আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে জানেন না এমন লোক প্রায় দেখাই কঠিন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের টিউটোরিয়ালে। আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে জানতে চাইলে মনোযোগ দিয়ে নিজের আর্টিকেলটি পড়ুন।
১. আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন ব্যক্তি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে দেয় এবং তার বিনিময়ে সেই ব্যক্তি সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ নিয়ে থাকে।
২. আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রয়োজন?
ধরুন আপনার একটি কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু আপনি কোনভাবেই আপনার সেই কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো আপনার কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে পারছেন না।
কারণ আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে আপনি সঠিকভাবে প্রোডাক্টটি পৌঁছে দিতে পারছেন না সেই প্রোডাক সম্বন্ধে তাদেরকে ধারণা দিতে সক্ষম হচ্ছেন না।
এখন আপনি নিশ্চয়ই এমন কাউকে খুঁজবেন যে আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো তার সঠিক কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম।
আর এই প্রক্রিয়াকেই মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা যায়। কোম্পানির মালিক আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাহায্যে সহজেই তার কাস্টমারের কাছে তার প্রোডাক্টগুলো পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রয়োজন।
৩. যেভাবে আপনিও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন
- প্রথমত আপনি যেই প্রোডাক্টগুলো ভালো সেল করতে পারবেন বলে মনে করেন সেই প্রোডাক্টগুলোর যেই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় সেই ওয়েবসাইটে ঘাটাঘাটি করুন।
- আপনার পছন্দের ওয়েবসাইটটি খুঁজে পেলে সেখানে অ্যাফিলিয়েট সাইন আপ করার অপশন অবশ্যই পাবেন (যদি সেই ওয়েবসাইটে এফিলেন্ট মার্কেটিং সাপোর্ট করে তাহলে) সবার আগে সেখানে একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে সাইন আপ করে নিন। সাইন আপ করতে সমস্যা হলে সেই ওয়েবসাইট থেকে তাদের যোগাযোগের জন্য কোন ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থাকলে সেখানে জয়েন করবেন এবং সেখানে আপনার উক্ত সমস্যাটি নিয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করবেন।
- তারপর সেখানে একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে অ্যাকাউন্ট করার পর আপনাকে একটি শেয়ার লিংক তৈরি করতে হবে।
- get link নামক যেই অপশনগুলো থাকবে সেখানে ক্লিক করবেন।
- তারপর যেখানে ট্রাফিক লিংক চাইবে সেখানে ট্রাফিক লিংক দিবেন এবং যেখানে প্রোডাক্ট চাইলে সেখানে প্রোডাক্ট দিবেন।
- তারপর জেনারেট লিংকে ক্লিক করার পর আপনি যেই লিংকটি পাবেন মূলত সেটি আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক। এই লিংকটিই আপনার সবার কাছে শেয়ার করতে হবে।
- এবং আপনার লিংকে প্রবেশ করে যদি কেউ কোন প্রোডাক্ট কিনে তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট থেকে কমিশন পাবেন।(মূলত প্রতিটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট একইভাবে কাজ করে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে)
৪.যে পরিমাণ কমিশন পেতে পারেন।
কমিশন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং প্রোডাক্টে বিভিন্ন রকম সিস্টেম দেখা যায়। এক এক ওয়েবসাইটে এক এক নামে ইউজারদের পরিচিতি দেওয়া হয় যেমন: (স্টার্ট্যাড মেম্বার সিলভার মেম্বার গোল্ড মেম্বার) ইত্যাদি।
আপনার পরিচিতি এর উপর নির্ভর করে আপনাকে কমিশন দেওয়া হয়। মনে করেন আপনি কেবল একাউন্ট তৈরি করেছেন তাহলে আপনি বর্তমানে স্টার্টার মেম্বার হিসেবে পরিচিত পাবেন।
এবং এই পর্যায়ে দুই থেকে চার পার্সেন্ট কমিশন পাবেন। তারপর স্টার্টার মেম্বার থেকে যখন সিলভার মেম্বার হবে তখন আপনার কমিশনের পার্সেন্টেজ ও বেড়ে যাবে।
৫. কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস।
থিমফরেস্ট,এমাজন, আলী এক্সপ্রেস, এগুলো হচ্ছে পুরো বিশ্বের মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট।
এছাড়াও আরো হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার সহজ পদ্ধতি
আপনি যদি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার কাছে অনেক সহজ ব্যাপার।
কারণ অ্যাফিনেট মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি বড়সড়ো অডিয়েন্স গ্রুপ থাকতে হয়। যারা আপনার প্রোডাক্টের লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্টটি ক্রয় করবেন।
এছাড়াও বিভিন্নভাবে অনেক অডিয়েন্স তৈরি করা যায় যেমন: (ইউটিউব চ্যানেল খুলে, ওয়েবসাইট বানিয়ে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
তবে সবচেয়ে সহজ সমাধান হচ্ছে নিজের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলা। তবে ওয়েবসাইটটা জনপ্রিয় হতে অনেক সময় লাগবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে নিচে আপনার প্রোডাক্ট এর এডভার্টাইজ করতে পারেন।
বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে আর্টিকেল লিখে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক দিয়ে প্রোডাক্টটি ক্রয় করতে বলতে পারেন।
তাহলে আর দেরি কেন আজ আজ থেকেই শুরু করে দিন এফিলিয়েট মার্কেটিং।
You must be logged in to post a comment.