গৃহিনীদের ঘরে বসে টাকা আয় করার সেরা ৫টি উপায়

আসসালামুআলাইকুম, বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আমার টাইটেল দেখেই নিশ্চই বুঝতে পেরেছ, যে আমি আজ কি নিয়ে তোমাদের সাথে আলোচনা করব। আজ আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে  সহজে ঘরে বসে কাজ করে  আয় করতে পারেন।

আজ-কাল সবাই সহজে আয় করা নিয়ম গুগলে সার্চ করে থাকেন। আসলে সবাই চায় তার অবসর সময় কাজে লাগিয়ে কিছু বারতি উপার্যন করতে। এখন করোনার কারনে আমরা সবাই বাসায় বন্ধি। তাই এই সময়কে কাজে লাগিয়ে কিন্তু আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারেন।

আর আমরা যতোই মুখে বলিনা কেন নারী পুরুষেরর সমান অধিকার তবুও কিন্তু এখনও আমাদের সমাজে নারীদেন তেমন কোন অধিকার দেওয়া হয় না।

তার ফলে দেখা যায় সমাজে অনেক উচ্চশিক্ষিত নারীরা চাকরি না করে ঘরে বসে থাকেন। কারন নারীদের এটাই শিখানো হয়েছে যে,নারীদের কাজ শুধু সন্তান লালন পালন করা। আর রান্না বান্না করা।

তাই অনেক নারীর লেখা পড়া করে চাকরি করার ইচ্চে থাকলে তারা তা পারেনা। যার জন্য তাদের যে কেন প্রয়োজনে টাকার জন্য অন্য কারো কাছে হাত পাততে হয়। হয়তো বাবার কাছে নয়তো স্বামীর কাছে।

ত আজ আমি যে ৫টি কাজের কথা আলোচনা করব সেই কাজ গুলো কিন্তু আপনারা ঘরে বসে আপনাদের অবসর সময়ে কাজ করে অর্থ উপার্যন করতে পারবেন।

আজ যে ৫টি কাজ নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো হলো:

১/ প্রাইভেট টিউশন।

২/ দর্জি কাজ।

৩/ নকশি কাঁথা সেলাই।

৪/ হাতের তৈরি হস্তশিল্প তৈরি।

৫/ গৃহপালিত পশু পাখি পালন।

ত আজ এই ৫টি সহজ কাজ নিয়েই আলোচলা করব।

১/ প্রাইভেট টিউশন:

আপনি কি শিক্ষত? আপনি যদি শিক্ষত হন তাহলে আপনি কিন্তু একজন প্রাভেট টিউটর হতে পারে।

 আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী লেখা পড়ার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনি করে টাকা আয় করে।আবার অনেক বেসরকারি শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশনি করে বাড়তি আয় করেন। আবার অনেকে একি সাথে একাদিক টিউশনি করে আয় করে।

আপনি চাইলে কিন্তু আপনার অবসর সময়ে প্রাইভেট টিউশনি করে আয় করতে পারবে।আমার মতে ঘরে বসে আয়ের এটাই সহজ মধ্যম।আমি নিজেও।কিন্তু একজন প্রাইট টিউটর।  

২/ দর্জি কাজ:

বর্তমানে ঘরে বসে দর্জা কাজ করে আয় একটি সহজ এবং লাভজনক কাজ।আর এই কাজ শুরু করতে আপনার কোন পুজির প্রয়োজন হবেনা।

আপনি যদি সেলাই কাজে পারর্দশি হন তাহলে দর্জি কাজ আপনার জন্য হতে পারে একটি লাভজনক কাজ।

এই কাজে আপনি যতটা ক্রিয়েটিভি দেখাতে পারবেন আপনার আয়ততটা বৃদ্ধি পাবে।

আপনি যদি ভালোভাবে এই কাজটি করে তাহলে ইনশাআল্লাহ প্রতিমাসে আপনি ভালো পরিমানে  টাকা আয় করতে পারবেন।

৩/ নকশি কাঁথা সেলাই:

নকশি কাঁথার সাথে আমরা সবাই খুব পরিচিত। নকশি কাঁথা তৈরি করা হয় সাধারন কাঁথার উপরে কিছু বিষেশ নকশা এঁকে। আমাদের দেশের সব জায়গার নারীরা অবসরে কাঁথা সেলাই করে থাকেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন এই শখেঁর তৈরি নকশি কাঁথা হতে পারে আপনার ঘরে বসে আয়ের সহজ মাধ্যম।প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশের নারীরা শখেঁর তৈরী নকশি কাঁথা সেলাই করেন।

কিন্তু আপনি চাইলে সুন্দর নকশা করে নকশি কাঁথা তৈরি করে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে প্রথমে আপনার আশেপাশের লোকের কাছে কাঁথা বিক্রি করতে পারে। আস্তে আস্তে কাজের পরিসর বৃদ্ধিকরে আয় করতে পারেন।

নকশি কাঁথা বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি আংশ। তাই বাজারে  নকশ কাঁথার অনেক চাহিদা রয়েছে।

আপনি চাইলে এই কাজটি করে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন ইনসাআল্লাহ।

৪/ হাতের তৈরি হস্তশিল্প তৈরি:

হস্তশিল্পের সাথে আমরা সবাই বেশ পরিচিত। সাধারনত হাতের তৈরি শিল্পের নামই হস্তশিল্প। নিজে এবং পরিবারের অন্যান সদস্যদের সাহায্যে খুব সহজে অল্প উপকরন দিয়েই এই শিল্পের কাজ শুরু করা যায়।

বাংলাদেশের হস্তশিল্প গুলো দেশের গ্রামীন এলাকার বিভিন্ন অংশে তৈরি করা হয়। সাধারনত সনাতন প্রদ্ধতিতে হস্তশিল্পের জিনিস তৈরি করা হয়।

এই কাজটি শুরু করতে দেশীয় কাচামাল যেমন :- বাঁশ,পাট,কাঠ,খর,মাটি ইত্যাদির প্রয়োজন হবে।

এই কাজটি ও আপনি আপনার পরিবারের লোকের সাহায্যে বিভিন্না ধরনের মনোমুগ্ধকর ব্যাগ,ঝুড়ি,দেয়ালে লাগানোর সামগ্রী, মৃৎপাত্র,  হাত ব্যাগ, ভ্রমন ব্যাগ,বাচ্চাদের খেলনা,পুতুল ইত্যাদি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবের।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিন্তু হস্তশিল্পের রপ্তানি একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে।হস্তশিল্পের কাজকরে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। আপনি চাইলেও এই কাজটি শুরু করতে পারেন।

৫/ গৃহপালিত পশু পাখি পালন:

বাংলাদেশের গ্রামঅঞ্চলের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই গৃহপালিত পশুপাখি পালন করা হয়।এগুলো সাধারনত পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য পালন করা হয়।

গৃহপালিত  পশু পাখির মধ্যে আপনি মুরগ,হাঁস,কবুতর, ছাগল এসব পালন করে ভালো আয় করতে পারবেন।

কিন্তু পশুপাখি পালন থেকেই আপনি বাড়তি আয় করতে পারেন।এটার জন্য মাত্র ৮ থেকে ১০ টি মুরগ দিয়েই শুরু করতে পারেন। আপনি মুরগ,ও মুরগের ডিম বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

গৃহপালিত পাখির মধ্যে কবুতর পালন সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক। কবুতর পালন করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। আর কবুতরের রোগব্যাধি কম হয়।আমাদের দেশে কবুতরর অনেক চাহিদা রয়েছে।

আজ আমি যে  কাজ গুলো আলোচনা করলাম এগুলো আপনি সহজে ঘরে বসে করেই সহজের স্বাবলম্বী  হতে পারবেন।

ত আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আস্সালামু আলাইকুম, আমি জহুরা। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করছি। এবং পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করছি।