মোবাইল ফোন একটি ছোট আকারের বৈদ্যুতিক ডিভাইস, যার সাহায্যে সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফুল ডুপ্লেক্স বা দ্বিমুখী রেডিও যোগাযোগ করা হয়। প্রতিটি মোবাইল ফোনে একটি ‘অ্যান্টেনা’ থাকে। এগুলোর মাধ্যমে একজনের সাথে অন্যজনের দ্রুত যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়।
মোবাইল ফোন ব্যক্তিগতভাবে বা একক চেষ্টায় কেউ আবিষ্কার করেননি। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর নানা প্রচেষ্টা ও প্রযুক্তি উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ১৯৭৩ সালে প্রথম হাতে ধরা ছোট মোবাইল সেট তৈরি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে। আর তা তৈরি করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। তাঁকেই বলা হয় মোবাইল ফোনের জনক।
মোবাইল ফোনের অনেক সুবিধা আছে। এর মাধ্যমে যে কারও সাথে যতক্ষণ ইচ্ছা কথা বলা যায়। নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে টাইপ করে খুদে বার্তা (মেসেজ) পাঠানো যায়। এটা দিয়ে ছবি তোলা যায়, ভিডিও চিত্র ধারণ করা যায়, রেডিও শোনা যায়, টিভি দেখা যায়, এমনকি গেমসও খেলা যায়। অনেক রকম হিসাব-নিকাশ (ক্যালকুলেটর) করার পাশাপাশি এখন এটা দিয়ে ইন্টারনেটে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। এখনকার দিনে মোবাইলে কথা বলার সময় পরস্পর পরস্পরের ছবিও দেখতে পারে। আবার এটা দিয়ে কম্পিউটারের কিছু কিছু কাজও করা যায়।
মোবাইল ফোনের কিছু অসুবিধাও আছে। এটি দিয়ে বেশি সময় কথা বলা ঠিক নয়। তাতে কানের ক্ষতি হয়, ফুসফুস ও হার্টে চাপ বাড়ে। এমনকি মস্তিষ্কেরও (ব্রেইনের) ক্ষতি হতে পারে। অধিক সময় গেম খেললে বা ভিডিও দেখলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তা ছাড়া এটির অপব্যবহারে সময়ের ক্ষতি হয়, পড়াশোনার ক্ষতি হয়, কাজকর্মের ক্ষতি হয়।
মোবাইল ব্যবহার মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু বর্তমানে মোবাইলে অপসংস্কৃতির চর্চা বাড়ছে, অনৈতিক কাজকর্মের সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই সুস্থ চিন্তা, সুস্থ চর্চা এবং মোবাইলের কল্যাণকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
You must be logged in to post a comment.