ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ৭টি উপায়।

আমরা বর্তমান যে যুগে এসে পৌঁছেছি সেটিকে অনলাইন যুগ বলা হয়। প্রযুক্তির এক বিশেষ প্রসারতায় অনলাইনের হয়ে গিয়েছে এক বিশেষ পরিবর্তন। আর এই সময় অনলাইন ব্যবহার এক বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আরে অনলাইন কে ব্যবহার করে মানুষ নানান কাজ হাসিল করে থাকে। আর তাই অনলাইন কে ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীরাও ভালোমতন ইনকাম করতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ইনকাম করার সেরা ৭টি উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

এই অনলাইনের যুগে আমরা অধিকাংশ মানুষের অনলাইন ব্যবহার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অনলাইন কে ব্যবহার করে যেসব কাজ করা হয়ে থাকে সেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। এই অনলাইন ব্যবহার শুধু আমাদের দেশেই নয় বরং সারা বিশ্বে এক অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যে সমস্ত দেশ অনলাইন ব্যবহারে এখনো পিছিয়ে আছে, সে সমস্ত দেশ উন্নতির শিখর থেকেও পিছিয়ে আছে। কোন দেশকে উন্নতি সাধন করতে গেলে বর্তমান সময়ে যেটি বড় মাধ্যম সেটি হচ্ছে অনলাইনের প্রভাব বিস্তার করা। আর তাই বর্তমান সময়ে ছোটখাটো অনেক দেশ অনলাইনে প্রভাব বিস্তার করে তারা তাদের উন্নতি সাধন করে যাচ্ছে।

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ অনলাইনের এক বিশেষ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের দেশের আমরা অধিকাংশ মানুষ যেখানে সেখানে অনলাইন কে যথাযথভাবে ব্যবহার করে থাকি। সাধারণত এখন অনলাইন কে ব্যবহার করে ইনকাম করার জনপ্রিয়তা অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে।

আর অনলাইনে সাধারণত নানা কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারা যায়। ৪০% বেশি মানুষ এখন অনলাইনে মাধ্যমে ইনকাম করে যাচ্ছে। আর এই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাসায় বসে অনলাইনে ইনকাম করার এক বিশেষ সুবিধা রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন কে ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়।

অনলাইনে কাজ করে আয় করা কে সাধারণত আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়ে থাকে। এই সময় ছাত্র দের জন্য আউটসোর্সিং করা এক বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হয়তো আমরা সবাই জানি ছাত্র-ছাত্রীদের মূল কাজ হলো লেখাপড়া করা। লেখাপড়ার পাশাপাশি যদি তারা অনলাইন থেকে কাজ করে আয় করতে পারে তাহলে তারা ছাত্রজীবন থেকে নিজের পরিশ্রম করে টাকা আয় করার ব্যাপারটি পুরোপুরিভাবে শিখে যাবে।

আর এই কাজটি করা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মঙ্গল জন্য হয়ে যাবে। আর তাই পড়াশোনার পাশাপাশি যেকোনো অবসর সময়ে ছাত্ররা বিভিন্ন কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারে। এখানে কাজ করতে নির্ধারিত কোন সময়ে নেই।

তারা যখনই পড়াশোনা শেষ করার ফাঁকে অবসর সময় পাবে তারা তখনই এই কাজটি করতে পারে। এটি তাদের ইচ্ছার মতন করা যাবে।

ছাত্র-ছাত্রীরা যেসব বিভিন্ন কাজ করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারে তারমধ্যে সেরা ৭টি উপায় সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব। সাধারণত যেসব কাজের মাধ্যমে তারা অনলাইন থেকে আয় করতে পারে সেসব কাজগুলো অনেক সহজ ও অল্প সময়ের মধ্যেই তা করা সম্ভব।

এই কাজগুলো করতে অবশ্যই মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের ধারণা রাখতে হবে এবং তাদের ব্যবহৃত কম্পিউটার ও মোবাইল অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। এসবের মাধ্যমে তারা অনলাইন থেকে খুব সহজেই আয় করতে পারে।

তো ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে ছোট থেকেই ‍যদি ধারণা থাকে তাহলে তারা ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে পারবে, এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য তা এক বিশেষ অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়াবে। পরবর্তীতে তাদের জীবনের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

আর তাই এর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা রাখা দরকার। সাধারণত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অনলাইনে আয় করা যায় তার মধ্য থেকে অনলাইনে আয়ের জন্য সেরা ৭টি উপায় আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। তাই চলুন আর দেরি না করে সে সে উপায় গুলো কি কি আমরা জেনে নেই। সেসব নিচে আলোচনা করা হলো:

১. ডাটা এন্ট্রি করে ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে আয় করতে পারে:

ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইনে আয় করার মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হল ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আয় করা। এটি ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের পক্ষে কার্তিক করা সম্ভব। এটি করে তারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবে। কাজটি করে তাদের ভালোমতন ধারণা হয়ে যাবে।

বর্তমান সময় ডাটা এন্ট্রির কাজ কি যদিও অনেক জনপ্রিয় কাজ এখানে সারা বিশ্বের অনেক উচ্চশিক্ষিত ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে। তাই তাদের সাথে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে গেলে একটু চেষ্টার মাধ্যমে তা করা সম্ভব।

তাছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীরা অল্প সময়ে কাজ করার মাধ্যমে আয় করে যেতে পারে। এখানে আয় করার কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই, আপনি ক্লায়েন্টকে ভালোভাবে কাজ টি করে দিতে পারলে আপনি অবশ্যই ইনকাম করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি অনেক ভালো একটি কাজ হয়ে থাকে। এই কাজটি করতে গেলে অবশ্যই আপনার একটি মোবাইল ও কম্পিউটার থাকা গুরুত্বপূর্ণ এবং তার সাথে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো হলো:

  • বিভিন্ন ধরনের কমপানির সিস্টেম এর ডাটা ইনপুট করা।
  • ডাটা ভেরিফাই করা। ডাটা এডিট করে থাকা। কোন প্রকার লিখিত ছবিকে টাইপিং করার মাধ্যমে লেখায় রূপান্তর করা। কপি পেস্ট করা।
  • পিডিএফ ফাইল থেকে ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করা। সহ আরো অনেক কিছু ডাটা এন্ট্রির কাজ হয়ে থাকে।

ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে গেলে অবশ্যই টাইপিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। এই ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে  পারেন আমাদের প্রকাশিত নিচের আর্টিকেলটি পড়লে। 

২. কনটেন্ট রাইটিং ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইনে আয়:

সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে একটি সেরা উপায় হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে আয়। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিভিন্ন অবসর সময়ে কনটেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে তারা অনলাইন থেকে আর্নিং করতে পারে।

কনটেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা খুব ভালো অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করে থাকবে। কনটেন্ট রাইটিং হলো যেকোনো বিষয়কে একটু রিচার্জ করে নিয়ে আপনি সেই বিষয়টি ব্যাপারে আপনার নিজের ধারণা কে প্রকাশিত করা।

এখানে ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীল বিকাশে সাহায্য করবে। এই কাজটিতে একটু রিসার্জের দরকার হতে পারে, এ জন্য এখানে একটু সময় বেশি লাগতে পারে। কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজের জন্য আপনার যেসব বিষয় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে সেগুলো হলো:

  • আপনার টাইপিং স্পিড ভালো থাকতে হবে।
  • ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে।
  • ভাষা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
  • রিসার্চ করতে আপনাকে ভালো মতন জানতে হবে।

এই কাজটি করার জন্য আপনার আলাদা কোন ট্রেনিং এর প্রয়োজন নেই। যে কোন ওয়েব সাইটে একটু ঘাটাঘাটি করে আপনি পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটিং করে মাসে সহজেই দশ বিশ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আর তাই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইনে আয় সেরা উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি হয়ে থাকে।

৩. রিসেলিং করে ছাত্র-ছাত্রীরা আয় করতে পারে:

বর্তমান সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ইনকাম করার জন্য রিসেলিং করে আয় করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের প্রায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীরাই এই কাজটি করে থাকে। বিদেশের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বেশকিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।

দেশে সাধারণত যে বেশকিছু ওয়েবসাইট রয়েছে তার মধ্যে অনেক জনপ্রিয় হলো সব শপ আপ রিসেলার। সাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করার পর ছাত্র-ছাত্রীরা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবে। এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি যে পন্যটি বিক্রি করবেন সেই পণ্যের দাম এবং ছবিটি অবশ্যই আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে।

তারপর আপনার কাজ হলো উক্ত পণ্যটি মূল্য বৃদ্ধি করে আপনি মার্কেটিং করতে পারেন। ধরুন ওয়েবসাইটে প্রতিযোগী ১৫০ টাকা হয় আর আপনি ২০০ টাকা মূল্য দিয়ে বিক্রি করেন তাহলে আপনার লাভ থাকছে ৫০ টাকা ঠিক এরকম।

এখানে সাধারণত পণ্য ইউসিং কিংবা ডেলিভারি দুটাই শপ আপ করবে। এখানে কাজ করার ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ হবে মানুষের কাছ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করা।

এই কাজটি করার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রচুর দক্ষতা অর্জন করা ছাড়াও যথেষ্ট ইনকাম করতে পারবে। এখানে কাজ করতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোন প্রকার ঝামেলায় পড়তে হবে না। খুব ভালভাবে এই কাজটি তারা পরিচালনা করতে পারবে।

৪. ফটোগ্রাফি করে ছাত্র-ছাত্রীরা আয় করতে পারে:

অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদের এর ক্ষেত্রে অনেক ভালো একটি উপায় হচ্ছে ফটোগ্রাফি করে আয় করা।বর্তমান সময়ে অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদের আয় করতে গেলে একটি স্মার্টফোনের বিশেষ দরকার হয়ে থাকে।

আর একটি ভাল মানের স্মার্টফোনের সাহায্যে তারা ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে যথেষ্ট পরিমানে আয় করতে পারে। আত্ম ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের ফটোগ্রাফি করতে ভাল লেগে থাকে। দারুন সব ছবি তুলতে এবং সেইসব তোলা ছবি অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারে।

অনলাইনে এমন অনেক স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেইসব ওয়েব সাইটগুলোতে ছাত্র ছাত্রীরা নিশ্চিন্তে তাদের তোলা ছবিগুলো বিক্রি করে আয় করতে পারে।

এক্ষেত্রে এই ফটোগ্রাফির কাজ করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এই বিষয়ে কিছুটা স্কিল ও দক্ষতার তো অবশ্যই প্রয়োজন হবে। যদি ছাত্রছাত্রীরা চায় তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে তারা অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে তাদের ইচ্ছামত সময় অনুযায়ী একটি কোর্স করে নিতে পারে। তাহলে তারা এ বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করে যেতে পারে।

৫. ইউটিউব এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা আয় করতে পারে:

ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে আয় করার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ইউটিউবিং করে আয় করা। একটি ইউটিউব চ্যানেল ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে আয় করার একটি উপায়। ছাত্রছাত্রীরা তাদের অবসর সময়ে ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করে আয় করা শুরু করে দিতে পারে।

এখানে সাধারণত তাদের পছন্দের বিষয়গুলোর ওপর ভিডিও তৈরি করে চ্যানেলে আপলোড করতে হবে।ইউটিউব থেকে আয় করার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে এসবের মধ্যে গুগোল অ্যাডসেন্সে সেরা একটি উপায়।

তাছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি থেকে স্পন্সরশিপ প্রোডাক্ট বিক্রি সহ আরো বিভিন্ন উপায় এসবের ভিডিও তৈরি করে তারা তাদের ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার জন্য ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান বা ধারণা থাকা এক বিশেষ উচিত।

একটি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত করার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা আয় পারে। এই কাজটি অনেক সহজ তবে এখানে একটু সময় দিয়ে কাজ করতে হয় যদি তারা তাদের অবসর সময় গুলো বেছে নিতে পারে তাহলে তারা এই কাজটি করে যথেষ্ট আয় করতে পারবে।

৬. ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা আয় করতে পারে:

সাধারণত ব্লগিং করে আয় করা অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে আয় করার ক্ষেত্রে ব্লগিং করে আয় করা একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়। আমাদের দেশে অধিকাংশ ব্লগার রয়েছে তারা ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অধিক অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে।

ব্লগ থেকে আয় করার বিষয়টি বর্তমানে প্রায় সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে থাকে এবং অনেক ভাবে সফল ব্লগিং করে ছাত্রীরা ভালো পরিমাণ আয় করতে পারে।

অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের লেখালেখিতে বেশ আগ্রহ থাকে এবং বিভিন্ন বিষয়ের টপিক নিয়ে লেখালেখিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে ব্লগিং শুরু করাটা আপনার জন্য একটি সেরা অন্যতম উপায় হয়ে থাকে।

ব্লগে যে কোনো বিষয় বা টপিক নিয়ে লেখালেখি করে আয় করা যায়। আর সেই লেখার উপরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিজিটর আসতে থাকে তখন আপনি আপনার ব্লগ বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্রদর্শন করার মাধ্যমে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন।

এছাড়া ব্লগের মাধ্যমে আরও বেশ কয়েকটি ভাবে আয় করা যায় যেমন গুগোল অ্যাপস এফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি স্পনসর্শিপ পণ্য বিক্রি সহ আরো বেশ কিছু উপায় রয়েছে ব্লগ থেকে আয় করার। তবে সফলভাবে ব্লগিং করার জন্য অবশ্যই লাভজনক একটি ব্লগ ইংলিশ বা টপিক বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।

ঘরে বসে ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করার একটি উপায় হতে পারে এই ব্লগিং পেশাটা। একজন ছাত্র ছাত্রীরা তাদের যেকোনো অবসর সময়ে লেখালেখি বা ব্লগিংয়ের মাধ্যমে তারা নানাভাবে আয় করতে পারে।

৭. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের ইনকাম:

ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার জন্য উপরে যে টপ সেরা উপায় আলোচনা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের আয় করতে পারা। এই কাজটি একদমই ঝামেলাহীন এবং খুব সহজ কাজ ছাত্র-ছাত্রীরা খুব ভালোভাবে কাজ টি করতে পারে।

সাধারণত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সহকারি হিসেবে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে আয় করা হয় তাকেই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলা হয়।

আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে, ছোট-বড় এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন অনলাইনে কাজ সম্পাদন করার জন্য পেশাদার কর্মী অনলাইন সহযোগী তাদের দরকার হয়ে থাকে।

যারা সেইসব প্রতিষ্ঠান হয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করে থাকে।

এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট মূলত নানা ধরনের কাজ হয়ে থাকে যেমন: গুড ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডাটা কালেকশন করা, ডাটা এন্ট্রি করা, ডাটা এনালাইসিস করা, রিসার্চ কনটেন্ট তৈরি করা, এবং কনটেন্ট রাইটিং করা, মার্কেট রিসার্চ করা, গ্রাহক সেবা প্রদান করা, মিটিং ম্যানেজমেন্ট গঠন করা, ই-মেইলিং করা, ফোন কল রিসিভ করা, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সহ ইত্যাদি আরো অনেক কাজ করাকে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলা হয়।

সাধারণত অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন: Fiver.com, freelancer.com, upwork.com ,peopleperhour.com আরো বেশকিছু মার্কেটে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ পাওয়া যায়। তাই যদি আপনি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে এসব ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে যেতে পারেন।

পরিশেষে:

সাধারণত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার পাশাপাশি এসব কাজ করে নির্ধারিত ভাবে আয় করতে পারে। তারা উপরে বর্ণিত সমস্ত কাজ গুলো পুরোপুরি স্বাধীনভাবে করতে পারে। এখানে তাদের নির্দিষ্টভাবে কাজ করে দেওয়ার কোন সময় উল্লেখিত ভাবে থাকে না।

তারা যখন পড়াশোনার ফাঁকে অবসর সময় পেয়ে থাকবে তারা তখনই তাদের ইচ্ছামত এসব কাজ করতে পারবে। তারা ছাত্রজীবন অবস্থায় এই কাজ করে ইনকাম করার বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা অর্জন করতে পারবে। এসব ধারণা অর্জন করে তারা পরবর্তীতে নিজেদেরকে আরো দারুন ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

আমাদের লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে আপনার পছন্দমত একটি সাইটে অবশ্যই একবার শেয়ার করবেন আপনার করে একটি শেয়ার আমাদেরকে আরো ভালো আর্টিকেল লিখতে উৎসাহিত করবে ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

নাম: বাধন কুন্ডু । একজন আর্টিকেল রাইটার । ১০০% ইউনিক ও কপি মুক্ত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।