ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০ টি দারুন ব্যবসার আইডিয়া।

প্রিয় বন্ধুরা,  আস্সালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আজ আমরা আলোচনা করব ;- ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০ টি দারুন ব্যবসার আইডিয়া সম্বন্ধে।

ত আশা করছি সর্ম্পূণ পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আমার সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুগন অনেক বেশি উপকৃত হবেন

সূচনা:-

ছাত্র জীবনে আমরা সবাই চাই লেখা-পড়ার পাশাপাশি বাড়তি কিছু আয় করতে। অনেকেই চান ছোট খাটো কোন ব্যবসা শুরু করতে। কিন্তু দেখা যায় কোন প্রপার আইডিয়া না থাকার কারনে তারা আর ব্যবসা শুরু করতে পারেনা।

যদি,বা ছাত্র-ছাত্রীদের বেশির ভাগ সময়ই লেখাপড়ার কাজে কেঠে যায়, তবে তারা যদি লেখা পড়ার ফাঁকে কিছুটা সময় দিতে পারে তবে কিন্তু তারা ব্যবসা করে জীবনে সফলতা খুব সহজেই পেতে পারবেন।

আর তাই আজকের এই সর্ম্পূণ পোষ্ট জুড়েই আলোচনা করা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চমৎকার ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে।

ত চলুন বন্ধুরা আমাদের মূল আলোচনা শুরুর আগে আমরা দেখে নেই এক নজরে কি কি থাকছে আমাদের আজকের আলোচনায়।

টপিক সূচি:-

1. বইয়ের দোকান।

2. ভিডিও এডিটিং।

3. কন্টেন্ট রাইটিং। 

4. ক্রাফটিং।

5. একাডেমিক রাইটিং। 

6. গ্রাফিক্স ডিজাইন। 

7. ফুড কোর্ট। 

8. অনলাইন টিউশন।

9. ফ্রিল্যান্সার লেখক।

10. এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

1. বইয়ের দোকান।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি সেরা ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে বইয়ের দোকান দেওয়া।আর এই ব্যবসা আপনারা অনলাইন বা অফলাইন দুভাবেই শুরু করতে পারবেন।

আর ছাত্র ছাত্রীরা যদি বইয়ের ব্যবসা শুরু করে তবে তাদের আগে থেকেই জানা থাকে বইয়ের চাহিদা সর্ম্পকে। ফলে তারা বইয়ের ব্যবসা শুরু করে সহজে লাভবান হতে পারবে।

অফলাইন বইয়ের ব্যবসা আপনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রথমে ছোট দোকান দিয়ে শুরু করতে পারবেন।আবার অনলাইন বইয়ের ব্যবসা আপনারা একটি ফেসবুক পেজ খুলে শুরু করতে পারবেন।

2. ভিডিও এডিটিং।

বর্তমানে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ভিডিও এডিটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এখন ভিডিও এডিটিং এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গুলোতে।

বর্তমানে বেশির ভাগ লোকেরই একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আর আমরা জানি ইউটিউবের ভিডিও গুলো যত সুন্দর ভাবে এডিট এবং সুন্দর কোয়ালিটি সর্ম্পূণ হয় তত বেশি ইউটিউব থেকে ইনকাম হয়। তাই এখন দেখা যায় অনেকেই তাদের চ্যানেলের ভিডিও এডিটর ভাড়া করে থাকেন।

তাই প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের মালিকের সাথে ইমেইলে বা ফোনে যোগাযোগ করে তাদের চ্যানেলের ভিডিও এডিটিও এর কাজ করে দিয়ে আয় করতে পারবেন।

3. কন্টেন্ট রাইটিং। 

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ব্যবসা হিসাবে কন্টেন্ট রাইটিং বেশ লাভজনক।বর্তমানে অনেক কোম্পানি বা প্রতিষ্টান অফলাইন - অনলাইনে তাদের পণ্য সম্বন্ধে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য ভালো কন্টেন্ট রাইটার খুঁজে থাকে।

তাছাড়াও এখন অনেক ওয়েবসাইড রয়েছে যেগুলোতে আপনিও কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে যোগ দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

*কন্টেন্ট রাইটিং করার সেরা কিছু ওয়েবসাইট:-

  • Upwork.
  • Freelancer.
  • Flexjobs.
  • Textbroker.
  • Contena.
  • ProBlogger job board.
  • Freelance writing jobs.

4. ক্রাফটিং।

ঘর সাজানোর জন্য এখন মানুষ কাগজ বা মাটি বা বোর্ড ইত্যাদির তৈরি বিভিন্ন জিনিস বেশ পছন্দ করে থাকেন। তাই এই দিক বিবেচনা করে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেশ ভালো একটি ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে ক্রাফটিং।

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা কাগজ কেটেঁ ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতে পারেন। আর বর্তমানে কোন বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে সাপ্রাইজড করতে অনেকেই হাতের তৈরি বিভিন্ন কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। 

আবার দেখা যায় অনেকেই শখের বসে কাজগের তৈরি ওয়ালমেট ইত্যাদি বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে থাকেন। তবে আপনার এই ক্রাফটিং এর নেশা কে পেশা হিসাবে বেঁচে নিয়ে লেখা পড়ার পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।

5. একাডেমিক রাইটিং। 

একাডেমিক রাইটিং এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের আয় করার একটি দারুন সুযোগ রয়েছে।একাডেমিক রাইটিং এর ভিতর, এ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেওয়া, রিসার্চে সাহায্য করা, সিভি রাইটিং, বিদেশে গমনিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য কাস্টমাইজড ডকুমেন্ট প্রিপারেশন ইত্যাদি।

 তবে, মনে রাখবেন যে বিষয়েই লেখা হোক, ইংরেজিতে ভালো দখল না থাকলে কাজ পাওয়া বা করাও প্রায় অসম্ভব।

6. গ্রাফিক্স ডিজাইন। 

বর্তমানে বেশ চাহিদা সম্পূর্ণ একটি পেশা হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্টান তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য পোষ্টার ব্যানার ইত্যাদি বিভিন্ন গ্রাফিক ডিজাইনার ভাড়া করে তৈরি করে থাকেন। আর তাই এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে আপনিও গ্রাফিক ডিজাইন শিখে আয় করতে পারবেন।

* গ্রাফিক ডিজাইন করে আয় করার কয়েকটি উপায় *

  • পোষ্টার, ব্যানার ডিজাইন।
  • কভার ফটো ডিজাইন।
  • বিজ্ঞাপন ডিজাইন।
  • টি-শার্ট ডিজাইন।
  • ফ্রন্ট ডিজাইন। 

7. ফুড কোর্ট। 

ফুড কোর্ট এর ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানে। ছোট্ট পরিসরের এই ফুড কোর্ট গুলোতে আপনারা বিভিন্ন ধরনের স্ন্যাকস, হাল্কা-পাতলা বিভিন্ন ধরনের লাঞ্চ আইটেম বিক্রি করতে পারবেন।

আর এই ফুড কার্ট ব্যবসা যদি ছাত্র-ছাত্রীদের ধারা পরিচালিত হয় তবে খাবারের মান সর্ম্পকে আর কারো কোন সন্ধেহ থাকবে না।তবে চেষ্টা করবেন ভালোমানের খাবারের আইটেম রাখার। কারন ভালো মানের খাবার আইটেম সহজেই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হবে। এতে আপনি খুব সহজে ফুড কার্ট ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন।

8. অনলাইন টিউশন।

বর্তমান এই করোনা মহামারির কারনে যেহেতু আমাদের দেশের সমস্ত স্কুল - কলেজ বন্ধ রয়েছে। তাই অনেক প্রতিষ্টানই এখন অনলাইনে টিউশন দিচ্ছে।

আর এখন শুধু স্কুল কলেজে নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিভিন্ন জটিল বিষয় গুলো অনলাইন টিউশনিতে সলভ করা হচ্ছে।তাছাড়াও এখন অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করার ও প্রচুর সুবিধা রয়েছে।

অনলাইনে কোর্স বিক্রির সেরা কিছু ওয়েবসাইট :-

  • Youtube.
  • Repto.
  • Bohubrihi.
  • Instructory.
  • LearningBangladesh.
  • Masbacademy.

9. ফ্রিল্যান্সার রাইটার।

আপনাদের যদি লেখা লেখির প্রতি আগ্রহ থেকে থাকে তবে আপনি এক জন ফ্রিল্যান্সার রাইটার অর্থাৎ লেখক হিসাবে কাজ শুরু করে ইনকাম করতে পারবেন। 

বর্তমানে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার দের জন্য  অনেক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে, যে গুলোতে আপনি প্রফেশনালি কাজ করতে পারবেন।

  • Upwork.com
  • Fiveer.com
  • Freelance.com
  • Guru.com

তাছাড়াও বাংলাদেশি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যে গুলোতে আপনি এক জন রাইটার হিসাবে কাজ শুরু করতে পারবেন।

বাংলাদেশি ওয়েবসাইট:-

  • Balance.com
  • Bwmshop.com

10. এফিলিয়েট মার্কেটিং।

বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং বেশ দারুন এবং লাভজনক এক টি ব্যবসা।এখন আমাদের দেশেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর এখন অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবথেকে সহজ উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় এফিলিয়েট মার্কেটিং সর্ম্পকে আমাদের তেমন কোন জ্ঞান না থাকার কারনে আমরা ইচ্ছা থাকলেও এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারে না।

আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের এফিলিয়েট লিংক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন।আর আপনার দেওয়া পণ্যের লিংক দেখে যত ক্রেতা আকৃষ্ট হয়ে আপনার লিংক ব্যবহার করে পণ্যটি ক্রয় করবে আপনি সেই পণ্যের জন্য নির্ধারিত কমিশন পেয়ে যাবেন।

ত দেখলেন ত কত সহজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে 

শেষ কথা:-

ত প্রিয় বন্ধুগন এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা ;- ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০ টি দারুন ব্যবসার আইডিয়া। এখানে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার পাশাপাশি আয় করার সেরা ১০ টি উপায় সম্পকে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ত আশা করছি পোষ্টটি পড়ে আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হবেন।
আর পোষ্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অবশ্য কমেন্ট করে আপনাদরন মতামত আমাদের যানাবেন। আপনাদের মূলবান মতামত আমাদের ভবিষ্যতে আর ও ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ যোগাবে।

আর পোষ্টটি সর্ম্পকে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে কমেন্ট বক্সে  কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।আমি ইনশা আল্লাহ আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ত বন্ধুরা আবার ও খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোষ্টে নতুন কোন বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে হাজির হয়ে যাব।আর এতক্ষন ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারে পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।ত বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই সবাই অনেক ভালো থাকবেন,  সুস্থ থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।


আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আস্সালামু আলাইকুম, আমি জহুরা। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস করছি। এবং পাশাপাশি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করছি।