিয়ে তা বিক্রয়োত্তর কমিশন লাভের যে প্রক্রিয়া মূলত তাকেই আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে থাকি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। আপনিও কি চাচ্ছেন এর মাধ্যমে স্মার্ট এমাউন্ট আয় করতে?
তাহলে চলুন কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড আয় করা যায় জানার চেষ্টা করি। শুরুতে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কত প্রকার জেনে নেই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ( What is called affiliate marketing? )
কোন কোম্পানির পণ্য প্রচারণার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্রেতার নিকট পৌঁছে দেওয়া এবং বিক্রয়োত্তর কমিশন লাভের যে প্রক্রিয়া আমরা মূলত তাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে থাকি। এটি অনলাইন থেকে অর্থ আয়ের অন্যতম একটি উপায়।
ধরুন আপনি কোন একটি মোবাইল কোম্পানির একটি মডেল নিয়ে রিভিউ লিখে কোন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন facebook অথবা আপনার নিজস্ব কোন ওয়েবসাইটে যোগ করে দিলেন অতঃপর সেই পণ্যটি কেউ আপনার লিংক ধরে ক্রয় করলো।
তাহলে আপনি সেখান থেকে নূন্যতম একটি কমিশন লাভ করবেন। এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আশা করছি আপনাদের মার্কেটিং কি আপনি বুঝতে পারছেন।
অর্থাৎ খুব সহজে বলতে অন্যের প্রোডাক্ট ডিজিটাল উপায়ে বিক্রয় করে কমিশন লাভের প্রচেষ্টায় মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং। এবার চলুন আমরা জেনে নেয়ার চেষ্টা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কত প্রকার?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার
অফলাইন এফিলিয়েট মার্কেটিং, টেলিভিশন অ্যাডভার্টাইজিং, মোবাইল এডভারটাইজিং এবং রেডিও মার্কেটিং মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু শাখা।
কেন আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখব?
আপনি যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো একটু ঘেটে দেখেন তাহলে দেখবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনন্যা শাখা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকেই হাজার হাজার ডলার আয় করছেন। চলুন এক পলকে দেখে নেওয়া যাক আসলে কেন আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করব
- বর্তমান সময়ের অন ডিমান্ডিং আয়ের সেক্টর
- অনেক সহজ একটি প্রক্রিয়া
- নিজস্ব কোন পণ্য থাকার প্রয়োজন হয় না
- সম্পূর্ণ সহজ উপায়ে ঘরে বসে করা যায়
- কোন অর্থ ব্যয় করতে হয় না
তাহলে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে এতসব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও কেন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন না?
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি দুইভাবে আয় করতে পারেন। যদিও অনেকেই অনেক ভাবে এখান থেকে আয় করে থাকেন আমরা এখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করব। অর্থাৎ যে দুই উপায়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি সর্বোচ্চ আয় করতে পারেন-
- সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে
- আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে
এখানে প্রথম যে উপায়টি রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি করতে পারেন। প্রথমত একটি শক্তিশালী সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। আপনার গ্রুপ কিংবা পেজে অধিক সংখ্য সদস্য হলে তাদের মাঝে এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করুন। আর তাদেরকে ক্রেতা হিসেবে পরিণত করুন।
অপরদিকে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করার অন্য যে উপায়টি এখানে বর্ণনা করা হচ্ছে সেটি মূলত একটি ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে। নতুন হিসেবে এটি আপনার জন্য হয়তো কষ্টসাধ্য হতে পার। কেননা এখানে অর্থ ব্যয় করতে হবে। এর জন্য আপনাকে কোন ওয়েবসাইট বিল্ড করতে হবে যাতে আপনার কিছু অর্থ ব্যয় হবে।
যখন আপনার ওয়েবসাইটটি অধিক সংখ্যক কাস্টমার জেনারেট করতে পারবে তখন আপনি সেখানে অ্যাফিলিয়েট লিংক জেনারেট করে অর্থ আয় করতে পারেন।
কিছু লাভজনক এবং বিখ্যাত এফিলিয়েট প্রোগ্রামের নাম
এবার চলুন আমরা কিছু লাভজনক আর বিখ্যাত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের নাম জেনে নেই। সত্যিকার অর্থে এ নেটওয়ার্কগুলি ব্যবহার করে অনেকে হাজার হাজার ডলার অনলাইন থেকে আয় করছেন।
- অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
- ফ্লিপকার্ট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
- ebay অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম
- Godady অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম
- Hostgator অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম
যেহেতু প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন পণ্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত। সুতরাং বলায় যেতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। অদূর ভবিষ্যতে এর চাহিদা কোনক্রমেই কমবে না বরং বাড়বে।
সুতরাং সুতরাং পেশা হিসেবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কে বেছে নিতে পারেন।
প্রিয় বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে আগামীতে প্রযুক্তির নতুন কোন বিষয় নিয়ে জে-আইটিতে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
You must be logged in to post a comment.